ভালোবাসা কারে কয় ? :#> পূজা এবং ঈদের শুভেচ্ছা সবাইকে ।
শোন ,একদিন আমি আর তুই রোদে ভিজবো , আকাশের দিকে তাকিয়ে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললো জুঁই । নির্লিপ্ত ভঙ্গি বলে অবশ্য কিছু নেই ওর । সবসময় ও এভাবেই কথা বলে ।
আনান অবাক হয়ে বলল , রোদে আবার ভেজে কিভাবে ! বৃষ্টি হলে এক কথা ছিলো ।
চুপ কর তো । তুই বুঝিস কি ? গাধা টাইপ । হা করে তাকাবি না । আমি আজই ভিজবো । বেকুবের মতো না তাকিয়ে থেকে একটা রিকশা ডাক ।রিকশার সিট দেখবি । সিট ছেঁড়া হলে কিন্তু ওই রিকশায় আমি বসবো না , আর দেখবি রিকশাওয়ালার গায়ে বিড়ির গন্ধ আছে কিনা । থাকলে সে বাদ । যা তো আগে রিকশা ডাক । নইলে রোদে না ভিজে জোছনায় ভিজতে হবে । জোছনায় রিকশায় মজা নাই । নৌকায় ভালো । নৌকা নিয়ে এখন তোর ভাবতে হবে না । ওই দেখ একটা নতুন রিকশা । কাছে যেয়ে দেখ রিকশাওয়ালার গায়ে বিড়ির গন্ধ আছে কিনা । আর শোন , কিছুক্ষণ পর কিন্তু ফুচকা খাওয়াবি । নইলে ধাক্কা দিয়ে রিকশা থেকে ফেলে দেবো । এখনো গাধার মতো আমার সামনে দাঁড়ায় আছিস ! যা গাধা , রিকশা পাবি না । পরে হাঁটতে হবে । গাধার সাথে হাঁটতে ইচ্ছে করছে না ।
আনান কিছু না বলে রিকশা খুঁজতে লাগলো । জানে রেগে গেলে জুঁই এক নিঃশ্বাসে অনেক উল্টাপাল্টা বলে । জুঁই কেন জানিনা সব সময় রেগে থাকে । তারপরও অদ্ভুত কারণে মেয়েটাকে ওর ভালো লাগে । আগে ওর একটু মন খারাপ হতো । এখন হাসি পায় । রাগী অবস্থায় জুঁইকে একটু অদ্ভুত দেখা যায় । কেমন যেন ! ওর হাসি পায় । তবে হাসে না ও ।
একটা রিকশা খুঁজতে এত্ত সময় লাগে ! ওই দেখ একটা আসছে । যা কাছে যেয়ে দেখে আয় সব ঠিক আছে কিনা ।
এতো কিছু তো আগে দেখিস নাই । আজ হঠাৎ ?
তুই যদি এতো বুঝতি তাহলে তোকে গাধা বলতাম ?
আনান একটু হাসলো । গাধা ডাকটা সে উপভোগই করে । আগে এমন করে কেউ ওকে গাধা ডাকেনি । ওর মজাই লাগে জুঁইয়ের মুখে গাধা শুনতে ।
তুই এতোটাই গাধা যে আমি তোকে গাধা বললেও তোর হাসি পায় । আজব !
আয় , এই রিকশার সিট ভালো এবং রিকশাওয়ালার গায়ে বিড়ির গন্ধ নাই ।
তুই মেয়েদের মতো বাঁ দিকে বসলি কেন ! সরে বস । কিচ্ছু জানিস না কেন তুই ?
আনান জানে কেন তারপরও ও প্রতিবার ইচ্ছে করে বাঁ দিকে বসে । জুঁই এর রাগী মুখ দেখবার জন্য । ও অবশ্য এখন গাধা বললো না । আনান একটু মন খারাপ করলো । তারমানে কি জুঁই অন্য কিছু ভাবছে ? আনান সব সময় চেষ্টা করে জুঁইকে রাগানোর । বোকা বোকা ভাব জুঁই একদম পছন্দ করে না । আনান ইচ্ছে করেই বোকা ভাব করে থাকে । অনেকক্ষণ রেগে কথা বলার পর জুঁই মাঝেমাঝে হেসে ফেলে । বলে , তুই রাগ করিস না কেন বল তো ? তুই দেখি এক্কেবারে সবজি টাইপ ! কি সুন্দর করে যে মেয়েটা হাসে ! গালে অসাধারণ একটা টোল পড়ে । জুঁই কি সেটা জানে ? সেই কারণেই কি সে এতো কম হাসে ? যাতে কেউ ওর সৌন্দর্য দেখতে না পারে । ও ঠিক অন্য মেয়েদের মতো না । নিজেকে আড়াল করে রাখতেই কি এমন করে ? আনান ঠিক বুঝতে পারে না মেয়েটাকে । জুঁই হাসলেও খুব সামান্য সময়ের জন্য । তারপর ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করবে , বল তোকে সবজি কেন বললাম ?
আনান আমতাআমতা করে বলে , ভিটামিন আছে তাই ?
গাধার গাধা ! তুই জীবনেও মানুষ হতে পারবি না । গাধাই থেকে যাবি । কেন যে আমি তোর মতো গাধার বন্ধু হতে গেলাম । নিজেই অবাক হই ।
আচমকা ধাক্কা খেয়ে আনান ভাবনা থেকে ফিরে এলো । জুঁই ভীষণ রাগী চেহারায় ওর দিকে তাকিয়ে । অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো , কি হলো ? আমি আবার কি করলাম ?
তোকে কি বলেছি আমি ?
কি?
বলেছি না রিকশাওয়ালার গায়ে গন্ধ থাকলে সেই রিকশায় বসে আমি রোদে ভিজবো না , চিবিয়ে চিবিয়ে বললো জুঁই ।
আনান রিকশাওয়ালার দিকে তাকিয়ে হাঁপ ছাড়লো । নাহ , সে কিছু শোনে নাই । তুই তো বলেছিলি বিড়ির গন্ধ আছে কিনা সেটা দেখতে । ফিসফিস করে বললো সে ।
তুই উনার গায়ের বিশ্রী ঘামের গন্ধ টের পাচ্ছিস না ! প্রচণ্ড বিরক্তিতে জুঁই ভ্রু কুঁচকে ফেললো ।
আস্তে বল প্লিজ ! গরীব মানুষের গায়ে তো ঘামের গন্ধই থাকবে , সে তো এসি গাড়ির ড্রাইভার না ।
চুপ কর, লেকচার দিবি না । একটা দিন পারলি না একটা কাজ । গাধা ! নাম রিকশা থেকে । তোর সাথে কোথাও যাওয়া মানে দিনটাই বাদ ।
আচ্ছা নেমে যাবো । আগে তোকে ফুচকা খাওয়াতে হবে না ? সেই পর্যন্ত সাথে যাই ।
হঠাৎ জুঁই চুপ করে গেলো । অনেকক্ষণ পর আস্তে করে বললো , গাধা আজ কেন রোদে ভিজছি বল তো ?
কেন ? তোর মন খারাপ ?
নাহ ! মন খারাপ না । আজ ১৪ই ফাল্গুন ।
১৪ই ফাল্গুন কি ? তোর জন্মদিন নাকি ?
জুঁই হাসলো । কেন জন্মদিন হলে কি হবে ? গিফট দিবি নাকি ?
আগে বল তোর জন্মদিন কিনা । তুই তো আস্ক করলেও কিছু বলিস না । ফুচকা বাদ । চল ভালো কোথাও খাওয়াবো তোকে আজ । এমন একটা দিন । ইশ ! আগে বলবি না ?
