এক নারী রাজনীতিবিদ; পুরুষদের জন্য যৌনদাসী বৈধ করার আহ্বান জানিয়েছেন
০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
কুয়েতের পুরুষদের জন্য যৌনদাসী বৈধ করার আহ্বান জানিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন সেখানকার এক নারী রাজনীতিবিদ। সালওয়া আল মুতাইরি নামের ওই রাজনীতিবিদ এবং টেলিভিশন উপস্থাপক বলেছেন পুরুষদের জন্য যৌনদাসী রাখার বৈধতা দেয়া হলে সেটা তাদেরকে ব্যভিচারের হাত থেকে রক্ষা করবে। সে সঙ্গে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে নারী বন্দিদের কিনে আনারও পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন ওইসব নারীদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এর মাধ্যমে তারা একটি ‘উন্নত জীবন’ পাবেন এবং তারা আর অভুক্ত থেকে মারা যাবেন না। ডেইলি মেইল জানিয়েছে, একবার পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়া সালওয়া তার বক্তেব্যের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন কেনা যৌনদাসী কুয়েতের পুরুষদেরকে ব্যভিচার এবং অন্য নারীর প্রতি আসক্ত হতে প্রতিহত করবে। কেননা, বিদেশী এসব যৌনদাসী তাদেরকে বিয়ে করা স্ত্রীর মতোই সুবিধা দেবে। তিনি দাবি করেছেন এতে কোন লজ্জা নেই। ইসলামিক শরীয়াহ আইনেও এটা নিষিদ্ধ করা হয়নি। নিজের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি অষ্টম শতাব্দীর মুসলিম নেতা হারুন আল রশিদের নাম উল্লেখ করেছেন। তার ২০০০ রক্ষিতা ছিল বলে গুজব রয়েছে। সালওয়া এ জন্য পরামর্শ দিয়ে বলেছেন গৃহকর্মী যোগাড় করতে যেমন বিশেষ বিভাগ রয়েছে তেমনি এ ধরনের যৌনদাসী সরবরাহের জন্যও নির্দিষ্ট অফিস খোলা উচিত। তিনি চেচনিয়া যুদ্ধের উদাহরণ দিয়ে বলেছেন সেখানে রাশিয়ান যুদ্ধবন্দি নারী অবশ্যই রয়েছে। তাদেরকে সেখান থেকে এনে কুয়েতে বিক্রি করা হোক। আমাদের দেশের পুরুষরা যে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে তার চেয়ে এ ব্যবস্থা অনেক উত্তম বলে তিনি উল্লেখ করেন। সালওয়া বলেছেন সমপ্রতি মক্কা সফরের সময় তিনি সেখানকার মুফতিদের যৌনদাসী রাখার ব্যাপারে ইসলামের বিধান সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। তারা তাকে বলেছেন এতে কোন দোষ নেই। এ বিষয়টি কুয়েতের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পণ্ডিতরাও তাকে আশ্বত করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। গত মাসে এক ইউটিউব ভিডিওতে সালওয়া পুরুষদের জন্য যৌনদাসীর বৈধতা দেয়ার এ আহ্বান জানিয়ে ছিলেন।
গত কয়েক দিনে উপসাগরীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশের পত্রিকাতে তার এ ধরনের বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পর কুয়েতসহ ওই অঞ্চলের তীব্র সমালোচনা উঠেছে। তার এ ধরনের বক্তব্যের জবাবে টুইটারে মোনা এলতাহাওয়ি লিখেছেন ইরাকি বাহিনী কুয়েতে অভিযান চালানোর সময় তাকে যদি যৌনদাসী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো তাহলে তার কেমন লাগতো সেটাই ভাবার বিষয়। আরেক টুইটার ব্যবহারকারী বলেছেন সালওয়া আসলে সব নারীর জন্যই লজ্জার কারণ হয়ে দাড়িয়েছেন। (মানবজমিন)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এনসিপি আওয়ামীলীগকে এত ভয় পাচ্ছে কেন?
অলরেডি আওয়ামীলীগের তো কোমর ভেঙ্গে গেছে। তবু রাতদুপুরে এত আন্দোলন কেন? দেশে ১৮/২০ কোটি মানুষ। তারা তো আওয়ামীগকে ভয় পাচ্ছে না। তাহলে এনসিপির এত...
...বাকিটুকু পড়ুনবৃথা হে সাধনা ধীমান.....
বিএনপি মিডিয়া সেল এর সদস্য সচিব ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানী সকল পত্রিকা কতৃপক্ষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ কর্মসূচি শুরু করেছেন- বিএনপির এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সাম্প্রতিককালে একটি আন্তর্জাতিক কমিউনিটিতে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার সুযোগ হয়েছে। এই আন্তর্জাতিক কমিউনিটিতে ভারত এবং চীনের জনসংখ্যাগত আনুপাতিক কারণে অংশগ্রহণ বেশি। এই কমিউনিটিতে ভারত, চীন ছাড়াও পাকিস্তান, নেপাল, ইউক্রেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

দীর্ঘ তিন বছরের কূটনৈতিক আলোচনার পর ৬ মে ভারত ও যুক্তরাজ্য একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি সাক্ষর করে, যা উভয় দেশের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তার মাঝে...
...বাকিটুকু পড়ুনলিখেছেন
সোহানী, ১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ৭:৫৮


এএসপি পলাশ সাহার আত্মহত্যা নিয়ে অনলাইন গরম। কেউ মা'কে দোষারোপ করছে কেউ বউকে। আর কেউ অভাগা পলাশকে দোষ দিচ্ছে। অনেকটা শাবানা জসিমের বাংলা ছবির মতো, "মা বড়...
...বাকিটুকু পড়ুন