এর সন্ধান পেয়েছিলাম পত্রিকা ও বই থেকে । যেই ভাবা সেই রউনা । কিন্তু সঙ্গী কাওকে পাচ্ছি না । তবে আমার হাল্কা উস্কানিতে এবার যেতে রাজি হয়ে গেল ৫ জন । অনুপ রাকিবা মৈত্রী ওয়াসিফ লিফান । প্রথমে যাওয়ার ইচ্ছা বাসে থাকলেও , আনুপের মাইক্রোবাস এ ৪০০ টাকার গ্যাস আর ১০০ টাকার অকটেন ভরিয়া দিলাম রউনা ।
সি রকম উত্তেজনা । প্রচণ্ড গরম যা আমাদের অসিম মানসিক তেলের কাছে উপেক্ষণীয় । দ্বীপ ভাইয়ের কিনে দেয়া ( আসলে খসানো) কোক , চিপস , রোল , আর ম্যাঙ্গসেক গাড়ি মহাখালি পার হওয়ার আগেই শেষ । চলছি এগিয়ে , একবার কার্ড , একবার চোর পুলিশ , আর কতবার কত কিছু খেল্লাম । কিন্তু জ্যাম ডিঙিয়ে টঙ্গি আসতেই হাফ গ্রিল হয়ে গেলাম ।
শুধু অপেক্ষায় আছি কবে আসবো চৌরাস্তা । ওয়াসিফ একবার বলেছিল উত্তরা নেমে যেতে । জাওয়াটাই উচিৎ ছিল ।
অবশেষে চৌরাস্তা হয়ে কালিয়াকৈরের রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে পেয়ে গেলাম , বহুল প্রতীক্ষিত সেই আনসার ক্যাম্প ।
এই গরমে আড়াই ঘণ্টার যাত্রা শেষ করে , প্রশান্তির হাতছানি । আহ সুন্দর একটা জায়গা । কিন্তু স্রোতের প্রতিকূলে একটি শঙ্কা উকি দিল , আমাদের ভিতরে ঢুকতে দিবে তো
আনসার বলিয়া কথা , নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র । তারা মজা লুটিয়া , আমাদের মুখের উপর পট্টি লাগায়া দিল , অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষেধ । কিছুক্ষনের জন্য মনে হল কেও গরম স্ত্রি লাগিয়ে দিসে । রোদে পুড়ে , গ্যাস খরচ করে জ্যাম ডিঙিয়ে এতদূর আসার পর বলে
এই কথা সোনার পর সবার প্রতিক্রিয়া একেবারেই ভিন্ন ভিন্ন । কেও নিজেকে মারতে চায় , কেও আমাকে । মনে হল আমরা একসাথে খবর পেলাম , আমারা সবাই ফেল করেছি । আমি আমার অনাকাঙ্ক্ষিত একটি প্রহারময় ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরলাম । ৫:১ , সবাই নিজের ইচ্ছা তে আসলেও , নাটের গুরু হলাম আমি । ওয়াসিফ যে অতি কষ্টে নিজেকে আটকে রেখেছে নিজেকে , আমাকে উত্তম-মধ্যম দেয়া থেকে তা আমি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকেই বুজতে পারছিলাম ।
অধিক শোকে পাথর হয়ে , আমারা বসেই পরলাম মাটিতে কার্ড খেলার জন্য ।
ভালই লাগছে , এত দূর থেকে এখানে আসলাম কার্ড খেলতে আর চিপস খেতে । আমরা সত্যি অস্থির । আসলে এই সবই আমার বোকামির ফল ।
যাই হোক নিয়তির অস্থির ঠাট্টা মেনে নিয়ে , আমরা ফিরার জন্য রউনা দিলাম । কে জানত , নিয়তির মজা লুটা এখনও বাকি আছে । কিছু দূর যেতেই এবার গাড়ি নষ্ট । প্রচণ্ড গরম , বসে আছি অন্নের বাড়ির সামনে । একটি ভাঙা চৌকি তে ।
অনুপের ব্যাগ এ একটা --- পেলাম , অর্ধেক খেতেই ওয়াসিফের ভয়ে বাকিটা ফেলে দিলাম । রাকিবার অবস্থা বেশ খারাপ । গরমে জান পগার পার । আর মৈত্রী যেন , শোকে পাগল হয়ে গেছে , খালি পক পক , পক পক করতেসে ।
আর মানুষের মানবিকতা দেখে পুলকিত , আসে পাশের মানুষ প্রতিবন্ধীর মত ফেল ফেল করে তাকিয়ে আছে ।
আধা ঘণ্টা পর আবার বিসমিল্লাহ । আমি আর আনুপ পিছনে । রোদের উত্তাপে চোখে রংধনু দেখছি । প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমার আবার ভালো ঘুম হয় এত গরমে ও দিলাম ঘুম । এক ঘুমে উত্তরা । আল্লাহ রহমত আর ট্রাফিক ভাইয়ের বোধোদয় হওয়াতে জ্যাম একটু কম ছিল , , , ,
যাত্রা শেষ ভাবিয়া ভুল করিবেন না
স্থান : মহাখালি ফ্লাই ওভার । মাঝ বরাবর এসে গাড়ি আবার । ঠিকঠাক করে অবশেষে .......................
বাসায় আসিয়া গসুল করিয়া , ভাত খেয়ে দিলাম এক ঘুম । ৫ ঘণ্টা পর উঠে দেখি ফেবুতে টর্নেডো হচ্ছে । নিজে এবং বন্ধুদের নিয়ে মারা খেয়ে কষ্ট হলেও , মজা লাগলো । ভুক্তভুগি সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থী
বানান ও গুরুচণ্ডালী দোষ ক্ষমা করবেন