ভাই বাসওয়ালারা, তোমরা আমাদিগকে সত্যই করেছ মহান। আন্তরিক ও দূর্লভ সেবার দরুণ তোমাদিগণের পদযুগলে মাথা ঠেকিয়ে তাই আমার কুর্নিশ করতে মন চায়। ঈদ বা বিবিধ পূজা-পার্বণে বাস কাউন্টারে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা আমরা পাই, তাতে আজীবন তোমাদেগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হয়।
তারপর যদি নিতান্ত ভাগ্যগুণে একখান সোনার হরিণ পেয়েই যায়, তবেতো আর কথাই নাই (দামতো বেশি হবেই, after all সোনার হরিণ বলে কথা; বেশি দাম দিতে তবে কেন হবে মাথাব্যথা?)।
…………………………………………………………………………………
অতঃপর অনাদিকাল ব্যাপী অপেক্ষার প্রহর গোণা। কখন আসবেন তিনি (বাস)? তার লেশ দেখা পাওয়া মাত্রই বেড়ে যায় স্নায়ুক্ষয়; আবেগ-উত্তেজনায় থরথরিয়ে কাঁপতে থাকি আমরা যাত্রীকূল। বেড়ে যায় হৃদয়ের ব্যাকুলতা, মনে হয় পাবতো ঠায়?
হায়; ঠায় নাই, ঠায় নাই, অতি ছোট্ট সে তরি। তাইতো শুরু হয় নিজেদের মাঝে হুড়োহুড়ি। বাস বিলম্ব হেতু যাদের মধ্যে এতক্ষণ ছিল ফেবিকলের বন্ধন, তারাই এখন নিজেদের মধ্যে করে মারামারি করছে ক্রন্দন।
অবশেষে নিজেরা ক্ষ্যান্ত দিয়ে, সুপার(জ্বি, সুপার)ভাইজারের দ্বারস্থ হয়ে দিল তারওপর বিচারের ভার ছাড়ি। সবশেষে সিদ্ধান্ত হলো দূর্বল বসবে ড্রাইভারের পাশে ইঞ্জিন কাভারের ওপরে। পারেনি সে বাহুর জোরে।
রাস্তার যানজট আর ফেরির সিরিয়াল ঠেলে যদিওবা পৌঁছাই নাড়ির টানে, বাসের সাহায্যকারী করুণ দৃষ্টি ফেলে বলে আসতে পেরেছিস বেটা আমার দয়ার জোরে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২০