আমরা কম বেশি সবাই রান্না জানি । কারোটা খুব ভালো হয় , কারোটা একটু কম । আজ কিছু টিপস নিয়ে কথা বলবো । অনেকেই হয়তো অনেক কিছু জানেন । তারপরও নতুন কিছু জানাবার চেষ্টা করলাম ।
দাগ মেটানোর নানা উপায় ঃ
► ছুরি বা কাঁচি থেকে মরচে দাগ তোলার জন্য ছুরি ভিনেগারে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে এরপর আধা ঘণ্টা ফুটিয়ে নিন।
► কম্পিউটারের কি-বোর্ড বা মাউসে ময়লা জমলে তুলার প্যাডে কয়েক ফোঁটা নেইল রিমুভার দিয়ে ময়লার ওপর বুলিয়ে নিন। সব ময়লা উঠে যাবে।
► অনেক সময় বাসনের স্টিকার সহজে তোলা যায় না। তুলতে গেলেও আঠালো ভাব লেগে থাকে। তাই হাত দিয়ে না তুলে একপাশে মোমবাতি ধরুন। এরপর মোমবাতি সরিয়ে এককোণ থেকে স্টিকার তুলে ফেলুন।
► রান্না করার পর প্রেশার কুকারে অনেক সময় হলদে দাগ পড়ে। এই দাগ তুলতে কুকারে লেবুর রস ও লেবু একসঙ্গে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। দাগ থাকবে না। ভিনেগার দিয়ে ফোটালেও দাগ থাকবে না।
► বালতি বা অন্য কোনো প্লাস্টিকের জিনিসে মরচের দাগ পড়লে তারপিন তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন। দাগ নিমেষে উঠে যাবে।
► কাপড়ের কালো দাগ তোলার জন্য দাগের ওপর কেরোসিন ঘষুন। এরপর এক টুকরা লেবু ঘষে দিন। সাবান দিয়ে কাপড় কেচে রোদে মেলে দিন।
► পিতলের কালচে দাগ তুলতে ময়দা, লবণ ও ভিনেগারের পেস্ট বানিয়ে পিতলের কালো দাগের ওপর মাখিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর নরম কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। চকচকে হয়ে যাবে।
► রুপার গয়না কালো হয়ে গেলে একটি পাত্রে গয়না রেখে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো আলু দিন। ১০ মিনিট ফোটান। নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে পানি থেকে তুলে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে নিন।
গরমে খাবার ভালো রাখতে ঃ
এই প্রচণ্ড গরমে খাবার ভালো রাখাটা বেশ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকালের খাবার দুপুর গড়াতেই বাসি হয়ে যাচ্ছে। আর বাসি খাবার খেলে তো পেটের অসুখ হবেই।
► ►► জেনে নিন
● কাঁচা শাকসবজি ও কাঁচামরিচ বাজার থেকে আনার পর এগুলোকে ছড়িয়ে রেখে বাতাসে পানি শুকিয়ে গেলে শুকনা পলিপ্যাক, কাগজের ঠোঙায় , কাপড়ের ব্যাগে বা কনটেইনারে করে রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। পলিপ্যাকে ছিদ্র করেও রাখা যেতে পারে, যেন বাতাস বের হয়ে যায়।
● কাঁচামরিচের বোঁটা ফেলে পানি শুকিয়ে কাপড়ের ব্যাগ বা কাগজের ব্যাগ এ সংরক্ষণ করলে বেশি দিন ভালো থাকবে ।
● বাজার থেকে শাক বা ধনে পাতা আনলে পরিষ্কার করে বেছে শুকনা পলিপ্যাক বা কনটেইনারে রাখতে হবে।এ ক্ষেত্রেও কাপড়ের ব্যাগ বা কাগজে মুড়িয়ে রাখলে বেশি সময় ভালো থাকে ।
