বাংলার পথে(পর্ব ৪০) -- চট্টগ্রাম ভ্রমণ ( ইতিহাস এবং থাকা খাওয়া ও দর্শনীয় স্থানের তথ্য)
চট্টগ্রামের বদ্দারহাট বাস টার্মিনালের কাছেই মিনি বাংলাদেশ এর পূর্বের নাম শহীদ জিয়া স্মৃতি কমপ্লেক্স।থিম পার্কের সাথে দেশের বিভিন্ন স্থাপনা দেখা ও খাওয়া দাওয়া তাও আবার ২০ তলা প্রায় উঁচু ঘূর্ণায়মান রেস্টুরেন্টে বসে। এখানে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা , পুরাকীর্তির মিনি ভার্সন রয়েছে। সংসদ ভবন থেকে শুরু করে, লালবাগ কেল্লা, কান্তজি মন্দির, আহসানমঞ্জিল সহ অনেক কিছু আছে। এত নিখুতভাবে তৈরি করা হয়েছে একদম "এ গ্রেড" মিনিএচার ।পুরোটা জুড়ে সুন্দর একটা পার্ক।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ স্মরনে এর ৭১ মিটার উঁচু দেশের প্রথম ঘূর্ণায়মান রেস্তোরা। কমপ্লেক্সে ঢুকতে ৯০ টাকা আর টাওয়ার রেস্টুরেন্টে যেতে ৭০ টাকার টিকেট কিনতে হবে। উঁচু এই রেস্টুরেন্টে উঠলে দেখা যাবে উপর থেকে চট্টগ্রাম শহর টাকে।
>> পার্কটি সপ্তাহের সাত দিনই খোলা থাকে। বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দিনব্যাপী নানা বয়সী দর্শনার্থীর ভিড়ে মুখর থাকে পার্কটি।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় কর্তৃপক্ষের অবহেলার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পুরো পার্কটি।
প্রবেশ
রেস্টুরেন্ট
রেস্টুরেন্ট এর ভিতরে
ঐ যে দেখুন উপর থেকে মূল গেট আর সংসদ ভবন
বাংলাদেশের একমাত্র জাতিতত্ত্বিক জাদুঘরঃ
মিনি বাংলাদেশ ঘুরে বাসে চেপে বসলাম আগ্রাবাদে যাবার জন্য। বাস গুলো বেশ ছোট মিনি বাস বলা চলে। ভাড়াও কম।কত নাম্বার বাসে উঠবেন জানতে পোষ্টের শুরুতে দেয়া লিঙ্কটি দেখুন বদ্দারহাট থেকে সোজা রাস্তা চলে গেলো জিএসসি হয়ে আগ্রাবাদ। এক রাস্তা হরেক রকম চেহারা। আগ্রাবাদ পার হলেই চট্টগ্রাম শহরের চেহারা বলদে যায়, ঐ দিকটা শুধু সবুজ সবুজ আর পাহাড়।
যাই হোক আগ্রাবাদ নেমে দু-একজনকে জিজ্ঞাসা করে বুঝালাম বামের রাস্তায় যেতে হবে ,হাটা দিলাম কিছুদুর যেতেই চোখে পড়লো দেশের একমাত্র জাতিতত্ত্বিক জাদুঘর।১৯৭৪ সালে এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়, এখানে আছে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের আদিবাসিদের ইতিহাস ঐতিহ্য। এক তলা জাদুঘর কয়েকটি বড় বড় রুম নিয়ে। বেশ ভালোই, তবে খুজে পেলাম সেই নৈমন্তিক ব্যপার অযত্ন অবহেলা।
সিআরবি (সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং)
জাদুঘর ঘুরে আবার আগ্রাবাদ মোড়ে এসে বাসে উঠলাম টাইগার পাস যাওয়ার জন্য, যেই বাসে এসেছিলাম সেই একই বাসে উঠলাম, কারন আগ্রাবাদের পরে স্টপেজ টাইগার পাস। গন্তব্য রেলওয়ে বিল্ডিং দেখা। টাইগার পাস মেনে রিক্সা নিতে হল, কারন বেশ ভালোই দূর। ১০ টাকা ভাড়া নিল।
এটি স্থাপিত হয় ১৮৯৫ সালে।অবিভক্ত ভারতের বেঙ্গল অ্যান্ড আসাম রেলওয়ের সদর দপ্তর অবস্থিত ছিল পাকিস্তান আমল থেকে এ যাবৎ তা বলবৎ ছিল। সম্প্রতি প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের অজুহাতে চট্টগ্রামস্থ বাংলাদেশের রেলওয়ে সদর দপ্তরকে বিভক্ত করে বিভিন্ন কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সি. আর. বি. সন্নিকটে রেলওয়ে হাসপাতাল স্থাপিত হয় ১৯২৫ সালে।
ভিতরটা ঘুরে ঘুরে দেখলাম, সত্যি অবাক হয়ে দেখার মত, বিশাল বিশাল এক একটি তলা, মাঝে মাঝে মনে হয়ে এখনি ভেঙ্গে জাবে, তবে কর্তৃপক্ষ রঙ করে বেশ সুন্দর করে রেখেছে।
টাইগার পাস মোড়
পথে দেখা যাবে শতবর্ষী এই সকল গাছ
এবার সিআরবি এর কিছু ছবি
চট্টগ্রাম শহর ঘুরা আরও বাকি আছে, আসতে আসতে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
>> ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে উল্লেখ করে সংশোধনে সহায়তা কামনা করছি।
পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখুন , , রেখে আসবেন পদচিহ্ন আর নিয়ে আসবেন শুধুই ফটোগ্রাফ।
=============================================
সাজিদ ঢাকা'র ভ্রমণ পোস্ট সংকলন
=============================================