মোহাম্মদপুরের আদাবরে শিশু সামিউল হত্যার সংবাদটি প্রথম থেকেই পড়িনি, শুধু হেডিং দেখেছি। এ ধরনের ভয়াবহ সংবাদগুলো পড়তে পারি না, পড়লে এক প্রকার বিষণ্ণতায় ভুগি যা অনেক দিন পর্যন্ত মন মগজে লেগে থাকে।
গতকাল আমার স্ত্রীকে বললাম, তুমি কি পড়েছো? ও বলল, তোমার পড়ার দরকার নাই। আজ ব্লগার বৈকন্ঠের দেয়া পোস্টটি পড়লাম। কি ভয়াবহ! কি সাংঘাতিক!! কি অমানবিক!!!
বৈকন্ঠের ঐ পোস্টে @নেট ইনফিনিটির একটি কমেন্ট দেখুন:''
'কু' - রিপুর তাড়নার কাছে পরাজিত মাতৃত্ব । পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়টাও নিরাপদ থাকছে না যাদের জন্য, তাদের সমুচিত শিক্ষা দিতে হবে।
হ্যাঁ, @নেট ইনফিনিটি, ভোগেমত্ত এ প্রথিবীতে আল্লাহর দেয়া সবচেয়ে বড় নেয়ামত মাতৃত্বও আজ পরাজিত, বিস্বাদ লাগছে মায়ের বেহেস্তী আঁচল।
এ পর্যন্ত যা জানা গেছে তাতে এ মুসলিম সমাজে অবক্ষয়ের জায়াগা গুলো সুস্পস্ট হয়েছে। আরো কি কিছু জানার প্রয়োজন আছে? আমরা কি কিছু শিখলাম???????
একদিন আল্লাহর রাসুলকে ( দ: ) দাহিয়াতুল কালবী নামক এক সাহাবী কেঁদে কেঁদে বলছিলেন, জাহেলিয়াতের যুগে কি ভাবে সে তার কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে ঐ সাহাবী বলছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমি আমার সন্তানকে টেনে টেনে গর্তের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলাম আর সে কাঁদছিল, আজো সে কান্নার শব্দ আমার কানে বাজছে। মনে আছে, এ সম্পর্কিত ব্যাখা পড়ে বেশ কেঁদেছিলাম।
আমরা আজ ঐ সময়ের চেয়েও কি ভয়াবহ নব্য জাহেলিয়াতের সময় পার করছি!
হায় মুসলিম সমাজ!!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:২৪