শিরোনামটা একটু অদ্ভূত লাগছে কি?মনে হতেই পারে,তাই শুরুতেই টাইটেলের ব্যাখাটা দিয়ে রাখা ভালো মনে করছি। আসলে ব্যক্তিগত কারণে ব্লগ ফেসবুক দুইটা থেকেই দূরে ছিলাম। সঙ্গী ছিল গোটাকতক বই। তারই একটা নিয়ে লিখলাম , ম্যান্ডেলার '' লং ওয়াক টু ফ্রিডম''। বলে রাখি এইবেলা, আত্নজীবনী আমার খুব পছন্দের বিষয় না। মুফতে পাওয়া বইটা পড়ে ছিল অনেকদিন। হাতের কাছে কোন বই না থাকায় পড়তে শুরু করি এবং মাথায় আপাতত কোন বিষয় না থাকায় এইটা নিয়েই লেখা ধরলাম। নিজের কাহিনী নিয়ে নিজে লিখতে গেলে যা হয় বিজ্ঞলোকে বলে থাকেন, ওতে পার্শিয়ালিটি চলে আসে। স্বভাবতই মানুষ নিজের দোষটা গোপন করার চেষ্টা করে ( আমি হলেও তাই করতাম!) আর গুণগুলোকে হাইলাইট করার চেষ্টা থাকে সাথে। ম্যান্ডেলার নিজের লেখা বই নিজেকে নিয়ে । ওটা নিয়ে পাঠিকা ও লেখিকা হিসেবে ভাবতে গেলে শুধু বইয়ের অংশটা নিয়ে না লিখে বইয়ের বাইরেও তার সম্পর্কে জানা দরকার। এই লেখাটা তাই ম্যান্ডেলার একটি বই না , বলবো, তাঁকে আবিষ্কার করা নিয়ে একজন মানুষের লেখা ।
লং ওয়াক টু ফ্রিডমে'র মলাটের শেষে গার্ডিয়ান , টাইমস, নিউ ইয়র্কার এর প্রশংসাবাণী। এটা যারাই অনুবাদ সাহিত্য ভালোবাসেন সবাই খেয়াল করে থাকবেন। যে কোন অনুবাদ সাহিত্যের পিছেই এরকমটা থাকে। ইন্টারেস্টিং হলো, সাউথ আফ্রিকান রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের জীবনীতে স্বদেশী কোন খ্যাতিমান পত্রপত্রিকা না, সেই পাশ্চাত্য সাবেকী ঔপনেবিশেক প্রচার মিডিয়াগুলোর এই মর্মে একখানা সার্টিফিকেট না হলে আমরা এখনও ঠিক ভরসা পাইনা ,যে আলোচ্য বইটি আমাদের মূল্যবান সময়টা ব্যয় করার উপযুক্ত কিনা!
শুরু থেকেই শুরু করা যাক। ম্যান্ডেলা আর দশ জন বিখ্যাত মানুষের মত অতি সাধারন পরিবার খেটে খাওয়া পরিবার থেকে না, একরকম রাজার ঘর আসা এক মানুষ। তাঁর বাবা- তাঁর নিজের ভাষায় ''একজন সত্যিকারের কিংমেকার''। যথেষ্ট প্রভাবশালী রাশভারী বাবা আর দশটা সাধারন বালকের মতোই শিশু ম্যান্ডেলার কাছে ছিলেন হিরো। সেই কারণেই তিনি যখন দূর্নীতির করার জন্যে ক্ষমতাচ্যূত হয়ে পড়েন তখন বালক পুত্রকে বলা হয়েছিল যে, নীতিবান ব্যক্তিত্বশালী বাবা আদর্শের প্রশ্নে অনমণীয় মনোভাব পোষণ করার জন্যে পদচ্যূত হন- সেই বিশ্বাস তাঁর শেষ পর্যন্ত ছিল। নিজের লেখা বইতে তাই জন্মদাতাকে শেষ পর্যন্ত দেখিয়েছেন একজন সম্মানিত মানুষ হিসেবে।
বাবার মৃত্যুর পরে বালক ম্যান্ডেলা আক্ষরিক অর্থেই বদ্ধ কুয়ার জীবন থেকে অন্তত উন্মুক্ত নদী অবধি যাত্রা করেন। পুরোপুরি গোত্রের অধীন অবস্থায় যে শিশুর জীবনের চিন্তা ছিল'' পুরুষেরা তাদের পিতা যা করেছে ; যেভাবে জীবনযাপন করেছে । মহিলারা তাদেরর মায়েদের যেভাবে যেসব কাজ করতে দেখেছে তারাও তাই করেছে।'' এই শ্বাশত আইনের জীবনে থেকে সরল বালকের চিন্তায় প্রথম কাঁপন অন্যের দত্তক সন্তানে পরিনত হবার জীবন থেকে।
ম্যান্ডেলার বাবার মৃত্যুর পরে তাঁর দ্বায়িত্ব নিজে আগ বাড়িয়ে প্রকাশ করেন থেম্বু ল্যান্ডের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান রাজপ্রতিনিধি জনজিনতাবা দালিনদিয়েবো। আফ্রিকান গোষ্ঠীতে রাষ্ট্র ক্ষমতাশালী শেতাঙ্গ প্রভুর আইনের বিচারের চেয়ে; তা সেটা ন্যায় অন্যায় যাই হোক, গোত্রের বন্ধন তার চেয়ে অনেক জোরালো বোঝা যায় । আমাদের সমাজে কোন অপরাধের কারণে গায়ে দাগ লাগলে সত্য মিথ্যা নির্বিচারে সমাজ তো সমাজ , নিজের পরিবারের লোকেরাও মুখ ফিরিয়ে নেয় , আর পিতার অবর্তমানে আত্নার আত্নীয়রাও পর হয়ে দা্ঁড়ায়। সেখানে ম্যান্ডেলার বাবার অতীত কলঙ্কিত ইতিহাসের পরেও পিতৃহীন বালকের সার্বিক দ্বায়িত্ব নিতে নিজ থেকেই এগিয়ে আসা অবশ্যই এক শক্তিশালী গোত্রীয় চেতনা আর একাত্বতার বহিঃপ্রকাশ।
নিঃসন্দেহে এই ঘটনা ম্যান্ডেলার জীবনের একটা পালাবদল ছিল।
'' প্রথমবারের মতো মনে হল, লাঠি খেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়াই শেষ কথা নয়। এর চেয়েও আরও অনেক অনেক বড় সাফল্য আমাকে ছিনিয়ে আনতে হবে।'' শুয়োপোকা থেকে এ যেন ডানা মেলে পূর্ণ রূপের প্রজাপতি হয়ে ওঠবার প্রথম আত্নপোলব্ধি।
