♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)
(ছবি নেট হতে নিয়ে এডিট করা)
অপ্রিয় সোনাগাজী,
জানি ইহা অষ্টাশ্চর্যের এক আশ্চর্য হতে যাচ্ছে যে আমি আপনাকে লিখছি। যদিও জানি এসব আশ্চর্য-মাশ্চর্য আপনাকে স্পর্শ করেনা। এসবসহ শুরুতে যে আরবী লিখাগুলো আছে তাও আপনাকে চরমভাবে বিরক্ত করে। কিন্তু কি করবো? আমার ধর্মীয় বিশ্বাস যে, এসব লিখায় শয়তান দূরে থাকে। জনি এই কথাটাও আপনাকে বিরক্ত করবে। মোটকথা আমি যা লিখেছি, লিখছি, বা লিখবো তা সবই আপনার জন্য বিরক্তিকর। কিন্তু এভাবে যদি শুধু আপনার বিরক্তি নিয়ে চিন্তা করি তবেতো আপনাকে লিখতেই পারবোনা। তাই আপনার বিরক্তি-মিরক্তির চিন্তা বাদ দিয়া একখান উৎকৃষ্ট গাধা রচনা লিখায় মনোনিবেশ করি। যদিও ইহা আপনার নিকটে একখানা গরু রচনা বলিয়াই জ্ঞাণ হইবে।
হে ক্রিমিনালপ্রেমী,
আমি কখনো আপনার বিপক্ষে নই। আপনি যখন মিষ্টি করে ক্রিমিনাল ডাকেন তখন তাহা আমার সর্বাঙ্গে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আপনার মতো বুদ্ধিমতি আমায় শয়নে-স্বপনে, ঘুম-জাগড়নে স্মরণ করিয়া চলে তা আমার পরম সৌভাগ্য বটে। আপনি আছেন বলেই আমি ব্লগে না আসিলেও আপনার এবং আপনার শিষ্যদের জপের মাঝে উপস্থিত থাকি। এমন সৌভাগ্য কজনেরইবা হয়? তখন মনের গহীনে বেজে উঠে, “আমি প্রেমিক, তুমি আমার প্রেমিকা! তোমার আমার মিলনের সাধ যে হয়, ও মোর প্রিয়তম!” সত্যি এ এক পরম আনন্দ শিহরন। যা হয়তো শুধু আপনি আর আমিই বুঝতে পারি। তখন আপনার শিষ্যদের জন্যে বড্ড আফসোস হয়। “কি করে বুঝাই ওদের আমি একজন? একজনে দিতে পারি, একটাই মন!”
হে ফেরারি,
“আজ মন ফেরারি, ফিরবো না বাড়ি, দু'টি মন হারাবে অজানাতে।” বড় ইচ্ছে ছিলো আসছে ফাল্গুনে আপনাকে সাথে নিয়ে সারা টিএসসি ঘুরবো। আপনার পরনে কালো (যেহুতু লাল আপনার অপছন্দ) শাড়ি আর মাথায় থাকবে ধুতরা ফুল। কিন্তু তা আর হলোনা। তার আগেই সরকার পতনে আপনার ফিরে আসার যে ক্ষীণ সুযোগটা ছিলো সেটাও বন্ধ করে দিলো। তবে আশা হারাবেন না। একদিন সুযোগ আসবেই। আর সেইদিনের জন্যে আমি কার্গো বিমান সাজিয়ে রেখেছি। এবারইতো চাইছিলাম আপনাকে এনে প্রধানমন্ত্রী বানাতে। কিন্তু আপনি রাজি নন। অবশ্য গণভবন হতে শাড়ি, কসমেটিক, এমনকি আন্ডারগার্মেন্টস্ পর্যন্ত নেওয়া হয়ে গেছে। তাই অভিমানে মনে হচ্ছে আপনি ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। তবে আশা হারাবেন না। একদিন আপনার নাম ফেরারি আসামীর লিস্ট হতে কাটা যাবেই। সেই পর্যন্ত আইসিইউ-তে থাকুন। তবুও আশা হারাবেন না।
হে বাংলাবিশারদ,
