যদি কোন বৃদ্ধা বলেন যে আমি চাঁদাবাজি, ধর্ষণ করিনা কারন আমি আল্লাহর ভয়ে তাহাজ্জুদও পড়ি তাহলে বিষয়টাকে কেউ গুরুত্ব দিবেনা কারণ চাঁদাবাজি ও ধর্ষণ করার মত সামর্থ্য ঐ বৃদ্ধার নাই। যেহেতু সে বুঝতে পারতেছে তার আয়ুষ্কাল শেষের দিকে, যেকোন সময় তার জীবন প্রদীপ নিবে যেতে পারে, তাই সে যাবতীয় খারাপ কাজ ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর ভয়ে তাহাজ্জুদ পড়তে পারে এটাই স্বাভাবিক!
আবার যদি কোন যুবক ঘোষণা করে যে, আমি এই মুহূর্ত থেকে চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ধর্ষণ ও কোনপ্রকার অনৈতিক কাজ করবোনা, কারণ এই দুনিয়ায় আমি চিরস্থায়ী নই, যেকোন মুহূর্তে আমার মৃত্যু হতে পারে। তাহলে সেটাকে আদর্শিক বিপ্লব বলা অমূলক হবেনা....কারণ চাঁদাবাজি, ইভটিজিং ও ধর্ষণে আমার প্রিয় জন্মভূমি ডুবে আছে। মানুষ এগুলো থেকে পরিত্রান চায়।
যদি কোন স্কুল শিক্ষক অথবা মসজিদের ঈমাম সাহেব ঘোষনা দেন যে আমি ঘুষ খাবনা, আমি জাহান্নামের আগুনকে ভয় করি...তাহলে বিষয়টা হাস্যকরই বটে কারণ উনাদের ঘুষ খাওয়ার কোন সুযোগই নাই। মসজিদ ও স্কুলে ঘুষ বানিজ্যের স্থান নাই, তাই উনাদের সাথে ঘুষ বানিজ্যের কোন রিলেশন না থাকার কারণে সমাজের মানুষ বিষয়টাকে হুজুরের/শিক্ষকের নীতিকথা হিসেবেই নিবে।
আবার যদি কোন ওসি, এসপি, ডিসি, মন্ত্রী অথবা এমপি ঘোষণা দেন যে আজ থেকে আমি ঘুষ খাবনা, কারণ আমি জাহান্নামের আগুনকে ভয় করি তাহলে বিষয়টাকে জনগণ আন্তরিক মোবারকবাদ জানাবে কারণ উনাদের চতুরর্দিকে ঘুষের প্রস্তাব পর্যাপ্ত পরিমানে থাকে।
আল্লাহ সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫৮