হামহাম ঝর্না , পানি একেবারেই নাই , ঝর্ণাটা ২ ধাপ , অর্থাৎ মাঝখানে দাড়াতে পারবেন । ডানপাশে দিয়ে গুহার মত আছে , বেশ অন্ধকার ।
পানি নোংরা তাই আর নামি নাই
আবার চূড়ায় ওঠার পালা , হামহাম এর উচ্চতা মাধবকুণ্ড এর ঝর্না থেকে বেশি , , রাস্তা খুব রিস্কি , আর পাথরের পাহাড় , পিচ্চিল অনেক ,
উপর থেকে নিচে
ছোট একটা দোকান , চা বিস্কুট চিপস
*** দয়া করে পরিবেশ নোংরা করবেন না
আবার ফেরার পালা
ফুয়েল শেষ
মোকাম টিলা , রিস্কি তবে এখন অবস্থা বেশ ভালো আনু নামের এক স্থানীয় লোক নিজ উদ্যোগে কাজ করছে
উপর থেকে
নিচে থেকে
টিলা থেকে নামলেই আনু মিয়ার দোকান , চাইলে এখানে রাতে থাকতে পারেন , তবে লোকটা একটু চালাক বেশি , ( গোপন কথা , আনু মিয়া আবার ____ ও বিক্রি করে )
এই সেই আনু মিয়া
পেছন থেকে আসা ঝর্নার পানি গরিয়ে সামনে বিরাট খালের মত
বাঁদরের শূন্যতা পূরণের প্রয়াশ
লড়বরে পরলে একসাথে
আরও একটি
আবার বেশ খানিক পথ সমতল
সাঁকোই সাঁকো
পুরো পথের সবচেয়ে বিপদজনক সাঁকো , ছবিটা ভালো মত তুলতে পারি নাই , সাঁকোর দুপাশে দাঁড়ানোর পর্যাপ্ত জায়গা নেই , আর একধারে কিছু নেই , আরেক ধারে পাহাড় , , আর নিচে খাঁদ পরলে বাঁচন নাই
গাইড চাচা
প্রায় শেষের পথে
আহা ! শেষ , , ভালো লাগছে আবার মনটা বেশ খারাপ , , এত অস্থির একটা জায়গা আবার কবে না কবে আসা হবে তবে আসব আবার ইনশাআল্লাহ
অনেক দিনের স্বপ্নের হামহাম জয় হল , , বেশ কষ্ট সাধ্য তবে প্রকৃতির সৌন্দর্যের কাছে কষ্টটা অনুভব করার সময় পাবেন না।
সতর্কতা --
* পরিবেশদূষণ করবেন না।
* মহিলারা গেলে ঢিলেঢালা কাপর পরবেন না ।
* সাপ জোঁক মশার জন্য সচেতনাতাই যথেষ্ট
* রাবারের স্যান্ডেল নিবেন ।
* পানি স্যালাইন বিস্কুট ও ফাস্ট এইড
* গাইড নির্বাচনে সচেতন থাকুন ।
* যার যার নিরাপত্তা তার তার , এটা কিন্তু কোন সরকারী পর্যটন কেন্দ্র না যে আনসার / পুলিশ দায়িত্তে আছে , তাই জীপ ড্রাইভার , গাইড বুঝে শুনে ঠিক করুন । কাউকে বিশ্বাসের দরকার নাই , টাকা দিবেন সার্ভিস নিবেন , সন্দেহ হলে টেকনিক করে কেটে পরবেন
* ঝর্নার উপরে ওঠা বেশ রিস্কি ।
- - সর্বোপরি মাথা ঠাণ্ডা রাখবেন ।
এই পোস্ট পড়ে একজনও যদি হামহাম দেখতে যায় , তাহলে প্রকৃতির কাছে ঋণ কিছুটা হলেও শোধ হবে ।