somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবি ফরহাদ মজহার-এর সিরিজ পোস্ট (১ম পর্ব) : শিশুবান্ধব ভাইরাস এবং সমাজের বোঝা নিরসন

০২ রা মে, ২০২০ ভোর ৪:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

করোনাভাইরাস নিয়ে যতো আলোচনা দেখছি তার প্রায় সবই এই সংক্রামক ব্যাধি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বা নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিখুঁত করবার সঙ্গে যুক্ত। সংক্ষেপে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার নীতিগত মূল্যায়ন, কারিগরি বা চিকিৎসাশাস্ত্রীয় সামর্থ বিচার এবং এপিডিওমেলজি -- অর্থাৎ কোথায় কয়জন আক্রান্ত হোল, কয়জন মরলো এবং কয়জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলো, ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা বা পর্যালোচনা। বাড়তি ভূ-রাজনৈতিক আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল চীন কিভাবে কঠোর ভাবে তার নাগরিকদের কার্যত ‘শহরবন্দী’ করেছে যা তথাকথিত পাশ্চাত্য গণতান্ত্রিক দেশে সম্ভব হোত না। রাষ্ট্র ও প্রশাসন শুধু ‘শহরবন্দী’ করে ক্ষান্ত থাকে নি, নিরাপত্তার নামে নানান প্রকার নজরদারি, চলাচল ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করা এবং স্বেচ্ছায় কিম্বা জবরদস্তি কোরান্টাইন ব্যবস্থা চালু করেছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে একদম নিম্ন পর্যায়ের কমিউনিটি কর্মী সকলেরই নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোর করে আরোপ করার পক্ষে মুখে একটি কথা বারবার বলেছে: এটা একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি, অতএব অস্বাভাবিক নজরদারি, নিয়ন্ত্রণ শাসন ও বিধিবিধান আরোপ জরুরী। চিনা ভাষায় এটা feichang shiqi বা বিপজ্জনক মূহূর্ত (দেখুন, (Quo, 2020)।

নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের ভাল দিক এবং মন্দ দিক নিয়ে বেশ গুরুগম্ভীর রাজনৈতিক বিশ্লেষণও দুই একটি হয়েছে। তবে সব আলোচনার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বব্যাপী ভয়ানক আতংক ছড়ানো। সারকথা হচ্ছে করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ একটি ভয়ংকর সংক্রামক ও ঘাতক ভাইরাস। ফুসফুসের কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়ে কিম্বা নিশ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় বাধা ঘটিয়ে এই নতুন ধরনের ভাইরাস জনিত সংক্রামক রোগ মানুষের মৃত্য ঘটাতে পারে।

কারা মরবে বেশী? বলা হচ্ছে, বিশেষ ভাবে তারাই যারা ইতিমধ্যেই বুকের কিম্বা ফুসফুসের রোগে ভুগছেন, বয়েস ৫৫ পেরিয়ে গিয়েছে, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিম্বা কোন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যেই একে ‘বিশ্বব্যাপী সংক্রামক রোগ’ (Pandemic) হিশাবে ঘোষণা দিয়েছে। বলছে, এর ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ এখনও সম্ভব। কিন্তু কোত্থেকে কিভাবে এই নতুন ধরনের ভাইরাস (নোভেল) এলো বা তৈরি হোল এবং কিভাবে হঠাৎ ছড়িয়ে গেল সে সম্পর্কে কমবেশী প্রায় সকলেই নীরব। চতুর্দিকে সাজ সাজ রব। কোত্থেকে এলো, কিভাবে হোল, কারা ঘটালো, বিজ্ঞান ও কৃৎকৌশল, বিশেষ ভাবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ভূমিকা এখানে কি ছিল ইত্যাদি কোন বিষয়েই সঠিক তথ্য পাওয়া ভয়ানক কঠিন হয়ে গিয়েছে। জরুরি ও সঠিক তথ্যের কোন হদিস নাই, কিন্তু ভাইরাস ব্যবস্থাপনার এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য রাষ্ট্র ও প্রশাসনিক কাঠামো বদলাচ্ছে এবং আইন ও বিধিবিধানের ক্ষেত্রে মারাত্মক গুণগত পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে। অর্থাৎ ‘বৈশ্বিক মারী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা’ এখন আন্তর্জাতিক রোগ ব্যবস্থাপনা নীতির কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে চলেছে। যেটা পরিষ্কার সেটা হোল, অস্বাভাবিক রোগতাত্ত্বিক বা মহামারীর আতংক সৃষ্টি করে শক্তিশালী দেশগুলো একটি নজরদারি ও রোগ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার কেন্দ্র গড়ে তুলতে চাইছে যার দ্বারা তারা আমাদের আচরণ, চলা ফেরা–বিশেষত এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া ইত্যাদি সবকিছু ‘অস্বাভাবিক অবস্থা’র নামে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এর পক্ষে শক্তিশালী জনমতও তৈরি হচ্ছে। এর ফল বা কুফল নিয়েইবিপর্যয়ের তুফানের মধ্যে বসে ভাববার কোন অবসরই আমরা পাচ্ছি না।

আশ্চর্য জনক ভাবে এই ভাইরাস ১৫/১৬ বছরের কম বয়েসী শিশুদের হামলা করছে না। শিশুবান্ধব ভাইরাস!! বলা যায় এটা বুড়াদের রোগ। বুড়া বা সিনিয়র সিটিজনদের এখানে একটু ভাবনার বিষয় আছে। বৃদ্ধ ও অথর্ব, পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্ব অর্থনীতিতে যারা আর কোন অবদান রাখতে পারছেন না, অর্থনীতির বোঝা হয়ে আছেন, তাদেরকে এই প্রথম কোভিড-১৯ জাতীয় ভাইরাস আক্রমণ করছে এবং অনেককে মেরে ফেলছে। যদি আপনি বিশ্ব পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য আর কোন উদ্বৃত্ত মূল্য উৎপাদনে অবদান রাখতে না পারেন তাহলে আপনার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার এবং ভবলীলা সাঙ্গ করবার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। আপনি পুঁজির দুনিয়ায় বোঝা হয়ে গিয়েছেন। সেটা করোনা ভাইরাসও বুঝে গিয়েছে!

দেখা যাচ্ছে বৈশ্বিক মারী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এখন আন্তর্জাতিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় বিষয়। মানুষের ওপর নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি নিখুঁত ও কঠর করবার নতুন কারিগরিগুলো আমামদের চোখের সামনেই ঘটছে। কোভিড-১৯ মানুষের ওপর বৈশ্বিক নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ আরোপের এবং কঠোর নিরাপত্তামূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার (security State) ধারনা বাস্তবায়নের বিপুল সুযোগ সৃষ্টি করেছে। মারী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বা সাধারণ ভাবে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন, বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি আরও ব্যাপক ও কঠোর হচ্ছে। অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সঙ্গে ক্ষমতা, রাজনীতি, আইন, নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি কিভাবে সম্পর্কিত সেই তর্ক নতুন ভাবে উঠছে।

চিন যেভাবে উহানের অধিবাসীদের ‘শহরবন্দী’ ও গৃহে অন্তরীণ করেছে তা থেকে আমরা আগামি দিনে আমাদের মতো দেশে কি ঘটতে যাচ্ছে তার ছবি দেখতে পারব। তাই আতংক উৎপাদন এবং সাজ সাজ রব তুলে পুঁজিতাত্রিক গোলকায়নের এই কালে যে বৈশ্বিক নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে সেটাই মূলত আমাদের আলোচনার কেন্দ্রীয় বিষয় হওয়া উচিত। সেই আলোচনা আমরা কোত্থাও দেখছি না। বিস্ময়কর হোল, উহানে চিনের ল্যাবরেটরি থেকে এই নতুন ধরণের ভাইরাস ছড়িয়েছে অভিযোগ ওঠার পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিম্বা অন্য কোন পরাশক্তি এ নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করছে না। যেন পুরা ঘটনাটাই যৌথ সম্মতিতেই ঘটেছে এবং সারা বিশ্বের মানুষের চলা ফেরা, সমাবেশ এবং একত্রিত হবার স্বাভাবিক মানবিক স্বভাব দমন এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। আমরা সকলে স্বেচ্ছায় এই পরীক্ষার গিনিপিগ হয়েছি।

যে আলোচনা খানিক উঠেও বিলীন হয়ে যাচ্ছে সেটা হোল জীবাণু মারণাস্ত্র সংক্রান্ত আলোচনা। যুদ্ধে জীবাণুর ব্যবহার নতুন কিছু নয়। যদি যুদ্ধাস্ত্র হিশাবে ‘নোভেল’ বা নতুন যুদ্ধগুণসম্পন্ন করোনা ভাইরাস তৈরি চীনের উদ্দেশ্য না থাকে তাহলে উহানে কিসের গবেষণা হচ্ছিল? কিম্বা কিসের গবেষণা হয়? করোনা ভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেইন বা নতুন জাত তৈরি হোল কিভাবে? আমরা জানতাম যে করোনাভাইরাস জীব বা জন্তুর মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই থাকে এবং অনেক সময় তা মানুষকেও আক্রমণ করে। প্রাকৃতিক ভাবেই বাদুড় করোনাভাইরাসের ‘হোস্ট’ বা জীবাবাস। আমাদের আলেম ওলেমা মুফতি বা ইউটিউবে যারা ওয়াজ করে বিনোদন দিয়ে থাকেন তাঁরা না জানলেও আমরা জানতাম করোনাভাইরাস মধ্যপ্রাচ্যে উট থেকে মানুষকেও আক্রমণ করেছিল। আমাদের নবি-রসুলদের দেশ হওয়া সত্ত্বেও করোনাভাইরাস আরবদের মাফ করে নি। আরেক প্রকার করোনা ভাইরাস আছে যার প্রাকৃতিক আবাস হচ্ছে খাট্টাশ বা গন্ধগোকুল। এর ভাইরাস Severe Acute Respiratory Syndrome Coronavirus-1 (SARS-CoV-1)। পরিচিত ও প্রচলিত করোনাভাইরাসের চেয়ে ভিন্ন হবার কারনে আতংক সৃষ্টি করা ২০১৯ সালে দৃশ্যমান এই নতুন ভাইরাসের নাম Severe Acute Respiratory Syndrome Coronavirus-2 (SARS-CoV-2) বা সংক্ষেপে COVID-19।
কারা তৈরি করল এই নতুন করোনা ভাইরাস? যখনই এই প্রশ্ন ওঠানোর চেষ্টা হোল, কিম্বা গুজব হিশাবেও ছড়াল যে চিন জীবানু যুদ্ধের গবেষণা করছে, তখন বৈজ্ঞানিকরা বললেন এই দাবির কোন ভিত্তি নাই (দেখুন, (Makowski, 2020)। ভাইরাসটি (2019-nCoV) প্রাকৃতিক ভাবে বাদুড়ে আছে বা থাকে বলে ধারনা করা হোল, কারন বাদুড়ের (Rhinolophus affinis ) ‘হোল জেনোম আইডেন্টিটি’র সঙ্গে বাদুড়ের ভাইরাসের (BatCoV RaTG13) ৯৬.২ ভাগ মিল বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন। চিনে জ্যান্ত বন্যপ্রাণীর বাজার আছে। বাদুড় কিনে বাড়িতে মেরে রান্নার চলও আছে। তাই বাদুড়ের ভাইরাস মিউটেশন বা নিজে নিজের বদল ঘটিয়ে মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের অসুখ ঘটিয়েছে বলে থিসিসটা আপাতত দাঁড়িয়ে গেল (দেখুন, (Peng, 2020)।
অর্থাৎ এটাই প্রতিষ্ঠা করা হোল যে উহানে চিনা ল্যাবরেটরির উদ্দেশ্য ছিল স্রেফ গবেষণা, কোন যুদ্ধাস্ত্র তৈরি এখানে উদ্দেশ্য ছিল না।

মনে রাখতে হবে একদা এই বিশ্বে মনুষ্য প্রজাতির একমাত্র যুদ্ধাস্ত্র ছিল দুই হাত, পাথর, লাঠি এবং ধাতুর আবিষ্কারের পরে তলোয়ার। পরবর্তীতে যুদ্ধাস্ত্র হিশাবে ঘোড়া কিম্বা হাতির ব্যবহার যুদ্ধের জয়পরাজয় নতুন ভাবে নির্ধারণ করে দিয়েছিল। অর্থাৎ যুদ্ধে জীবের ব্যবহার নতুন কিছু না। এরপর বারুদ বন্দুক কামান জাহাজ বোমারু বিমান ড্রোন সহ হাজার প্রকার যুদ্ধাস্ত্র আবিষ্কার হোল, আমরা পারমাণবিক বোমার যুগে প্রবেশ করলাম। পাশাপাশি জীবাণু মারণাস্ত্রের ব্যবহারও হতে থাকল। জীবানু মারণাস্ত্র সম্পর্কে যাদের কোন ধারনা নাই তাদের সুবিধার জন্য কয়েকটির নাম উল্লেখ করে রাখছি। পরে আলোচনা করা যাবেঃ এন্থ্রাক্স, বটুলিনাম টক্সিন, গুটি বসন্ত, কলেরা, টুলামেরিয়া, ইবোলা, প্লেগ, বুনিয়া, আফ্লাটক্সিন, মারবুর্গ ভাইরাস, ইত্যাদি।

আমরা অতএব প্রথাগত আলোচনার বাইরে বিজ্ঞান ও কৃৎকৌশল কিভাবে আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনকে কঠোর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসবার জন্য আধুনিক নিরাপত্তা ও নজরদারিমূলক রাষ্ট্রের জন্ম দিচ্ছে এবং আমরা ক্রমেই স্বাধীনতা হারিয়ে জন্তু জানোয়ারের মতো কোয়ারান্টাইনের অধীন হয়ে পড়েছি, সেই বিষয়ে কয়েকটি সিরিজে আলোচনা করব। এটি নতুন কিছু নয়। ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকো অনেক আগেই সাবধান করেছেন যে আধুনিক রাষ্ট্র যখন আমাদের ‘নিরাপত্তা’র কথা বলে তখনই আমাদের ঘোরতর সন্দেহ করা উচিত। রাজনীতি শাস্ত্রে যেদিন থেকে ‘নিরাপত্তা’ বা সিকিউরিটি’ শব্দটি প্রথমবার দানা বাঁধলো বা উৎপত্তি ঘটল সেদিন থেকেই রাষ্ট্রের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিপর্যয়– যেমন, ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষ, মহামারী, মড়ক ইত্যাদি প্রতিরোধ করা নয়, বরং তা ঘটতে দেওয়া যেন তার নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে সমাজের মানষগুলোকে স্রেফ একেকটি সজীব মাংসপিণ্ড গণ্য করে তাদের ওপর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ পোক্ত করা যায়। বিপ্লব-পুর্ব ফ্রান্সে ফিজিওক্রেটদের রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার তত্ত্ব বিচার করে ফুকো এই সিদ্ধান্তে এসেছিলেন। পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থায় তা আরও প্রকট ও দৃশ্যমান হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাষ্ট্রকে দুনিয়াব্যাপী পুঁজির আত্মস্ফীতি ও পুঞ্জিভবনের হাতিয়ারে পরিণত করা। অর্থাৎ নিখুঁত নিরাপত্তা সর্বস্ব রাষ্ট্রে পর্যবসিত করা। এ নিয়ে আমরা আরো বিস্তৃত আলোচনার আশা রাখি।

কোভিড-১৯ জাত মারীর বৈশ্বিক নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ মূলত একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র গড়ে তোলার চেষ্টা। যেখান থেকে সারা পৃথিবীর মানুষের ওপর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। কোন দেশের মানুষ কোয়রান্টাইনে থাকবে, কারা থাকবে না সেটা সিদ্ধান্ত নেবে সেই কেন্দ্র। বর্ডার অতিক্রম করে মানুষের বিভিন্ন দেশে যাবার যে সুযোগটুকু এখনও আছে, তাকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের নামে বাতিল করা হবে। যে দেশের নজরদারি ও ব্যবস্থাপনা দুর্বল সেই দেশকে নিরাপত্তার নামে নিজদের অবশিষ্ট সার্বভৌ্মত্ব বৈশ্বিক মুরুব্বি বা কর্তাদের হাতে হস্তান্তর করতে হবে। এই সকল বিষয় নিয়েই কয়েকটি সিরিজে আমরা কথা বলব।

করোনাভাইরাস থেকে অবশ্যই বাঁচতে হবে। কিন্তু আমরা যেন স্টুপিড জনগোষ্ঠিতে পরিণত না হই।

তথ্যসূত্র :
১. Theory that Coronavirus Escaped from a Lab Lacks Evidence
২. Transmission routes of 2019-nCoV and controls in dental practice
৩. Voices of coronavirus patients: 'Wherever we go, no one cares'

চলবে...
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মত প্রকাশঃ ইতিহাস কি বিজয়ীরাই লেখে?

লিখেছেন জাদিদ, ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩২

"বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস রচনার সমস্যা" -বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আলী রীয়াজ একবার বলেছিলেন, ‘ইতিহাসের সঙ্গে ক্ষমতার একটা সম্পর্ক আছে। সে ক্ষমতায় যারা বিজয়ী হয়, তারাই ইতিহাস রচনা করে। পরাজিতরা ইতিহাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধু নাম আর কেউ মুছতে পারবেনা।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০


২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপনণের পরপরই ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘মহাকাশে আজ উড়ল বাংলাদেশের পতাকা। আজ থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশবিরোধী আদানি চুক্তি ও ব্যাড পলিটিক্সের খপ্পরে বাংলাদেশ!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪


বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ভারতের আদানি গ্রুপের সাথে ২০১৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য চুক্তি করেন।ভারতের ঝাড়খন্ডে অবস্থিত গোড্ডা পাওয়ার প্লান্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

“বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো উচিত হয়নি “এই কথা রিজভী কোন মুখে বলে ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫১



অবাক হয়ে রিজভীর কথা শুনছিলাম উনি কি নিজেকে মহান প্রমান করার জন্য এই কথা বললেন নাকি উনি বলদ প্রকৃতির মানুষ সেটাই ভাবতেছি। উনি নিশ্চই জানেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা নিয়োগ কারা দেয় ?

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তির পর আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা ডক্টর ইউনুসকে দেশের ক্ষমতা গ্রহন করার আহবান সেই শহীদ মিনার থেকেই জানিয়েছিল। ডক্টর ইউনুস প্রথমে অরাজি হলেও পরে ছাত্রদের হাজারো অনুরোধের মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×