স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হবে। প্রতিটি যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির মাধ্যমে রায় কার্যকর করা হবে। আওয়ামী লীগ কারও সঙ্গে আঁতাত করে না, কখনো করবে না।’
আজ শনিবার ময়মনসিংহের ত্রিশাল নজরুল ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এ কথাগুলো বলেন সৈয়দ আশরাফ। তিনি আরও বলেন, যেভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার ও ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ফাঁসির রায়ও সেভাবে কার্যকর হবে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের আঁতাতের ব্যাপারে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আমি শুধু মন্ত্রী নই, আমি শুধু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নই, এই সরকারের একজন নীতিনির্ধারক। আমি বলছি, আওয়ামী লীগ জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে নাই।’ তিনি বলেন, আজকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ফাঁসির রায় কার্যকরের জন্য সারা দেশে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার, এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে।’
সমাবেশে স্থানীয় সাংসদ রেজা আলী বক্তব্য শুরু করলে সমাবেশ স্থল থেকে মঞ্চে কয়েকটি জুতা ছুড়ে মারা হয়। এ নিয়ে তখন ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও স্থানীয় সাংসদ রেজা আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী ও সাংসদ এম আমানউল্লাহ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ আলী, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ আবদুল মতিন সরকার, ময়মনসিংহের পৌর মেয়র ইকরামুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ সরকার, ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এ বি এম আনিসুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান শোভা মিয়াসহ উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
Click This Link
যারা আঁতাত করে তারাতো বলবে না আঁতাত করেছে। তবে পরপ্রেক্ষিত আমলে নিলে তা স্পষ্ট। প্রথমত শিক্ষক সংগঠন ও বামদলের আন্দোলন হরতালে পেপার স্প্রে ব্যবহার, জামাতের সহিংস আন্দোলনে নয়। অন্য দল ও সংগঠনের আন্দোলনে পুলিশ পেটায়, আর জামাতের আন্দোলনে জামাত পুলিশ পেটায়। বাচ্চু পলাতক অবস্হায় সর্বোচ্চ সাজা পায় আর কাদের বন্দী অবস্হায় যাবজ্জীবন। বাচ্চু নিরাপত্তাবাহিনীর চাদরে থকা অবস্হায়ও অলৌকিকভাবে ট্রেডমার্কা চেহারা নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওপারে চলে যায়। তারপরও আমাদের বিশ্বাস করতে হবে আঁতাত হয়নি।