● মাছ ও মাংস রান্না করার জন্য রেফ্রিজারেটর থেকে নামালে বরফ গলিয়ে বেশিক্ষণ বাইরে রাখা যাবে না। তাতে গরমে সেগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
● যেকোনো রান্না করা খাবার এক বা দুই ঘণ্টার মধ্যে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এর আগেই সংরক্ষণ করতে হবে।
● রান্না করা খাবার এই প্রচণ্ড গরমে খাবার ভালো রাখাটা বেশ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকালের খাবার দুপুর গড়াতেই বাসি হয়ে যাচ্ছে। আর বাসি খাবার খেলে তো পেটের অসুখ হবেই। এ গরমে খাবার সংরক্ষণ করার বিষয় নিয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন রান্নাবিদ সিতারা ফিরদৌস।
► ►► জেনে নিন
● কাঁচা মাছ ও মাংস বাজার থেকে আনার পর ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে রেফ্রিজারেটরের বরফ চেম্বারে রাখতে হবে।
● কাঁচা শাকসবজি ও কাঁচামরিচ বাজার থেকে আনার পর এগুলোকে ছড়িয়ে রেখে বাতাসে পানি শুকিয়ে গেলে শুকনা পলিপ্যাক, কাগজের ঠোঙায় বা কনটেইনারে করে রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। পলিপ্যাকে ছিদ্র করেও রাখা যেতে পারে, যেন বাতাস বের হয়ে যায়।
● কাঁচামরিচের বোঁটা ফেলে সংরক্ষণ করতে হবে।
● বাজার থেকে শাক আনলে পরিষ্কার করে বেছে শুকনা পলিপ্যাক বা কনটেইনারে রাখতে হবে।
● মাছ ও মাংস রান্না করার জন্য রেফ্রিজারেটর থেকে নামালে বরফ গলিয়ে বেশিক্ষণ বাইরে রাখা যাবে না। তাতে গরমে সেগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
● যেকোনো রান্না করা খাবার এক বা দুই ঘণ্টার মধ্যে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এর আগেই সংরক্ষণ করতে হবে।
● রান্না করা খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখার আগে বাতাসে ঠান্ডা করে নিতে হবে। গরম খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখা যাবে না ।
● বেশি পরিমাণ খাবার রান্না না করে প্রয়োজনমতো রান্না করতে হবে।
● যেকোনো খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখার সময় কনটেইনার, ঢাকনাসহ বাটি—এসব ব্যবহার করা যেতে পারে।
● ফল যেটুকু খাওয়া হবে শুধু সেটুকু কাটতে হবে। বাকিটা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।
● রেফ্রিজারেটর বেশি খুললে ও বন্ধ করলে ভেতরে বাতাস ঢুকে খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই বারবার না খুলে চেষ্টা করতে হবে রান্নায় যা যা লাগবে তা একবারে বের করে নেয়া ।
● যেকোনো খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখলে ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে, যেন এক খাবারের গন্ধ আরেক খাবারে না যায়।
● রেফ্রিজারেটর না থাকলে যেকোনো বেলায় খাওয়ার পর বাকি খাবার জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে জালি দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ঘরের বাইরে খাবার ভালো রাখতে ‘কতক্ষণের জন্য খাবার নেওয়া হচ্ছে, বিষয়টার ওপর গুরুত্ব দিয়ে খাবার সংরক্ষণের পদ্ধতি নির্বাচন করতে হবে ।