আপনার নতুন-নতুন বাংলা শব্দ আমায় ব্যিয়াপুকভাবে আকর্ষিত করে। আমি তখন ভেবে অবাক হই কেনো আজো আপনি বাংলা একাডেমির নজরে আসেন না। কারণ আপনার এসব বাংলা শব্দ নাকি এবার ডোনাল ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করবে। ভাবতেই দাঁড়িয়ে যায় গায়ের লোম। কিন্তু এই নির্বোধ জাতি এর মূল্য দিলো না। বুঝলোনা মাইরে কি ভাইটামিন আছে! নয়তো ছোট্টবেলা বাংলা ব্যাকরণ ক্লাসে গাজী স্যারের মাইর কি আজো আপনার পশ্চাৎদেশ জ্বলিয়ে এসব নতুন-নতুন বাংলা শব্দ পয়দা করে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর নাম ভুলিয়ে দিচ্ছে? যদিও এদেশের মানুষ গাড়ির তার জোড়া দেওয়াকেই ইঞ্জিনিয়ারিং বলিয়া জ্ঞাণ করে থাকে। তবুও এসব কোনো বিষয় না। আপনি বাংলা ফেইল না ইঞ্জিনিয়ার সেটা বিবেচ্য না। আপনি রাজনীতি-অর্থনীতি বুঝেন না তাও বিবেচ্য না। গ্যারেজের পাশের চায়ের টং হতে যে রাজনৈতিক কথা-বার্তা ভেসে আসে তা হতে যা বুঝেন তাই লিখে ব্লগে ছেড়ে দেন সেটাও বিষয় না। আপনাকে পরিবার এক ঘরে করেছে সেটাও বিষয় না। আপনি সমাজ হতে বিচ্ছিন্ন সেটাও বিষয় না। আপনার যে মাসিক থুক্কু মানসিক সমস্যা আছে সেটাও বিষয় না। আপনার মেজাজ যে খিটখিটে সেটাও বিষয় না। আসলে ভালবাসতে-টাসতে এসব লাগেনা। জানি এসব ভালবাসা-টালোবাসাও আপনার কাছে কিছু না। জিংজিং-টাই আপনার কাছে বড় বিষয়। তারপরও এসব নিয়ে আমি ভাবছি না।
হে পল্টিবাজ শিবির নেত্রী,
জানি বর্তমান দুর্দিনে আপনার অনেক শিষ্যই পল্টি নিচ্ছে বা পলাতক আছে। তাতে আপনি নিজেকে একদম একা ভাববেন না। এই ক্রিমিনাল আপনার পাশে ছিলো, আছে, থাকবে। “আমি ছিলাম, আমি আছি, আমি থাকবো। আমি ছাড়া মরে যাবা জেনে রাখবো। পৃথিবীতে তুমি শুধু মন দিবা, প্রেম দিবা, আমাকে প্রিয়া!” আপনি আপনার মতো করে যা বুঝেন তা অনবরত ব্লগে লিখতে থাকুন। আপনাকে ব্লগে দুধ-ভাত ধরা আছে। তাই লিখতে কার্পণ্য করবেন না। নিয়ম করে তিনবেলা যা পারেন লিখতে থাকুন। লিখতে-লিখতে কখনো ক্লান্ত হয়ে গেলে তখন আমার কথা স্মরণ করবেন। আশা করি লিখার স্টেমিনা বৃদ্ধি পাবে। আর আমি সুযোগ পেলেই আপনি না চাইলেও আপনাকে লিখতে চেষ্টা করবো। আপনার কথা যখন ভাবি তখন আমার সর্বাঙ্গে শিহরন খেলা করে। তখন আমার চোখে আপনার একটি নিত্যসহ গীত ভাসিয়া উঠে যা এই পোস্টের শেষে যুক্ত করিয়া দিলাম। আপনাকে অনলাইনে দেখলে (যদিও অফলাইন হওয়ার সুযোগ নাই) মনটা শান্তি পায় এই ভেবে যে, যাক্ ব্লগাররা তবে যাত্রা দেখতে পারছে। এভাবেই সবসময় ব্লগ মাতিয়ে রেখে গরুর রানের গোস্ত দিয়ে আহার করুন সেই প্রত্যাশায় আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। “তুমি মানবী নাকি পরী? আমি সে ভাবনাতে মরি।”
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:২১