বইতে অনেকটা লম্বা সময় পর্যন্ত ম্যান্ডেলার ''ম্যান্ডেলা'' হয়ে ওঠার কোন আঁচই পাওয়া যায় নি , তাঁর জীবনের চরম লক্ষ্য মূলত মা'র ইচ্ছা পূরণ , তাকে গর্বিত করার মত একটি গতানুগতিক উচ্চপদস্থ কেরানির জীবন।নিতান্তই ঘটনাবিহীন সাদামাটা ছাত্রজীবনের এবং বলতে গেলে পুরো বইটারই উল্লেখ করার মতো একটা অংশ আমাকে দারুন আকৃষ্ট করেছে।
তখন হিল্ডটাউন এক কলেজছাত্র ম্যান্ডেলা । গ্রুপ ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হলেন তিনি। অনেক দায়িত্বের মধ্যে একটা ছিল '' নাইট ডিউটি'' দেয়া। এই টার্মটার মানে কি?ব্যাপারটা হচ্ছে, ঐ কলেজ ছাত্রাবাসের বাথরুমটা ছিলো বেশ দূরে আর তাই ছাত্ররা বিশেষ করে বৃষ্টি বাদলার দিনগুলোতে অতদূরে না গিয়ে ব্যালকনিতেই প্রাকৃতিক কর্মটা সমাধা করতে চাইত। ( সবদেশেই দেখি এইরকম লোক আছে!) যা হোক , এটা যাতে না হয় সেজন্যে ম্যান্ডেলাকে রাত জেগে পাহারা দিতে হতো। একবারে এরকম জনা পনেরোকে হাতে নাতে ধরে ফেলে নামধাম লিখে ফেলেন। ঠিক একই রাতে আরেকবার শব্দ পেয়ে এসে দেখেন এবারে আর কোন মামুলি ছাত্র না , খোদ তা্ঁরই মত আরেক ছাত্র সর্দার কুকর্মটা করছে।
উনার নিজের জবানিতে ঘটনাটার বর্ননা, ''এবার সবাই আমাকে একযোগে প্রশ্ন করলো।,'কুইস কাস্টোডিয়েট ইপসোস কাস্টোডেজ?' ( গার্ডিয়ানদের গার্ড দেবে কে?) ' তাদের কথা খুবই সত্য । দলনেতা নিজেই যদি আইন ভঙ্গ করে তাহলে সাধারন ছাত্র ছাত্রী কীভাবে তাকে মান্য করবে? কিন্তু কার্যত দলনেতারা আইনের উর্ধে থাকত। কারণ সে নিজেই হচ্ছে ' আইন'। আর নৈতিক ভাবে একজন দলনেতা হয়ে আরেকজন দলনেতার নামে নালিশ করাটাকে আমিও ভালো চোখে দেখলাম না। ফলে তার সাজা মওকুফ করতে গিয়ে বাকি পনেরো জনের পুরো লিস্টটাই আামাকে ছিঁড়ে ফেলতে হল। আমি কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনলাম না।''
অন্য বরণীয় অনেক নেতৃত্বের জীবনী পড়লে শৈশব থেকেই প্রচলিতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মনোবৃত্তি দেখা যায়।ম্যান্ডেলাকে আমার এই জায়গাটায় বেশ ব্যতিক্রম লেগেছে। সম্ভবত ম্যান্ডেলার আপাত নিরীহ সাধারনত্বের খোলসের মধ্যেই নিজেকে তথা লিডারশীপের সাথে ফলোয়ারদের মিলিয়ে একধাপে একসমান মনে করতে পারাটাই তাঁকে কালক্রমে একজন অনন্য নেতায় পরিণত করেছে। আমাদের দেশে জনগণ বরাবরই আন্দোলনে সংগ্রামে রাজনৈতিক অস্থিরতায় সবচে বড় বলীদান করে এসেছে। নেতারা নিজেরা করেন আয়েশী জীবন যাপন। তাই পড়তে পড়তে মনে হয় ,আমাদের দেশে এরকম একজন ম্যান্ডেলা পেতে কে জানে আরও কত দিন লাগবে?
