আমাদের রাজনীতিবিদেরা প্রায়ই নানা রকম বাণী দিয়ে আমাদের ধন্য করেন, বিনোদিত করেন। যদি রবীন্দ্রনাথ থাকতেন তাঁদের ভূমিকায়, কী লিখতেন তিনি? আসুন, দেখা যাক।
রবীন্দ্রনাথ যখন প্রধানমন্ত্রী
অনেক কথা যাই যে বলি
অনেক কথার ছলে
কথা শুনে তবু কেন
লোকে মন্দ বলে?
চিত্ত মম কত্ত ভালো
আলোকিত মম সত্তা,
বেডরুমে তবু কেন
চাও নিরাপত্তা?
তোমাদের ছোট নদীর
সকল মাছ-ব্যাঙকে
রাখিও যতনে
নতুন ছয় ব্যাংকে
বেডরুমে রেখো না।
কী কী ঘটে দেখো না?
রবীন্দ্রনাথ যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আজি মম হূদয় জুড়িয়া ক্ষত
বাতায়ন মাঝে হাহাকার কত শত
চোখ মেলে চৌদিকে কী দেখি
কান পেতে শুনি—
হেরিলাম আমি এ কী!
কী ঘটিছে চারিপাশে আজি ওরে
কে নাকি মেরেছে কারে,
ঢুকিয়া তাহার ঘরে।
ব্যথিত হূদয়, তৃষিত আঁখি,
ব্যাকুল আমার মনটা
ধরিয়া আনিব খুনিকে আমি
যাক না ৪৮ ঘণ্টা।
রবীন্দ্রনাথ যখন বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব
সহসা আমি করেছি ভুল গানে
বেঁধেছি লয় তানে
সমুদ্রজয়ের পরে,
ধন্যবাদ দিয়েছিনু কবে কারে
উহা আর কোনো
কাজেই লাগিল না রে।
অবুঝ আমার চিত্ত
হঠাৎ দিল নৃত্য
বুঝিলাম আমি করিনু মহা ভুল
ধন্যবাদ ফিরিয়ে নিয়া
দিলেম তাহার মাশুল।
রবীন্দ্রনাথ যখন বিদ্যুৎমন্ত্রী
না দেখিয়া আঁখি জুড়াও তারে
কেন তারে দেখিতে চাও বারে বারে?
বিজলি আসিবে, বিজলি হাসিবে,
বিজলি যাইবে চলিয়া।
এমনই তো হয়, বদলাবে কিছু
আবোল-তাবোল বলিয়া?
চুপ করি সখা বসিয়া থাকো
কল্পনাতে কারেন্ট আঁকো।