somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্তমন, মুক্তচিন্তা ও মানবিক দর্শন

১৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যা অসাম্প্রদায়িক; নির্দিষ্ট বা অনির্দিষ্টভাবে কারো মুক্ত বিশ্বাস/অবিশ্বাস-কে তীরের ন্যায় বিদ্ধ না করে মানবমুক্তির জন্য অক্লান্তভাবে বিজ্ঞানচর্চা করতে উদ্বুদ্ধ করে আমি তাকে-ই মুক্তচিন্তা মনে করি। যেমন ধরুন- মানবতার স্বরূপ দর্শনার্থে মুক্তচিন্তা। বিজ্ঞান যেহেতু দর্শনের একটি শাখা, তা-ই মানবতাকে উপেক্ষা করে কট্টরভাবে ধর্মীয় সমালোচনা মুক্তচিন্তা নয়। আমি মনে করি, মুক্তচিন্তাবিদ একজন দার্শনিক-ই বটে, সমালোচক নন।
"মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক"-এই কথাটা মুক্তচিন্তার কথা। এই ধরণের মতবাদ প্রচার করা গেলে মুক্তচিন্তা প্রসারিত হবে। রাম/যীশু/হযরতের জীবনী মানুষের ক্ষতি করে না; কিন্তু কিছু মন্ত্রবিদ্যা/.../.../প্রথা খুব'ই ক্ষতিকর! এই ফারাক নির্ধারণ করে মানুষের অনুকূল যে চিন্তা করা হয় তা-ই মুক্তচিন্তা।

একদিন ছাত্রদের একটা পরীক্ষা নিচ্ছিলাম। ওদের লিখতে দিয়ে চায়ের দোকানে গেলাম। এই চায়ের দোকানটিতে তীর্থ যাত্রার একটা ব্যানার আছে। দুইজন লোক সেই বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। আমি আসার পর যেটুকু শুনলামঃ

লিটনঃ এইসব জাগায় যাতি ১৫০০০ টাকা থাকলি আমি নিজিই যাতি পারতাম।

রবীনঃ তুমি যেভাবে কচ্ছো উডা ভুল। দেহিছো ছবিতি যারা আছে তারা কিরম? আমার-তুমার মতো কর্মজীবী মানুষ যাবা কিয়েরে? যে কডা জাগার নাম আছে তার সবজাগায় ঘুরতি হলি অন্তত ছয় মাস লাগবে। আর তাছাড়া ওনি যাতি হলি বয়স লাগে, মন লাগে। তুমার টাকা আছে আর তুমি কৈলে, "আমি টাকা দেবো, আমি যাবো।" তালিতো হবেনা!

লিটনঃ এ... আমি যাবোতো ঘুরতি। আর ভগবানরে পাওয়ার জন্যি ওনি যাওয়া লাগবে কি জন্যি? ভগবান'ই আমার কাছে আসপে।

এরপর কথা বলতে বলতে ওরা দু'জনেই চলে গেলো।

এদের দুইজনের মন দুইরকম। মানুষের মন অনেক মনোবিজ্ঞানের ছাত্রের চেয়ে আমি কম জানি না। একটানা প্রায় বারো বছর মেশার পরও সেই বারো বৎসরের বিজ্ঞ সম্পর্কের পার্ষদের দ্বারা সহস্রাধিক লোকের মধ্যে একা বিপদে পড়েছি। রাজনৈতিক মহলে বাবার সাথে শত্রুতার জের ধরে বাঘা বাঘা লোকের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছি। আমি যখন'ই উগ্রভাবে প্রতিবাদ করতে গিয়েছি তখন'ই বিপদে পড়েছি। আর যখন ঠান্ডা মাথায় ষড়যন্ত্রকারীর উপরে ষড়যন্ত্রী হয়েছি তখন একা-ই শত ষড়যন্ত্রীর মুখোশ খুলে দিয়েছি।

আপনারা বলবেন, কিসের মধ্যে কি নিয়ে আসলাম!

কিন্তু, আসলে আমি যা বলতে চাইছি তা হলো- "প্রত্যেক মানুষের দু'টো হাত, দু'টো পা, একটা মাথা; অথচ, প্রত্যেকে আলাদা রকম চিন্তা করে। তা-ই মানুষ ভিন্ন কাজ করে, ভিন্ন কথা বলে। কাজেই সবার মন জয় করে নীতি প্রচার করতে চাইলে তা কাজে দেয়, নচেৎ নয়।" এই কারণে-ই সবাই ভালো প্রচারণা করতে চাইলেও ভালো প্রচারক হতে পারেন না।

যে সকল মুক্তমনা সরাসরি ধর্মের যাজকদের বিরুদ্ধে বলেন উগ্রবাদীদের মতো তারা প্রকৃতপক্ষে ব্যর্থ। তারা শান্তি, সাম্য, সেক্যুলারিজম প্রতিষ্ঠা করবেন কীভাবে??
বলতে পারেন- আমি কি এমন মহাজ্ঞানী??যারা বলবেন আমি তাদেরকে মূর্খ বলবো। আমি তাদেরকে মুখস্তবিদ্যায় পন্ডিত বলি। আমি মনে করি, তারা কিছু'ই অন্তস্থঃ করতে পারেন নি। তার জ্ঞান মহাবিশ্বের ন্যায় অসীম হতে পারে। সেই মহাবিশ্বের একটি মাত্র ধূলিকণা হয়েও আমি একথা বলবো। যারা মানুষকে ভালোবেসে কাছে আনতে জানেন না তাদের ব্যাঙ্গরচনা কিম্বা পরচর্চায় শত শত লাইক পড়তে পারে, হুজুকে তাদের নিয়ে মাতামাতি হতে পারে। কিন্তু, যতো শতাংশ নিশ্চয়তা দরকার ততো শতাংশ নিশ্চয়তা দিয়েই বলছি- তারা এইভাবে না-মানুষকে মানুষ বানাতে পারবেন না।

যার বিরুদ্ধে কলম উঠেছে তা 'মৌলবাদ'। আমি সেই কলমবাদীদের বলছি, ভয়ানক মৌলবাদ দু'ই ভাবে বিলুপ্ত করা যেতে পারে-
১। তাদেরকে ভালোবেসে কাছে আনতে হবে; বোঝাতে হবে ভালো-মন্দ।
অথবা,
২। তাদেরকে একাধারে খুন করতে হবে।
এই দু'য়ের একটা বেছে নিতে-ই হবে। কারণ- পশুকে আপনি পোষ মানাতে পারেন অথবা মেরে ফেলতে পারেন। কিন্তু, আপনি পশুকে খোঁচা মারলে কামড় আপনাকে খেতে-ই হবে। সে পশু সাধ্য থাকলে আপনাকে মেরে ফেলবে- এটাই পশুত্বের পরিচয়। অতএব, যারা ভাবেন মৌলবাদীদের গালি দিলে পথে আসবে তারা অসম্ভব রকম ভুল করেন। আমি অনেক পোস্ট দেখেছি যেখানে ধর্ম নিয়ে সত্য কথা লিখলে মৌলবাদীরা বিশ্রী গালিগালাজ করে। আবার মৌলবাদীদের গালির জবাবে অনেক নাস্তিক এক দমে হাজারটা গালি ছাড়ে; এই নাস্তিকদের মধ্যে অনেক মুক্তমনা ব্লগারও আছেন। যারা এমন গালিবাজিতে অভ্যস্ত তারা কতোটুকু সভ্য? তামার পাতায় সোনার অক্ষরে লিখে রাখুন এই গালিবাজদের দ্বারা কিচ্ছু-ই হবেনা।
আবার অনেকের ফেবুতে লেখা থাকে, "আস্তিকেরা দূরে থাকুন।/আমাকে শেখাতে আসলে ব্লক/ভার্চুয়াল লাথি খাবেন।/সুশীলেরা দূরে থাকুন।/ইত্যাদি। এগুলো মানবিকতার পক্ষে কতোটুকু সমীচীন??

যার যতো ঢঙ তার ততো কদর। আবোল-তাবোল আজকাল চলছেও বেশ। ঐ যে গানটা আছে না-
"এ্যান্টেনায় প্রচুর কাক
বাংলা গান খাচ্ছে; খাক।
ঠিক আছে, ঠিক আছে খাক।"

মুক্তমনারা যদি একে একে অপকবি হয়ে যান তাহলে আর যা-ই হোক প্রকৃতপক্ষে বিপ্লব অসম্ভব। বরং অস্থিতিশীলতা বাড়বে।

এর চেয়ে বরং রবি ঠাকুরকে অনুসরণ করুন; যার দ্রোহের ভাষাটাও ছিলো শুভ্র।।

(যারা প্রকৃত মুক্তমনা এবং বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করেন না, যারা আসলে-ই সুন্দর কিছু চান তারা আশা করি আমার ভাষাটা বুঝতে পারবেন।)

২০১০ সালের পহেলা এপ্রিল যাদেরকে বোকা বানিয়েছিলাম তাদের নিয়ে রাতে খাবার টেবিলে গল্প করছিলাম। এমন সময় বাবা আসলেন। শুনছিলেন আমার কথাগুলো। তারপর বললেন, এই দিনে ইহুদিরা মুসলমানদের মিথ্যা বলে, বোকা বানিয়ে হত্যা করেছিলো। সাম্প্রদায়িকতার এই গণহত্যা নিয়ে কখনও মজা করা উচিত নয়। পুরো ঘটনাটা আর বিশদ বললাম না। আমার বাবা আমাকে সমবেদনায় কাঁদতে শিখিয়েছেন। আস্তিক-নাস্তিক নিয়ে যুদ্ধ করার ইচ্ছে বা মন-মানসিকতা আমার নেই। আমি ধর্মের ভুলগুলো নিয়ে কিছু সত্য বলে পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝতে পারলাম, আমিও খানিকটা উগ্র নাস্তিকদের দলে চলে গিয়েছিলাম।

"আমি যদি আরব হতাম মদিনার'ই পথ
এই পথে মোর চলে যেতেন নূর-নবী হযরত"
এই গানে নবীর অতুলনীয় গুণকীর্তন করা হয়েছে।

আমি মনে করি ধর্ম একটা সুন্দর জীবন যাপন নিশ্চিত করার জন্য। মানুষ যেন বিশৃঙ্খল না হয়ে যায়, উগ্রপন্থী না হয়ে যায়, মানুষ মানুষকে যেন পণ্য না করে-এইসব ধারণা থেকে'ই ধর্ম এসেছে।
দেখুন, মা-বাবা-ভাই-বোন-সন্তান-সন্ততি যদি ভুল করে তাহলে আমরা তাদেরকে গালি দেওয়া যেমন অপরাধ ঠিক তেমনি ধর্মভীরু ধার্মিকদের গালি দেওয়াও অপরাধ। সমস্যা হলো রক্তের সম্পর্কের আপনজন না হলে আমরা সামান্যতেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলি। আমাদের যেমন অনুভূতি আছে তেমনি অপরেরও আছে। কোনো নাস্তিক বোধহয় জানেন না যে "ঈশ্বর কী?"।

উগ্র নাস্তিকদের প্রতি আমার আহবানঃ

ব্যক্তিগতভাবে তুমি যদি ঈশ্বরে বিশ্বাস না করো, অর্থাৎ তুমি যদি 'নাস্তিক' হও; তাহলে তোমার কর্তব্য হলো, "মৌলবাদীদের কাছে 'বস্তুত' প্রমাণ দেখানো, পরধর্ম নিন্দাকারীর বিপক্ষে ধর্মীয় নীতি প্রচার ও সর্বোপরি যুক্তি তুলে ধরা॥"

প্রচলিত ধর্মের মতে, পাপকর্মে তাদের নরকবাস হবে। সে যদি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেও অপকর্ম করে তাহলে বিষয়টা দাঁড়ায়- ভাই হয়ে সৎভাইয়ের মতো কাজ করা; আর যে নাস্তিক সে তো এক্কেবারে ঈশ্বরকে অবিশ্বাস করে। তাহলে বিষয়টা দাঁড়ালো এই যে- সৎভাই এমন কাজ করবে- এটা অস্বাভাবিক নয়। সেই অর্থে এই উপরিউক্ত কথাগুলো। আর সব ধর্মের সারকথা "সত্য'ই ধর্ম"(যদিও প্রচলিত ধর্মবেত্তারা ধর্মগুলোকে নিজেদের সুবিধামতো গড়েছেন)।
এই অর্থে প্রচলিত ধর্মের অনুসারীরা হলো আস্তিক; জীবনকে যারা রঙ্গমঞ্চ মনে করে ব্যক্তিগতভাবে সুখী হতে চায় তারা নাস্তিক। যারা মানুষধর্ম তথা সত্যধর্মের অনুসারী তারা মানুষ। ভাগ মোট তিনটে।

আর হ্যাঁ, শাস্তি তাকে পেতে'ই হয়। তা হলো- বুড়োকালে মানসিক শাস্তি।

'ঈশ্বর' শব্দের অর্থ- চিরন্তন; নিয়ন্তা বা প্রকৃতি। আর 'চিরন্তন' অর্থ- সত্য। সত্য বলতে বোঝায়- প্রকৃতির রক্ষণাবেক্ষণের ন্যায় নীতি। কাজেই, নাস্তিক্যবাদের বদলে মানবতাবাদ'ই শ্রেয়।

এ কথা ঠিক যে- মুক্তচিন্তা বলতে মুক্তভাবে যেকোনো কিছুকে চিন্তা করা বোঝায়। তাহলে, বলা যায়- মুক্তভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাসীদের চিন্তাটাও ঠিক আছে। আসলে মুক্তচিন্তা মানবমুক্তির নিমিত্তার্থক না হলে, শোধানোর জায়গায় উস্কানি কিম্বা পরচর্চার আকার ধারণ করলে তা অবশ্য-ই অনর্থক। শব্দগত অর্থে মুক্তচিন্তা মুক্তভাবে যেকোনো কিছু চিন্তা করাকে বোঝায়। কিন্তু, ভাবগত কিম্বা বস্তুগত অর্থে তা মানবকল্যাণে আসা প্রয়োজন।।

বিজ্ঞান সবসময় প্রমাণে বিশ্বাসী। অতএব, ঈশ্বর(ধর্মের বিবরণ অনুযায়ী যে নিরাকার সর্বনিয়ন্তার উল্লেখ আছে) আছেন কি নেই তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। বিজ্ঞানের অমলিন তত্ত্ব হলো এই যে, "শক্তির সৃষ্টি বা বিনাশ নেই, তার কেবল রূপান্তর বা স্থানান্তর আছে"। তাহলে, 'বিগ ব্যাং'-এর ফলে যে মহাশূণ্যের সৃষ্টি হয়েছে তা ঠিক কোন শক্তির পরিবর্তিত রূপ? এখানে একটা প্রশ্ন থেকে'ই যায়। সভাবসুলভভাবে, আমার মনেও এ-ই প্রশ্ন জাগে।
ঈশ্বর যে নেই তার প্রমাণও আজ পর্যন্ত কেউ দিতে পারেননি। যেমন-ঈশ্বর থাকার প্রমাণ মেলেনি। আমি একজন মুক্তচিন্তক হিসেবে প্রমাণহীন ঈশ্বরে বিশ্বাস অথবা অবিশ্বাস কোনোটা-ই করতে পারিনা। তবে, সর্বোপরি প্রমাণিত সত্ত্বা 'মানবকুল'-এর মানোন্নয়নের পরিধিতে মুক্তচিন্তা করেও অভেদ্য'র রস উন্মোচনের চেষ্টা করা যায়। তা-ই, অহেতুক সাম্প্রদায়িক চেতনায় ভর করে মুক্তচিন্তা করা উচিৎ নয়।

অনেক বিজ্ঞানীকে 'মহাশূন্যের পরিধি' নিয়ে বলতে শুনি। হাসি-ই পায় এমন কথা শুনে। মহাশূন্যের আবার পরিধি আছে নাকি!! মহাশূন্য অসীম। সীমাহীন...। কল্পনায় সীমানাজ্ঞাপক মহাশূন্যের দেখা মেলে। এই অসীমতাকে আমরা কল্পনাও করতে পারি না। হতে পারে, 'বিগ ব্যাং'-এর ফলে-ই মহাবিশ্বের সৃষ্টি। কিন্তু, সে 'বিগ ব্যাং' সংঘটিত হওয়ার কারণ কী? এর পেছনের শক্তিটি কী? সে-ই রহস্যের উন্মোচন দরকার। কোয়ান্টাম তত্ত্বের সমাধান মহাশূন্যের আপেক্ষিকতাকে উপেক্ষা করে আদৌ সম্ভভ কি? শক্তির শুরুর হিসাবটা ক্যানো কল্পনায় বা ধারণায় থাকবে? -এর নিশ্চয়তা দরকার। এই ক্ষেত্রে আরো গবেষণাকার্য বাকী রয়েছে। যতোদিন এ-ই হিসাবটা না মিলছে ততোদিন ঈশ্বরকে গালমন্দ করবেন না।

"শক্তির সৃষ্টি নেই।" তাহলে, বিগ ব্যাং-এর ফলে এতোকিছু সৃষ্টি হলো কিভাবে? তা কি তবে রূপান্তর? আবার, "শক্তির বিনাশ নেই।" তাহলে, মহাকর্ষীয় গতির ফলে গ্রহ-নক্ষত্রগুলো ক্রমে যে দূরে সরে যাচ্ছে; -এর ফলে তাপশক্তির অভাবে মহাবস্তুপুঞ্জের শক্তি ক্রমান্বয়ে ধংসের দিকে যাচ্ছে ক্যানো?
আবার, হিন্দুশাস্ত্রমতে, "পরমাত্মায় সকল আত্মার মিলন হয়।" তাহলে, যতোদিন না সকল প্রাণী মরে যাচ্ছে ততোদিন পরমাত্মা তথা ঈশ্বর নেই।

মহাশুন্যের আবার আপেক্ষিকতা! অদ্ভূত মনে হতে পারে। কিন্তু, এটা অবশ্য-ই বাস্তব। বিজ্ঞানের সকল তত্ত্ব যে সুতোয় বাধা তা হলো এই মহাশূন্যের আপেক্ষিকতা।
অথবা, 'বিগ ব্যাং'-ই যদি আপনার শেষ কথা হয় তাহলে প্রমাণ করতে হবে যে- ০=১। ১=০ হলে হবে না। কারণ, কিছুনা থেকে-ই এতোকিছুর সৃষ্টি বলে ধারণা করা হয়। কী আহাম্মকি!! এই প্রমাণে কোনো ধ্রুবক প্রয়োজন হলে তাকে পরমশক্তি হিসেবে মানা যেতো। কিন্তু, বিগ ব্যাং ঘটলো কীভাবে???

এ-ই জটিল তত্ত্বের তথ্যটা জানা গেলে-ই কোয়ান্টাম তত্ত্ব পরিপূর্ণতা লাভ করবে। আমি বিজ্ঞানী নই; দায়িত্বটা বিজ্ঞানীদের ওপর দিলাম।

আবারও বলছি- "মুক্তচিন্তাবিদ একজন দার্শনিক, সমালোচক নন।" কারণ, "বিজ্ঞান দর্শনের একটা শাখা মাত্র। দ্রুত উন্নয়নের ফলে বিজ্ঞান এখন একটা স্বতন্ত্র ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। মুক্তচিন্তা স্ব চিন্তায় অসীম। পক্ষান্তরে, একজন সমালোচক মুক্তচিন্তাকে ভাঙিয়ে থাকেন।" উল্লেখ্য যে, কোনো বুদ্ধিমান বিজ্ঞানী অদ্যাবধি ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করেননি এবং 'ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই'- একথা নিশ্চিত করে বলেননি; সংশয় বা দ্বিধা প্রকাশ করেছেন।।
-এটা আমার ব্যক্তিগত দর্শন।

সব্যসাচী বাঙালি
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে মৈত্রী হতে পারে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০


২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ সুদে-আসলে সব উসুল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×