সন্মানিত রাজ্জাক স্যার আপনারা যদি দাবাং এর মতো ছবি আপনাদের সেন্সর বোর্ড থেকে মুক্তি পেতে পারে তাইলে কামু ভাই ভাই এর ছবি দি ডিরেক্টর কি দোষ করলো ।
দাবাং ছবি যদি আমাদের দেশের মানুষ দেখতে পাড়ে তাইলে কামু ভাই এর চলচিত্র দেখার অধিকার সবার আছে । আশা করি আপনি বুঝতে পারবেন স্যার এটা ২০১৪ সাল ১৯৮০ সাল না । সময়ের তালে তালে পৃথিবীর সিনেমা জগতে ব্যাপক এক পরিবর্তন এসেছে । সেই পুরানো ডিশুম ডাশুম ছবির চেয়ে এখনকার সিনেমাগুলোতে আমাদের সমাজ ব্যাবস্থাকে তুলে ধরা হয় । সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে কাহিনী নিয়ে এখনকার ছবিগুলো তৈরি হয়ে থাকে অথবা কাহিনী নির্ভর ছবি হলেও তার মধ্যে সাধারণ মানুষের জন্য শিক্ষামুলক মেসেজ থাকে ।
যেখানে সব দেশ চলচিত্রর মান এগিয়ে যাচ্ছে আর আমাদের সেন্সর জটিলতার কারনে অনেক ভালো ছবি মার্কেট এ আসার সুযোগ পাচ্ছে না । আমাদের ধ্যান ধারনা এখনো মান্দাতার আমলে রয়ে গিয়েছে আশা করি এর এক ব্যাপক পরিবর্তন দরকার ।
একসময় আমাদের দেশের বাংলা ছবির মান খুব ভালো ছিলো , আমি বলবো না এখনো ভালো নেই তবে তা কিছু অল্প সংখ্যক পরিচালকের মধ্যে সীমাবদ্ধ , আমরা এখনো ভুলি নাই খান আতা , জহির রায়হান , আলমগির কবির , এহেতেশাম ,আবদুল্লা আল মামুন , আমজাদ হোসেন ,কাজী হায়াত , চাষি নজরুল ইসলাম আর অজস্র নামী গুণী চিত্র পরিচালকদের কথা ও তাদের অমর সৃষ্টির কথা । তারা অনেকে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন অনেকে জীবিত কিন্তু তারা তাদের কাজের দ্বারা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন আমাদের চলচিত্র প্রজন্মের কাছে । তাদের সময় অনেক আন্তর্জাতিক মানের ছবিও হয়েছে আমাদের এ দেশে এবং আমরা আন্তর্জাতিক পুরুস্কার ও পেয়েছি ।
বর্তমানের প্রজন্মের চলচিত্র পরিচালকরা আমাদের বাংলাদেশের সিনেমা ধারায় ব্যাপক এক পরিবর্তন এনেছেন এবং আনার চেষ্টা করছেন , তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিচালক হল তানভীর মোকাম্মেল ,তারেক মাসুদ , প্রয়াত হুমায়ন আহমেদ , মোরশেদুল ইসলাম , নাসিরুদ্দদিন ইউসুফ , মোস্তফা সরোয়ার ফারুকি , সাইমন আহমেদ কামার আরো অসংখ্য গুণী পরিচালক ( এই মুহূর্তে অনেকের নাম মনে আসছে না ) এবং তাদের নির্মিত ছবি পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ছবির সাথে সাথে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চলচিত্র উৎসব এ যাচ্ছে ।
সেন্সর বোর্ড দয়া করে আমাদের চলচিত্রকে সিন্দাবাদের ভূত থেকে মুক্তি দেন ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৩