বরাবর,
অফিসার ইন-চার্জ,
শ্রীনগর থানা, জেরা-মুন্সীগঞ্জ।
বিষয়: - এজাহার।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)মোঃ কুদ্দুছুর রহমান, শ্রীনগর থানা, জেরা মুন্সীগঞ্জ। থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে লিখিত এজাহার করিতেছি যে, পুলিশ জেলা বিশেষ শাখার স্মারক নং ৫২৩ তাং ২৯-১-২০১১খ্রিঃ মোতাবেক আড়িয়াল বিলে প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সিটি নির্মাণের প্রতিবাদে আড়িয়াল বিল রক্ষা কমিটি কর্তক আহুত ঢাকা মাওয়া মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি উপলক্ষ্যে অদ্য ৩/০১/২০১১খ্রিঃ মোতাবেক সকাল ০৬.৩৫ মিটিটের সময় সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার, মুন্সীগঞ্জ সার্কেল, জনাব সাহেদ ফেরদৌস রানা এর নেতৃত্বে আমি ও এসআই/তারিফুজ্জামান, মাওয়া নৌ ফাড়ী, এসআই/মহিদুর রহমান, লৌহজং থানা, এসআ/বেলাল হোসেন, ডিবি, মুন্সীগঞ্জ, আর্মড এসআই/আব্দুস সালাম, পুলিশ লাইনস, মুন্সীগঞ্জ, এসআই/মো. আবু তাহের, সদর কোর্ট, এএসআই/সেলিম রেজা, টঙ্গীবাড়ি থানা, এএসআই/লাল মিয়া, গজারিয়া থানা ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ছনবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাজনিত ডিউটিতে মোতায়েন হই। ডিউটি চলাকালীন অদ্য ইং ৩১/০১/২০১১খ্রিঃ তারিখ বেলা আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকার সময় আড়িয়াল বিল রক্ষা কমিটর নেতা আহব্বায়ক (১) ডাঃ ফকরুল ইসলাম চৌধুরী (৬০), কোষাদক্ষ্য (২) আজাহার হোসেন (৫০), সদস্য সচিব (৩) সাইদুর রহমান সাইদ (৫০), (৪) ডাঃ ফয়জুর রহমান আল সিদ্দিকী, (৫) ডাঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও (৬) ডাঃ আমানুর ইসলাম চৌধুরীদের প্ররোচনায় আড়িয়াল বিল রক্ষা কমিটির নেতা (৭) মো. শাহজাহান বাদাল (৫০), ..(এখানে অন্যদের নাম রয়েছে) .. .. (১৫৪) মোঃ দুলু মিয়া, পিতা-অজ্ঞাত সহ অজ্ঞাতনামা ০৬/০৭ হাজার উশৃঙ্খল জনতা শ্রীনগর, দোহার, নবাবগঞ্জ ও সিরাজদিখান থানা এলাকার বিমান বন্দর প্রতিরোধ ও আড়িয়াল বিল রক্ষা কমিটির লোকজন হাতে লাঠিসোটা, ইটপাটকেল, রামদা, টেটা, বল।লম, ছোরা, চাইনিজ কুড়াল, বন্দুক, সাবল, গুলতি ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া ঢাকা মাওয়া মহাসড়ক দিয়া শ্রীনগর বাজার ও মাননীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের বাড়ী লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের জন্য মিছিল সহকারে রওয়ানা হইলে এএসপি, মুন্সীগঞ্জ সাকর্কেল মহোদয়ের নেতৃত্বে আমরা তাহাদও বাঁধা প্রদান করি। হেলারের মাধ্যমে তাহাদেও ধ।বংসাত্মক কার্যক্রম হইতে বিরত ও শান্ত থাকার জন্য বারবার অনুরোধ করি। কিন্তু হাহারা পুলিশী বাঁধা অপেক্ষা করিয়া একপর্যায় আমকে লক্ষ করিয়া বৃষ্টির মত ইট, পাটকেল, গুলতি ও বন্দুকের গুলি ছড়–তে থাকে। উশৃঙ্খল জনতার মধ্যে ০১জন রাম দা দিয়া, এসএসপি, মুন্সীগঞ্জ সার্কেলকে লক্ষ্য করিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ দিলে ব্যাটালিয়ান হাবিলদার/২১৬১ মো. আজমল হোসেন তাহার ঢাল দিয়া ফিরাইলে উক্ত কোপ ঢালে লাগিয়ো ঢাল কাটিয়া য়ায়। তখন আমরা আমাদেও জানমাল ও সরকারী সম্পত্তি রক্ষার্থে নায়েক/৪২৯ আব্দুর রহহিম ০২টি গ্যাস সেল, কং/২০৪ মনোয়ার ০২টি শর্টগানের গুলি, কং/৪৩৮ ওয়াদুদ ০৫টি সেল, কং/৩৪৩ হেদায়েত ০৯টি শর্টগানের গুলি, কং/৪০৬ তৈয়ব আলী ০৫টি শর্টগানের গুলি, গাজীপুর ব্যাটালিয়ান কং/২৬২০ রফিকুল ইসলাম ০৭টি শর্টগানের গুলি, কং/২৪৬২ তারিক ১৩টি শর্টগানের গুলি, কং/২৫৬৯ রুহুল ০১টি শর্টগানের গুলি, কং/ ২৬৯১ সুমন ০১টি শর্টগানের গুলি, কং/২৫৯৮ তুহিন ০৯টি শর্টগানের গুলি, কং/২৫৬৩ আবুল কালাম ০১টি শর্টগানের গুলি, কং/২৫১৮ আনন্দ ০১টি শর্টগানের গুলি, উত্তরা সেকেনড ব্যাটালিয়ান নায়েক/২২৭৫ লোকমান ০৩টি গ্যাস সেল, কং/২৪৮৯ মানিক ০৩টি শর্টগানের গুলি, কং/২৫২৬ বিল্লাল ০৪টি গ্যাস সেল, কং/২৮০৪ বাছির ০১টি শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করা। এক পর্যায়ে উশৃঙ্খল জনতা পিছু হটিয়া রাস্তায় মাননীয় সংসদ সদস্যের নির্মিত তোরণ ভাংচুর করে। উশৃঙ্খল জনতার নিক্ষিপ্ত ইট, পাটকেল ও গুলতির আঘাতে আমিসহ এএসপি, মুন্সীগঞ্জ সার্কেল মহোদয় ও আমর সঙ্গীয় এসআই/তারিকুজ্জামান, কং/৩৪৩ হেদায়েত উদ্দিন, কং/৪০৬ তৈয়ব আলীসহ কয়েকজন আহত হই এবং এক পর্যায় উশৃঙ্খল জনতা ছত্রভঙ্গ হইয়া হাসাড়ার দিকে চলিয়া যায়। উপরোক্ত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ হাজার উশৃঙ্খল জনতা মারাত্মক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া পুলিশের কর্তব্য কাজে বাঁধাদান, কর্তব্যরত পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে আহত করা ও তোরণ ভাংচুর করিয়া দঃবিঃ আইনের ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩৫৩/৩৩২/৩৩৩/৩০৭/৪২৭/৩৪/১০৯ ধারা মোতাবেক অপরাধ করিয়াছে।
অতএব, উল্লিখিত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করিয়া তদন্তের ব্যবস্থা করিতে মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
স্বা/--
(মোঃ কুদ্দুছুর রহমান)
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)
শ্রীনগর থানা, জেলা-মুন্সীগঞ্জ
৩১/১/১
বিদ্র: আসামিদের নামের তালিকা কমিয়ে দেখানো ছাড়া এজাহারটি হুবহু লেখা হয়েছে। দুই একটি বানান ঠিক করা হয়েছে।
মন্তব্য:
১, ৪, ৫ ও ৬ নং হুকুমের আসামিদের নামের আগে ডাঃ লেখা হয়েছে। মূলত এই চারজনই ডক্টর। পুলিশ এজাহারে আরো অনেক বানান ভুল করেছে। তাতেই প্রতিয়মান হয় এই চারজনের ক্ষেত্রেই তাদের ভাষাজ্ঞানের স্বল্পতা ফুটে উঠেছে। এদের মধ্যে ৫নং আসামি ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যারের আরো দুই ভাই ১ ও ৬নং আসামি। ৬নং আসামি সাবেক তত্তাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। ৪ নং আসামি একজন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী। এদের সর্বসাং লেখা হয়েছে বাড়ৈখালী। সর্বজন পরিচিত এই ব্যক্তিত্বদের পিতার নাম লেখা হয়নি। অন্য প্রায় সকল আসামিদের ক্ষেতে পিতার নাম লেখা হয়েছে অথবা পিতা অজ্ঞাত লেখা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ বলছে স্থানীয় ডাঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর নাম লেখা হয়েছে। স্থনীয় ডাঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী নামে অন্য কোন ব্যক্তি বাড়ৈখালীতে নেই। অন্য যাদের নামের আগে ডক্টর এর পরিবর্তে ডাঃ লেখা হয়েছে তেমন ডাক্তারও নাই বাড়ৈখালীতে। এতে স্পষ্ট হয় ৫ নং আসামী আমাদের শ্রদ্ধেয়, বরেণ্য প্রাবন্ধিক, অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।