গত পরশু অংকনের মা হয়েছে । এই মা , নকল মা । অংকনের আসল মায়ের বোন , ইলা খালা বলেছে --
- দেখিস তোর সৎ মা তোকে অনেক কষ্ট দিবে । ভাজাকাঠির ছেঁকা দিয়ে সকালে তোর ঘুম ভাঙ্গাবে ।
গত দুইদিন অংকন পরীক্ষা করেছে । ভোরে অ্যালার্ম দিয়ে ঘুম ভেঙ্গে কাঁথা মুড়ি দিয়ে অপেক্ষা করেছে নকল মা কখন ছেঁকা দেয় । নকল মা ছেঁকা দেয়নি । তিনি অংকনের পা টিপে টিপে ঘুম ভাঙ্গিয়ে বলেছে --- অংকন বাবু কখন স্কুলে যাবে ? সময় চলে যাচ্ছে তো !
ইলা খালা বিকেলে বাসায় এসে তার গেঞ্জি খুলে সারা শরীর চেক করে ভুরু কুঁচকে বলেছে -
- এইসব ভণিতা রে অংকন । খবর্দার পটে যাস নে । এখন নতুন নতুন তো তাই ভালো সেজে আছে । কয়েকদিন পর ঠিক ঠিক ছেঁকা দিবে ।
অংকন কয়েকদিন অপেক্ষা করেছে । না । নকল মা ছেঁকা দেয়নি । বরং কিছুদিন যাবৎ তিনি চুপি চুপি অংকনকে চা বানিয়ে দিচ্ছে ।
অংকন চা খেতে খুব পছন্দ করে । কিন্তু সে ছোট বলে বাসার কেউ তাকে চা বানিয়ে দেয় না । বহু আগে তার আসল মা রান্নাঘরে পিরিচে করে অংকনকে চা দিত । সে চুক চুক করে চা খেতো ।
মা মারা যাবার চার বছর পর অংকন আবারো চুক চুক করে চা খাচ্ছে ।