● ঘরের বাইরে খাবার নিতে হলে যদি সাধারণ টিফিন বাক্স ব্যবহার করা হয় তাহলে খাবার বাতাসে ঠান্ডা করে নিতে হবে। কখনোই গরম গরম খাবার বাক্সে নেওয়া যাবে না, এতে খাবার গন্ধ হয়ে যেতে পারে।
● কোল্ডপটে ঠান্ডাজাতীয় খাবার নিলে তা ঠান্ডা থাকবে।
● যদি খাবার ঠান্ডা করার সময় না থাকে, তাহলে কর্মস্থলে যাওয়ার পর খাবারের বাক্সটা একটু খুলে রাখতে হবে, যেন গরম ভাপটা বের হয়ে যায়।
● টিস্যু পেপারে কিংবা বাটার পেপারে রোল করে স্যান্ডউইচ, স্ন্যাকস-জাতীয় খাবার মুড়িয়ে নিলে খাবারের অতিরিক্ত তেল টিস্যু পেপার চুষে নেয় আর খাবারও ভালো থাকে অনেকক্ষণ।
● চিকেন ফ্রাই, চিকেন রোল—এসব খাবার অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে নিলে নষ্ট হবে না।
● গ্রিল, কাবাব—এসব খাবার অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে ছিদ্র করে মুড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে।
● নুডলস বাটার পেপারে কিংবা টিফিন বাক্সে করে নেওয়া ভালো।
● ভ্রমণে শুকনা খাবার নেওয়াই ভালো। অনেকক্ষণ খাবার ভালো থাকে।
● খাবারে কাঁচা পেঁয়াজ দেওয়া না হলে তা অনেক্ষণ ভালো থাকে।
আচার সংরক্ষণের উপায় ঃ
* সিরকা ও সোডিয়াম বেনজোয়েট দিলে আচার দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
* পানি ব্যবহার করলে আচার তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়।
* হাত দিয়ে আচার নাড়বেন না, চামচ ব্যবহার করুন। আচার বয়াম থেকে নেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে, চামচে যেন পানি না থাকে।
* কাঁচেরচের বয়ামে আচার ভালো থাকে।
* মাঝেমধ্যে আচার রোদে দিলে ভালো থাকে।
* তেলে আচার ডুবিয়ে রাখলে আচারে ফাঙ্গাস পড়ে না।
* আচারে তেল কম হলে তেল ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে দিলে গন্ধ হয় না।
* চুনের পানি, ফিটকিরিতে আম ভিজিয়ে রাখলে আচার বানানোর সময় আম ভেঙ্গে যায় না।
*যাদের আচার রোদে দেবার জায়গার অভাব তারা নিশ্চিন্তে আচার ডীপ ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন । চাটনি এভাবে রাখলে নষ্ট হবে না । সেক্ষেত্রে আচারে সিরকা বা সোডিয়াম বেনজোয়েট না দিলেও চলবে । তবে কাশ্মীরি আচারের ক্ষেত্রে সিরকা দেয়া হয় স্বাদ এর জন্য ।
রকমারি রান্নার সরঞ্জাম ঃ
রান্না সহজ ও স্বল্প সময়ে করার জন্য বাজারে নানা রকম সরঞ্জাম পাওয়া যায়। ভাত রান্নার জন্য রাইস কুকার, মাংস রান্নার জন্য প্রেশার কুকার। খাবার গরম ও রান্না করতে ওভেন। চা, কফি ও পানি গরম করার জন্য রয়েছে ওয়াটার হিটার এবং খাবার গরম রাখতে হটপট। এ ছাড়া আছে ননস্টিক ফ্রাইপ্যান।
কেমন চাই-
