নারী হওয়ার কারণে সরকারি বেসরকারি কোন সেক্টরেই কি একই গ্রেড বা পদে কর্মরত ব্যক্তির বেতনে কোন তারতম্য করা হয়? উত্তর হচ্ছে, না। তবে নারী সমতা নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্চবাচ্য যারা করে সেই মিডিয়াতেই নায়ক চরিত্রে অভিনয় করা পুরুষের পারিশ্রমিকের তুলনায় নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করা নারীর পারিশ্রমিক কয়েকগুণ কম। আমার কাছে এটাকে ভণ্ডামোর উৎকৃষ্ট উদাহরণ মনে হয়।
এটা স্বীকার করতেই হবে যে, সংসারে নারীর অবদান বা কর্মকে খুব একটা মর্যাদা দেয়া হয় না। সুতরাং সংসারে নারীর অবদানের স্বীকৃতি আদায়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের বিষয়ে কাজ করা যেতে পারে। কিন্তু তা না করে পুঁজিবাদী সভ্যতা এই বিষয়টাকে কাজে লাগিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে সমতার প্রলোভন দেখিয়ে নারীকে বস্তু হিসেবে ব্যাবহারে যে ফাঁদ পেতেছে, বোকা নারীরা খু্ব সহজেই তাতে পা দিয়ে নিজেকে বস্তুতে পরিনত করছে।
যে সুন্দরী প্রতিযোগীতায় দু-তিনটা দেহকে ডেকোরেটেড করে তুলে ধরার বিনিময়ে অর্থকড়ি ও নানান সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে নারীদের মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, ঐ একই প্রতিযোগীতায় কিন্তু হাজার হাজার নারীকে ডিসকোয়ালিফাই হিসেবে আউট করে দেয়া হয়। একই সাথে ব্যাপক প্রচার প্রচারনার মাধ্যমে কোটি কোটি নারীকে পণ্য হয়ে ওঠার প্ররোচনাও দেয়া হয়। সহজভাবে বললে কয়েকজন নারীকে ব্যবহার করে সমাজের বিপুলসংখ্যক নারীর মগজধোলাই করা হয় মাত্র।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১০