কুঁকড়ানো কাতরোক্তি খামচে ধরছে ,
অকৃতজ্ঞ দেহ করেছে বিদ্রোহ।
উন্মত্ত আমি, এপাশ-অপাশ ধরাশায়ী ,
ফিকে অবয়বে শয্যাশায়ী।
কাশ্মীরের বুকে এ কোন সাহারার বিচরণ !
কোয়ালা’র শরীরে এ কেমন জাগরণ ?
খই ফোটা উষ্ণে, হীম শীতল পরশে,
পৃথিবীর সুখ লুটায় পড়তো নিজ গায়ে,
কোনখানে সেই হাত ?
মুকুলটা টিউশনে,
নিহিম ব্লাড ব্যাংকে,
অর্থী দূর থেকে ,ছটফটিয়ে যাচ্ছে ;
সাজিম চোখের সামনে উচ্ছ্বাসে স্মার্ট ফোনে,
আর আমি থেতলানো কাতরানি নিয়ে ছোট্ট কোণে ।
অসহায়ত্বরা হামলে পড়ছে ,
সর্বশ্রান্ত আমি! পড়ছি মুষড়ে ।
জানো মা? সে দিন প্রথম
মুখ,নাক-চোখের জলে তৃষ্ণা মিটিয়ে ছিলাম
তোমার চির সচেতন চোখেরা নিশ্চয় পাহারা দিত রাতভর
কিন্তু ক্লান্তি আসতো না । কালা বিবিও চৌকাঠ ধরে দাঁড়িয়ে থাকতো ।
মিনি ঘুমকাতুরে চোখ নিয়ে আমার কোলেই ঘুমাতো তাই তো ?
হয়তো বা আধাঁর ডিঙ্গিয়ে আলো বিবি
ক্ষুদ্র থরো থরো পায়ে চলে আসতো ।
কোথায় আমার সোঁদা মাটির হাত ?
চাই না আমি কংক্রিটের আবেগ,
এনে দাও আমার গেঁয়ো সুখ ,
লাগবে না নয়ন ভুলানো ফানুস ।
মেখে দাও সর্ব অঙ্গে এঁদো মাটির প্রলেপ ।
পাদটীকা
উন্মত্ত - হিতাহিত জ্ঞানশূন্য,কোয়ালা-এক ধরনের প্রাণি (দিনের অধিকাংশ সময় আরামে ঘুমে কাটায় )
ফিকে-পানসে,অবয়বে-অঙ্গে
ভাই আরোগ্য নাছোড়বান্দা কবিতা লিখতেই হবে ,শ্রদ্ধেয় বিজয় ভাইয়ারও অনেক দিন কথা ,কবিতা লিখতাম । কিছু একটা চেষ্টা করলাম । এভাবেই পাশে রবেন আশা করি । আজকের কবিতা উৎসর্গ আমার ‘মা’ কে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৯