বাজারে পাবেন ননস্টিক ফ্রাইপ্যান, তাওয়া, কড়াই, সসপ্যান ঢাকনাসহ ও ছাড়া; প্রেশার কুকার, রাইস কুকার, কারি কুকার, ওভেন ও মাইক্রোওভেন। আছে সিরামিকের প্লেট, গ্লাস, ডিনার সেট, বিভিন্ন সাইজের বোল, বিভিন্ন ধরনের স্টেইনলেস স্টিলের চামচ সেট, স্টিলের ছোট-বড় দুই ধরনের ছুরি, বিভিন্ন ডিজাইনের চামচ সেট। আরো আছে নারিকেল মালাই দিয়ে কাঠের হাতলের চামচ, বাঁশের ফ্রুট ট্রে ও ঢাকনাসহ মাটির লবণদানি ইত্যাদি।
ধরন বুঝে দাম-
বড় অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলের সাইজ ২২ থেকে ৩৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। অ্যালুমিনিয়ামের পাতিল পাওয়া যাবে কেজি দরে, যা শুরু হয় ৪৫০ টাকা থেকে। ননস্টিক ২২ সেন্টিমিটার ১৫০০, ২৪ সেন্টিমিটার ১৫৫০ এবং ২৬ সেন্টিমিটার ১৬০০ টাকায়। এ ছাড়া ২৮ সেন্টিমিটার ১৬৫০, ৩০ সেন্টিমিটার ১৭০০, ৩২ সেন্টিমিটার ১৭৫০, ৩৪ সেন্টিমিটার ১৮০০ এবং ৩৬ সেন্টিমিটার ১৮৫০ টাকায়। স্টিলের সসপ্যান পাওয়া যাবে ১ থেকে ১০ নম্বর অনুযায়ী। সসপ্যান ঢাকনাসহ দাম পড়বে ৬০০ থেকে ৩৫০০ টাকার মধ্যে। আর একসঙ্গে সেট নিলে পাওয়া যাবে ৪০০০ টাকার মধ্যে। স্টিল কুকার পাওয়া যাবে ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যে। লোহার কড়াই ছোট, বড় ও মাঝারি তিন সাইজের দাম পড়বে কেজি দরে। প্রেশার কুকার পাওয়া যাবে দুই লিটার থেকে সাড়ে আট লিটার পর্যন্ত। প্রেশার কুকারের দাম ব্র্যান্ড ও লিটার অনুযায়ী ৮৭০ থেকে শুরু করে ৯৪৯০ টাকা পর্যন্ত। তাওয়া পাওয়া যাবে নরমাল ও হাই কোয়ালিটির। নরমালের মধ্যে রয়েছে কিয়াম, ম্যাজিক ও ব্রাইন_দাম ৫০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে। আর হাই কোয়ালিটির ফিচুড়া পাওয়া যাবে ১৯০০ থেকে ৪০০০ টাকায়। কারি কুকার পাওয়া যাবে ১৭০০ থেকে ৩৫০০ টাকার মধ্যে। ইলেকট্রিক ওভেন পাওয়া যাবে ৩০০০ থেকে ১৫০০০ টাকায়। মাইক্রোওভেন ৫০০০ থেকে ২৮০০০ টাকার মধ্যে। এসব ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সিরামিক সামগ্রী, যার মধ্যে বিভিন্ন সাইজের বোল পাওয়া যাবে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। প্লেট সেট ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা, গ্লাস সেট ৩০০ থেকে ১৫০০, ডিনার সেট ২৫০০ থেকে ২৫০০০, কাটলারি সেট ৮০০ থেকে ১৫০০, নারিকেলের মালাই দিয়ে হাতলের চামচ ৮০ টাকা, বাঁশের ফ্রুট ট্রে ৭০ থেকে ১০০ টাকা এবং মাটির লবণদানি ১১০ টাকা। এ ছাড়া ওয়াটার হিটার সুপারভিশন ব্র্যান্ডের ৫০০ ওয়াটের দাম ২৫০ টাকা, ১০০০ ওয়াট ৮৫০ এবং ১৫০০ ওয়াটের দাম ১২০০ টাকা। স্টিলের হিটারের দাম ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা। মিল্টন ও কিয়ামের ছোট হটপটের দাম ৩৫০ টাকা, মাঝারি ১৩০০ এবং বড় ২৫০০ টাকা। নোকার হটপটের দাম ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকা। স্বপ্নমলে পাবেন আধা কেজি থেকে ১৪ কেজি পর্যন্ত খাবার ধারণ করার হটপট। ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত খাবার গরম থাকবে। দাম ২৫০ থেকে ২৫০০ টাকা।
পাবেন যেখানে-
নিউ মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, কারওয়ান বাজার, বিগ বাজার, আড়ং, মীনা বাজার, স্বপ্ন ও আগোরাতে সিরামিকের পণ্য পাবেন মন্নু সিরামিক, পিপলস সিরামিক ও শাইনপুকুরের। সিরামিকের বিভিন্ন শোরুম এবং ক্রোকারিজ আইটেমের সবচেয়ে বড় সংগ্রহ পাবেন রাজধানীর চকবাজারে। এ ছাড়া যেকোনো শপিং মলে পাবেন।
রান্না করবার সময় না অন্য সময় কাপড়ে বিভিন্ন রকমের দাগের সমস্যায় আমরা প্রায়ই পড়ি। এ সমস্যার সমাধানের জন্য রইল দাগ তোলার কিছু টিপস।
* রঙিন কাপড় বা সিল্ক ফ্যাব্রিকের দাগ তুলতে হলে কাপড়টি বোরেঙ্ সলিউশনের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। এ ছাড়া লবণ ও লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে কাপড়ের ওপর লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। ভিনেগার ও মুলতানি মাটির পেস্টও দাগ তোলার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ভেজা কাপড় দিয়ে দাগের ওপর ঘষুন। দাগ উঠে যাবে।
* কলমের দাগ তুলতে পারেন টমেটোর রস দিয়ে। এক টুকরো কাপড়ে কাঁচা টমেটোর রস লাগিয়ে নিন। এরপর ওই কাপড় দিয়ে দাগওয়ালা কাপড়টি কিছুক্ষণ ঘষুন। এক ঘণ্টার মতো রেখে দিন। তারপর প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* কালির দাগটি প্রথমে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। এরপর টক দইয়ের মধ্যে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। খেয়াল রাখবেন, যেন কাপড় শুকিয়ে না যায়। এরপর গুঁড়ো সাবান ও প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এ ছাড়া কালির দাগের ওপর লবণ দিয়ে রাখুন। এরপর লেবুর রস দিয়ে কিছুক্ষণ ঘষুন। শেষে সাবান ও পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* কার্পেট বা সোফায় কালির দাগ পড়লে প্রথমে দাগের ওপর অল্প তরল দুধ ঢেলে দিন। এরপর ভেজানো তুলা দিয়ে ঘষুন। কিছুক্ষণের মধ্যে দাগ উঠে যাবে।
রান্নার কিছু মজার এবং সহজ টিপস ঃ
* আগুন-গরম কফি খেতে খেতে শেষের দিকের চুমুকগুলো কেমন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা হয়ে যায়। টিপস হলো আগে একটু গরম পানি দিয়ে কাপটি গরম করে নিন।
* অনেক সময় আমরা যখন ডিম সিদ্ধ করি, ডিম কেমন ফেটে ফেটে যায়। খোসা ভেঙে সাদা সাদা অ্যালবুমিন পানিতে বেরিয়ে আসে। এ রকম পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য আগে পানিতে একচিমটি লবণ দিয়ে রাখুন। দেখবেন ডিম আর ফাটবে না।
* হাত পুড়ে গেলে ঠাণ্ডা পানিতে হাত ২০-২৫ মিনিট চুবিয়ে রাখুন বা ঠাণ্ডা পানির কলের নিচে হাত রাখুন। যেকোনো মলম বা বরফের চেয়ে পানি বেশি কার্যকর।
* হাত কেটে গেলে প্রথমে কলের ঠাণ্ডা পানিতে হাত ধুয়ে পরিষ্কার করে কিচেন টাওয়েলে পানি মুছুন, তারপরে ব্যান্ড এইড লাগান।
* আলু বেশিদিন রেখে দিলে নরম হয়ে যায়। সবুজ সবুজ গাছের জন্ম নেয়। এখন উপায়? আলুর প্যাকেটে একটা আপেল রেখে দিন।
* রান্নার সময় খাবার পুড়িয়ে ফেলেছেন। প্যানটি সাবান মেশানো গরম পানিতে সিঙ্কে চুবিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। প্যান পরিষ্কার সহজ হয়ে যাবে।
*পেঁয়াজ কাটতে চোখ তো জ্বালাতন করবেই। পেঁয়াজটি খোসা ছাড়িয়ে গরম পানিতে ধুয়ে নিন কিংবা চুইংগামপ্রেমী হলে মুখে চুইংগাম পুরে চিবোতে থাকলে পেঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বলবে না।
*পেঁয়াজ বা টমেটো কাটার পর আধা পেঁয়াজ অব্যবহৃত রয়ে গেলে তা এয়ারটাইট গ্লাডরাপ করে ফ্রিজে রাখুন। অনেক দিন থাকবে।
*পাস্তা, স্পাগেটি বা নুডলস সিদ্ধ করার সময় অবশ্যই পানিতে এক বা দুই চিমটি লবণ দেবেন। আপনার জটিল পাস্তা মহা জটিল হবে। লবণের সঙ্গে পানিতে দুই চামচ তেল দিন; দেখবেন পাস্তা, স্পাগেটি, নুডলস একটির সঙ্গে আরেকটি লেগে যাচ্ছে না (ফুটন্ত অবস্থায় কিংবা পানি ঝরানোর পর আর আঠা আঠা হবে না)। ঠাণ্ডা পানিতে পাস্তা/নুডলস/স্পাগেটি দেবেন না; পানি সম্পূর্ণভাবে গরম হলে তার পরই ওগুলো দেবেন। লবণ ও তেল পাস্তা দেওয়ার আগে দেবেন, পরে নয়।
*বর্ষাকালে লবণ অনেক সময় পানি হয়ে যায়। তখন লবণে একটি বা দুটি চালের দানা দিন, আর হবে না।
*রান্নায় খুব বেশি লবণ হয়ে গেছে? আমি আছি, ভাবনা কিসের! একটা আস্ত আলু খোসা ছাড়িয়ে দিয়ে দিন। অল্প কিছুক্ষণ পর দেখবেন অতিরিক্ত লবণ আলুটি শুষে নেবে।
*তরকারীতে হলুদ বেশি হয়ে গেছে ? একটু আটা পানিতে মেখে আস্তে করে তরকারীতে দিয়ে রাখুন । ভয় নেই। ওটা গল্বে না । আস্তে আস্তে সক্ত হয়ে যাবে এবং সে বাড়তি হলুদ কমিয়ে ফেলবে ।
*মোমবাতি ফ্রিজে রাখুন। মোমবাতি ভালো থাকবে এবং ক্ষয়ও হবে কম।
*সবজি, ধনেপাতা বেশিদিন সতেজ রাখতে চান? টিস্যু পেপার কলের পানিতে ভিজিয়ে সবজির নিচের অংশে জড়িয়ে রাখুন। তারপর ফ্রিজের ভেজিটেবল বক্সে রাখুন, ব্যস।
* শুকনো মরিচ বা বিস্কিট - চানাচুর ফ্রিজে রেখে দিলে মচমচে থাকবে ।
তাড়াতাড়ি রান্না করার টিপস ঃ
কর্মব্যস্ত জীবনে সব সময় সাজিয়ে-গুছিয়ে সময় নিয়ে রান্না করা সম্ভব হয় না। ঝটপট রান্নার কাজটা সেরে যেতে হয় অন্য কাজে। তাই বলে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। চলুন, তাড়াতাড়ি রান্না করার কিছু টিপস জেনে নিই।
* মাছ, মাংস বা ডিমের ঝোলে অনেক সময় লবণ বেশি হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে ওই তরকারিতে কয়েকটি সিদ্ধ আলু ভেঙে দিন। লবণ কমে যাবে।
* মুরগির মাংস বা কলিজা রান্না করার সময় ১ টেবিল চামচ সিরকা দিন। এতে যেমন গন্ধ থাকবে না, তেমনি তাড়াতাড়ি সিদ্ধও হবে।
* মাছ ভাজার সময় তেল ছিটলে একটু লবণ ছড়িয়ে দিন। তেল আর ছিটবে না।
* বেরেস্তা করার সময় পেঁয়াজ ভেজে নামানোর আগে সামান্য পানি ছিটিয়ে দিন। তাড়াতাড়ি লালচে হবে।
* কাঁচা মাছ বা মাংস ছুরি-চপিং বোর্ডে কাটতে চাইলে বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকেই পানিতে ভিজিয়ে নরমাল করে নিন।
* আলু ও ডিম একসঙ্গে সিদ্ধ করুন। দুটো দুই কাজে ব্যবহার করলেও সিদ্ধ তাড়াতাড়ি হবে।
* অনেক সময়ই তাড়াতাড়ি স্যুপ রান্না করলে পাতলা হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে দুটি সিদ্ধ আলু ম্যাশ করে স্যুপে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। স্যুপ ঘন হবে।
* ডাল তাড়াতাড়ি রান্না করতে আগের রাতেই ভিজিয়ে রাখুন।
* মসলাপাতি তাড়াতাড়ি খুঁজে পেতে কৌটার গায়ে নাম লিখে রাখুন।
* পরদিন কী রান্না করবেন তা আগের রাতেই ঠিকঠাক করে প্রস্তুতি নিন। তাহলে অল্প সময়ে রান্না হবে।
কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলেই রান্না হবে মজাদার ঃ
গৃহিণীর অনেক সময় রান্না করতে গিয়ে সাধারণ অনেক বিষয় ভুলে যান। ফলে রান্না বা কোনো সুস্বাদু খাবারের স্বাদ বদলে যায়। তার জন্য দেয়া হলো রান্নায় সহযোগী কিছু টিপস।
* খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দেখবেন রঙটাও সুন্দর হয়েছে আবার সুন্দর ঘ্রাণ বের হচ্ছে। দুধ ফাটার ভয়ও থাকবে না। আবার গুড় মেশানোর আগে অল্প চিনি দিয়ে জ্বাল করে নিয়ে গুড় মেশালেও হবে ।
* চিনাবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে পরে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। সেমাই বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে অনেকে বাদাম ব্যবহার করে থাকেন। বাদামে যদি তেল মেখে পরে তাওয়ায় ভাজেন তাহলে তেল কম লাগবে। নয়তো শুকনো ভাজতে গেলে তেল বেশি লাগবে।
* ওল, কচু অথবা কচুশাক রান্না করলে তাতে কিছুটা তেঁতুল ব্যবহার করবেন। খাবারের সময় কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন, তাহলে গলায় আর চুলকানোর কোনো ভয় থাকবে না।
* সেমাই রান্নার আগে দেখে নিন। হালকা ভাজা হলে তেলে বা ঘিতে আবার ভেজে নিন। তাহলে রান্নার সময় সহজে গলে যাবে না।
* কেক বানাতে যদি ডিমের পরিমাণ কম থাকে তাহলে ভয় পাবেন না। কর্ণফ্লাওয়ার ব্যবহার করবেন। দেখবেন ডিমের ঘাটতি পূরণ হয়ে গেছে।
* রান্নাতে খাদ্যমান ঠিক রাখতে যতটুকু সম্ভব তরকারি বড় বড় টুকরা করে কেটে নিন।
* রান্না করতে গিয়ে তরকারিতে লবণ বেশি হলে সামান্য টক অথবা সামান্য চিনি দেবেন, তাতে কিছুটা হলেও লবণাক্ত ভাব কমে আসবে।
* খাবারের মেন্যুতে ভিন্নতা আনতে বড় জাতের কাচকি মাছ কড়া করে ভেজে দিন, সাথে কিছু বেরেস্তা দিন। পোলাওয়ের সাথে ভাজা কাচকি মাছ আপনার রসনাতে ভিন্ন স্বাদ আনবে।
* কাঁচা মুগডাল ভেজে পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন, তাহলে ডালের রঙ আর কালো হবে না। ধুয়ে রান্না করলে ডালটাকে দেখতে উজ্জ্বল দেখাবে।
রান্না ঘরে কি করে সময় বাঁচাবেন ?
মেয়েদের জীবন কাটে রান্না ঘরে। এই কথাটার কিন্তু যথেষ্ট যুক্তি আছে। কারণ রান্না খাওয়ার ঝামেলা নিয়ে সারাটা দিন তাদের হাঁড়ির পেছনে থাকতে হয়। তাই অন্যদিকে নজর দেয়ার সময় হয় না। তবে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করলে অনেকটা সময় বাঁচিয়ে নেয়া যায়। সেই বুদ্ধিটা জেনে নিন এবার-
* বাড়িতে টিনজাত খাদ্য রাখুন। প্রক্রিয়াজাত বা ফ্রোজেন খাদ্য রাখুন যা প্রয়োজনে চট করে রান্না করা যাবে।
* স্টক করুন আচার, চাটনি, মেয়নিজ ও নানা রকম সস। এগুলো খাবারের স্বাদ বাড়ায়।
* এক কাজের সাথে অন্য কাজ মিশিয়ে করলে অনেক সময় বাঁচে। যেমন- মাংস বা এমন কিছু সেদ্ধ হওয়ার সময় আপনি অন্য কিছু কাজ সেরে ফেলতে পারেন।
* আগের দিন কোন কাজ একটু বেশি করে রাখলে পরের দিন আর করতে হয় না। যেমন- সবজি কাটার সময় একটু বেশি করে কেটে ফ্রিজে রাখুন। বেশি পরিমাণে জল কিংবা আলু সেদ্ধ করে রাখুন।
* বিকেলের নাস্তার জন্য সকালের ময়দা, আটা মেখে রাখুন। তাহলে আর বাড়তি সময় লাগবে না।
* চা, চিনি, ডাল নানারকম মসলা-পাতি টান্সপারেন্ট জার অথবা লেবেল দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। তাহলে খুঁজতে সময় নষ্ট হবে না।
* তেল, ঘি কিংবা আচার, যেখানে রাখবেন সেখানে প্লাস্টিক বা গ্রিজপ্রুফ পেপার সিট বিছিয়ে নিন। তাহলে প্রত্যেকবার তেল ঘি মুছতে সময় নষ্ট হবে না।
* হাতের কাছে একটা কাঁচি রাখুন। প্যাকেট খোলার দরকার ছাড়াও ধনেপাতা, কারিপাতা চট করে কেটে নেয়া যাবে।
* যখন ডিম সিদ্ধ করবেন তখন তার সাথে কিছু আলু সিদ্ধ করে নিন। পরে তরকারিতে ব্যবহার করতে পারবেন।
জেনে নিন
* ডিম সিদ্ধ করার সময় পানিতে একটু লবণ দিয়ে নিন। সেদ্ধ হলে গরম পানি থেকে তুলে সরাসরি ঠান্ডা পানিতে ফেলুন, খোসা ছাড়ানো সহজ হবে।
* মিক্সারে মশলা একটু বেশি পেস্ট করে ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করুন।
* রাইস কুকার, প্রেসার কুকার প্রভৃতি ব্যবহারে অনেক সময় সাশ্রয় হয়।
* ছুরি, বটি ইত্যাদি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখুন।
* রসুনের খোসা ছাড়ানো সময়ের ব্যাপার এবং কষ্টকরও। ঈষদুষ্ণ পানিতে কিছুক্ষণ কোয়াগুলো ভিজিয়ে রাখুন। খোসা ছাড়ানো সহজ হয়ে যাবে।
* চায়ের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম একটি ট্রেতে সাজিয়ে রাখুন। যেমন—চায়ের পট, ছাঁকনি, চিনি কিংবা গুঁড়া দুধের পট, চামচ ইত্যাদি সাজিয়ে রাখুন। তা হলে প্রত্যেকবার চা বানানোর জন্য একেকটা জিনিস খুঁজতে গিয়ে সময় চলে যাবে না।
*দুধ আঁচে চাপাবার আগে যেকোনো মেটাল ফানেল উল্টো দিক করে প্যানে রেখে দিন। এতে করে দুধ উতলে পড়ে যাবে না। ঠায় নজর রাখার বদলে ওই সময়ে অন্য কাজ সেরে নিতে পারবেন।
* গরম পানিতে ডাল ছাড়ার আগে ডালে একটু তেল মাখিয়ে নিন, তা হলে আর উতলে পড়ে যাবে না। কাজেই তখন নজর রাখতে বসে থাকার বদলে অন্য কাজ সারার সময় পাবেন।
* বাড়িতে আচার, চাটনি, সস, মেয়নিজ বা কাসুন্দির মতো জিনিস স্টকে রাখুন। চটজলদি পরিবেশন করে খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দিতে পারেন।
বিশাল পোস্ট হয়ে গেলো । আমি নিজে রান্না করতে ভালোবাসি । আর রান্নার অনুষ্ঠান দেখার চেয়ে টিপস যখন বলে আমি সেই সময় বেশি মনযোগী হই । আমার মতো রান্না প্রিয় মানুষের জন্য এই পোস্ট ।
কৃতজ্ঞতা ঃ আমাদের রান্নাঘর এবং মহাম্মাদ হাসান ভাই ।