চির বিদায় স্টোর - দোকানটির নাম। ছোট, ভাঙা-চূড়া খুপড়ির মত লম্বা একটি দোকান। প্রথমে কেউ এটাকে দোকান বলে বিশ্বাস করবে না। কারণ মনে হয়, দোকান তৈরি করার সময় নামটি লেখা হয়েছিল। এরপর শত বৃষ্টি-রোদ-মরিচাদের সাথে যুদ্ধ করে, কোন মতে লেখার রংগুলো টিঁকে আছে। যার কিছু বর্ণ না থাকার মত! ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কিছু সাদা কাপড় পলিথিন ব্যাগে পেঁচিয়ে একটি চকির মধ্যে এবং একটি কাঁচা কাঠের কফিন পিছনের দিকে শিকল দিয়ে বাঁধা আছে। যা দেখেই বোঝা যায়, দোকানটিতে চির বিদায়ের সরঞ্জাম পাওয়া যায়। বলা বাহুল্য, দোকানটি আসলে গরিব শ্রেণীর লোকদের।
দোকানটি নিয়ে আমার তেমন কোন আগ্রহ থাকার কথা নয়। কারণ, আমি প্রতিদিন আনুমানিক রাত সাড়ে আটটার দিকে টিউশনি শেষ করে এই পথে হলে ফিরি। বামপাশে যে দোকানগুলো আছে, তার একদম শেষে ঐ দোকানটি। হঠাৎ, দোকানটির পাশ থেকে ষাটের উপর বয়সের একটি ভিক্ষুক আমাকে জোরে জোরে ডাক দেয়। আমি যথারীতি উপেক্ষা করে হাঁটতে থাকি। কিন্তু বৃদ্ধটি কাঁদতে কাঁদতে বলে, “বাজান আমি ভিক্ষা চাই না, তোমারে কিছু দিবার চাই।” কথাটি কানে আসতেই আমি থেমে যাই! কারণ, আজ পর্যন্ত কোন ভিক্ষুককে কেউ এই ধরনের কথা বলতে শুনেছে বলে, আমার মনে হয় না! তাই কিছুটা কৌতুহল নিয়ে, আমি ভিক্ষুকটির সামনে গিয়ে দাঁড়াই।
বাজান, আমারে ভিক্ষা দেয়া লাগবো না। আপনে এই পাথরটা লন। - খুব কাতরভাবে বলল ভিক্ষুকটি এবং ডান হাতটি মুঠ করে আমার দিকে বাড়ানো।
আমি কেন এই পাথর নিব? - আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি।
এইডা দিয়ে আপনে মনে হয়, দুইডা জিনিস পাইবেন!
দুইটা জিনিস, মানে?
আপনে যা বলবেন, তা পাইবেন। তবে দুইডার বেশী চাইয়েন না। আমি জানিনা কি হবে? - কেমন জানি অদ্ভুত দিপ্ত চোখে কথাগুলো বলে যাচ্ছিল বৃদ্ধটি!
বৃদ্ধ ভিক্ষুকটি আরো বলতে লাগল, “আমি জানি, আপনের মত শিক্ষিত মানষেরা আমার কথা বিশ্বাস করবে না। তার উপর আমি আবার ভিক্ষুক! মনে করছেন, সব ভিক্ষুকতো মিথ্যা কথা কয়। তাদের দল নাহি গ্যাঙ কি জানি কন, থাহে। তয় বাবা, আমিও কই, সব মানষে সমান না! ভাল খারাপ বেভাগতে মিলে মানুষ। সবাই যদি খারাপ হইতো, এত্তদিনে তো আল্লার গজম নাইম্মা যাইত।”
আচ্ছা চাচা, আপনি কি বলতে চান সেটা ঠিক মত বলেন? - আমি কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বলে উঠি। মনে মনে ভাবতে থাকি, ব্যাটার এত কাহিনী করার কি আছে? আসল উদ্দেশ্য তো সেই, বাজান কিছু টাকা দেন সারাদিন খাই নাই।
তবে হলে গিয়ে আজ আর কোন কাজ নাই বলে, শুনতে লাগলাম। বরং গেলে রাতে, কোন পার্টির নাকি মিটিং আছে যাওয়া লাগবো। এরচেয়ে কিছু ফাউ কথাই শুনি!
লোকটি বলতে থাকে, “একবার আমি তিনদিনের মত না খাইয়া ছিলাম। খালি পানি খাইছি। শেষে যখন আর হাটবার পারি নাই, তখন এই দোহানটার সামনে গাছের নিচে শুইয়া পড়ি। আমার হাতে কোন কিছু ছিল না। খালি এই পোঁটলাটা আর লাঠিটা ছিল। হঠাৎ ঘুমের মধ্যে, আমি আমার হাতের কাছে এই পাথরটা টের পাই। ঘুম ভাইঙ্গা যায়। লাফ দিয়ে উঠি। আমার সারা শরীর ঘামে ভিজ্জা যায়। আমার মনে আছে, আমার হাতের সামনেও কিছু ছিল না। আমি আল্লার নামে কসম কইরা কইতে পারি, এ পাথরের মধ্যে কিছু আছে!”
বৃদ্ধ কথা বলতে বলতে, যেন শ্বাস নিতে পারছিল না। থেমে থেমে বলছিল। আমার কেন জানি মায়া হলো। ভাবলাম, বাড়িতে উনার বয়সি আমার নানা আছে। নানার কথা মনে পড়ে গেল। মনটা কেমন জানি করে উঠল! মনে হচ্ছিল উনার বুকে অনেক ব্যাথা।
উনি পোঁটলা থেকে একটা বোতল বের করে পানি খেয়ে আবার বলতে লাগলেন, “আমি সকালে উঠে এই পাথরটা হাতে নিয়ে আল্লাকে ডেকে কইলাম, আল্লা আমারে একটু ভাত দাও! আর পারছি না। আমি হাঁটতে থাকি। কিছুক্ষণ পর, একটা হোটেল থেকে একডা বেডা আমারে ডাইক্কা কয়, চাচা আসেন। আজ আমার ভাইয়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। পেঁট ভরে খাইয়া যান আর আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া কইরেন।”
আমি কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বৃদ্ধ আমাকে হাত তুলে থামিয়ে বলে ওঠে, “জানি আপনের বিশ্বাস হচ্ছে না! হাসি পাচ্ছে। আপনেরা শিক্ষিত। ধর্ম-কর্ম তেমন করেন না। আমার মতো গরিব ভিক্ষুকের কথা ক্যান বিশ্বাস করবেন। তয় হুনেন, গেছে বার যহন বহুত শীত পড়ছিল, আমার জানটা যায় যায়। মনে হইত, হাড়ের ভিতর দিয়ে ঠাণ্ডা হাওয়া যাইত! যেদিন আমি একটা পাতলা কম্বল পাই, হেদিন আমি এই পাথরটা বুকে লইয়া আল্লার নাম নিয়ে কইছিলাম, আল্লা তুমি আমারে এই শীত থেকে বাচাও। তয় কন, ক্যান আমি এই পাথরটাকে বিশ্বাস করুম না?”
কথাগুলো বলার সময়, উনি যেন সেই প্রচণ্ড শীতে কাঁপছিল এবং চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় পানি পড়ছিল। আমি উনাকে একটু স্বান্তনা দেবার জন্য বলি, “চাচা আপনে তো অনেক কিছু কইলেন। আপনে একটু শান্ত হয়ে বসেন। আর আমি আপনাকে কিছু কথা বলি, মনযোগ দিয়ে শুনেন। রাগ কইরেন না।”
আপনে তো গরিব, মানে ভিক্ষা করেন। তাহলে আপনি কেন, টাকা-পয়সা চাইলেন না, যাতে আপনার আর কষ্ট বা ভিক্ষা করতে না হয়?
বাজান, আমার ঘর-বাড়ি-জমি আর একমাত্র নাতনীকে নদী কাইরা লয়। আমার আর কেউ ছিল না। সবাইকে আগেই হারাইয়া ছিলাম। অনেক জায়গায় কাজ খুঁজছি। কেউ দেয় নাই। তাড়ায় দিছে। যখন এই পেঁটের জ্বালা আর সহ্য করতে পারি নাই, ভিক্ষায় হাত পাঁতছি। আমার বংশে আগে কেউ ভিক্ষা করে নাই। কতবার ভাবছি, মইরা যাই! কিন্তু পারি নাই!
থাক, চাচা। আপনি আর কাঁইদেন না। আপনি বলেন, আমি শুনছি।
আমার কোন লোভ বা টাকা পয়সার দরকার নাই। জীবনে কয়দিন আর বাঁচুম! টাকা-পয়সা দিয়ে কি করুম? তাই যতদিন পারছি, আল্লার কাছে দোয়া ছাড়া আর কিছু চাই নাই। যখন পারি নাই, তখন আল্লা মনে হয় এই পাথরটা আমারে দিছে!
আচ্ছা ঠিক আছে, সব শুনলাম। তাহলে দুইটা বা দুইবার চাইলেন কেন? আরো বেশী বেশী চাইতেন?
আপনেরে কইলাম না, আমার লোভ নাই! আল্লার কাছে আমি হুদাহুদি চামু ক্যান?
আর দুইবার কেন? - আমি আবার জিজ্ঞেস করি।
আমার দুইবার দরকার পড়ছিল, তাই। আর ক্যান জানি আমার মনে হইতাছে, আজ আমি আর বাচুম না। মইরা যামু! তৃতীয়বার কি হইব, আমিতো জানি না। তাই আপনেরে দুইডার বেশী বলি নাই। পরে আবার, আমার দোষ হইব।
তাহলে আমাকে কেন দিচ্ছেন? আপনে যে দোকানের কাছে এটা পাইলেন, তার মালিককেই দিতেন। উনার দোকানের সামনেই তো পাথরটা পাইছিলেন। কিংবা আপনার কোন পরিচিত মানুষকে দিতে পারতেন।
ওই ব্যাটা, ধুর!! খালি নেশা করে। মাইনষেরে ঠঁকায়, নামাজ-কালাম নাই। হেরে দিলে, ব্যাটা টাকা চাইবো আর নেশা করবো। আর আমার কোন পরিচিত মানষ এইখানে নাই।
আমাকে কেন!!!
আমি আপনে প্রতিদিন দেহি। কেমন জানি উদাস হইয়া, আস্তে আস্তে হাইট্টা যান! মনে হয়, আপনে কি জানি চিন্তা করেন? তাছাড়া, আপনেরে একদম চিনি না কিন্তু দেহি, মনে কয় ভাল মানষ! তাই আপনেরে দিবার মন চাইলো। পরে যা হইবো, সেটা আপনে জানেন? লোভ কইরেন না!
দেন। আপনার যখন ইচ্ছে, আমাকে দেন। আমি কাল আবার এসে আপনার খোঁজ নিয়ে যাব।
যদি বাইচ্চা থাকি, দেখা হবে। এই ন্যান। আল্লা আপনার ইচ্ছা পূরণ করুক।
এই বলে, উনি একটা নীল কিন্তু রক্তাভ লাল রঙের ছোট আকারের পাথর আমার হাতে দিলেন। সচারচর এই রঙের পাথর দেখা যায় না বা বলতে পারি, আমি আগে দেখি নাই। যা হোক, পাথরটা পকেটে চালান করে, উনার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে হলের দিকে হাঁটতে লাগলাম।
একা চুপচাপ হাঁটছি আর অবাক হয়ে ভাবছি। কি বিচিত্র দুনিয়া! একজন ভিক্ষুকও আমাদের খেয়াল করে! যার বিবেক আর চিন্তা ধারনা আমাদের লোভী সমাজের কাছে কতটা অপমানজনক! যিনি লোভ করেনি, অলীক একটা পাথরকে বিশ্বাস করেছে আর সৃষ্টিকর্তার কাছে কতটা আনুগত্য! কাকতালীয় ভাবে ঘটে যাওয়া দুইটি ঘটনাকে অগাধ বিশ্বাস করেছেন। এরকম কিন্তু আমাদের জীবনে মাঝে মাঝে হয়ে থাকে। আমরা যাকে বলি ভাগ্য!
হলে এসে ফ্রেশ হয়ে, নিজের বেডে শুয়ে রেস্ট নিচ্ছিলাম। রুমে কেউ নেই, সবাই ঐ মিটিং এ গেছে। যাক কিছুক্ষণ ঘুমানো যাবে। অনেক চিন্তা হয়েছে। কিন্তু না! হঠাৎ, হলের নিচের গেঁটে চিৎকার-চেঁচামেচিতে উঠতে বাধ্য হলাম। বারান্দায় আসতেই, আমার একজন রুমমেট চিৎকার করে বলে উঠে, আমাদের আরেক রুমমেট রায়হানকে বেদড়ক পিঁটিয়ে মাথা-হাত ভেঙ্গে দিয়েছে।
আমি দৌড়ে নিচে নেমে জিজ্ঞেস করলাম, কারা?
আরে, মিটিং ছিল না! সে রুমে ছিল কিন্তু যায় নাই। মিটিং শেষে ওরা তাকে, টিভি রুমে দেখতে পেয়ে .......
তা সে এখন কোথায়? - আমি ভয়ে ভয়ে বলি। আমার হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছিল।
সবাই মিলে তাকে এইমাত্র ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেছে।
আমি এইকথা শোনা মাত্র, আর কিছু শোনার প্রয়োজন মনে না করে, দৌড় দিলাম।
বাবা-মার একমাত্র ছেলে রায়হান। বাবাকে হারায় ছোটবেলায়। পারিবারিক জটিলতায় ওর মা সব হারিয়ে ফেলে। অনেক কষ্ট করেও রায়হানকে পড়াশুনা করিয়েছেন। এখন রায়হানই তার মার একমাত্র আশা-ভরসা। রায়হান না থাকলে, তার মা পাগল হয়ে যাবে।
আমি ইমাজেন্সিতে গিয়ে জানতে পারলাম, রায়হানকে সার্জারী করাতে অপারেশন রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি কোন দিকে না তাকিয়ে দৌড় দিলাম। ওখানে থাকা কিছু বন্ধুর মুখে জানা গেল, রায়হানের মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে। মনে হয়, কোমায় চলে যাবে। ডাক্তাররা বলেছে, বাঁচার আশা কম!
আমি সবকিছু শুনে মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে বসে পড়লাম। রায়হান, আমার সবচেয়ে কাছের এবং প্রিয় বন্ধু। খুব চুপচাপ, শান্ত এবং হাসি-খুশি ছেলে। মাকে নিয়ে অনেক স্বপ্নের কথা ওর মুখে শুনেছি এবং খুব ভাল লাগত। সে তার মার কষ্টকে অনেক মূল্য দিয়েছিল এবং সেভাবেই নিজেকে তৈরি করছিল। যাকে বলে সার্থক সন্তান। যা আমরা অনেকে হতে পারি না! তাই তার মাকেও আমি অনেক সম্মান করতাম।
কিছুক্ষণ পাথর হয়ে বসে থাকার পর, আমার সেই পাথরটার কথা মনে পড়ল! আমি পকেট থেকে সেটা বের করে, বুকে নিয়ে চোখ বুঁজে আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম, “আল্লা তুমি রায়হানকে ভাল করে দাও। আমি আর কিছু চাই না।”
তার ঘণ্টা দুয়েক পরে একজন ডাক্তার এসে বলল, “রায়হানের জ্ঞান ফিরেছে। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপা। ছেলেটি মনে হয়, এই যাত্রায় বেঁচে যাবে।”
আমি যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করছে পারছি না! নিজে গিয়ে আবার ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হলাম। আমি পাথরটির দিকে অবাক হয়ে তাকালাম। এখন কি পাথরটিকে বেশী লাল মনে হচ্ছে! আমি কি ভুল দেখছি? পাথরটিকে পকেটে রেখে, অপারেশন রুমের দিকে ছুটে গেলাম। রায়হানকে ডাক্তাররা সকালে বেডে দিবে। এই খবরটা শুনে, বুকের মধ্যে দিয়ে একটা শান্ত বাতাস বয়ে গেল। আমি রায়হানের মায়ের মুখটা কল্পনা করার চেষ্টা করলাম!
রাতে আমরা সবাই হলে ফিরে আসি। সকালে গিয়ে রায়হানকে বেডে দেখতে পেয়ে, আমরা সবাই খুশি হই। আমি ওর পাশে কিছুক্ষণ বসে থাকি। রায়হান কথা বলতে পারছে না কিন্তু সবাইকে চিনতে পারছে। আমরা ইশারা দিলে, চোখ নেড়ে বোঝাবার চেষ্টা করছে। আমি রায়হানকে বললাম, “আমার একটা কাজ আছে। আমি একটু পরেই আসছি।”
মেডিকেল গেট থেকেই রিকশা নিয়ে, আমি সোজা সেই বৃদ্ধটির কাছে গেলাম। না, বৃদ্ধটি নেই! আমি সেই চির বিদায় স্টোর দোকানে গিয়ে বৃদ্ধটির কথা জিজ্ঞেস করলাম। দোকানে বসা লোকটি আমাকে বলল, “কাল শেষ রাতে লোকটি মারা গেছে। এইমাত্র উনার দফন শেষ করে আসলাম। উনার তো কেউ নাই, তাই আমরা কয়েকটি দোকান থেকে টাকা তুলে দফন করি আর জানাজার আয়োজন করি। তবে উনার পোঁটলার মধ্যে বেশ কিছু টাকা জমা ছিল। তাই আমাদের বেশী টাকা জোগাড় করতে হয় নাই।”
আমার চোখ দুটো কেন জানি, ঝাপসা হয়ে গেল! বৃদ্ধ লোকটি এবং রায়হানের কথা খুব মনে পড়ে গেল। আমি ওখানে আর দাঁড়াতে পারলাম না। রিকশা করে হলে চলে আসলাম।
কার্জন হলের পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে, পাথরটি হাতে নিয়ে আরো একবার দেখলাম। ভাবলাম একজন বৃদ্ধ ভিক্ষুক, তাঁর লোভ দমন করতে পেরেছে। এত লোক থাকতে, আমাকেই কেন বা দিলেন! হয়তো রায়হানের জন্যই! হয়তো রায়হানের মায়ের জন্য! আমার আর কোন দ্বিতীয় চাওয়া নেই। আমার জন্যও নয়। আমি পাথরটিকে ছুঁড়ে পুকুরের মধ্যে ফেলে দিলাম। আমাকে রায়হানের কাছে যেতে হবে। বিশ্বাসগুলোকে সযত্নে আগলে ধরে রাখতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