সংস্কার হলো এক ধরনের যুদ্ধ। সকল যুদ্ধেই রণনায়কদের মনে রাখতে হয় যে, শত্রুর বিরুদ্ধে অগ্রসর হওয়ার পরিকল্পনাই যথেষ্ট নয়, সব সময়েই পিছনে হটে যাওয়ার জন্য আপতকালীন পরিকল্পনা থাকতে হবে।
সংস্কার হলো প্রণয়ঘটিত সম্পর্কের মত জটিল। এ ধরনের সম্পর্ক যে কোন আহাম্মকও শুরু করতে পারে, কিন্তু সাফল্যজনক পরিসমাপ্তি টানতে পারে একমাত্র পাকা খেলয়াড়রাই।
সংস্কারও যে কোন আহাম্মক শুরু করতে পারে, কিন্তু সবাই শেষ করতে পারে না। যারা সংস্কার করে তারা বাঘের পিঠে চড়ে বসে। যারা শেষ করতে পারে না তাদের অবস্হা হয় নিচের ছড়াটির মত:
There was a Young Lady of Niger
Who smiles as she rode on a Tiger
They returned from the ride
With the lady inside
And the smile on the face of the tiger.
সংস্কার করতে গেলে বাঘের পিঠে চড়তেই হবে। উন্নয়নশীল দেশসমুহ গহন অরন্যের চেয়েও অনেক বেশি শ্বাপদ-সন্কুল। এখানে কায়েমি স্বার্থবাদী জোটসমুহ বনের বাঘের চেয়েও হিংস্র ও ক্ষিপ্র। বাঘকে এড়ানোর স্বাধীনতা সংস্কারকের নেই। তবে সব বাঘের বিরুদ্ধে একসাথে লড়াইয়ের প্রয়োজনও তার নেই। প্রথম লড়াইয়ের জন্য সংস্কারককে তাই এমন বাঘ বেছে নিতে হবে যাকে সে সাফল্যের সাথে সম্পুর্ন পরাভুত করতে পারবে।
আপনার কি মনে হয়? আমাদের সংস্কারকরা কি পারবেন টিকে থাকতে?