তুই আসলেই গাধা । জন্মদিন না । একটা দিন যা কেবল আমি জানি । তোকে বলবো না , বুদ্ধিমান কাউকে বললে বুঝত । তোর মতো গাধা এর কিছুই বুঝবে না । এমন একটা প্রশ্ন করবি আমার রাগ উঠে যাবে । আজকের দিনটা আমি নষ্ট করতে চাই না । তোকে সাথে আনাই ভুল হয়েছে । একা ঘোরা এর চেয়ে ভালো ছিলো ।
আনান একটু মন খারাপ করলো । জুঁই এর দিকে তাকিয়ে বলল , ওই তোর ফুচকা , নেমে যা । আমার একটু কাজ আছে । এই রিকশা থামো ।
আমি একা একা এতোগুলো লোকের ভিতর দাঁড়িয়ে ফুচকা খাবো ! মানে কি ? চড় দিয়ে তোর দাঁত ফেলে দেয়া উচিত । গাধার গাধা ! আবার রাগ দেখায় । খবরদার আমার উপর রাগ করবি না । তুই আমাকে চিনেই বন্ধু হয়েছিস । আমি যেমন আমি তেমন । তোর ভালো না লাগলে ভাগ এখান থেকে । বিদায় হ এক্ষুনি । বিরক্তিকর !
আনান কথা না বাড়িয়ে রিকশা ভাড়া দিয়ে নেমে পড়লো । ওর মন এবার সত্যি সত্যি খারাপ হয়েছে । এতো খারাপ ব্যবহার করার মতো কি করেছে সে !
তুই ফুচকা খাবি ?
না ।
তা খাবি কেন ? গাধার মতো খাবি সিগারেট ! অসহ্য ! যা দূরে দাঁড়িয়ে খা আর ফুচকার দাম দিয়ে যা । তোর খাওয়ানোর কথা ।
আনান কোন কথা না বলে ফুচকার দাম দিলো । তারপর একটু দূরে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরালো । আড়চোখে জুঁই কে দেখলো , কি মজা করে ফুচকা খাচ্ছে ! একবারও ওর মনে হলো না কি অপমানটা করেছে সে । বলে কিনা , তোকে সাথে আনাই ভুল হয়েছে । ওর এখন নিজেকে আসলেই গাধা মনে হচ্ছে । নিজেকে সে গাল দিলো , গাধার গাধা ।
এই , কি রে কতক্ষন ধরে ডাকছি । থাকিস কই ? চল । খাওয়া শেষ , থ্যাংকস ফুচকা খাওয়ানোর জন্য । তুই গাধা হইলেও ভালো গাধা । তোর উচিত প্রতিদিন আমাকে ফুচকা খাওয়ানো । আমি ছাড়া তোর তো কোন মেয়ে বন্ধুও নাই । তুই যে গাধা ! তোর সাথে মেয়েরা কথা বলবেও না ।
আনান মুখ শক্ত করে বলল , এখন কোথায় যাবি ? হলে ?
না , হাঁটবো ।
হাঁট , আমি যাচ্ছি ।
আমাকে একা ফেলে কোথাও যাবার প্রশ্নই আসে না আজ । বলেছি না আজ একটা বিশেষ দিন । বিশেষ দিনে গাধা টাইপ হলেও একজন সাথে থাকা দরকার । মনে মনে ভেবে নিলাম , বুদ্ধিমান কারো সাথে হাঁটছি । তুই খেয়াল করেছিস তোর চেহারাতে দিনদিন একটা গাধা ভাব ফুটে উঠেছে ? জুঁই হাসছে , গালে টোল ফেলে হাসছে । হাসির দমকে ওর সারা শরীর কাঁপছে ।
আনান অবাক হয়ে ওর হাসি দেখছে । ও ভুলে গেছে একটু আগেও জুঁই ওকে কি ধরণের অপমানের কথা বলছিলো । ও ভুলে গেলো একটু হলেও ও প্রতিজ্ঞা করে ফেলেছিলো আর কোনোদিন সে জুঁইয়ের সাথে কোথাও যাবে না । এখন ওর মনে হচ্ছে , একটা জীবন এই টোল পড়া গালের দিকেই তাকিয়ে থাকা যায় ।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো আনান । কোনোদিন বলা হবে না একথা । এই মেয়েকে ভালোবাসার কথা বলার চেয়ে সারাজীবন একা থাকা ভালো । দেখা যাবে এই নিয়ে সবার সামনে হাসাহাসি করবে । হয়তো বলেই বসবে , তুই একটা সত্যিকারের গাধীর কাছে একটা আংটি নিয়ে প্রপোজ কর । দেখবি সেও তোকে রিজেকট করেছে । আনান মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো , ভুল করেও আর জুঁইকে নিয়ে এমন ভাববে না , কষ্ট হলে হবে । এতো অপমানিত হতে ভালো লাগে না ।
