♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ধর্মীয় বিষয় কষ্ট দিলে আন্তরিকভাবে অনুরোধ থাকবে আমার লিখা এড়িয়ে যাবার।
(ছবি নেট হতে নিয়ে এডিট করা)
প্রিয় ভ্রাতাদ্বয়,
দুজনকেই এক খামে এইজন্যে লিখছি কারণ জানিনা কেনো যেনো আমার কাছে আপনাদের দুজনকেই এক মনে হয়! প্রায়ই আপনাদের গুলিয়ে ফেলি। এ এক অদ্ভূত ভাল লাগা। মনে হয় আপনাদের আচার-আচরণে কোনো পার্থক্য নেই। দুটি ভিন্ন রঙিন পানি যদি একপাত্রে ঢালা হয় তবে যেভাবে মিশে একাকার হয় যাবে, আপনাদের ভিন্নতাটা কেনো জানিনা আমার কাছে ঠিক এমনই লাগে। অনেক খুঁজেছি এর কারণ। কিন্তু কিছুতেই মনে ধরা দেয় না। বুঝিনা এটা কি আপনাদের নীরব ভদ্রতা আর সরলতার জন্য? নাকি অন্যকিছু? আপনারা কি এর কারণ বলতে পারেন?
হে প্রিয় ব্লগনক্ষত্রদ্বয়,
আপনাদের মন্তব্যগুলো ভীষণভাবে মন ছুঁয়ে যায়, কিন্তু আমি তার সঠিক মূল্যায়ণ দিতে পারিনা বলে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। গেঁয়ো ভূত ভাইয়ের কতো মন্তব্যসহ পোস্ট যে গায়েব হয়েছে প্রতিউত্তর ছাড়া সে হিসেব আমি দিতে পারবো না। কিন্তু অবাক হয়েছি পুনঃ পুনঃ প্রতিউত্তর না পেয়েও কোনো মন খারাপ না করে আবারও সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আর ভেবেছি, কি করে একজন মানুষ এতোটা ভদ্র আর অমায়িক হতে পারে? পদাতিক ভাইয়ের ক্ষেত্রেও তেমন। আমার একটা বড় দোষ হচ্ছে আমি সিরিজ লিখা পড়ি না। কারণ, সিরিজের পরে কি হলো বা হবে এই বিষয়টা আমাকে বড্ড প্যারা দেয়। অনেক সময় এ নিয়ে ভেবে সব কাজে গোলমাল লাগিয়ে দেই। আর পাগল মন লেখকের আগেই কল্পনায় সেই সিরিজগুলোর যে কতো ছবি এঁকে ফেলে তার ঠিক নেই। তখন মনে হয় লেখকের চাইতে বুঝি মাথাব্যথাটা আমারই বেশি। এজন্য নিশ্চই শ্যামাপি আমার উপর বেশ রেগে আছে ঊনার "সে কোন বনের হরিণ ছিলো আমার মনে" এর নিয়মিত পাঠক নই বলে। ঠিক সেই একইভাবে ইচ্ছে থাকলেও প্রিয় পদাতিক ভাইয়ের "আঁধারে আলো" এর পাঠকও হতে পারিনি। তবুও এ নিয়ে কখনো পদাতিক ভাইয়ের মাঝে কোনো অভিমানের ছাপ পর্যন্ত চোখে পরেনি। তিনি অবলীলায় নিয়ে চলেছেন আমার খবরা-খবর যা আমাকে ভীষণভাবে ঋণী করে তুলেছে। এতো ভালোবাসেন কেন এই অধমেরে? কি দিয়ে শোধ করবো এই ঋণ?
প্রিয় দ্বিতারকা,
আপনাদের এই ভালোবাসাটা আরো বেশি করে উপলব্ধি করেছি ব্লগ ছেড়ে থাকার পর। সত্যি বলতে এই আপনাদের মতো যাঁরা ভালোবাসেন তাদের কারণেই ফিরবোনা করেও ফিরে আসা। নয়তো প্রতিবার যাবার আগে চরম পণ করে যাই আর না ফেরার। কোনো কয়েদিই চায় না পুনরায় কারাবদ্ধ হতে। কিন্তু তবুও অপরাধীর মতো আবার এই কারাগারে ফিরে আসি শুধু এই ভালবাসার মায়াতে। শত অবজ্ঞা অবহেলা হার মানে ভালবাসার কাছে। আর যার হাতে একবার কলম উঠেছে সেতো না চাইলেও কলম নিজেই খুলে যায়, আর লিখে ফেলে মনের কথা। তাইতো এভাবে প্রাণখুলে লিখছি। সত্যি বলতে বারবার ধাক্কা খেয়ে লিখার আগ্রহ অনেক হারিয়ে ও দমিয়ে ফেলেছি। লিখাটা এখন আর আগের মতো নেশা নেই। বরং না লিখে থাকতে চাওয়াটাই এখন নেশা। দু'দিনের দুনিয়ায় কি হবে এতো লিখে? মহামানবগণ এতো যে লিখে গেলেন, তার বাস্তবায়ন আমরা কতটা করতে পেরেছি? কতোটুকুইবা জানতে ও চিনতে পেরেছি তাঁদের?
হে দুই নয়ন,
আমার মত লেখকদের আরেক শক্তি হচ্ছে ধর্ম। কারণ, ধর্ম এমনভাবে আমাদের নিঃস্বার্থ সব বিষয়ে গাইড করে যা না থাকলে হয়তো কোনটার পর কি করবো বা কিভাবে করবো সেই সিদ্ধান্ত নিতে নিতেই জীবন পার হয়ে যেতো। কিন্তু ধর্মের গাইড লাইনের জন্য অনেক নিশ্চিন্তভাবে চলতে পারি। তাই লিখাতেও কিসের পর কি লিখতে হবে তার গাইড এই ধর্ম হতেই চলে আসে। নিজের মস্তিষ্ককে অনেক চাপ মুক্ত রেখে কলম চালোনা সম্ভব হয় ঠিক যেমনি নিশ্চিন্তে মুক্ত বিহঙ্গ পারে আকাশে দুই ডানা মেলে উড়ে বেড়াতে। কিন্তু আজ যে অনেক পাঠক মাঝে ধর্মে অরুচি ধরে গেছে! চারিদিকে চাপিয়ে দেবার বেশাতি। এরমাঝে মুক্ত বিহঙ্গমন কিভাবে পারবে উন্মুক্তভাবে লিখতে? তাইতো লিখার মাঠে আর খেলতে মন সায় দেয়না।
হে প্রিয় উন্মুক্ত হৃদয়দ্বয়,
ব্লগ ছাড়ায় আপনারা বিভিন্ন সময় ব্লগে নিয়মিত হতে বুঝিয়েছেন। তাই আজ আপনাদের প্রতি এই নিবেদন। জানিনা কতোটা বুঝাতে পারলাম। দয়া করে সকল ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে আবারো মহৎ হৃদয়ের পরিচয় দেবেন। আপনাদের অনেক মূল্যবাণ সময় নষ্ট করার জন্য আবারো নির্লজ্জের মতো ক্ষমা চাই। আপনারা সপরিবার সুস্থ্য থাকুন, সুখে থাকুন এই প্রত্যাশায় আমাকে একটু হলেও বুঝবেন আশা নিয়ে লিখার ইতি টানছি।
ভাল থাকুন সবসময়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩০