আপনার মোবাইল নম্বর, আপনার বাসার ঠিকানা, আপনার ইমেইল এড্রেস সবকিছু নিশ্চয়ই আপনার জন্য অনেক গুরত্ত্বপূর্ণ তথ্য। এগুলোর সাথে জড়িয়ে আছে আপনার নিরাপত্তা সহ অনেক জরুরী ব্যপার।
আপনি নিশ্চয়ই অন্য কাউকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যগুলো দিতে চাইবেন না। তাই না?
কিন্তু জানেন? আপনার অজান্তেই কিন্তু আপনার সব তথ্য পাবলিক করে দেয়া আছে।
বেশ কিছুদিন আগেই খেয়াল করেছিলাম ব্যপারটা। আমার বেশ ক'জন বন্ধু বাংলালায়ন ইউজ করে। আমি বাংলালায়নের কাস্টমার পেজে গেলাম। সেখানে গিয়ে একটু গুতাগুতি করলাম। সাথে সাথে প্রায় সব বন্ধুর মোবাইল নম্বর, বাসার ঠিকানা, সে ইন্টারনেটের কী প্যাকেজ ইউজ করছে, কতোটুকু ব্যান্ডউইথ তাঁর বাকি - সব পেয়ে গেলাম।
আরো মজার ব্যপার হলো আমি র্যান্ডমলি আরো অনেকের নাম লিখে ট্রাই করলাম। এবং যাদেরকে আমি চিনি না, জানি না তাদের সব তথ্যই আমার কাছে চলে আসলো।
অনেকেই হয়তো এর মাঝেই ব্যপারটা খেয়াল করেছেন। যারা খেয়াল করেন নি তাদের জন্য একটু বলে দেই। উপায়টা সহজ।
ধরুন আপনি সিলেটের কোন বাংলালায়ন ইউজারের তথ্য জানতে চাচ্ছেন। যার তথ্য জানতে চাচ্ছেন তার নাম হাসান। Hasan.
আপনি চলে যানঃ http://care.banglalionwimax.com/login.php
সেখানে ইউজার নেম এর ঘরে টাইপ করুন syl.hasan
আর পাসওয়ার্ডের ঘরে লিখুন 123456
তারপর লগ-ইন বাটনে ক্লিক করুন। দেখুন ম্যাজিক।
মানে দাড়ালো syl. Ctg. ইত্যাদি লিখে যে নামই দিবেন তাঁর সব তথ্যই আপনি পেয়ে যাবেন। কারণ পাসওয়ার্ড তো আপনার জানাই আছে। একই পাসওয়ার্ড দিয়ে সব বাংলালায়ন একাউন্ট চলে। বাংলালায়ন তাদের ইউজারদের পাসওয়ার্ড চ্যাঞ্জ করার সুবিধা দেয় না।
এটা ২০১২ সাল। "ব্যাক্তিগত তথ্য" হচ্ছে এখন সবচেয়ে সেনসিটিভ ব্যাপার। একটা মোবাইল নম্বরই যেখানে আজকাল অনেক বড় বিপদের কারণ হতে পারে সেখানে বাংলালায়ন আমাদের মোবাইল নম্বর, টেলিফোন নম্বর, বাসার ঠিকানা সহ কোন তথ্যেরই নিরাপত্তা দিচ্ছে না।
বাংলালায়নের উচিত এখনই ইউজারদের পাসওয়ার্ড চ্যাঞ্জ করার সুবিধা দেয়া।
* একই পাসওয়ার্ড দেয়া হয়েছে পুরনো গ্রাহকদের। নতুন গ্রাহকদের এই সমস্যা নেই। যাই হোক, পুরনো নতুন কোন ব্যাপার না। ব্যাপার হলো বাংলালায়ন ব্যাক্তিগত তথ্য পাবলিক করে রেখেছে। যে কেউ ইচ্ছা করলে এটা দেখতে পারবে।
* এক কপি রাখলাম ব্যাক্তিগত ব্লগে।