মুসনাদে আহমদ ও বিদায়াতুল হিদায়েতে বলা হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “তোমাদের ব্যাপারে দাজ্জাল নয়, অথচ দাজ্জালের চেয়ে এক নিকৃষ্ট সম্প্রদায়কে নিয়ে আমি অধিক চিন্তিত, যাদের ফিতনা দাজ্জালের চেয়েও ভয়ঙ্কর। তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তারা কারা? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তারা হচ্ছে উলামায়ে ছূ’।” অর্থাৎ উলামায়ে ছূ’দের ফিতনা দাজ্জালের ফিতনা থেকেও মারাত্মক। যেমন দাজ্জালের চেলা মৌলভী সা’দ তার এক বয়ানে বলেছে, “হুযূর স. এর জীবনের উত্থান পতন দেখ। মে’রাজের অবস্থাও দেখ, আবার তায়েফের অবস্থাও দেখ। আল্লাহ পাক নবীকে বলেন, হে নবী, আপনাকে যেভাবে হুকুম করা হয়েছে সেভাবে করুন। আপনার জন্য এই অনুমতি নেই যে, আপনি তাদের জন্য বদদোয়া করবেন। আমি তাদেরকে শাস্তি দেই বা ক্ষমা করি সেটা আমার ব্যাপার।” (তথ্য সূত্র: নির্বাচিত বয়ানসমূহ, মাওলানা মুহাম্মদ সা’দ কান্ধলভী, পৃষ্ঠা ২৩০)
বলাবাহুল্য, সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাক্বাম হচ্ছে সমস্ত প্রকার উত্থান-পতনের ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! আরো স্মরণীয় যে, তায়েফের ঘটনায় হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি তায়েফে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মুখে এসে বলেছিলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, আপনি যদি চান তায়েফবাসীদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হোক, তাহলে ঠিক তাই-ই করা হবে। সুবহানাল্লাহ! (ইনশাআল্লাহ চলবে)