এই ইট পাথর কংক্রিটের শহরে সবুজের দেখা পাওয়াটাই অনেক কষ্টের যেন মরুভূমির মধ্যে পথহারা পথিকের হঠাৎ করে পানি খুঁজে পাওয়ার মত। চারিদিকে তাকালেই দেখতে পাই সুরম্য অট্টালিকা। প্রকৃতিকে হত্যা করে কে কার চেয়ে বড় বাড়ি বানাবে এই চিন্তাতেই অস্থির। তারপরও যদি সবুজের দেখা মেলে তাহারও বেহাল দশা। বেশিদূর যাবোনা আমি আজকে তেজগাঁও এর অক্সিজেন বলে খ্যাত ফার্মগেট পার্কটির দুর্দশা নিয়ে কিছু কথা বলবো। কারো কাছে এটি ইন্দিরা পার্ক আবার কারো কাছে শহীদ আনোয়ারা পার্ক বলে পরিচিত। একদা এই পার্ক ছিলো সবুজের সমারোহ।
তেজগাঁও বর্তমানে শের বাংলা নগর থানার যেকোন এক এলাকাতে আমার বেড়ে উঠা। তাই এই পার্কটির সাথে আমার শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িত। ছোটবেলাতে আমাদের খেলার মাঠ বলতে ছিল এই পার্কটি। হা আপনারা বলতে পারেন আমাদেরও দোষ আছে আমাদের খেলাধুলার কারনে এখানে অনেক গাছ উপড়ে গিয়েছে অনেক কিছু নষ্ট হয়ে গিয়েছে কিন্তু আমরা ছিলাম নিরুপায়। বড়দের দখলে থাকা মাঠগুলাতে তাদের সাথে না পেরে আমাদের শেষ ভরসাস্থল ছিল এই মাঠটি।
বর্তমানে এই পার্কটির অবস্থা আগের চেয়ে আরো বেহাল। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকেই এখানে অসামাজিক কার্যকলাপের শুরু। নানারকম নেশাজাতীয় দ্রব্যর রমরমা ব্যাবসা এই পার্কে। এছাড়া ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এখানে একটি উন্নত মানের বাথরুমের ব্যাবস্থা করার পরেও অনেকে এই পার্কটিতে প্রাকৃতিক কার্য সম্পাদন করার জন্য ব্যাবহার করিয়া থাকেন। আরো আছে ছিন্নমূল মানুষের বাসস্থানও চারিদিকে ময়লার ভাগাড়।
মাঝেমধ্যে এলাকার স্থানীয় নেতার পক্ষ থেকে এই পার্ক এ মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সার্বক্ষণিক দেখভালের অভাবে পার্কটি আবার আগের পরিবেশে চলে যায়। তাই রাজাবাজার ও ইন্দিরা রোডবাসী সাধারণ জনগনের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন এই পার্কটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়া আনা হোক ও যাতে আমরা যেনো আবারো ফ্রেশ অক্সিজেন নিতে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