একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী কর্র্র্তৃক সংঘটিত মানবেতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যাযজ্ঞের প্রধান দোসর, অগণিত মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীর দল জামাতে ইসলামী সম্প্রতি পাকিস্তানী নাগরিক গোলাম আযমকে তাদের আমীর বানিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর সরাসরি আক্রমণ চালিয়েছে। এই গোলাম আযম একাত্তরেও জামাতে ইসলামীর আমীর ছিল। বর্বর পাকিস্তানী সৈন্যরা যখন সারা দেশ জুড়ে নির্বিচারে নিরস্ত্র জনসাধারণকে হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে আমাদের মা-বোনদের, তখন গোলাম আযম ও তার দল জামাতে ইসলামী তাদের শুধু অকুণ্ঠ সমর্থনই জানায়নি, নিজেরা উদ্যোগী হয়ে তাদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে একই ধরনের অপরাধ করেছে। কুখ্যাত পাকিস্তানী জেনারেল রাও ফরমান আলীর সঙ্গে বসে এই গোলাম আযম ঘাতক আলবদর বাহিনী তৈরি করেছিল এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা প্রণয়ন করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম থেকে গোলাম আযম তার বিরোধিতা করেছে, বলেছে, ‘কোন ভাল মুসলমানই বাংলাদেশ আন্দোলনের সমর্থন হতে পারে না।’ মুক্তিযোদ্ধাদের তারা বলেছে, ‘দুষ্কৃতকারী’, ‘জারজ সন্তান’ আর নিজেদের বলেছে ‘পাকিস্তান প্রেমিক।’ এই পাকিস্তান প্রেমের কারণে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পরও গোলাম আযম বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তানে এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ‘পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি’ গঠনের মাধ্যমে। ১৯৭৮ সালে অসুস্থ মাকে দেখার অজুহাতে পাকিস্তানের একান্ত অনুগত নাগরিক গোলাম আযম বাংলাদেশে এসে একাত্তরের হিংস্র থাবা বিস্তার করেছে জামাতে ইসলামকে পুনর্গঠিত করার মাধ্যমে। একাত্তরের ঘাতকদের ঐক্যবদ্ধ করে ’৮১ সালের ২৮ মার্চ প্রকাশ্য সাংবাদিক সম্মেলনে তারা সদম্ভে ঘোষণা করেছেÑ’১৯৭১ সালে আমরা যা করেছি ঠিকই করেছি’ এবং ‘একাত্তরে বাংলাদেশের কনসেপ্ট ঠিক ছিল না।’ এই কথা বলে তারা অবিরাম হামলা চালিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির উপর। গত বারো বছরে তারা শত শত ছাত্র, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা করেছে। কাউকে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে, কাউকে পাথর দিয়ে মাথা গুঁড়িয়ে, কাউকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে, কারো হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকাদের পর্যন্ত শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে এবং এসবই তারা করেছে ইসলামের দোহাই দিয়ে।
অতীতে আমরা লক্ষ্য করেছি যে সব সরকার ক্ষমতায় ছিল তারা সকলেই একাত্তরের ঘাতক ও দালালদের প্রতি কম বেশি নমনীয় আচরণ প্রদর্শন করেছে। ১৯৭৩ সালে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দালাল আইনে আটক জামাতী ও অন্যান্যদের মুক্তি প্রদানের মাধ্যমে, ১৯৭৬ সালে পিপিআর জারি করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাতে ইসলামকে রাজনৈতিক দল করার বৈধতা প্রদান করে, ১৯৭৯ সালে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও পাকিস্তানী নাগরিক ঘাতক গোলাম আজমকে দেশ থেকে বহিষ্কার না করে এবং পরবর্তী পর্যায়ে একের পর এক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার পরও জামাতীদের বিচার না করে, দেশের বিভিন্ন স্থানে জামাতীদের সশস্ত্র ট্রেনিং গ্রহণ ও বিভিন্ন অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতার কথা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরও কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে জামাতীদের আজকের অবস্থানে আনা হয়েছে।
