♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)
(ছবি নেট হতে নিয়ে এডিট করা)
পরম পূজনীয় শ্রদ্ধেয় আংকল,
আপনাকে লিখবো না লিখবো না করেও লিখতে হচ্ছে। কারণ, আপনাকে যে কি লিখবো তাই বুঝে উঠতে পারি না। একবার মনে হয় আপনি আস্তিক, আবার মনে হয় নাস্তিক। যদি মনে হয় কবি, পরোক্ষণেই মনে হয় গবেষক। মনে হয় ইসলামী চিন্তাবিদ, আবার মনে হয় দুশ্চিন্তার কারণ। এসব কারণে ভেবেছিলাম কখনোই আপনাকে লিখবো না। কিন্তু না লিখেও পারছি না।
হে জাতির কাগু,
আর কেউ না বুঝুক, আমি যতোটা বুঝতে পারছি আপনি সংসয়বাদী দ্বন্দেভোগা একজন হতাশ মানুষ। তাই আপনার কার্যক্রমে তেমন একটা ইন্টারফেয়ার করিনা। আপনার বিশ্লেষণ দেখে খুব ভালো করেই বুঝতে পারি যে আপনি সত্যানুসন্ধানে চরমভাবে নিবেদিতপ্রাণ। কিন্তু এই সত্যানুসন্ধান করতে গিয়ে যে কখন মিথ্যা ধারণার ভিতর দিয়েই সত্য খুঁজতে লেগে যান সেটা জানি নিজেই বুঝতে পারেন না। তখন আপনার প্রতি বেশ আবেগীই হই। বুঝতে পারি এই বয়সে কতোটা একাকিত্বে ভুগে এমন করেন। কিন্তু আপনি নিজের ধারণা নিজের মাঝেই রাখেন বলে আপনাকে নিয়ে আমারও তেমন একটা মাথাব্যাথা নেই।
হে সনেটিক কাগু,
আপনি আল-কোরআনের আয়াত বিশ্লেষণ করেন যা নিঃসন্দেহে চমৎকার একটা ব্যাপার। কিন্তু স্রষ্টা এবং সৃষ্টিকে এক করে ফেলার যে প্রবণতা সেটা কি সঠিক পথ? মানুষ ভাত থেকে শক্তি পায়। ভাত আসে ধান হতে। ধান আসে গাছ হতে। গাছ আসে মাটি হতে। এখন মাটি কোথা হতে আসে এই প্রশ্ন করে কি কখনো সঠিক ফয়সালায় পৌঁছানো সম্ভব? নাকি প্রশ্ন হওয়া দরকার যে ধানগাছ কে লাগায়? তখন কিন্তু চক্রটি পূর্ণ হয়ে যায়। আবার যদি প্রশ্ন করেন মানুষ ধানগাছ লাগায়। তাহলে মানুষকে কে লাগায়? তখন কি প্রশ্নটা অতিনিম্নস্থরের বোকামি হয়ে যায় না? তেমনিভাবে বিগব্যাঙ থিউরি আল্লাহ্ সুবহানআল্লাহ্ তা'য়ালা ঘটাতে পারেন। তাই বলে এই ঘটনায় ঊনার সৃষ্টি বা ঊনাকে কে ঘটিয়েছেন ধরণের প্রশ্ন করা কতোটা যুক্তিযুক্ত হতে পারে?
হে চিন্তাশীল কাগু,
আপনার লিখা পড়ে কেউ প্রশ্ন করতেই পারে কে লিখেছে। এখন যদি আপনাকে কে লিখেছে সেই প্রশ্ন করে তখন তার জবাব কি হবে? কিন্তু আপনি কি করেন সেই প্রশ্ন সুস্থ্য প্রশ্ন। আবার যদি প্রশ্ন আসে ব্লগে আপনার যে নাম লিখা আছে সেটি কে লিখেছে? তখন উত্তর হবে আপনি নিজেই লিখেছেন। এখন যার ডিজিটাল জ্ঞাণ নাই সে ভাবতেই পারে নিজে আবার কিভাবে নিজেকে লিখে। কিন্তু যার ডিজিটাল জ্ঞাণ আছে তার কাছে নিঃসন্দেহে এসব শিশুসুলভ প্রশ্ন। আবার মনে করেন, আপনি গাড়ি করে বাড়ি গেলেন। এখন কেউ স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন করবে কিভাবে মানে কিসে এসেছেন? উত্তর হবে গাড়িতে। এরপর যদি প্রশ্ন হয় গাড়ি কিভাবে এসেছে? উত্তর হবে ড্রাইভার চালিয়ে এনেছে। এখানে ২টি প্রশ্নই কিভাবে দিয়ে করা হলেও উত্তর কিন্তু ভিন্ন। এখন যদি ধারণা করা হয় ড্রাইভার যেভাবে গাড়ি চালায়, ঠিক সেভাবেই ড্রাইভারের স্টিয়ারিং ধরে কেউ ড্রাইভার চালায় সেটা নিশ্চই হাস্যকর? তাই সব প্রশ্ন এক রকম হতে পারে না।
হে মহাজাগতিক কাগু,
কেউ আপনাক প্রশ্ন করতেই পারে আপনি ইসলাম জানতে কি করেন। হয়তো বলবেন বই পড়েন। এখন যদি বলা হয় বই কোথা হতে এসব পড়ে? তাই স্রষ্টা এবং সৃষ্টিকে দয়া করে এক করার চেষ্টা করবেন না। উভয়ের বৈশিষ্ট্য নিঃসন্দেহে আলাদা। সৃষ্টির কাজ সৃষ্টি হওয়া, আর স্রষ্টার কাজ সৃষ্টি করা। সৃষ্টি কখনও নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারে না, স্রষ্টার সৃষ্ট সৃজনের কিছু রূপান্তর ঘটাতে পারে মাত্র। সৃষ্টির কাজ যেমন সৃষ্টি করা নয়, স্রষ্টার কাজও তেমনি সৃষ্টি হওয়া নয়। আপনি আমার কাগু বলে আমি আপনার কাগু নই। আমি ভাইস্তা। কাগু আর ভাইস্তার বৈশিষ্ট্য যেমন ইউনিক, তেমনি সবকিছুরই ইউনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অনেক আজাইরা বক-বক করলাম বলে ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করি সপরিবার ভালোই আছেন। ভালো থাকুন, সাবধানে থাকুন। ফিআমানিল্লাহ্।
পূর্বে যাদের লিখেছি
জনারণ্যে একজন
সামু
সত্যপথিক
মডু
গোফরান
নতুন নকিব ভাই
পদাতিক ও গেঁয়ো ভূত ভাই
শেরজা তপন ভাই
সোনাবীজ ভাই
জুল ভার্ণ ভাই
সাড়ে চুয়াত্তর ভাই
ছবি আভী
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩০