আগামী ২রা মে শনিবার দেশে আসছি। এক বছর পনের দিন পর আবার সবুজ শ্যামল শাড়ি পরা মাতৃভুমি বাংলাদেশের কোলে ফিরে আসবো।
যে দেশের যে মাটির সোঁদা গন্ধে জীবনের শৈশব কৈশোর কেটেছে। যে গ্রামের প্রতিটি ধুলিতে কণাতে আর দুর্বা ঘাসের ডগাতে আত্মিয়তার অনেক ঋন জমে আছে। যে গ্রামের মাটিতে মা বাবা শুয়ে আছেন চীর নিদ্রায়। যে মাটির বউচি আর গোল্লাছুটের মাট এখন ও কৈশোরে ফিরে যেতে ডাকে। সে মাটিতে আসবো ভেবে হৃদয় যেনো আনন্দের বাণ।
দেশে গেলে পুরনো বন্ধু বান্ধবদের সাথে প্রায়ই দেখা হয়না। বন্ধু বান্ধবদের বেশির ভাগই ইদানিং দেশে নেই। জীবিকার কারনে অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। যে ক’জন দেশে আছে তারাও সবাই যার যার কাজ নিয়ে ব্যাস্ত। জীবনের কারনেই জীবন ব্যাস্ত হয়ে যায়, অন্য পানে তাকানোর সময় পায়না। কাল যার জন্য সারা জীবন অপেক্ষা করবো বলে কথা দেই, আজ তার দিকে চেয়ে দেখার মতো সময় ও আর হয়ে উঠেনা। বুঝতে পারিনা, মানুষ সময়ের সাথে বদলে যায়? নাকি শরিরের ভেতরের হরমোনাল সিষ্টেম মানুষকে ধীরে ধীরে পরিবর্তিত করে ফেলে।
বন্ধু বান্ধবরা না থাকলেও সে মাটি তার ছায়াঘন সবুজ বরন আঁচল নিয়ে এখনও আছে। তার গহন কাছে গিয়ে বসে তাকেই শুধাবো, কেমন আছে সে। এখনও সে কি আগের মতো আছে, নাকি সবার সাথে অনেক খানি বদলে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১০