বাংলার পথে (পর্ব ৯ ) -- বগুড়া শহর
বাংলার পথে (পর্ব ১০ ) -- বগুড়া > ২ ( মহাস্থানগড় ,মহাস্থানগড় জাদুঘর, মানকালীর কুন্ড, জিয়ৎ কুন্ড গোবিন্দ ভিট)
বেহুলার বাসর ঘর
বগুড়া শহর থেকে ১০ কিমি উত্তরে , মহাস্থানগড় থেকে ২ কিমি দক্ষিনে । এটি বেহুলা লক্ষিন্দরের লোহার বাসর ঘর নামে পরিচিত । আনুমানিক খ্রি সপ্তম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে এটি নির্মিত । ১৭২ টি কক্ষ এবং ২৪ কোন বিশিষ্ট চৌবাচ্চা সদৃশ হাম্মামখানা রয়েছে । এটি নিয়ে একটি রূপকথা রয়েছে তা সংক্ষেপে বলছি
চম্পাই নগরে চাঁদ সদাগর নামে এক বনিক ছিল। মনসাদেবী মহাদেবকে সন্তুষ্ট করে বরপ্রাপ্ত হয়েছিল যে যদি চাঁদ সদাগর তাকে পূজা দেন তাহলে ত্রিলোকে মনসার পূজা প্রচলিত হবে ।
চাঁদ মনসা বিদ্বেষী , সে রাজি হোল না , মনসা কৌশলে চাঁদের মহাজ্ঞান হরণ করল , তার ৬ পুত্র , লোকবল বিনাস করল । তবুও চাঁদ মাথা নত করল না ।
চাঁদ ভালো দিন দেখে মধুকর নামক ১৪ টি জাহাজ সাজিয়ে বাণিজ্যে বের হল , সিংহল এর উদ্দেশে । চাঁদ সিংহল বাণিজ্য শেষ করে ফেরার পথে কালিদাহ সাগরে মনসাদেবী মহাঝড় সৃষ্টি করল এবং সবগুলো জাহাজ পানিতে তলিয়ে গেল।
চাঁদের এক পুত্র জন্ম হল নাম লক্ষিন্দর । গনক বলেছিল বাসর ঘরে লক্ষিন্দরকে সাপ কামড়াবে , , তবুও লক্ষিন্দর প্রাপ্ত বয়স্ক হলে বেহুলার সাথে তার বিয়ে ঠিক করা হয় । তাদের জন্য তৈরী করা হয় এই বাসর ঘর।
বাসর রাতে অনেক নিরাপত্তা থাকা সত্তেও মনসাদেবী সুতার আকার ধারন করে ঘরে প্রবেশ করে লক্ষিন্দরকে দংশন করে।
এরপর বেহুলা , লক্ষিন্দরের দেহ নিয়ে ভেলায় অজানা গন্তবে রউনা হয় । একসময় ভেলা নেতাই ধোপানীর ঘাটে ভিড়ে , এবং ধোপানীরে কাছে বেহুলা তার স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চাইলে , ধোপানী এক খণ্ড বাসক ডালে মন্ত্র পড়ে লক্ষিন্দরকে পুনর্জীবিত করে । বেহুলাকে নিয়ে ধোপানী শিবের নিকট উপস্থিত হলে , শিব মনসাদেবীর বিচার করে এবং চাঁদের ৬ পুত্র ও ১৪ জাহাজ ফিরিয়ে দেয় । কাহিনি শেষ , ,
হাম্মামখানা
মোহাম্মাদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম
আমার যদি ইরাম একটা পেয়াদা থাকত
আহা ! রাতের বেলাও ক্ষেত খামারি
গরু গুলান খাসা
ওল্ড ডিজে শো , ,
আরও অনেক কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল , , কিন্তু বেহুলার কাণ্ডকলাপ লিখতে গিয়ে টায়ার্ড হয়ে গেছি । ধন্যবাদ
* বগুড়া গেলে অবশ্যই পাহাড়পুর যাবেন , আমার মত বোকামি করবেনা।