শ্রাবণের দ্বিতীয় দিন আজ। এখনও চেনা রূপে দেখা যায়নি শ্রাবণের অতিবাহিত দিন দুটি। আষাঢ়ের শেষ ও শ্রাবণের শুরু চৈত্রদিনের মতো উত্তপ্ত। প্রচন্ড খড়ায় জনজীবন ক্লান্ত। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উত্তরাঞ্চলের কৃষকেরা। খড়ায় পাট ও ধান জমিতে পুড়ে মরছে । এ ক্ষতি কৃষকের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া উপায় আছে?
ঈদের ছুটিতে গত সপ্তাহ কেটেছে উত্তরবঙ্গের পাবনা সদরে। নিজ চোখে দেখলাম খড়ায় ফসলের ক্ষতি।
প্রতিনিয়ত ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত বৈদ্যুতিক লোডশেডিং। জ্বালানি তেলের দাম ক্রমশ বাড়ছে। সেচ খরচ বেড়েছে অনেক তারপরও সেটা খুব সহজ নয়। জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। আষাঢ়-শ্রাবণে এখন খড়ার অাধিক্য। দখল- দূষণে নাব্যতা হারিয়ে মরে যাচ্ছে নদী। যেগুলো বেঁচে আছে সেগুলো মুমূর্ষু। আমরা বেঁচে থাকতে চাই। সুস্থ থাকতে চাই। কিন্তু সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অবলম্বনগুলো সুস্থ রাখছি না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। হাসপাতাল তৈরি করতে যতটা উৎসাহী হাসপাতালের প্রয়োজন কমিয়ে আনতে অতটা উৎসাহী দেখি না।
আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ আমরা-ই বিপন্ন করছি। ফলে প্রকৃতি আমাদের সাথে বৈরি আচরণ করছে। আমরা সচেতন না হলে প্রকৃতির বৈরি আচরণ এক সময় ভয়ংকর রূপ ধারণ করবে। তখন আফসোস করে কোনো লাভ হবে না।
সোহাগ তানভীর
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৯