গত বারো বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে কোটি টাকা সংগ্রহ করে জামাতীরা নাৎসী কায়দায় তাদের সংগঠন গড়ে তুলছে। তারা তাদের কর্মীদের সুপরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনীসমূহে ঢুকিয়ে দিচ্ছে, সরকারী, আধা-সরকারী সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্যাংক ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থায় জামাতী কর্মীরা ঘূণপোকার মতো ঘাপটি মেরে বসে কুরে কুরে খাচ্ছে স্বাধীনতার যাবতীয় অর্জনসমূহ। যেখানে সুযোগ পাচ্ছে ভেঙে ফেলছে শহীদ মিনার, হামলা চালাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির উপর, গুঁড়িয়ে দিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের নিদর্শনগুলো। বৃহত্তর চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা জেলায় তাদের সশস্ত্র ক্যাডাররা স্থানীয় জনসাধারণের জানমালের জন্য বিরাট হুমকি হয়ে বিচরণ করছে। আরাকান সীমান্তে বর্মী সামরিক জান্তা সৃষ্ট গোলযোগের সুযোগ গ্রহণ করে তাদের সশস্ত্র বাহিনী আমাদের সার্বভৌমত্ব বিরোধী এক সুদূরপ্রসারী চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।
ধর্মকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে যে জামাতের জন্ম হয়েছিল বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায়, পাকিস্তান আন্দোলনকে ‘কুফরি’ বলে যারা পাকিস্তানের রক্ষক সেজে বসেছিল, ইসলামের নাম করে যারা একাত্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হত্যা করেছে, তাদের মোনাফেকির স্বরূপ সচেতন দেশবাসীর অজানা নয়। জামাতের জন্মলগ্ন থেকেই উপমহাদেশের বিশিষ্ট আলেমরা তাদের ধর্মের নামে ভন্ডামীর মুখোশ উন্মোচন করে চলেছেন। যে জামাত জন্মলগ্নে ঘোষণা দিয়েছিল তারা হিটলারের নাৎসীবাদ ও মুসোলিনির ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করে তারাই গণতন্ত্রের মুখোশ পরে আমাদের জাতীয় সংসদে গিয়ে বসেছে। গোটা দেশকে তারা বিক্রি করে দিতে চলেছে সাম্রাজ্যবাদী ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজতন্ত্রীদের কাছে, গোটা দেশে কায়েম করতে চায় একাত্তরের মতো এক ভয়াবহ পরিস্থিতি যা কিনা তাদের ভাষায় ‘প্রকৃত ইসলামী ব্যবস্থা’। আজ সময় এসেছে এই ফ্যাসিস্ট ঘাতকদের দলকে বাংলার মাটি থেকে চিরতরে নির্মূল করার। সময় এসেছে পাক সামরিক জান্তার পদলেহী কুকুর জল্লাদ গোলাম আযমকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়ন করার। যারা বলে মুক্তিযুদ্ধের বিশ বছর পর এইসব কথা বলা ঠিক নয়, যারা বলে গোলাম আযমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার রয়েছে এবং যারা ঘাতক ও দালালদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তাদের আমরা চিহ্নিত করতে চাই নব্য রাজাকার হিসেবে।
আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীবৃন্দ এই মর্মে ঘোষণা করছি, বেআইনীভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানী নাগরিক গোলাম আযমকে যদি অবিলম্বে দেশ থেকে বহিষ্কার করা না হয় তাহলে আগামী ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ২১তম বার্ষিকীর দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশিষ্ট নাগরিক ও আইনজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত প্রকাশ্য গণ আদালতে গোলাম আযমের বিচার হবে। যেহেতু গোলাম আযম অপরাধ করেছে এদেশের সমগ্র জনগণের কাছে সেহেতু গণআদালতই হবে এই ঘৃণিত ব্যক্তির বিচারের উপযুক্ত স্থান। এই গণআদালতেই পর্যায়ক্রমে বিচার করা হবে ’৭১-এর সকল ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধীদের। একই সঙ্গে আমরা দাবী জানাচ্ছি একাত্তরের ঘাতকদের দল যারা এখনও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে সেই জামাতে ইসলামীসহ ধর্ম ব্যবসায়ীদের সকল রাজনৈতিক দল অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। পৃথিবীর কোন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের, চিহ্নিত ঘাতকদের রাজনৈতিক অধিকার নেই। হিটলারের নাৎসী বাহিনীর দোসরদের আজও খোঁজা হচ্ছে বিচারের জন্য, তাদের কোথাও ভোটাধিকার পর্যন্ত নেই। ঘাতকদের নির্মূল করার লক্ষ্যে আমরা শুরু করতে যাচ্ছি মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়। আমরা মনে করি স্বাধীনতার শত্রুরা যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের মাটিতে বিচরণ করবে ততদিন পর্যন্ত একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আমরা দাঁড়াতে পারবো না। আমাদের কোন উন্নয়ন কার্যক্রমই সফল হবে না। এ কারণেই স্বাধীনতার শত্রুদের নির্মূল করার লক্ষ্যে আমাদের মুক্তি সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। শুধুমাত্র একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দলমত নির্বিশেষে সকলকে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যারা মশালের মতো বহন করে এগিয়ে যাবে, বর্তমান প্রজন্মের সেই প্রতিনিধিদের সমম্বয়ে গঠিত হবে উক্ত গণআদালত প্রস্তুতি কমিটি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলসমূহকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে বা সংসদে আলাপ-আলোচনা করে ফ্যাসিস্ট গোলাম আযম ও জামাতে ইসলামীকে কিছু করা যাবে না। যেভাবে স্বৈরাচারী এরশাদকে হটাবার জন্য আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমেছিলেন, ঠিক একইভাবে আসুন আমরা সকলে মিলে স্বাধীনতা বিরোধী, ধর্ম ব্যবসায়ী, গণহত্যাকারী ও চক্রান্তকারীদের দল জামাতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সর্বত্র কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
স্বাক্ষরদাতা : বেগম সুফিয়া কামাল, শওকত ওসমান, লেঃ কর্ণেল (অবঃ) কাজী নূর-উজ্জামান, সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, মেজর জেনারেল (অবঃ) সি আর দত্ত, এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) সদরুদ্দীন, জাহানারা ইমাম, সরদার ফজলুল করিম, শামসুর রাহমান, কাইয়ুম চৌধুরী, মওলানা আবদুল আউয়াল, ডঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হাশেম খান, ডঃ বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, ডঃ আহমদ শরীফ, ডঃ আনিসুজ্জামান, পান্না কায়সার, মমতাজউদ্দীন আহমদ, মামুনুর রশীদ, সৈয়দ হাসান ইমাম, লায়লা হাসান, ডঃ পূরবী দত্ত, রফিকুন নবী, আজিজ মেহের, ডঃ হুমায়ূন আহমেদ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, বিনোদ দাশ গুপ্ত, ডঃ জহিরুল হক, মোহাম্মদ আবু জাফর, কলিম শরাফী, হায়াৎ মামুদ, শফি আহমেদ, মনসুর মুসা, ডঃ মেঘনা গুহঠাকুরতা, কর্ণেল (অবঃ) নূরুল হুদা, মেজর (অবঃ) বজলে রশীদ, ফ্লাইট লেঃ (অবঃ) ইকবাল রশীদ, মেজর (অবঃ) সৈয়দ মিজানুর রহমান, মেজর (অবঃ) সৈয়দ মুজিবর রহমান, কর্ণেল (অবঃ) নজরুল ইসলাম ভূইয়া, জারিনা রহমান খান, ফতেহ আলী চৌধুরী, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, শাহরিয়ার কবির, আতোয়ার রহমান, হাবীবুল আলম, বেগম মুশতারী শফি, আনু মোহাম্মদ, নঈম জাহাঙ্গীর, আল আমীন, মঈনুল আহসান সাবের, ইমদাদুল হক মিলন, জাকারিয়া হাবীব, মেজর (অবঃ) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, হারুন হাবীব, মফিদুল হক, সাইদুল হক মিলন, আহমেদ মুসা, নূর আহমদ বকুল, নাজমুল হক প্রধান, শাফী আহমেদ, সৈয়দ জাহাঙ্গীর, ইয়াসিনুর রহমান, সেলিম ওমরাও খান, আসিফ নজরুল, শামসুল ইসলাম, আলী যাকের, আসাদুজ্জামান নূর, মাসুক হেলাল, মোস্তাক হোসেন।
দ্বিতীয় পর্যায়ের স্বাক্ষরদাতা (২২/১/৯২) : অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক সালাউদ্দীন আহমদ, স্থপতি মাজহারুল ইসলাম, এডভোকেট গাজীউল হক, বদরুদ্দীন উমর, ডঃ নীলিমা ইব্রাহিম, মেহের কবীর, সানজিদা খাতুন, রামেন্দু মজুমদার, আবুল হাসনাত, আতোয়ার রহমান, অধ্যাপিকা শামসুন নাহার ইসলাম, হাসনা হেনা কাদের, মেজর (অবঃ) ওয়াকার হাসান বীর প্রতীক, ফেরদৌসী মজুমদার, ডঃ মুনতাসীর মামুন, আবুল বারক আলভী, সুলতানা কামাল, চিন্ময় মুৎসুদ্দী, মেজর (অবঃ) গোলাম মওলা, সাইদা কামাল, আয়শা খানম, মাহমুদ শফিক, নাসিমা হক, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শিমুল ইউসুফ, চন্দন সরকার, মোর্শেদুল ইসলাম, সাগর লোহানী, তানভীর মোকাম্মেল, মানজারে হাসিন মুরাদ, এনায়েত করিম বাবুল, জাকির হোসেন রাজু, নাদিম কাদের, এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, জরিনা আহমদ মিলি, পার্থ তানভীর নোভেদ, তামান্না আহমদ, বিপুল রায়হান, রণজিৎ দাস, সাইফুউদ্দৌলা, আবদুল ওয়াদুদ, নাসিম হোসেন, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, ইকবাল হোসেন ও কামাল পাশা চৌধুরী।
জাহানারা ইমামের স্বাক্ষরে ১৯/১ ও ২২/১/৯২ তারিখে নামের এই তালিকা পত্রিকায় দেয়া হয়। তালিকায় নামের সংখ্যা ১০১ জনের বেশি হলেও নির্মূল কমিটিতে সবসময় ১০১ জনের কমিটি বলা হয়েছে। (সংগ্রহিত)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