somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শাহবাগ তোমাকে সালাম! শাহবাগের এই তারুণ্য, এই গণজোয়ার জেগে থাকুক দেশ ও মানুষের জন্যঃপীর হাবিবুর রহমান

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যমুনার ওপারের ছেলে মাহমুদ হাসান সাগর এমবিএ পাস করে স্বপ্ন দেখেছিলেন ব্যাংকার হবেন। ইসলামী ব্যাংকে আবেদন করেছিলেন। গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টায় লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্রও পেয়েছিলেন। নিয়েছিলেন প্রস্তুতি। শাহবাগের উত্তাল মহাসমাবেশ তাকে দ্বিধাগ্রস্ত করে দেয়। এই প্রজন্মের সন্তান সাগরের চেতনাজুড়ে মুক্তিযুদ্ধের অহঙ্কার জেগে ওঠে। এক নতুন শিহরণে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে শেষ পর্যন্ত অন্তরাত্দার ডাক শুনে তরুণ সাগর ইসলামী ব্যাংকে চাকরির মোহ ত্যাগ করে শাহবাগের মহাসমাবেশেই যোগ দিলেন। বেলা ৩টায় জনসমুদ্রের ঢেউ খেলে যাওয়া শাহবাগ স্কয়ারের মহাসমাবেশে গাইলেন রবীন্দ্রনাথের হৃদয়ছুঁয়ে যাওয়া আমাদের জাতীয় সংগীত আমার সোনার বাংলা। যারা শাহবাগ ছাড়াও জনপদে জনপদে নেমে আসা প্রতিবাদী সমাবেশে যেতে পারেননি তারা তরুণদের আহ্বানে ঘরে ঘরে টিভির সামনে দাঁড়িয়ে গেলেন। গাইলেন সবার সঙ্গে। প্রিয় জাতীয় সংগীত। এত সুন্দর আত্দায় আত্দায় গভীর বন্ধনের যে সমুদ্রের ঢেউ শাহবাগে দেখা গেল সে দৃশ্য পৃথিবীর কোনো সমুদ্রেই দেখা যায় না। শাবাশ তারুণ্য। অন্তর উজাড় করা অভিনন্দন তরুণ প্রজন্মকে। শাহবাগ তোমাকে সালাম। তোমাকে ঘিরে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গভীর দেশপ্রেম নিয়ে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তির যে গণজোয়ার ঘটেছে তার নেতৃত্ব দিয়েছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। এই তারুণ্যের ডাকে কাল শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যে মহাসমাবেশ ঘটে গেছে তা অভূতপূর্ব। বিস্ময়কর। ইতিহাসের ক্যানভাসে এই গণজাগরণের দৃশ্য বেঁচে থাকবে। যে তারুণ্য এই গণজাগরণ ঘটিয়েছে, যে তরুণদের আহ্বানে কাল গোটা বাংলাদেশ আছড়ে পড়ে জনসমুদ্রের ঢেউ তুলেছিল শাহবাগ স্কয়ারে, সেই তরুণরা নির্লোভ, নিরহঙ্কারী এক সাহসী প্রজন্ম। তারা ভালোবেসেছে এই দেশ, মাটি ও মানুষকে। বিশ্ব অবাক হয়ে দেখেছে কীভাবে '৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসি চাইতে জাতিকে তারা এক সুতোয় বেঁধেছিল। কীভাবে ৪২ বছর পর জনসমুদ্রে ঢেউ তুলে 'জয় বাংলা', 'জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগানে সবাই কণ্ঠ ছেড়ে জেগে উঠেছে। কেমন করে জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্লোগান তোলা তারুণ্যের সঙ্গে লাখো মানুষের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই মধুর স্লোগান_ 'তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা, মেঘনা, যমুনা'। একটি জাতিকে এক সুতোয় বেঁধে '৭১-এর ৭ মার্চ শাহবাগ স্কয়ারের অনতিদূরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেখ মুজিব ডাক দিয়েছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের। গতকাল শাহবাগের উত্তাল জনসমুদ্র এক কণ্ঠে স্লোগান তুলেছে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই। জাতির যে সন্তান '৭১-এ রণাঙ্গনে শহীদ হয়েছিল পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে লড়তে, তার আত্দা কাল শান্তি পেয়েছে। যে মা, যে বোন পাক হানাদার বাহিনী ও তার দোসরদের কাছে সেই মহান যুদ্ধের দিনগুলোতে সম্ভ্রম হারিয়েছেন, যে সন্তান '৭১-এ তার পিতাকে হারিয়েছেন, যে মা হারিয়েছেন তার প্রিয়তম স্বামী ও সন্তানকে; গতকালের শাহবাগ তাদের হয়ে কথা বলেছে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে এক মন এক আত্দায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে সমবেত লাখো মানুষের সঙ্গে সারা দেশে রাজপথে নেমে আসা মানুষেরা জানিয়ে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বড় শিক্ষাই হলো প্রতিবাদমুখর জাতি আত্দবিস্মৃত হয়নি। এই তারুণ্যের গণজোয়ার দেখিয়ে দিয়েছে কোনো দল বা ব্যক্তির প্রতি আনুগত্য বড় নয়, দেশ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতাই বড়। এই লাখো মানুষের জনসমুদ্রে দিনরাত ছুটে আসা বানের সে াতের মতো মানুষ বড় বড় দল কী ভাবছে, সরকার ও বিরোধী দলের সিদ্ধান্ত কী; তা আমলেই নেয়নি। তাদের অন্তরাত্দা যা বলেছে তারা তা-ই শুনেছে। তা-ই বলেছে। তারা তাদের অন্তরাত্দার ডাক শুনে বিবেকের দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্দার ক্রন্দন শুনে ছুটে এসেছে। এই নির্ভীক দেশপ্রেমিক মানুষেরা মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে ঘাতকের ফাঁসির দাবিই জানায়নি, তারা '৭১-এর মতো গভীর সহমর্মিতায় খাবার ভাগাভাগি করে খেয়েছে। পানি পান করেছে। মুক্তিযুদ্ধের মতোই যে যার মতো এখানে খাবার ও পানি সরবরাহ করে ফের জানিয়ে দিয়েছে বাঙালি শুধু পরাজয়-পরাভব মানে না। বিজয়ের আনন্দে উল্লাস করতেই জানে না। বুকের ভেতর আগুন নিয়ে প্রতিবাদের ঝড়ই তোলে না, মানুষের পাশে গভীর হৃদ্যতা নিয়ে দাঁড়াতেও জানে। দেশের অনেক রাজনীতিবিদ সেখানে গিয়ে আমল পাননি। অনেকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা '৭১-এর স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ না করার গ্লানি ও অপরাধ বহন করার কারণে শাহবাগ স্কয়ারমুখী হতে পারেননি।

২. '৭১-এ যে বুদ্ধিজীবীদের পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে তাদের দোসর আলবদররা তুলে দিয়েছিল, জাতির যে মেধাবী সন্তানদের হাত-পা বেঁধে হানাদার বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল সেই বুদ্ধিজীবীদের পরিবার-পরিজন অবাক বিস্ময়ে দেখেছে জাতির এ-কালের প্রিয় প্রজন্ম কী গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তিতেই না তাদের ভালোবেসেছে। '৭১-এ রণাঙ্গনে যে বীর যোদ্ধা শহীদ হয়েছেন তাদের স্বজনদের সঙ্গে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধারা গৌরবের সঙ্গে দেখেছেন তাদের অবদান আমাদের সন্তানরা ভুলেনি। এই গণজোয়ারের পেছনে কোনো বাম রাজনৈতিক শক্তির সাংগঠনিক ক্যারিশমা ছিল না। এই গণজাগরণের নেপথ্যে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী উপমহাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কোনো সাংগঠনিক তৎপরতা ছিল না। তবুও সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুকের কল্যাণে এই প্রজন্মের তরুণেরা তাদের পূর্বসূরিদের গৌরবের প্রতি, রক্তে ভেজা ইতিহাসের প্রতি অদমনীয় আবেগ-ভালোবাসা থেকে শুধু