“Love looks not with the eyes, but with the mind,
And therefore is winged Cupid painted blind.”
মোহ, ভালবাসা, প্রেম...... অনুভূতির গভীরতা এবং প্রকাশভঙ্গি অনুসারে একই শব্দের ভিন্ন প্রতিশব্দ। মোহ ক্ষণিকের, ভালবাসা এককেন্দ্রীক, প্রেম শাশ্বত। শাশ্বত এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যায় পারিপার্শ্বিকতা অনেকের ক্ষেত্রেই অনুকূলে ছিল না...কখনও বাঁধ সমাজ, কখনও বাঁধ পরিবার আবারও কখনও বাঁধ হিসেবে ধর্মীয় সংস্কার এসে দাঁড়িয়েছিল এবং দাঁড়ায়। যা খুশি হয়ে যাক ব্যাপার না...এই তিনটার সীমারেখা টপকালেই শহীদ! বিপক্ষে যুক্তি.....সম্পর্ক নিয়ম বহির্ভূত, সংস্কৃতির অবক্ষয়। এরকম বহির্ভূত এবং অবক্ষয় তত্ত্বের পরেও কিছু কিছু মানুষ নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছেছে এবং নিজেদেরকে ইতিহাস বা সাহিত্যের পাতায় অমর করে রেখেছে। জীবন দীর্ঘস্থায়ী খুব কমজনেরই ছিল হয়ত, কিন্তু সত্যিকার প্রেমের উপাখ্যানে তারা এত যুগ পরেও অমলিন, উজ্জ্বল তারা হয়ে রয়েছে। আজ এরকম প্রেমের উপাখ্যানের ঐতিহাসিক যুগল বাস্তবের বাজিরাও-মাস্তানি এবং সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র বাজিরাও-মাস্তানি নিয়ে আলোচনা করব।
বাস্তবের বাজিরাও, মাস্তানি, কাশীবাঈ এবং তাদের পরিবারের সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য:
শ্রীমন্ত বাজিরাও বল্লাল বাল্লাজি ভাট মারাঠি ছিটপাভান ব্রাহ্মণ সমাজে ভাট পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৭০০ সালে। তার পিতা বালাজি বিশ্বনাথও মারাঠি সাম্রাজ্যের অধিপতি ছত্রপতি সাহুজি ভোঁসলের পেশওয়া ছিলেন। পেশওয়ারা মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছিল এবং রাজা তাদের প্রতীকী প্রধান শাসনকর্তা হিসেবে থাকলেও, কার্যনির্বাহী শাসনকর্তা এই পেশওয়ারাই হত। বাজিরাও এর মায়ের নাম রাধাবাঈ যার গুরুত্ব বাজিরাও এর পরবর্তী জীবনে অপরিসীম। বাজিরাও তার পিতার সান্নিধ্যে এসে রণকৌশল এবং রাজনীতিতে সুদ্ক্ষ হয়ে উঠেছিলেন। পিতা বালাজি, দামাজি থোরাটের কাছে বন্দি হয়ে যান ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে, যদিও পরবর্তীতে তাকে মুক্ত করা হয়েছিল অর্থের বিনিময়ে। বিশ্বনাথের মৃত্যুর পর ১৭২০ সালে বড় পুত্র বাজিরাও এর কাছে পেশওয়া-র দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল। ভাট পরিবারের ৯ জন পেশওয়া-র মধ্যে বাজিরাও অন্যতম ছিলেন। বলা হয়ে থাকে যে, তিনি তার ২০ বছরের শাসনামলে প্রায় ৪১ টি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং অপরাজেয় ছিলেন আমৃত্যু। বাজিরাও এর অল্প বয়সে পেশওয়া পদে আসীন হওয়ার ঘটনা রাজদরবারের অনেকেই ভালভাবে মেনে নিতে পেরেছিলেন না এবং পরবর্তীতে তার ব্যাক্তিগত জীবনের কিছুটা প্রভাব রাজনীতিক দিকেও পড়েছিল।
শ্রীমন্ত বাজিরাও বল্লাল বাল্লাজি ভাট
মহান যোদ্ধা, পেশওয়া বাজিরাও এর প্রথম স্ত্রী ছিলেন কাশীবাঈ। পতিব্রতা হিসেবে এবং পেশওয়া পরিবারের প্রভাবশালী সদস্যা হিসেবে তার গুরুত্ব অপরিসীম। কাশীবাঈয়ের দুই পুত্র নানাসাহেব (বালাজি বাজি রাও) এবং রাঘুনাথরাও। বাজিরাওয়ের মৃত্যুর পরে নানাসাহেব পেশওয়া পদ লাভ করেছিল। বাজিরাওয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী মাস্তানি, বুন্দেল রাজপুত পরিবারের জন্মগ্রহণ করেছিল। বুন্দেলখণ্ডের মহারাজা ছত্রশাল এবং তার মুসলিম পত্নী রূহানীবাঈয়ের কন্যা ছিল মাস্তানি। সে হিসেবে মাস্তানি অর্ধ মুসলিম ছিল। ঘোড়-সওয়ারি এবং যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী ছিল মাস্তানি। মুঘলদের একাংশ বুন্দেলখণ্ড দখল করতে আসলে রাজা ছত্রশাল বাজিরাওয়ের কাছে সাহায্য চেয়ে পাঠায়। বাজিরাও মুঘল আক্রমণের হাত থেকে বুন্দেলখণ্ডকে মুক্ত করে এবং এই কৃতজ্ঞতার দরুণ মহারাজা ছত্রশাল মাস্তানির সাথে বাজিরাও এর বিয়ে এবং ঝাঁসি, সগর এবং কল্পি রাজ্য হস্তান্তর করে। এ বাদে বাজিরাওকে সে তৎকালীন ৩৩ লাখ স্বর্ণমুদ্রা, একটি হীরার খনি এবং বেশ কিছু গ্রামও দিয়েছিল। অর্ধ মুসলিম হওয়ার কারণে মারাঠা গোঁড়া সমাজ মাস্তানিকে বাজিরাও এর দ্বিতীয় বৈধ পত্নীর আসন কখনও দেয়নি, উপপত্নী বলে থাকে তারা। কিন্তু মাস্তানি বাজিরাও এর বৈধ স্ত্রী ছিল। তাদের একমাত্র ছেলে শামসের বাহাদুর পরবর্তীতে কাশীবাঈয়ের অধীনে মানুষ হয়েছিল এবং মারাঠাদের হয়ে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে অংশ নিয়ে নিহত হয়েছিল। মাস্তানি বিবাহের পরবর্তীতে বাজিরাওয়ের ‘শনিবার ওয়ারা’ তে আসলেও পরবর্তীতে ‘মাস্তানিমহল’ এ স্থানান্তর করা হয় তাকে। ১৭৪০ সালে বাজিরাও এর মৃত্যুর পর পরই ইতিহাসের একটি ছোট্ট অংশের এই প্রেমিকাটিও জীবন সমর্পণ করেছিল নিজের। কেউ কেউ বলে আত্মহত্যা করেছিল সে বাজিরাও এর মৃত্যুর কথা শুনে ১৫৮ টা লাল মরিচ খেয়ে, কেউ কেউ বলে নিজের আংটিতে রাখা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছিল সে, আবার কারও মতে বাজিরাও এর জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ দিয়ে সে বাজিরাও এর পরকালের সঙ্গী হয়েছিল। সত্যিকারের ঘটনার কোন নথিপত্র নেই, লোকমুখে প্রচলিত হয়ে আসছে এগুলো বছরের পর বছর ধরে। তার কবর এখনও পাবালে রয়েছে যাকে ‘মাস্তানি সমাধি’ বলে থাকে সবাই।
বাস্তবের মাস্তানি
বাস্তবের নানাসাহেব বালাজি রাও (বাজিরাও এর বড় পুত্র এবং বাজিরাও পরবর্তী পেশওয়া)
বাজিরাও এর দ্বিতীয় পুত্র রঘুনাথরাও
বাজিরাও এবং মাস্তানির একমাত্র পুত্র শামসের বাহাদুর
মাস্তানি মহল
মাস্তানির সমাধি
বানশালীর বাজিরাও-মাস্তানি:
সিনেমা শুরু হয় ছত্রপতি সাহুর মন্ত্রীসভায় নতুন পেশওয়ার নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে। দক্ষ রণকৌশলী এবং রাজনীতিতে সুচতুর বাজিরাও বল্লাল নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে পেশওয়া পদে অধিষ্ঠিত হয়। শ্রীমন্ত বাজিরাও বল্লাল বাল্লাজি ভাট......সাধারণের কাছে... ‘রাউ’। সুকৌশলী এই যোদ্ধা পেশওয়া পদ প্রাপ্তির পর পর বের হয়ে পড়ে যুদ্ধে...পথে বুন্দেলখণ্ডের সীমানায় ঘাঁটি তৈরি করে। এদিকে বুন্দেলখণ্ডের রাজা ছত্রশাল তার সৈনিকের মাধ্যমে বাজিরাও এর কাছে সাহায্য চেয়ে লোক পাঠায়...মুঘলদের আক্রমণ থেকে রাজ্যকে রক্ষা করতে। বাজিরাও প্রথমে সেখানে যেতে আপত্তি করলেও, পরবর্তীতে রাজি হয়ে যায় বার্তাবাহক সৈনিকের কারণে। এই বার্তাবাহক, সুকৌশলী যোদ্ধা আর কেউ না বরং, ছত্রশাল মহারাজার কন্যা মাস্তানি। অবশেষে বাজিরাওয়ের দক্ষ রণনীতিতে বুন্দেলখণ্ড শত্রুশিবিরের কবল থেকে মুক্ত হয়।যুদ্ধের এক পর্যায়ে মাস্তানি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রক্ষাকর্তা বাজিরাও এর জীবন রক্ষা করে। বুন্দেলখণ্ডে আশ্রয়কালে তাদের মধ্যে এক গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে সবার এবং নিজেদের অজান্তেই। হিন্দু রাজা এবং মুসলিম মায়ের সন্তান মাস্তানি মারাঠা গোঁড়া ব্রাহ্মণ বাজিরাও এর প্রণয়পাশে আবদ্ধ হয়। এবং বুন্দেলখণ্ডের নিয়ম অনুসারে তার কাছে রেখে যাওয়া বাজিরাও এর কাটারা (ছুরির ) সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় সে। এদিকে ইতিপূর্বে বিবাহিত বাজিরাও এর প্রথম স্ত্রী কাশীবাঈ এসবের ব্যাপারে সম্পূর্ণ অজানা থেকে যায়। বাজিরাও এর যুদ্ধ থেকে ফিরে আসার পরে বুন্দেলখণ্ড থেকে আসা উপঢৌকনের সাথে মাস্তানি, বাজিরাও এর পেশওয়া হওয়ার পরে পুনেতে স্থানান্তরকৃত রাজধানী এবং আবাসস্থল ‘শনিবার ওয়ারা’ তে এসে পৌঁছায়। কিন্তু...এরপরে কিন্তুটা থেকে যাক। বাজিরাও-মাস্তানির প্রেমের উপাখ্যানটা দেখে নেয়ার জন্যই থাকুক। গোঁড়া হিন্দু মারাঠা সমাজ মাস্তানিকে কি মেনে নেয়? কি হয় তাদের সম্পর্কের? কাশীবাঈয়ের ভূমিকা কি দাঁড়ায় শেষপর্যন্ত? মেনে নিতে পারে কি পরম পূজ্য স্বামীর অন্য একটি প্রেমের সম্পর্ক?
সিনেমার গল্প... রূপকথার মত নয়...এক ছিল রাজা, এক ছিল রাণী.....দৈত্য, দানব, রাক্ষস খোক্কসের আগমন এবং বধের পর অবশেষে রাজা এবং রাণী সুখে বসবাস করতে লাগলো। উহু...সব রাজা-রাণী এত ভাগ্য করে আসে না হয়ত। রক্ত মাংসের দৈত্যের থেকে সামাজিক কুসংস্কার যে আরও ভয়াবহ দৈত্য হয়, যুগ যুগ ধরে সেটা শুধু হৃষ্টপুষ্টই হয়, নিহত নয়। গত বছরে অথবা এই বছরের শুরুর দিকে প্রথম বাজিরাও-মাস্তানির ট্রেইলার দেখেছিলাম......বলিউডের সিনেমা এখন অনেক কারণে দেখতে ইচ্ছা করে না, তার মধ্যে গাঁজাখোরি গল্প, মাথাবিহীন প্লট মুখ্য। কিন্তু এই সিনেমার ট্রেইলার দেখে মন বেঁধেই নিয়েছিলাম, কোনক্রমেই মিস করবো না। প্রথম কারণ, সঞ্জয় লীলা বানশালী মহাশয় নিজেই... দ্বিতীয় কারণ, ইতিহাস নির্ভর সিনেমা। বাজিরাও-মাস্তানির নাম অনেক শুনেছিলাম। বিভিন্ন চ্যানেলে শিরি-ফরহাদ, সোনি-মাহিওয়াল এগুলোর সাথে ভারতীয়রা বাজিরাও-মাস্তানিকেও উল্লেখ করে থাকে মাঝে মাঝে...এই সূত্রে নাম আগে থেকেই চিনতাম। বানশালী মহাশয়ের চরম ভক্ত আমি, বলতে দ্বিধা নেই...খামোশি, হাম দিল দে চুকে সনম, ব্ল্যাক প্রভৃতি কতবার যে দেখেছি হিসাব নাই, কিন্তু গত বেশ কিছু সিনেমাতে এই মানুষটার সিনেমা দেখে প্রচণ্ড পরিমাণে মেজাজ খারাপ হয়েছে...হয়ত এক্সপেক্টেশন একটু বেশিই ছিল। কিন্তু এবার নিরাশ করেনি, পূর্বের বানশালী ইজ ব্যাক ইন বাজিরাও মাস্তানি !! প্রথমত, গল্প বলার ধরণ: ইউনিক, ইতিহাসের সাথে প্রেমের উপাখ্যানকে সাবলীলভাবে ব্যক্ত করার ধরণ এবং অলঙ্করণ, দ্বিতীয়ত, বিপুল বাজেটের উপযোগিতা: আয়নামহল থেকে শনিবার ওয়ারা সবকিছু চোখে থাকবে বেশ কয়েকদিন, গাড়ি ভাঙ্গা আর অযাচিত ধুন্ধুমার ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ছাড়া যে একটা মনোমুগ্ধকর সিনেমা বানানো যেতে পারে, এটা বানশালী আরও একবার দেখিয়েছেন এবং তৃতীয়ত, অভিনয় ও সংলাপ : রানভীর সিংকে কোন সিনেমাতে আজ পর্যন্ত ভালো লাগেনি, ছ্যাঁচড়ার অভিনয় ছাড়া কোনকিছুর আশেপাশেও যেন যেতে চায় না...প্রথমবারের জন্য বাজিরাও এর চরিত্রে এই সিনেমাতে আমার তাকে সেই পর্যায়ের ভালো লেগেছে। এরপর আসে মাস্তানি দীপিকা...মাস্তানি ব্যাক্তিগতভাবে কিরকম ছিল জানিনা, তবে এই মাস্তানি মেলাদিন পর্যন্ত দর্শকের মনে থাকবে, ম্লান হবে না। কাশীবাঈয়ের অভিনয় অংশ আর বাকি দুজনের তুলনায় কিছুটা ক্ষণস্থায়ী হলেও...আমার কাছে এই চরিত্রটাকে Cherry on the cake মনে হয়েছে...কাশীবাঈয়ের চরিত্রে প্রিয়াঙ্কা অসাধারণ. আর ব্যাক্তিগতভাবে আমি বাজিরাও এর মা রাধাবাঈকে দেখে ভয় পেয়েছি...অভিনেত্রীকে চিনতেই পারিনি!! মাথা ন্যাড়া করে, কি ভয়াবহ গোঁড়া মারাঠি বিধবা কর্ত্রীর অভিনয় করে গেলো...ঠাণ্ডা চাহনি, হিসহিসানি কণ্ঠস্বর…উফফ!! বাজিরাও মাস্তানিকে সঞ্জয় লীলা বানশালী বানাতে চেয়েছিল হাম দিল দে চুকে সনমের পর...যেখানে তার ইচ্ছা ছিল বাজিরাও হবে সালমান খান, মাস্তানি ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন, আর কাশীবাঈ রাণী মুখার্জি...সেই বাজিরাও মাস্তানির স্বপ্নটা আজ দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পরে সফল করেছে সে। সবকিছু মিলিয়ে বাজিরাও মাস্তানি নিয়ে, ইতিহাস বিকৃতি, বাজিরাও এর অবমাননা তকমা লাগিয়ে দিক না কেন...... বাজিরাও-মাস্তানির উৎকৃষ্টতা বিলীন হবে না। বাজিরাও এর পরাক্রমশীল ব্যাক্তিত্ব, কাশীবাঈয়ের ধৈর্যশীল চরিত্র এবং মাস্তানির প্রেমময়ী আখ্যান...এককথায় প্রকাশ...বাজিরাও-মাস্তানি। নাগনাথ এস. ইনামদারের মারাঠি উপন্যাস 'রাউ' অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। কে কিভাবে ইতিহাস নির্ভর এই সিনেমা দেখতে বসবে জানিনা, কিন্তু অনেকদিন পরে কোন বলিউডি সিনেমা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিরক্তি ছাড়া দেখেছি আমি ...২ ঘণ্টা ৩২ মিনিট দেখেও মনে হয়েছে, ইসস... সময়টা যদি আরও একটু দীর্ঘ হতো।
" Ishq ... joh toofani dariya se bagavat kar jaaye woh ishq ... bhare darbar mein joh duniya se ladh jaaye woh ishq ... joh mehboob ko dekhe toh khuda ko bhool jaaye woh ishq "
Bajirao Mastani (2015)
IMDB rating: 7.2/10
Cast: Ranvir Singh, Deepika Padukone, Priyanka Chopra, Tanvi Azmi, Mahesh Manjekar, Aditya Pancholi.
Genre: War/ Romance
সবশেষে বাজিরাও-মাস্তানি স্মরণে কবিগুরুর সেই বিখ্যাত কবিতা ‘অনন্ত প্রেম’ রইল--
তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি
শত রূপে শত বার
জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।
চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয়
গাঁথিয়াছে গীতহার,
কত রূপ ধরে পরেছ গলায়,
নিয়েছ সে উপহার
জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।
যত শুনি সেই অতীত কাহিনী,
প্রাচীন প্রেমের ব্যথা,
অতি পুরাতন বিরহমিলনকথা,
অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে
দেখা দেয় অবশেষে
কালের তিমিররজনী ভেদিয়া
তোমারি মুরতি এসে,
চিরস্মৃতিময়ী ধ্রুবতারকার বেশে।
আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি
যুগল প্রেমের স্রোতে
অনাদিকালের হৃদয়-উৎস হতে।
আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা
কোটি প্রেমিকের মাঝে
বিরহবিধুর নয়নসলিলে,
মিলনমধুর লাজে--
পুরাতন প্রেম নিত্যনূতন সাজে।
আজি সেই চিরদিবসের প্রেম
অবসান লভিয়াছে
রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে।
নিখিলের সুখ, নিখিলের দুখ,
নিখিল প্রাণের প্রীতি,
একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে
সকল প্রেমের স্মৃতি--
সকল কালের সকল কবির গীতি।
**** এই লেখা সম্পূর্ণ রূপে আমার… পূর্বের কোন লেখার সাথে মিলে গেলে তা একান্তই co-incidence….no resemblance. আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে !!!! Happy Movie Watching !!!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৭