বইটার পাতা উল্টাতে উল্টাতে দেখি কোন একসময় ধীরে ধীরে মানুষ ম্যান্ডেলা কর্মী ম্যান্ডেলা নেতা ম্যান্ডেলা হয়ে ওঠেন - এটা মনে হয় যেন মুভীর স্লো মোশন। কোন ড্রামা নেই , এক্সাইটমেন্ট নেই, খুব ধীরে ধীরে দলের দেশের একটা আন্দোলনের পুরোধা হয়ে ওঠা।
শুরুতেই লিখেছিলাম, আত্নজীবনী সবসময় নির্মোহ হয় না। নিজেকে পুরো খুলে দেয়া সবার পক্ষে সম্ভব না। এরকম কিছু কিছু ব্যাপার চোখে পড়েছে। যেমন ধরা যাক , ইভেলিনের ব্যাপারটা। ম্যান্ডেলার প্রথমা স্ত্রী।এক পর্যায়ে ছাড়াছাড়ির পটভূমিতে আলাদা ধর্মভাবনা পার্থক্যের কথা বইতে এসেছে, লেখক লিখেছেন ধর্মবিশ্বাস আর রাজনীতির দ্বন্দ্বের কথা। পারিবারিক জীবন চেয়ে আকুতি জানানো এক স্ত্রীর চাপা বেদনার কথা।কিন্তু ঐ একই সময় খোদ ম্যান্ডেলার নিজের এক্সট্রা ম্যারিটাল সম্কর্কের যে ঘটনা তা সম্পর্কে তিনি কোন আলোচনাই করেন নি।
যদি এটাকে নিজেকে একটু নেতিবাচক গোপন বলতে চান , তাহলে এটাও মনে রাখা উচিত নিজের সম্পর্কে অহমিকা কোথাও আসেনি লেখাটার। ম্যান্ডেলার মত এক মাপের মানুষের জন্য আত্নপ্রশংসা না করে কিছু লেখা মনে হয় আসলেই কঠিন। তিনি যে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন,তার সফলতার সাথে তাঁর কৃতিত্ব এমনভাবে জড়িয়ে গেছে যে বাদ দিলে সত্যের অঙ্গহানী হয়। তাও লেখায় বাড়তি কোন অহংকার বাগাড়ম্বর নেই। আরেকটা বিষয় বলতেই হবে খুব সাধাসিধে ভাষায় যা এসেছে তার বাইরে বর্ণবাদবিরোধী নেতার বইতে বর্ণবাদী বিভৎসতার বর্ননাও তেমন নেই।
যেমন ধরা যাক ,মৃত্যু উপত্যকা'' রোবেন দ্বীপ''র কথা।সেই ভয়ংকরা জায়গায় শুধু কৃষ্ঞাঙ্গ বন্দিদেরই পাঠানো হত। তারই রাজনৈতিক সহযাত্রী ডেনিসকে শুধু শেতাঙ্গ হবার কারণে অন্য কারাগারে পাঠানো হয়।এই বন্দিজীবনের সমস্যা ও তার সমাধানে আওয়াজ ওঠানোর কথা ম্যান্ডেলা লিখেছেন। কিন্তু টর্চারের কথা আসেনি।সমসাময়িক অন্য এক প্রিজনারের কথায় পাওয়া যেটার অন্যতম বিবরণীটা ছিল, মাটিতে জ্যান্ত গলা পর্যন্ত পুঁতে শুধু মাথা বের করে রাখা অবস্থায় মুখে প্রস্রাব করে দেয়া । এই বন্দির ভাষ্যমতে , তার অপরাধ ছিল সে আরেক অসুস্থ বন্দির সাহায্য করেছিল।
মোটমাট বইটাতে একটা নিরাসক্ত সাংবাদিকের ভূমিকায় এসেছেন ম্যান্ডেলা। আবেগের ছোঁয়া যদি কোথাও পাওয়া যায় সেটা মুলত পারিবারিক ম্যান্ডেলাতে । পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার অনেক লম্বা সময়টাতে মায়ের , স্ত্রীর , বাচ্চাদের থেকে দূরে কষ্ট বারবারে এসেছে লেখায়।
তাও মানবিক ম্যান্ডেলারও দোষ ও গুণ দুটার কোনটারই আতিশায্য লক্ষ্য করা যাবে না। যেমন ধরা যাক , দ্বিতীয় স্ত্রী উইনির কথা। একটা সময় সন্ত্রাসী কিছু কর্মকান্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আবার এটাও জানা যায় তিনি এক্সট্রাম্যারিটাল অ্যাফেয়ারে যুক্ত। অনেক নেতা ম্যান্ডেলাকে পরামর্শ দেন স্ত্রীকে ত্যাগ করতে।কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্ত ছিল অভিযুক্ত প্রমাণিত হবার আগ পর্যন্ত তিনি উইনির প্রতি লয়াল থাকবেন।এমনকি কিডন্যাপিং এন্ড এ্যাসাল্ট মামলায় তাঁর জন্য ফান্ড রেইজিংও করেন তিনি। এই ব্যাপারে খুব বিস্তারিত কিছু নিজের জীবনকাহিনীতে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে লেখা হয়নি, অন্য সূত্র থেকে জেনেছি। তাই ধরে নেয়া যায় , আত্নকাহিনীর বর্ননায় মোটের উপর ম্যান্ডেলা যথেষ্ট নিরাসক্ত থাকতে পেরেছেন।