ঘাতকের বিরুদ্ধে নিন্দা ও ক্ষোভ থেকে শাহবাগ স্কয়ারে মোমবাতি জ্বালিয়ে যে যাত্রা শুরু করেছিল তা মুহূর্তের মধ্যে জাতিকে ভিসুভিয়াসের মতো জ্বালিয়ে দিয়েছে। এই গণজাগরণ থেকে দেশের সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে শিক্ষা নেওয়ার এখনই সময়। আর এই শাহবাগ স্কয়ারের তারুণ্যকে সজাগ-সতর্ক থাকতে হবে এখানে যেন হঠকারিতা প্রবেশ না করে। এই গণজাগরণ যেন কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে ছিনতাই হয়ে না যায়।

৩. শাহবাগ স্কয়ারের উত্তাল গণজোয়ার সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার মধ্য দিয়ে জাতিকে যেভাবে এক সুতোয় বেঁধেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, নামিয়েছে রাস্তায়, এই অবিস্মরণীয় গণজাগরণের চিত্র দেখে আমাদের শাসকশ্রেণীকে যেমন ভাবতে হবে জনগণের শক্তির চেয়ে বড় শক্তি নেই। আর জনগণের ভাষার চেয়ে কোনো ভাষা বড় হতে পারে না। জনগণের ভাষা ও বুকের ভেতর থেকে উঠে আসা গর্জন উপলব্ধি করলে তারা বুঝতে পারবেন এই জাতি তার স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের সঙ্গে ক্ষমতাবাজির কোনো প্রকাশ্য বা চোরাপথের অাঁতাত মানবে না। শাহবাগের উত্তাল গণজোয়ার থেকে গণমানুষ কারও বিরুদ্ধে কোনো সংগ্রামের ডাক দেয়নি। এই গণজোয়ার থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে সংসদে যোগদানের মাধ্যমে যদি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চরিত্র উজ্জ্বল বর্ণময় করতে না পারে তাহলে শুধু সরকারবিরোধী গণঅসন্তোষ কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে লাভের পাল্লা ভারী করতে পারবে না। একই ভাবে সরকারি দল আওয়ামী লীগকে শিক্ষা নিতে হবে তাদের সরকারের শরিক দলের নেতা-কর্মীরা ৪১ বছর ধরে 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগান উচ্চারণ না করলেও শাহবাগ স্কয়ারের মহাসমুদ্র থেকে ঢেউয়ের মতো এই প্রজন্ম সেই মধুর স্লোগানগুলো উচ্চারিত করেছে। এই স্লোগান কোনো ব্যক্তি বা দলের স্লোগান নয়। এই স্লোগান ছিল আমাদের ইতিহাসের সে াতস্বিনী নদীর মতো বহমান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে জাতির রক্তে নাচন ধরানো স্লোগান। শাহবাগ স্কয়ারের মহাসমাবেশে আসা মানুষকে ভাড়া করা ট্রাক-বাসে করে আনতে হয়নি। সবাই এসেছিল স্বতঃস্ফূর্তভাবে যেমন করে তাদের পূর্বসূরিরা মা-বাবাকে ঘুমের মধ্যে রেখে দেশের মাটিকে হানাদারমুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধে ছুটে গিয়েছিলেন। এভাবেই তারা '৯০ সালে গণতন্ত্রের সংগ্রামে রাজপথ উত্তাল করেছিলেন। শাহবাগের উত্তাল গণজোয়ার দেখে সরকারপক্ষ বিভক্ত রাজনীতির কারণে যদি মনে করেন যে এই গণজোয়ার আগামীতে ব্যালট বিপ্লবে ফের তাদের অভিষিক্ত করবে নিঃশর্তভাবে শুধু যুদ্ধাপরাধীদের ইস্যুকে সামনে রেখে, তবে ভুল করবেন। এই তারুণ্য কারও ডাকে, কারও ভাড়া করা বাস-ট্রাকে শাহবাগ স্কয়ার থেকে সারা দেশে গণবিস্ফোরণ ঘটায়নি। মনের তাগিদে আবেগ-আকাঙ্ক্ষা থেকেই তাদের চারিত্রিক দৃঢ়তায় এই বিপ্লব ঘটিয়েছে। এই তারুণ্যের গণজোয়ারে শেয়ার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ৩২ লাখ বিনিয়োগকারীর কান্না ও দহন মুছে যাবে না। এই তারুণ্যের গণজোয়ারে ব্যাংক-ঋণের ইতিহাসে সংঘটিত ভয়াবহ হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনা ভুলে যাবে না। এই গণজোয়ারে ভেসে যাবে না পদ্মা কেলেঙ্কারির মতো দেশের ইমেজ ক্ষুণ্ন করা ঘটনার নেপথ্যনায়কদের নাম। এই গণজোয়ারের শাহবাগ এখন শুধু যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদী গণজোয়ারের নামই নয়। হয়ে উঠতে পারে সব অন্যায়, জুলুম, নির্যাতনের প্রতীকী মহাসমাবেশ। উত্তাল আন্দোলন। এই তারুণ্যের গণজোয়ারে সেই একুশের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার, বোমাবাজ, জঙ্গিবাদের নেপথ্যনায়কদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ ও ঘৃণামিশ্রিত মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলছে। এখানে একেকটি হাত যেন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাত। এখানে একেকটি হাত যেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর হাত। এই মহাসমাবেশ যেন সংগ্রামমুখর রাজনীতির ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ উত্তাল সে াতের বিরুদ্ধে সাঁতার কেটে আসা গণমানুষের মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমানেরই আরেকটি নাম। এই জাতিকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ, প্রতিবাদ ও গণজোয়ারে আছড়ে পড়তে তিনিই শিখিয়েছিলেন। এই সমবেত তরুণরা শিক্ষাঙ্গনে টেন্ডারবাজি, দলীয়করণ, দুর্নীতির প্রতিবাদে রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধেও যে জেগে উঠতে পারে তার আগাম বার্তা দিয়েছে। শাহবাগের এই মহাসমাবেশে কোনো নেতা নেই। প্রতিটি তরুণ ও প্রতিবাদী মানুষই একেকজন নেতা। এখানে কোনো দল নেই। এখানে দলের নাম মানুষ আর মানুষ। সরকার ও বিরোধী দলের বাইরে গণমুখী চরিত্রের কোনো নেতৃত্ব থাকলে এই গণজোয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে যেতে পারতেন। এই তারুণ্যের গণজোয়ার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন ডাকসুসহ সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিও উঠতে পারে। আমাদের ইতিহাসের সব গৌরবময় অধিকার আদায়ের সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছে ডাকসু। আজ নির্বাচিত ডাকসু থাকলে এই শাহবাগের গণজোয়ারে নেতৃত্ব তারাই দিতেন। সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে এই গণজোয়ারের চেহারা আরও উজ্জ্বল, বর্ণময় হয়ে ছড়িয়ে পড়ত। তারুণ্যের এই শক্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দল যদি শিক্ষা নেয় গণমানুষের ভাষা শোনার এবং উপলব্ধি করার, তাহলে তারাও লাভবান হবে, মানুষও স্বস্তি পাবে। তবু তরুণরা যা ঘটিয়েছে তা ইতিহাস। এই তরুণদের কাছে আবেদন, এই সাহসী প্রজন্মের কাছে বিনীত নিবেদন, যারা গ্রেনেড, বোমায় এই মাতৃভূমিকে ক্ষতবিক্ষত করেছে, মানুষ হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাইতে হবে। যারা এই দেশের গরিব মানুষের ঘামেঝরা মূলধনের টাকা শেয়ারবাজার থেকে লুটে নিয়ে গেছে, যারা প্রতিনিয়ত অব্যাহতভাবে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণের মহোৎসবে মেতে উঠেছে বা উঠেছিল তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উচ্চারণ করতে হবে। শাহবাগের এই তারুণ্য, এই গণজোয়ার জেগে থাকুক দেশ ও মানুষের জন্য।
Click This Link
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×