“I yam what I yam and that's all what I yam."
শৈশব...আমাদের জীবনের এক অমূল্য অধ্যায়। কাউকে যদি এই মুহূর্তে জিজ্ঞেস করা হয়, আচ্ছা বলুন তো শৈশবে আপনার অমূল্য সময়গুলোর অপরিহার্য অংশ কি কি ছিল? কেউ বলবে আমি খেলতে ভালবাসতাম, কেউ বলবে আমি রূপকথার রাজ্যে ভেসে বেড়াতে পছন্দ করতাম...এভাবে সান্ত ধারার সূত্রের মত চলতে চলতে দুই একজন হলেও বলবে আমি কার্টুন দেখতাম প্রচুর, কেন জানি ওদের পাগলামি, ছিটেমাতাল স্বভাব দেখতে ভালো লাগত। পছন্দের কার্টুন কোনটা ছিল, বলতে দিলে দেখা যাবে একটা বড় লিস্ট বানিয়ে দিবে কার্টুনের যেখানে বাগস বানি থেকে শুরু করে জনি ব্রাভো থাকবে, আলাদিন থেকে টম অ্যান্ড জেরি...কোনটায় বাদ যাবে না। হ্যা, সেই সময়ের কার্টুন...এখন প্রশ্ন আসবে হঠাৎ সেই সময়ের উল্লেখ করছেন কেন? পুরাতন সেই কার্টুনগুলোর গ্রাফিক্স, নৈতিক বিষয়ের সাবলীল শিক্ষা অনেক বেশি উন্নত মানের ছিল কিনা জানিনা তবে হিউমার এলিমেন্ট আর আকর্ষণ করার ভাবটা প্রচুর পরিমাণে ছিল। এখনও মিকি মাউস, বাগস বানির পুরোনো কার্টুনের পাশে মিনিওনদের রাখলে...কোথাও যেন আমার কাছে পুরনো চরিত্রগুলো এক ধাপ উঁচুতেই থাকবে। গতদিন জোকার চরিত্রের জানা অজানা বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজকে তেমনই এক পছন্দের কার্টুন চরিত্র পপাইকে নিয়ে জানা, অজানা কিছু আলোচনা করব।
“আই পপাই দ্য সেইলর ম্যান…টুট টুট ” :
পপাই দ্য সেইলর ম্যান নামে পরিচিত একচোখা, তোতলা কার্টুন চরিত্রটি সৃষ্টি হয়েছিল একটি কমিক্স স্ট্রিপের ছোট্ট অংশ হিসেবে, অ্যানিমেশনে রূপলাভের অনেককাল পূর্বেই। ই.সি. সেগারের সৃষ্ট এই চরিত্রটি কালের বিবর্তনে ডক উইনার, টমস সিন্স অ্যান্ড বেলা জ্যাবোলি, র্যালফ স্টেইন, বাড স্যাগেনডর্ফ, ববি লন্ডনের হাতে পড়ে আরও নতুন থেকে নতুনতর হয়েছে। উল্টাপাল্টা ভাব নেয়া, মারামারি, স্পিনাচ খেয়ে শক্তিঅর্জন, অলিভ অয়েলের জন্য জান দেয়া, দুই ধাপ হাঁটলে পাঁচ ধাপ দৌড়ে যাওয়া এই চরিত্রটিকে ১৯৩৩ সালে ফ্লেইশ্চার স্টুডিও-র ম্যাক্স এবং ডেভ ফ্লেইশ্চার কার্টুন চরিত্র হিসেবে রূপালী পর্দায় ফুটিয়ে তোলার কথা চিন্তা করেন। ১৯৮০ সালে রবার্ট অল্টম্যান সেটিকে চলচ্চিত্ররূপ দিয়েছিলেন সর্বপ্রথম এবং সেই চলচ্চিত্রে পপাই হয়েছিল রবিন উইলিয়ামস। পপাই দ্য সেইলর ম্যানকে ‘ফিফটি গ্রেটেস্ট কার্টুন ক্যারেক্টারস অফ অল টাইম’ এর মধ্যে ২০ তম অবস্থান দেয়া হয়।
পপাই সম্পর্কে অজানা তথ্য :
>> ১৯১৯ সালে নিউইয়র্ক ইভিনিং জার্নাল একজন কার্টুনিস্টকে নিয়োগ দেয় যার নাম ছিল ই.সি. সেগার। একটি কমিক্স স্ট্রিপ তৈরি করতে দেয়া হয় তাকে যেটিকে তারা থিম্বল থিয়েটার হিসেবে অভিহিত করেছিলেন সেই সময়। সেগার কিছু পাগলাটে চরিত্রের সমন্বয়ে তৈরি করে থিম্বল থিয়েটারের সেই কমিক্স যার মধ্যে শুকনো গড়নের অলিভ অয়েল, তার বয়ফ্রেন্ড হ্যামগ্রেভি, ভাই ক্যাস্টর অয়েল, বাবা কোল অয়েল এবং মা ন্যানা অয়েল (আসল নাম ছিল ব্যান্যানা) মূখ্য চরিত্র ছিল। ১৯২৯ সালে সেগার একটি গল্প নিয়ে আসে, যেখানে হ্যাম এবং ক্যাস্টর একটি যাদুকরী মুরগীর (হুইফেল হেন) সন্ধানে নৌযাত্রা করার জন্য মনোস্থির করে এবং দুইজনের কেউ নৌ-চালনা না জানায় দ্বারস্থ হয় একজন নাবিকের কাছে।ডকে থাকা সেই রুক্ষ চেহারার একচোখা নাবিককে ক্যাস্টর অয়েল জিজ্ঞেস করে ‘আর ইউ এ সেইলর’? চরিত্রটি উত্তর দিয়েছিল, ‘ড’ ইয়্যা থিঙ্ক আই অ্যাম এ কাউবয়?’!!! এবং এভাবেই এক নাবিকের জন্ম হয় থিম্বল থিয়েটার প্রকাশ হওয়ার সুদীর্ঘ ১০ বছর পর অর্থাৎ ১৯২৯ সালের জানুয়ারি মাসে এবং তারই নাম পপাই। পপাইয়ের চরিত্র খুব তাড়াতাড়ি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে গেলে কমিক সিরিজটিকে নামকরণ করা হয়েছিল থিম্বল থিয়েটার স্টারিং পপাই নামে। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালের দিকে এটি সর্বত্র ‘পপাই’ নামেই পরিচিতি পায় !!
পপাই কমিক্সের স্রষ্টা ই.সি. সেগার
এই সেই থিম্বল থিয়েটার
>> পপাই দ্য সেইলরের ‘পপাই’ এবং ‘অলিভ’ চরিত্রদুটোকে তৈরি করা হয়েছিল বাস্তব দুই চরিত্রের আলোকে। সেগারের নিজশহর চেস্টার, ইলিওনিসের বাড়ির প্রতিবেশী ফ্রাঙ্ক ‘রকি’ ফিয়েগ্যাল একচোখা ছিল। ফিয়েগ্যাল বাস্তবে বক্সার ছিল এবং পাইপ টানতে পছন্দ করত, যার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে ‘পপাই’ চরিত্রটিতেও। ১৯৪৭ সালে মৃত্যুর পরে, ফিয়েগ্যালের সমাধিতে খোদাই করে দেয়া হয়েছিল ‘ইন্সপিরেশন ফর পপাই দ্য সেইলর ম্যান’ ! অলিভ অয়েলকে সেগার তার আরেকজন প্রতিবেশীর আদলে তৈরি করেছিল, যার নাম ছিল ডোরা প্যাস্কেল। ডোরা চিকন এবং লম্বা গড়নের ছিল এবং চুল ঠিক অলিভ অয়েলের আদলেই বেঁধে রাখত !
ফ্রাঙ্ক ‘রকি’ ফিয়েগ্যাল অর্থাৎ পপাই চরিত্রের ইন্সপিরেশন
ফ্রাঙ্ক ‘রকি’ ফিয়েগ্যালের সমাধি
ডোরা প্যাস্কেল অর্থাৎ অলিভ অয়েলের ইন্সপিরেশন
>> কমিক্সটিতে পপাই প্রথমে একটি পার্শ্ব চরিত্র ছিল। এটিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে তুলে ধরার কোন পরিকল্পনা ছিল না সেগারের, সে কমিক্সটি লিখেছিল মূলত অলিভ অয়েলের বাবা কোল অয়েল, ভাই ক্যাস্টর অয়েল, মা ন্যানা অয়েল এবং তার বয়ফ্রেন্ড হ্যামগ্রেভিকে কেন্দ্র করে। পপাই চরিত্রের তুমুল জনপ্রিয়তার পর সে পপাইকে নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা করে এবং অলিভ অয়েলের স্নেহের পাত্র হিসেবে হ্যামগ্রেভিকে বাদ দিয়ে পপাইকে বসিয়ে দেয়!
হ্যামগ্রেভি গোন, পপাই ইন দ্য ট্র্যাক
>> পপাই কি সবসময় তার শক্তি সেই স্পিনাচের কৌটা থেকেই পেত?? এর উত্তর...না, এমনকিছুই ছিল না!!! প্রথম দিকের গল্পগুলোতে, থিম্বল থিয়েটারের এডিশনে পপাইকে উপস্থাপন করা হয়েছিল অন্যভাবে, ম্যাজিক্যাল হুইফেল হেনের মাথায় হাত ঘষলেই সে আবার নিজের হারানো কর্মক্ষমতা ফিরে পেত। এই হুইফেল হেনের নাম ছিল বার্নিস। প্রথম দিকের কমিক্সগুলোতে এই কারণে পপাইয়ের মার খেতে খেতে শহীদ হয়ে যাওয়ার অবস্থা হতো !!
ম্যাজিক্যাল হুইফেল হেন
ম্যাজিক্যাল হুইফেল হেনের মূর্তি
>> ১৯৩২ সালের দিকে পপাইয়ের স্রষ্টা তার হাতে স্পিনাচ তুলে দিয়েছিল এবং এটি একটি ব্যবসায়িক কৌশলও ছিল। পপাই সেই সময়ে এত বেশি জনপ্রিয় একটা কার্টুন ছিল যে তার কারণে গ্রেট ডিপ্রেশনের সময় ১৯৩১ সাল থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত স্পিনাচ কৃষকেরা প্রায় ৩৩% লাভবান হয়!!! স্পিনাচ খাওয়ার পিছনেও একটি ঘটনা রয়েছে। প্রথমে তার এই স্পিনাচ প্রীতি জন্মায়, উত্তম মধ্যম দিয়ে তাকে স্পিনাচ ফার্মে ফেলে দিলে !!
>>পপাইয়ের কার্টুন প্রকাশ হওয়ার পরে, বাচ্চাদের মধ্যে পূর্বে অখাদ্য জিনিস হিসেবে পরিচিত স্পিনাচ অনেক পছন্দের একটা বস্তুতে পরিণত হয় এবং আমেরিকাতে সেই আদি আমলে স্পিনাচ বাচ্চাদের তৃতীয় সর্বাধিক পছন্দের খাদ্যে পরিণত হয় !!!
“I'm strong to the finish, 'cause I eats me Spinach, I'm Popeye the sailor man! (toot, toot)"
>> দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পপাই কার্টুন আমেরিকান সৈন্যদের দেখানো হতো তাদের মনোবল বাড়ানোর জন্য, কারণ পপাইয়ের সেই সময়ের কার্টুনের কিছু কিছু পর্বে জাপানীজদের প্রতি বৈষম্যমূলক ব্যবহার দেখানো হয়। যেমন, কার্টুনটিতে জাপানিজদের বলা হয় ‘জাপা-ন্যাজিজ’ এবং কিম্ভূতকিমাকার চেহারাতে তাদের তুলে ধরা হয়। কিছু কিছু পপাইয়ের কার্টুন জাতিগত বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য পরবর্তীতে ব্যানও করে দেয়া হয়… বিশেষত আমেরিকান-আফ্রিকান জাতিভেদের প্রতি খোঁচা মারে যেগুলো!
জাপানিজদের প্রতি সেই খোঁচা
>> যুদ্ধের সময়কালে পপাইয়ের পোশাকও পরিবর্তন করে ফেলা হয়েছিল। কমিক্স শুরুর সময় তার পোশাক ছিল কালো রঙের রোলড-আপ শার্ট এবং নাবিকের টুপি। কিন্তু যুদ্ধের সময় তাকে নাবিকের সাদা পোশাকে সাজানো হয় এবং যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরেও সেই পোশাকেই তাকে শেষ অবধি দেখা যায় !
"I ain't no tailor but I know what suits me."
>> পপাই এর অন্যতম শত্রু ব্লুটো অথবা ব্রুটাসের থিম্বল থিয়েটারে কোন চরিত্র ছিল না কখনই। তাকে প্রথম এনেছিল ফ্লেইশ্চার স্টুডিও-র কর্তারা। তারা এই সিরিজে একটা রেগুলার ভিলেনের প্রয়োজন অনুভব করে যার সাথে পপাই প্রতিনিয়ত মারামারি করবে এবং এভাবেই ব্লুটো চরিত্রটিকে তৈরি করে সেগার! প্রথমদিকে পপাইয়ের কার্টুনে এই চরম প্রতিদ্বন্ধীটির নাম দেখানো হয় ‘ব্লুটো’ কিন্তু পরবর্তীতে কিং ফিচার্সের সাথে একই নামের চরিত্রের দ্বন্ধে আইনি জটিলতায় পড়ে তার নামকে ‘ব্রুটাস’ বানিয়ে ফেলেন সেগার !
"Bluto, even though you're larger than me, you can't wins, 'cause you bad, and the good always wins over the bad."
>> ৮০ সালের শেষের দিকে স্পিনাচের জায়গায় পপাইয়ের শক্তির উৎস হিসেবে নতুন পণ্যরূপে কয়েকটা পর্বে দেয়া হয়েছিল কোয়েকার ওটমিল। কোম্পানি অনেক সমস্যাতে পড়ে ‘আই পপাই দ্য কোয়েকার ম্যান’ ট্যাগটার ফলে কারণ কোয়েকার গ্রুপ নামের এক ধর্মীয় অঙ্গসংগঠন তাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামে এবং কমিক্স সিরিজ থেকে সেই পর্বগুলো এই কারণে সরিয়ে ফেলা হয় !
>> বর্তমানে ইংরেজি ডিকশনারিতে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি শব্দের সৃষ্টি হয়েছিল এই পপাই কার্টুন থেকেই, যেমন Jeep, Wimp, Goon, Dufu. সেগার পপাইয়ের সঙ্গী হিসেবে জঙ্গলী পোষা জন্তু ইউজিন দ্য জিপকে নিয়ে এসেছিল, এই প্রাণীটিকে যে কোন পরিস্থিতিতে উপস্থিত হতে দেখা যেত এবং এভাবেই সেটা ইউ. এস মিলিটারিদের নজরে পড়ে। এখান থেকে উদ্ভুদ্ধ হয়ে তারা তাদের একটি বাহনের নামই সেই আমলে দিয়ে ফেলে ‘Jeep’ !!! Wimp শব্দটি আসে পপাই কার্টুনের বার্গারখেকো সদস্যের নাম উইম্পি অনুযায়ী। পরবর্তীতে এই Wimpy নামের একটা চেইন অফ রেস্টুরেন্টও তৈরি হয়।অ্যালিস দ্য গুন থেকে আসে Goon শব্দটি এবং Dufu শব্দটি আসে পপাইয়ের প্রতিবেশী ডুফু থেকে !
ইউজিন দ্য জিপ
বার্গারখেকো উইম্পি
অ্যালিস দ্য গুন
পপাইয়ের প্রতিবেশী ডুফু
>> প্রথমদিকে পপাইয়ের ভয়েসওভার দেয়ার জন্য উইলিয়াম বিলি কস্টেলোকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু তার রূঢ় আচরণের কারণে এই দায়িত্ব বর্তায় জ্যাক মার্সার উপর।পপাইয়ের হাস্যকর কণ্ঠস্বরের পিছনে যে মানুষটির সুদীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে ভূমিকা ছিল, সে আর কেউ না বরং জ্যাক মার্সার। অলিভ অয়েলের কণ্ঠস্বর ১৯৩৮ থেকে ১৯৪২ দশকে দিত মার্গি হাইয়েন্স। সব থেকে মজার ব্যাপার এই পপাই কার্টুনের অংশ হয়ে ভয়েসওভার পপাই-অলিভ নিজেরাও বাস্তবজীবনে ঘর সংসার করেছিল!
পপাইয়ের ভয়েসওভার আর্টিস্ট জ্যাক মার্সার
>> পপাইয়ের থিম সং তৈরি করা হয়েছিল গিলবার্ট অ্যান্ড সুলিভানের ১৮৮০ সালের অপেরাট্টা দ্য পাইরেটস অফ পেনজেন্স এর ‘আই অ্যাম পাইরেট কিং’ গানটির অনুপ্রেরণায় !
‘আই অ্যাম পাইরেট কিং’
>> স্পেনে অলিভ অয়েলের নাম পরিবর্তন করে রোজারিও করা হয়, কারণ তাদের কাছে পপাই কার্টুনের অলিভ অয়েলের নাম অপমানজনক ছিল, অলিভ গাছের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের প্রেক্ষিতে !
>> পপাইকে এক এক দেশে এক এক নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে... যেমন ইটালিতে তাকে ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ বলা হয় এবং ডেনমার্কে ‘স্কিপার স্ট্রিক অথবা টেরর অফ দ্য সি’ !
>> পপাইয়ের স্রষ্টা ই. সি. সেগারের নিজশহর ইলিওনিসের চেস্টারে ‘পপাই অ্যান্ড ফ্রেন্ড’ নামে একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যা অনুসারে সেখানে প্রত্যেক বছরে একটি করে পপাই কমিক্সের মূর্তি বানানো হবে এবং এগুলোকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করা হবে। এভাবে সবশেষে ২০২০ সালে স্বয়ং সেগারের মূর্তি সেখানে তৈরি করার চিন্তা রয়েছে!
>> কার্টুন জগতের সর্বপ্রথম কার্টুন হিসেবে পপাই দ্য সেইলর ম্যানেরই মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই মূর্তির অনুরূপ মূর্তিটি বর্তমানে ক্রিস্টাল সিটি, টেক্সাসে রয়েছে। আসল মূর্তিটি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। পরোক্ষভাবে আমেরিকার স্পিনাচ শিল্পে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৩৭ সালে মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছিল!!
>> ১৯৮০ সালে পপাইয়ের উপর নির্মিত ছবিটি নির্মাণ হয়েছিল মাল্টার একটি ছোট্ট গ্রামে। সেই গ্রামটিকে মুভির কলাকুশলীরা সেভাবেই ফেলে রেখে এসেছিল। সেটি তখন থেকে ‘পপাই ভিলেজ’ নামেই পরিচিত!
১৯৮০ সালে নির্মিত পপাই দ্য সেইলর মুভির পোস্টার
‘পপাই ভিলেজ’
>> ১৯৩০ সালে একটি জরিপে দেখা যায়, সেই সময়ে পপাই কার্টুনের জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী মিকি মাউসের থেকে কয়েক গুণ বেশি ছিল।
“Where's the entrance to the exit?"
সবশেষে 'স্পিনাচ খান, পপাই হয়ে যান'
তথ্যসূত্র: লিঙ্ক এখানে
**** এই লেখা সম্পূর্ণ রূপে আমার… পূর্বের কোন লেখার সাথে মিলে গেলে তা একান্তই co-incidence….no resemblance. আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে !!!!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