টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সিডনিতে একই ফ্রেমে ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী সব ক্রিকেটার
বিশ্বকাপ ক্রিকেট, ১৯৯২।
♠ আয়োজক : অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড
♠ সময় : ২২ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ই মার্চ, ১৯৯২
♠ অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা : ৯
♠ স্পন্সর : Benson and Hedges
♠ দল সমূহ : অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, সাউথ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ (যার মধ্যে জিম্বাবুয়ে আইসিসি ট্রফি-১৯৯০ জয়ী হয়ে অংশগ্রহণ করে)
♠ সর্বমোট ম্যাচের সংখ্যা : ৩৯ (ফাইনাল সহ)
♠ ম্যান অব দা সিরিজ : Martin Crowe (নিউজিল্যান্ড)
♠ সর্বাধিক রান করেন : Martin Crowe (নিউজিল্যান্ড), ৪৫৬ রান
♠ সর্বাধিক উইকেট সংগ্রহ করেন : Wasim Akram (পাকিস্তান), ১৮ উইকেট
সিডনি অপেরা হাউসে £7500 মূল্যের ওয়াটারফোর্ড ক্রিস্টাল ট্রফির সঙ্গে নয় দলের অধিনায়ক
প্রথম সেমি ফাইনাল : নিউজিল্যান্ড বনাম পাকিস্তান
♠ তারিখ : ২১ই মার্চ, ১৯৯২
♠ নিউজিল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।
♠ স্কোরকার্ড : নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬২ রান করে এবং পাকিস্তান ৪৯ ওভারে ৬ উইকেটে ২৬৪ রান করে।
♠ পাকিস্তান ২৩ রান অতিরিক্ত দিয়েছিল।
♠ নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে Martin Crowe সর্বোচ্চ ৯১ রান করেন।
♠ পাকিস্তানের ইনিংসে Inzamam-ul-Haq সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন।
♠ নিউজিল্যান্ডের ৪ উইকেট যাবার পর Greatbatch, Martin Crowe এর রানার হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং দুই রান নেবার সময় স্ট্রাইকিং প্রান্তে রান আউট হয়।
♠ পাকিস্তান ৪ উইকেটে জয় লাভ করে।
♠ প্লেয়ার অব দা ম্যাচ : Inzamam-ul-Haq (পাকিস্তান)
০১. ১ম সেমি ফাইনালে পাকিস্তানের Inzamam-ul-Haq ৩৭ বলে ৬০ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন
০২. ১ম সেমি ফাইনালে জয়ের পর পাকিস্তানের Javed Miandad এর বিজয় উল্লাস
দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল : ইংল্যান্ড বনাম সাউথ আফ্রিকা
♠ তারিখ : ২২ই মার্চ, ১৯৯২
♠ সাউথ আফ্রিকা টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।
♠ বৃষ্টির কারণে সর্বোচ্চ ৪৫ ওভারের খেলা ছিল।
♠ স্কোরকার্ড : ইংল্যান্ড ৪৫ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫২ রান করে এবং সাউথ আফ্রিকা ৪৩ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩২ রান করে।
♠ ডাকওয়ার্থ / লুইস হিসাব অনুয়ায়ী সাউথ আফ্রিকার, প্রথমে ৪৫ ওভারে ২৭৩ এবং পরে ৪৩ ওভারে ২৫২ রানের টার্গেট নির্ধারিত হয়।
♠ সাউথ আফ্রিকা ২৩ রান অতিরিক্ত দিয়েছিল।
♠ ইংল্যান্ডের ইনিংসে Graeme Hick ৯০ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৮৩ রান করেন।
♠ সাউথ আফ্রিকার ইনিংসে Andrew Hudson সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন।
♠ ইংল্যান্ড ১৯ রানে জয় লাভ করে।
♠ প্লেয়ার অব দা ম্যাচ : Graeme Hick (ইংল্যান্ড)
০১. অসম্ভব টার্গেট
০২. ২য় সেমি ফাইনালে জয়ের পর ইংল্যান্ডের Graham Gooch সাউথ আফ্রিকার Brian McMillan এর সাথে হাত মেলান
ফাইনাল : ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান
তারিখ : ২৫ই মার্চ, ১৯৯২
মাঠ : মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
দর্শক : ৮৭,১৮২
♠ পাকিস্তান টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।
♠ স্কোরকার্ড : পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৪৯ রান করে এবং ইংল্যান্ড ৪৯.২ ওভারে ২২৭ রানে অল আউট।
♠ ইংল্যান্ড ৩২ রান অতিরিক্ত দিয়েছিল।
♠ পাকিস্তান ২৪ রান অতিরিক্ত দিয়েছিল।
♠ পাকিস্তানের ইনিংসে Imran Khan ১১০ বলে ৫টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে ৭২ রান করেন।
♠ ইংল্যান্ডের ইনিংসে Neil Fairbrother ৭০ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন।
♠ পাকিস্তানের Wasim Akram ১৮ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩৩ রান এবং ১০ ওভারে ৪৯ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন।
♠ পাকিস্তান ২২ রানে জয় লাভ করে।
♠ প্লেয়ার অব দা ম্যাচ : Wasim Akram (পাকিস্তান)
০১. ফাইনালে ব্যাট করছেন পাকিস্তানের Inzamam-ul-Haq
০২. ফাইনাল খেলায় পাকিস্তানের Javed Miandad ৯৮ বলে ৫৮ রান করেন
০৩. ফাইনালে Ramiz Raja কে এল বি ডব্লিউ করেন ইংল্যান্ডের Derek Pringle
০৪. ফাইনালে Imran Khan এর ক্যাচ মিস করেন Graham Gooch
০৫. ফাইনাল খেলায় ইংল্যান্ডের Neil Fairbrother ৭০ বলে ৬২ রান করেন
০৬. ফাইনালে ইংল্যান্ডের Alec Stewart কে আউট করার পর পাকিস্তানের Aaqib Javed এর উল্লাস
০৭. ফাইনালে উইকেট পাবার পর পাকিস্তানের Mushtaq Ahmed এর উল্লাস
০৮. ফাইনালে উইকেট পাবার পর পাকিস্তানের Imran Khan এর উল্লাস
০৯. ফাইনালে শূন্য রানে Ian Botham কে আউট করেন Wasim Akram
১০. Richard Illingworth কে আউট করে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন Imran Khan
১১. ফাইনালে ম্যান অব দা ম্যাচ পুরস্কার হাতে পাকিস্তানের Wasim Akram
কিছু তথ্য:
✪ ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ হয়েছিল ০৮ই অক্টোবর থেকে ০৮ই নভেম্বর । এরপর যদি ৪ বছর পর বিশ্বকাপ হয় তবে সেটি হতে হবে ১৯৯১ সালের অক্টোবর/নভেম্বর মাসে। কিন্তু সে সময় আবহাওয়া জনিত কারণে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে খেলা সম্ভব নয়। তাই ১৯৯২ সালের ২২ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ই মার্চ খেলাগুলো হয়েছিল।
✪ প্রথমবারের মতো রঙ্গিন পোশাকে এবং সাদা বলে খেলাগুলো হয়েছিল।
✪ ১৯৯২ বিশ্বকাপ থেকে খেলোয়াড়দের নাম জার্সির পিছনে লেখা হয়েছিল।
✪ প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়েছিল কালো সাইট স্ক্রীন এবং বেশ কিছু ম্যাচ ফ্লাডলাইটের আলোতে (দিবা-রাত্রি) হয়েছিল।
০১. ১৯৯২ বিশ্বকাপ থেকে শুরু হয় ফ্লাডলাইটের ব্যবহার
০২. নিউজিল্যান্ডের Dipak Patel স্পিন বল দিয়ে বোলিং শুরু করার নতুনত্ব চালু করেন
✪ বর্ণবাদ নীতি কাঁটিয়ে সাউথ আফ্রিকা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে।
✪ ১৯৯২ বিশ্বকাপে Round-Robin Tournament ব্যবহার করা হয়। যাতে প্রতিটি দল অন্য দলের সাথে একবার করে মুখোমুখি হয় এবং শীর্ষ চার দল পরবর্তী নক-আউট (সেমি ফাইনাল) পর্বে অংশগ্রহণ করে।
০৩. ১৯৯২ বিশ্বকাপের Round-Robin Stage
✪ ১৯৯২ বিশ্বকাপে ১১ জন আম্পায়ার মনোনীত হয়। যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ২ জন করে এবং অন্যান্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলো থেকে ১ জন করে নেওয়া হয়।
✪ ফাইনাল খেলাটির আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের Brian Aldridge এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের Steve Bucknor।
✪ ১৯৯২ সাল থেকে বিশ্বকাপে ম্যান অব দা র্টুনামেন্ট পুরস্কারটি চালু হয়।
✪ ১৯৯২ সালে শুধুমাত্র দুই ফিল্ডার প্রথম ১৫ ওভারে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে থাকার নিয়ম করা হয়।
✪ সাউথ আফ্রিকা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে সেমি ফাইনালে খেলে।
০৪. ১৯৯২ সালে নিউজিল্যান্ডের Martin Crowe ম্যান অব দা সিরিজ নির্বাচিত হয়
✪ পাকিস্তান, ইংল্যান্ডের সাথে ১৩ নং ম্যাচে মাত্র ৭৪ রানে অল আউট হয়। যদিও পরে বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে দুদলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে দেয়া হয়।
✪ নিউজিল্যান্ডের Martin Crowe এখন পর্যন্ত যে কোন বিশ্বকাপে ম্যান অব দা সিরিজ হওয়া একমাত্র অধিনায়ক।
✪ ২য় ইনিংসে One Day International এ সর্ব প্রথম জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কা ৩০০ রানের অধিক রান করে। শ্রীলঙ্কা ঐ ম্যাচে ৩১৩ রান করে।
✪ Kepler Wessels ওয়ানডে ইতিহাসে দুই দেশের প্রতিনিধিত্ব করা প্রথম খেলোয়াড়। তিনি ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেন এবং ১৯৯২ বিশ্বকাপে সাউথ আফ্রিকার অধিনায়কত্ব করেন।
০৫. Kepler Wessels ওয়ানডে ইতিহাসে দুই দেশের প্রতিনিধিত্ব করা প্রথম খেলোয়াড়
✪ ইমরান খান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করার পর ১৯৮৮ সালে আবার খেলায় ফিরে আসেন। কারণ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়া-উল-হকের অনুরোধ ছিল, ইমরান খানের মতো একজন অলরাউন্ডার যাতে আবার পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব বা প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন।
✪ সেমি ফাইনালে সাউথ আফ্রিকার ব্যাটিং এর সময় বৃষ্টির কারণে ৪২.৫ ওভারে ১২ মিনিটের জন্য খেলা বিঘ্নিত হয়। যখন জয়ের জন্য সাউথ আফ্রিকা দরকার ১৩ বলে ২২ রান। কিন্তু বৃষ্টির কারণে প্রথমে ৭ বলে ২২ রান এবং পরবর্তীতে ১ বলে ২২ রানের অসম্ভব টার্গেট নির্ধারিত হয়। যদিও জয়ের জন্য প্রকৃত দরকার ছিল ১ বলে ২১ রান।
✪ ফাইনাল খেলায় ৩৪ ওভারের পর ইমরান খান, ওয়াসিম আকরামের হাতে বল তুলে দেয়। আকরাম অবিস্মরণীয় পরপর দুই বলে Allan Lamb এবং Chris Lewis কে বোল্ড আউট করে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন।
✪ পাকিস্তান দল তাঁদের পুরস্কারের অর্থ ইমরান খানের মা শওকত খানমের নামে একটি ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের জন্য দান করে দেন।
০১. ফাইনালে জেতার পর পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়দের উল্লাস
০২. ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ হাতে পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়রা
০৩. পঞ্চম বিশ্বকাপ হাতে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক Imran Khan
অাগের পর্বসমূহ:
০১. বিশ্বকাপ ক্রিকেট সিরিজ পর্ব : এক।
০২. বিশ্বকাপ ক্রিকেট সিরিজ পর্ব : দুই।
০৩. বিশ্বকাপ ক্রিকেট সিরিজ পর্ব : তিন।
০৪. বিশ্বকাপ ক্রিকেট সিরিজ পর্ব : চার।
তথ্য সূত্র:
০১. www.espncricinfo.com
০২. 1992 Cricket World Cup
০৩. অারো বিভিন্ন সাইট।
আলোচিত ব্লগ
যৌবনে চারটি বিয়ে করা কি সুন্নাত?
আপনি যদি বিয়ে করে সুন্নাত পালন করতে হয় তাহলে তা আপনার প্রথম স্ত্রী যদি মারা যায় তা ও আপনার বয়স ৫০ এর অধিক হলে, তখন করতে পারবেন কারণ প্রথম স্ত্রী... ...বাকিটুকু পড়ুন
১৯৭২-এর স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র ২০২৪-এর অর্জন না
৭২-এর রক্তস্নাত সংবিধান বাতিল করে । নিজেদের আদর্শের সংবিধান রচনা করতে চায় এরা‼️বাংলাদেশের পতাকা বদলে দিতে চায়! বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ভালো লাগেনা এদের!জাতিয় শ্লোগানে গায়ে ফোস্কা পরা প্রজন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়েও ছিল
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়, হোটেল এমনকি ব্যক্তিগত বাড়িতেও ছিল। আপনারা শুধু... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে.....
প্রতিযোগিতার এই দুনিয়ায় এখন আর কেউ নিজের মতো হতে চাই না, হতে চাই বিশ্ববরেণ্যদের মতো। শিশুকাল থেকেই শুরু হয় প্রতিযোগিতা। সব ছাত্রদের মাথায় জিপিএ ৫, গোল্ডেন পেতে হবে! সবাইকেই ডাক্তার,... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। এইচএমপিভি
করোনা মহামারির ৫ বছরের মাথায় নতুন একটি ভাইরাসের উত্থান ঘটেছে চীনে। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি নামের নতুন এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে দেশটিতে।চীনের সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে... ...বাকিটুকু পড়ুন