এবার যাচ্ছি বাংলার দার্জিলিং - চিম্বুক পাহাড় । চিম্বুক যাওয়ার পথে পাবেন শৈলপ্রপাত । এই সময় পানি না থাকায় এবং সময় সল্পতার দরুন আমরা আর শৈলপ্রপাত গেলাম না । সংগৃহীত একটি ফটু
শৈলপ্রপাতের পাশেই একটা আদিবাসিদের বাজার আছে , আর আছে বম আদিবাসিদের গ্রাম ।
শৈলপ্রপাত থেকে ১৮ কিমি দূরে চিম্বুক । প্রচণ্ড বাতাসে পাহাড়ের গা বেয়ে কেবল উপরের দিকে উঠে যাচ্ছি । রাস্তা বেশ আঁকাবাঁকা । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০০ ফুট উঁচু চিম্বুক পাহাড় পৌঁছে গেলাম । অস্থির ভিউ , উঁচু থেকে দেখার মজাই আলাদা । আসার পথে লিফান একবার বমি করল , কোয়াক কোয়াক , , আমি আতঙ্কিত হলাম একটু , এবার ট্যুর প্যাকআপ না হয়ে যায় । বোতলে নাই পানি , তেঁতুল কিনসিলাম মেঘলা থেকে , ঐ টা খেয়েই এই অবস্থা । ঝাঁকুনির ভয়ে তানভীর এইবার ড্রাইভারের পাশে ।
চিম্বুকে একটি রেস্ট হাউজ আছে । ২ টি ভিআইপি রুম ও কয়েকটি সাধারন রুম । বুকিং ০১৫৫৮৬৭৯৬৮৮ , ০১৭১২৭১৮০৫১ , ০১৭১৪২৩০৩৫৪ । প্রিন্স ব্যাপক খুশি , রেস্টহাউজ দেখে , এইখানে তার বিবাহ করার ইচ্ছা হইল । যার মাথায় যা ঘুরে সারাদিন ।
এই হল রেস্টহাউজ
চিম্বুক থেকে ১ কিমি সামনে জিয়া পুকুর আর্মির অনুমতি নিয়ে দেখে আসতে পারেন ।
এবার রউনা দিলাম নীলগিরি , স্বপনের নীলগিরির দিকে। স্বপ্নের এজন্য বললাম , পুরো দেশ জুড়ে এর ব্যাপক হাঁকডাক । কিন্তু ব্যাচেলরদের জন্য সত্যি হতাশা জনক জায়গা । । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২০০ ফুট উঁচুতে । পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে ছিমছাম গোছানো কতোগুলো কটেজ , একেকটা একেক কারুশৈলী তৈরি , সাথে উন্নতমানের খাবার ও নিরাপত্তা । পরিবার ও প্রিয়জনকে নিয়ে সকল চিন্তাকে ছুটি দিয়ে নিজেরদের মত করে কাটানর জন্য অন্যতম স্থান এটি ।
এবার আসেন টাকা পয়সা , প্রবেশ মূল্য জন প্রতি ৫০ টাকা । পারকিং ৩০০ টাকা । পুরাই মারা
কিছু ফোটু দেখেন আর যাওয়ার জন্য ব্যাগপ্যাক রেডি করেন ।
অস্থির কটেজ , ভাড়া সম্ভবত ৩৫০০ টাকা / রাত । এটাই সবচেয়ে কম ভাড়া ।
চান্স পাইসে , আর রেডি
উপর থেকে দেখেন , দেইখেন উসঠা খাইয়েন না ।
এটা হল ক্যান্টিন । খাবারের মান খারাপ হওয়ার কোন কারণ নাই । দাম কম হওয়া ও কোন কারণ নাই
আরেকটা রিসোর্ট
নীলগিরি থেকে বিভিন্ন স্থানের দুরত্ত । ( মঠেল- প্রিন্স )
গরিলাকুলার - গরিলা কৃতি বাইনোকুলার , যদিও নষ্ট , তবুও আছে পাহারাদার । হাতি মরলেও লাখ টাকা
অনেক্ষন ধরেই ভাবতেসিলাম , সবই আছে , খালি একটা হেলিপ্যাড নাই , , আর এমন সময় দেখি
ঐ যে
একটি সাদা ভল্লুক ও ৩ টি কালা বাদর
কটেজ ভাড়া করার জন্য যোগাযোগ - ০১৯২৫৮৮২৩৩৮ , ০২-৯১২২৬২১
হঠাৎ হুশ হল , কাইক্ষঝিরি পৌঁছাতে হবে ৩-৪ টার মধ্যে । খাবের যে দাম তাই খুদা নিয়ে রউনা দিলাম । কিন্তু কে জানত সামনে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে রোলার কোস্টার টাইপের রাস্তা । আসা বা যাওয়ার পথে মাঝে একটু রাস্তায় নেমে কয়েকটা ফটু তুইলা নিয়েন , কারণ আপনি তখন থাকবেন পিক ৬৯ , বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু রাস্তায়
ভাব-ই আলাদা
পাশেই ট্রাইবাল মিউজিয়াম , ভাব সাব দেখে মনে হল এই জাদুঘরটাই জাদুঘরে রাখা দরকার , তাই আর গেলাম না
নীলগিরি থেকে কাইক্ষঝিরি যাওয়ার রাস্তা টা সত্যি উপভোগ্য । না মাটির , না ইটের । পুরাতাই ইটের সুরকির । সেই কি ঝাঁকুনি , আরও মজা লাগলো যদি পেট ভরতি করে ভাত খেতাম । বংগস্থলি থুক্কু পাকস্থলীর আর কাজ করা লাগত না , সব উগলে বেড়িয়ে আসতো ।
(চলবে)
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ , বানান ভুল ক্ষমা করবেন
বাংলার পথে(পর্ব ১৬) -- বান্দরবানের ৬টি স্পট হয়ে জাদিপাই, ক
বাংলার পথে(পর্ব ১৭) -- বান্দরবান টু জাদিপাই, খ