আগের ২ টি পর্ব
বাংলার পথে(পর্ব ২২) -- কুয়াকাটা ভ্রমণ (১) কিভাবে যাবেন সাথে থাকা ও খাওয়া।
বাংলার পথে(পর্ব ২৩) -- কুয়াকাটা ভ্রমণ (২) সূর্যোদয় , মিশ্রী পাড়া বৌদ্ধ মন্দির , রাখাইন পল্লী।
পরথমেই বোনাস দিয়ে নেই
কিছু দিন পর যারা পরিবার নিয়ে যাবেন তাদের জন্যই বোনাস , , আর যারা আমার মতন গরীব আসুইন , হেরা হুদাই দেখুইন ।
যতদূর খোঁজ খবর নিলাম , এই রিসোর্টটা বানাচ্ছেসাবের হোসেন চৌধুরী। কুয়াকাটা ঢুকার মুখেই , , কুয়াকাটা গেস্ট হাউজের কাছাকাছি ।
ভিতরে অস্থির সুন্দর করতেসে , , আমাদের পাইলটের দুলা ভাই , ভিতরে কাজ করে সেই সুবাদে , দেখার সুযোগ পেলাম।
একবারে বাইক খানা লইয়া সরসরাইয়া ঢুকে গেলাম।
প্রবেশ - - বুজতেই পারতেসেন ভিতরের অবস্থা।
এটা অভ্যর্থনা , , ( আমি ভাবসিলাম বার )
খেজুর ধরিসে , , গাছ গুলান বিদেশ থেকে আনা হইসে
এই জায়গাটা অস্থির
এইখানে খাঁচাতে থাকবে পাক পাখালি , , আর পাশে হরিণ
( হরিণ , বলতেই মনে পড়িল , কার বাগান বাড়িতে যেন হরিণ পাওয়া গিয়েছিল)
এই হল , আসল জিনিস , , কটেজ ভাড়া আল্লাহ মালুম
বোনাস শেষ , নতুন বিবাহিত কেও গেলে অবশ্যই থাকিবেন ।
কুয়াকাটার কুয়া
বুজতেই পারেন এই এলাকাতে মিঠা পানির বড়ই অভাব। তাই তখনকার রাজা - মং ও রাখাইনদের জন্য ২ টি কুয়া কাটেন। সেই থেকে এই এলাকার নাম যে হল কুয়াকাটা , , এখন পর্যন্ত আছে , , তবে কোন সরকার এখনও এর নাম বদল করার উদ্যোগ নেই নাই দেশের উন্নতি নাম না বদলালে কেমনে হবে।
এই সেই কুয়া , ,
আরেকটা ফটু , এত কাহিনির জনক একটা দিলে কেমনে হয়
ভিতরে একটু উক্কি দিলাম , , পানি কি আসে না তাই , ,যদিও জানি থাকবে না । কারণ হিস্টোরিক্যাল কোন কুয়াতে আমি পানি পাই নাই। পানি থাকলে তো আর হিস্টোরি হইত না।:p
কুয়ায় পাশেই রাখাইন মার্কেট , সরুলম্বা রস্তার দু পাশ ধরে এই মার্কেট । রাত ১১ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। খালি বারমিজ আচার আর স্যান্ডেলে ভর্তি । কেনার মতো তেমন কিছু নাই । আম্মার জন্য একটা ৩ পিস আনসিলাম, বানানো গেল না কাপড় কম পরে পাশের বাসায় একটা প্রতিবন্ধী মেয়ে আছে , নাম নোভা , আমাকে দেখলেই জিজ্ঞাসা করে সাজিদ কেমন আছো , তাহাকেই দিয়া দিলুম।
সীমা বৌদ্ধ মন্দির
কুয়ার পাশেই এই মন্দির। দেখতে বেশ সুন্দর। যাই হোক , কাহিনি হল এর ভিতরে , , , এর ভিতরে ৩৭ মণ ওজনের অষ্ট ধাতুর একটি বুদ্ধ মূর্তি আছে ।
মন্দির ----
দুপুরে বন্ধ ছিল , , জানালা দিয়ে তাই
এই সেই মূর্তি , , ওজন ৩৭ মণ , , আমি মাত্র ২.০৫ মণ
সময় এসেছে আবার , , , বলেন তো কি , ,
হোটেল দেখার সাথে হোটেলের জার্মান শেফার্ড কুত্তাটা
কুত্তা , , ৫৫০০০ টাকা , , কোন কামই করে না , , ঘেও ঘেও ও না ( বোবা ও কানা - হইতে পারে)
শুটকি পল্লী , , এটা একটু দূরে , , ট্রলারে ঘুরতে গেলে দেখতে পাবেন ।
অস্থির গন্ধ
ক্রাব আইল্যান্ড:
এটি একটি সুন্দর জায়গা। কয়েকটা আছে , পূর্ব দিকে একটা আছে , কিন্তু সেখানে ক্রাব কম । লাল লাল ক্রাব ।
এখানে ট্রলার দিয়ে গেলাম , এটা অনেক বড় জায়গা । বিপুল পরিমান লাল কাঁকড়া । একসাথে এত কাঁকড়া এই প্রথম দেখলাম । সাদা বালুর উপর লাল লাল কাঁকড়া , দূর থেকে দেখতে অস্থির ।
ছোট বেলায় মোরগের পিছনে দৌড়াতাম , এবার দিলাম কাঁকড়ার পিছনে । ধরার আগেই , মাটির নিচে । আর কিছু না হলেও গর্ত করে ঢুকে যেতে তারা বেশ ওস্তাদ । বেশ অনেকক্ষণ দৌড় ঝাপ দিলাম ।
>> কুয়াকাটায় ভ্রমণ করার জন্য বেশ কিছু ট্যুরিজম কোম্পানি আছে । কুয়াকাটা থেকে ট্রলারে ফাতরার বন , সোনার চর , সুন্দরবন যেতে হলে তাদের সাথেই যোগাযোগ করতে করতে হবে । নিজেরা ভাড়া করে গেলে খরচ বেশি । যারা সাথে বউ বাচ্চা আর পোটলাপাটলি নিয়ে যাবেন তাদের জন্য এরা বেশ কাজের ।
আহ ! ! ! ভাবসিলাম আজকেই কুয়াকাটাকে খতম দিমু , , তবে এখনও আরও প্যাঁচাল আছে , , সূর্যাস্ত এখনও বাকি। সাথে কিছু টিপস
*গুরুচণ্ডালী ও বানান ভুল ক্ষমা করবেন ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:০৮