এখানে আরেকটা জিনিস বলতেই হয়, '' লং ওয়াক টু ফ্রিডম'' সত্যকার অর্থেই যে ফ্রিডম আর বৈষ্যম্যহীন এক দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন দেখেছেন, এতে শুধু তারই কথা। বাড়তি কিছু নেই। ম্যান্ডেলাকে আমরা যে কারণে জানি ও প্রশংসা করি তার বাইরেও সর্বজনশ্রদ্ধেয় মানুষটি একটি বিতর্কিত পরিচয়ও রাখেন। বিভিন্ন সময় কিছু সামরিক জান্টা যেমন লিবিয়ার গাদ্দাফি, ইন্দোনেশিয়ার সুহার্তো, নাইজেরিয়ার সানি আবাচার প্রতি ম্যান্ডেলা ও তার দল এএনসির যথেষ্ট অনুকূল আচরণ ম্যান্ডেলার জন্য সবসময়েই প্রশ্ন চিহ্নের মতো হয়ে থাকবে। এছাড়াও কিছু ভায়োলেন্সের ঘটনার পিছনেও তাঁর নেতৃত্বাধীন দলঅংশের বিরুদ্ধে একধরণের অভিযোগ আছে। সেটাই সম্পর্কেও তেমন কিছুই এখানে ম্যান্ডেলা উল্লেখ করেননি।
এই বই তার শুধু তাঁর সংগ্রামের ছাপচিত্র, বাকি সব কিছুই এমনকি ম্যান্ডেলা নিজেও তার একজন পার্শ্বচরিত্রমাত্র, সার্বিকতা না।অজস্র ঘটনার সমাহার একের পরে এক করে লেখা; সাধারন পাঠিকা হিসেবে বলতে পারি, বইটা অনুবাদ করা হবার কারণেই হোক , বা মূল লেখনী খুব একটা আকর্ষনীয় না হবার কারণেই হোক, সত্যি বলতে কিঞ্চিত বোরিং। ম্যান্ডেলা সম্পর্কে ব্যাক্তিগত আগ্রহ আমাকে পাতার পরে পাতা টেনে নিয়ে গেছে, কিন্তু মনে রাখতে হয়েছে এটা এক নেতার অটোবায়োগ্রাফি। এক জন কুশলী লেখকের মালমশলাদার মজাদার কোন রচনা না। সাহিত্যিক উদ্দেশ্যে এটা লেখা হয়নি। তবে যারা আমারই মত তাঁকে জানতে চাইবেন , ইতিহাসকে জানতে চাইবেন তাদের জন্য বইটা না পড়লেই না।
নেটে পাওয়া চমৎকার এই কোট'টি দিয়েই লেখার শেষ টানছি। এককথায় এটাই বোধহয় দৃঢ়চেতা অবিসংবাদী নেতা ম্যান্ডেলাকে তুলে ধরতে পেরেছে।অসাধারন লাগলো।
Speech from the Dock quote made by Nelson Mandela on 20 April 1964
“I have fought against white domination, and I have fought against black domination. I have cherished the ideal of a democratic and free society in which all persons live together in harmony and with equal opportunities. It is an ideal which I hope to live for and to achieve. But if needs be, it is an ideal for which I am prepared to die.”
সূত্র:
লং ওয়াক টু ফ্রিডম - নেলসন ম্যান্ডেলা
অনুবাদ- সারফুদ্দিন আহমেদ
ওমর ফারুক
https://en.wikipedia.org/wiki/Nelson_Mandela
Click This Link
http://www.history.com/topics/nelson-mandela
Click This Link
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৩৯