কালিদাস, বায়রণ, স্যাক্স পিয়র, শেলী, বাল্মীকি, জয়দেব, রবি-ঠাকুর, বঙ্কিম ও অন্যান্য
কবিদের চোখে "ভালোবাসা" বা "প্রেম" এর সঙ্গা এই রুপ।
ভালবাসা/প্রেম বুদ্ধিবৃত্তি মূলক। প্রণয়াস্পদ ব্যক্তির গুণসকল যখন বুদ্ধি-বৃত্তি দ্বারা পরিগৃহীতা হয়
হৃদয় সেই সকল গুণে মুগ্ধ হইয়া তৎপ্রতি সমাকৃ্ষট এবৎ সঞ্চালিত হয়।
তখন সেই গুণাধারের সংসর্গ লিপ্সা এবৎ তৎপ্রতি ভক্তি জন্মে।
ইহার ফল, সহৃয়তা এবৎ পরিণামে আত্ম-বিস্মৃতি ও আত্ম-বিসর্জ্জন। ইহা রুপে(রুপ) জন্মে না--
প্রথমে, বুদ্ধি' দ্বারা গুণ-গ্রহণ, গুণ-গ্রহণের পর আসঙ্গলিপ্সা, আসঙ্গলিপ্সা সফল হইলে সংসর্গ,
সংসর্গ এর ফলে প্রণয়'--প্রণয়ে আত্ম-বিসর্জ্জন।। গুণি জনের মতে ইহাই "ভালোবাসা"।
অন্য ভালোবাসা'র ও মূল একি রকম, তবে স্নেহ এক কারণে উপস্থিত হয় না, কিন্তু সকল
কারণ-ই বুদ্ধি-বৃত্তি মূলক।বুদ্ধি-বৃত্তি মূলক কারণ-জাত, স্নেহ' ভিন্ন স্থায়ী হয় না..।
রুপজ' (রুপ) মোহ তাহা নহে। রুপ দর্শণ-জনিত যে সকল চিত্ত-বিকৃ্তি, তাহার তীক্ষনতা
পৌনঃ পুন্যে হ্রস্ব (কম) হয়। প্রত্যহই তাহার এক প্রকারই বিকাশ। গুণ- নিত্য নুতন-নুতন
ক্রিয়ায় নুতন-নুতন হইয়া প্রকাশ পায়। রুপে' ও প্রণয়' জন্মে, গুণে ও প্রণয়' জন্মে---কেন না--
উভয়ের দ্বারা আসঙ্গলিপ্সা জন্মে।
যদি উভয় একত্রিত হয় তবে প্রণয় শীগ্র জন্মে। কিন্তু এক বার
প্রণয়-সংসর্গ-ফল বদ্ধমুল হইলে রুপ' থাকা না থাকা সমান।
রুপবান' ও কুৎসিতের প্রতি স্নেহ ইহার নিত্য উদাহরণ।
ভালোবাসা'তেই মানুষের একমাত্র নির্ম্মল এবৎ অবিনশ্বর সুখ।
ভালোবাসা'ই মনুষ্যজাতির উন্নতির উপায়। মনুষ্যমাত্রে পরস্পরে ভালোবাসিলে
আর মনুষ্যকৃ্ত' অনিষ্ট পৃথিবীতে থাকিবে না।।
-----০-----
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৬