কি রে গাধা , কি ভাবছিস ? দেখেছিস কি দারুণ রোদ । রোদে ভেজার মজাই আলাদা ।
হুম , বলল ঠিকই । কিন্তু আনানের একটুও ভালো লাগছে না । এখন ভরা জোছনা হলেও ভালো লাগতো না । এখন ওর কিছুই ভালো লাগছে না । এমন একটা মেয়েকে ও পছন্দ করে ফেলেছে যাকে কোনোদিন এ কথা বলার উপায় নেই । মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেলো আনানের ।
গাধা ।
বল ।
আমরা একসাথে হাঁটছি কিন্তু তুই আমার হাত ধরে হাঁটছিস না কেন বল তো ? প্রতিদিন না হোক ১৪ই ফাল্গুন অন্তত তোর উচিত আমার হাত ধরে হাঁটা । তুই এমন গাধা ১৪ই ফাল্গুন মনে নাই । ফালতু টাইপ তুই একটা । যাচ্ছেতাই !
তোর হাত ধরে হাঁটবো মানে ? আমি সত্যিই ভুলে গেছি ১৪ ফাল্গুনে কি হয়েছিলো ।
গতবছর এই দিনে একটা গাধার সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিলো , বলেই জুঁই হেসে ফেললো । কি হাত ধরবি না ? না ধরলে ভাগ । জুঁই হাসছে । আনান অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে এই আশ্চর্য মেয়েটির দিকে । দেখা হবার প্রথম দিনটা ঠিক মনে রেখেছে !
কি রে গাধা ? তুই এখনো আমার হাত ধরিস নাই । মেয়েদের হাত ধরে একটা বিশেষ কথা বলতে হয়। তুই তো মনে হয় সেটাও জানিস না । পারিস শুধু ভ্যাবলার মতো মনে মনে ভালবাসতে । এক্ষুনি হাত ধর । নইলে কিন্তু ধাক্কা দিয়ে কিন্তু ট্রাকের নিচে ফেলে দেবো ।
আনান গভীর মমতায় জুঁই এর হাত ধরলো ।
উফ ! এতো শক্ত করে হাত ধরেছিস কেন ! এমা ! তোর হাত এমন বিশ্রী টাইপ শক্ত কেন ! ছাড় , আমার হাত ছাড় ।
না , ছাড়বো না , জীবনেও ছাড়বো না । আনান ঘোর লাগা গলায় বললো ।
আনান !
আমার নাম গাধা । তোর কাছে আমি গাধাই থাকবো , হাসতে হাসতে বললো আনান ।
কোনোদিন মানুষ হবি না ?
নাহ ! সবার কাছেই তো আমি মানুষ , বউ এর কাছে গাধা থাকাই ভালো । না বুঝে বুঝে বউ এর কাছে অনেক কিছু শিখে নেয়া যাবে ।
গাধা ! ভালো হচ্ছে না কিন্তু । আমার বয়েই গেছে গাধী হতে ।
আনান গভীর বিস্ময়ে দেখলো জুঁই লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে ! জুঁই , কি কঠিন এক মেয়ে ! অকারণে রাগ হওয়া জুঁই ! কি অবাক কাণ্ড ! নিজেকে এতোটা আড়াল করে কি করে রাখে এই লাজুক মেয়ে !
আনান মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে । তার ভালোবাসার রাগী মেয়েটি লজ্জায় ওর দিকে তাকাতেই পারছে না ! কি অপার্থিব দৃশ্য ! আনান তাকিয়েই আছে । যেন সে প্রতিজ্ঞা করেছে এই জীবনে সে আর চোখ ফেরাবে না ।
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মপোলব্ধি......
আত্মপোলব্ধি......
একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !
হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।
আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।
আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন