দুপুর বেলা নিউজ চেনেল ২৪ এর খবর দেখতাছিলাম রংপুরে মিঠা পুকুরে মুসল্লিরা নাকি রাতের আধারে লাঠি ও বিভিন্ন দেশি অস্ত্র নিয়া হামলা চালায় এলাকার বিভিন্ন মেয়েদের হোষ্টেলে। কেন হামলা করা হয় জানেন কারণ মেয়েদের হোস্টেল থেকা নাকি ময়লা ফলানো হয় সেই ময়লা মসজিদের পুকুরে আর কবরস্তানে পরে।এলাকার মুসুল্লিরা ক্ষিপ্ত ছিলো তাদের উপর ।তাদেরকে আগেও অনেক বার সাবধান করার পরও যেহেতু কাজ হয়নি তাই শবেবরাতের রাতের আধারেই মুসুল্লিরা মেয়েদের হোস্টেল গুলোতে এক যোগে হামলা চালায়।ঘরের দরজা জানলা জিনিষ পত্র সব ভাঙ্গা হয়।খবরে দেখলাম মেগুলো ভয়ে কান্না কাটি করতাছিলো দেইখা মনে হইলো আমার বোন যদি ওই হোস্টেলে থাকতো তে হইলে কি হইতো ?এরা কেমন মুসলমান শবে বরাতে সারা রাত নামাজ পইরা এদের কি লাভ বলেন ?মানুষ কি ভাবে এতো নিচে নামে বুঝি না। যেই এলাকার লোক জন এই হামলা চালাইলো ওই এলাকার মেয়েদের যখন অন্য কোনো এলাকায় হোস্টেলে থাকতে হয় তখন তাদের উপরে যদি রাতের আধারে হামলা হয় তখন তাদের কেমন লাগবে ? মারামারি করার এতো ইচ্ছা থাকলে সমান শক্তির কারো সাথে করুন রাতের আধারে অন্য এলাকার দুর্বল মেয়েদের রুমে ভাংচুর করে যেই পুরুষরা তাদের পুরুষত্ব নিয়ে আমি সন্দেহ প্রকাশ করতেই পারি।ওই এলাকার মসজিদ কমিটি ও মুরুব্বিরা হস্তক্ষেপ করলে হয়তো এরকম অপ্রত্যাশিত ঘটনা নাও ঘটতে পারতো যাই হোক উনাদের নিরবতা প্রমান করে যে উনারাও এতে জড়িত ছিলেন এই ধরনের মুসুল্লিরা কি কারো সম্মান পাবার যোগ্য?শবে বরাতের রাতে যারা এইরকম অসুস্ত কাজ করে তারা কেমন মুসলিম সেই বিচার তো করবেন সৃষ্টিকর্তা তবে আমার কাছে খুব জঘন্য অপরাধ বলে মনে হয়েছে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪২