হায়ছাম ইবনে মালেক আত-তায়ী বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“দাজ্জাল দুই বছর ইরাক শাসন করবে। তাতে তার সুশাসন প্রশংসিত হবে এবং মানুষ তার দিকে ধাবিত ও আকৃষ্ট হবে। দুই বছর পর একদিন সে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিবে। তখন জনতাকে উদ্দেশ্য করে সে বলবে, এখনও কি সময় আসেনি, তোমরা তোমাদের প্রভুর পরিচয় লাভ করবে? এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করবে, আমাদের প্রভু কে? দাজ্জাল বলবে, আমি। আল্লাহর এক বান্দা তার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করবে। দাজ্জাল তাকে হত্যা করে ফেলবে”।
(আল ফিতান, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৫৩৯)
ইমরান ইবনে হুসাইন বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“যে-ই দাজ্জালের আবির্ভাবের সংবাদ শুনবে, সে-ই যেন তার থেকে দূরে থাকে। আল্লাহর শপথ, এমন ঘটনা ঘটবে যে, কোন লোক এমন অবস্থায় তার কাছে আসবে, সে নিজেকে মুমিন ভাবছে, কিন্তু এসে তার কর্মকাণ্ডে সন্দেহে নিপাতিত হয়ে তার অনুসারী হয়ে যাবে”।
(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৭৬২)
দাজ্জালের ফেতনা সম্পদ, সৌন্দর্য ও শক্তি – মোট কথা সব বিষয়ে হবে। আর জগত তার সবটুকু সৌন্দর্য নিয়ে শহরে নগরে অবস্থান করে থাকে। যে অঞ্চল শহর থেকে যত দূরে হবে, সেখানে দাজ্জালের ফেতনা তত কম হবে। উম্মে হারামের হদিসেও এ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। উক্ত হাদিসে বলা হয়েছে, মানুষ দাজ্জাল থেকে এত পলায়ন করবে যে, তারা পাহাড়ে চলে যাবে।
আমিন বেগের ব্লগ থেকে।