হায় হায় , আমার কনিষ্ঠ ভ্রাতার দম আটকাইয়া গিয়াছে ! সে বডি কেচকি মাছের ন্যায় বাঁকাইয়া হাত পা ছুড়িয়া বাতাস খাইবার লাগিয়া হাসফাঁশ করিতেছে !
ক্ষানিক আগেও আমি আর আমার এলাকার ছোট ভ্রাতা মিলমিশ করিয়া গণনাযন্ত্রে ফিফা চৌদ্দ খেলিতেছিলাম । খেলার অর্ধসময়ের মধ্যেই আমি তিনখানা গোল হজম করিয়া নিম্নবেগের চাপ বৃদ্ধির অজুহাতে ধুম্রপান করিতে বাহিরে গমন করিলাম । জলন্ত শলাকা ধুমায় উড়াইয়া মহাসুখে শিষ বাজাইতে বাজাইতে যখন কক্ষে প্রবেশ করিয়া তৎক্ষণাৎ অবলোকন করিলাম কনিষ্ঠ ভ্রাতা বিছানায় চিৎপটাং অবস্থায় মুখখানা হা অবস্থায় বিকৃত করিয়া পেট খামচাইয়া বাতাস গ্রহনের লাগি প্রাণপণ চেষ্টা করিতেছে ।
কনিষ্ঠ ভ্রাতার এরুপ দমবন্ধ মতিবেগ পর্যবেক্ষণ করিয়া আমি চিপসের প্যাকেট খরিদ করিতে ( চিপসের প্যাকেটে বাতাস থাকে ) নীচে তাকুলদার মামার দোকানে ছুটিয়া যখন দৌড় লাগাইতে উদ্যত হইব বলিয়া মনস্থির করিলাম – ঠিক সেই মুহূর্তে ভ্রাতা চিউ চিউ সূরে কোন মতে কহিল - ওহে গুরু- এইডা কি দেখলাম ! হা হা হা হু হু হু হি হি হি ।
চিপস খরিদের নিশায় মত্ত আমি ( ভ্রাতাকে বাতাস গিলাইবার পর প্যাকাটের তলায় পড়িয়া থাকা গুটি কয়েক চিপস আমি ভক্ষন করিতাম , এই ছিল আশা ) বুঝিতে পারিলাম ভ্রাতা এতক্ষন যাবৎ উৎকট হাসি হাসিতেছিল । আমি শঙ্কিত হইয়া ভাবিলাম কোন মানব সন্তানের হাসি এরুপ ভীতিকর কিভাবে হয় যাহা অন্য কোন মানব দেখিলে ভাবিয়া লইবে উহার শ্বাসকষ্ট হইতাছে ! দরকার চিপস !
রাগান্বিত আমি যখন কষে ভ্রাতার পাছা বরাবর লাথি কষাইতে যাইব সেই মুহূর্তে ভ্রাতা বহু কষ্টে তাহার মিডল ফিঙ্গার গণনাযন্ত্র বরাবর ইঙ্গিত করিয়া আবারো শ্বাসকষ্টে কষ্ট পাইতে লাগিল । আমি দেখিলাম গণনাযন্ত্র ইউটিউব নামক জায়গায় আবদ্ধ এবং সেখানে ৫ মিনিট ২২ সেকেন্ডের একখানা ভিডিও চলিতেছে । ভ্রাতার ক্রমাগত মিডল ফিঙ্গারের উস্কানিতে কৌতূহলী হইয়া আমি পুনরায় চালনা করিলাম সেই ভিডিও এবং আমার মুখ ফস্কাইয়া বাহির হইয়া আসিল – ওয়াট দ্যা ফাক ইজ দিস !
গণনাযন্ত্রের ১৪ ইঞ্চি পর্দায় তখন ভাসিতেছে ২০১৪ ইংরেজি সনে ঢালিউডে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দাবাং ‘ এর ভুঁড়ি ফোলানো , কুতকুতি জাগানো , হাস্যরস প্রদায়নকারী ট্রেইলার ।
দাবাং নাম শুনিয়া যেসব পাঠক ফিচিক করিয়া হাসি মারিয়া ভাবিতেছেন - ব্যাটা হিন্দি মুভিরে বাংলা মুভি বলে , বলিউড ঢালিউডের মানেই জানে না । বোকা কোথাকার ! ’ তাদের উদ্দেশ্যে আমার উক্তি – মুরুব্বি আপনে বড্ড দুর্বল থেকে যান ।
আজ সারা দেশে মুক্তি পাচ্ছে দাবাং !
জি হ্যাঁ । হিন্দি দাবাং এখন বাংলাদেশের সত্তরখানা (!! ) প্রেক্ষাগৃহে স্থান করিয়া লইয়াছেন । ( কেবল মাত্র নামখানা )
রোসো রোসো , যারা ভাবছেন – ঈ , সোনাক্ষি সিনহার চর্বি আমি আগেই দেখছি , নতুন আর কি “ তাহাদের জন্য রয়েছে লুলামি সারপ্রাইজ ! হিন্দি দাবাং এ আপনি একজন নারীর চর্বি দেখিয়াছেন কিন্তু হলিউড স্টাইলের ডাইরেক্টর ( ট্রেইলারে ঠিক এই উপমাই গর্বের সহিত উল্লেখিত ) আজাদ খান বাংলাদেশী দাবাং এ আপনার জন্য ছয় ছয়খানা ঢুাউশ সাইজের থলথলে ভাঁজ করা পেটের চর্বিযুক্ত মহিলা ওরফে নায়িকার সু-ব্যাবস্থা করিয়াছে ।
ট্রেইলারের দর্শনের প্রথমেই আপনার ভিতরে দৃঢ় বিশ্বাস জন্ম লইবে - ইহা চলচ্চিত্র নয় , ইহা কোন সস্তা সার্কাস পার্টির প্রমো ; যেখানে সার্কাসের ভাঁড়দের বিভিন্ন ট্যাগ লাইনে ট্যাগান্নিত করা হচ্ছে ! উদাহরন দিচ্ছি -
ট্রেইলারে ধুমধাড়াক্কা আমেজে দাবাং ফুটাইয়া ঘোষণা করা হয়
আংরি ইয়াং স্টার হিরো টাগ্যান্নিত জায়েদ খান
-- অথচ নায়ক সাবকে দেখে আপনার মনে হইবে ৯-৫ অফিস করা তিন বাচ্চার বাপ নিরীহ কোন ব্যাংকের একাউন্টেন্ট
ড্রিম গার্ল টাগ্যান্নিত বিন্দিয়া
-- মাশ আল্লাহ্ - এই খালাম্মা স্বাস্থ্যে যেন মোটা হবার বড়ি খাওয়া গুতুমগাতুম গাভী । উনি একবার চিৎকার করিয়া নায়ক বাবাজীকে ডাক মেরেছিলেন – বিশ্বাস করেন খালাম্মার গলার দুই হাত ভিতরের আলজিব পর্যন্ত দেখা গেছে !
চঞ্চলা নায়িকা টাগ্যান্নিত রাভিনা বৃষ্টি
-- ইনাকে চলচ্চিত্রে সাইন করানোই হইছে বৃষ্টিতে ভিজিয়া লুলামি করিবার লাগিয়া ।
মেট্রাশ ইস্টাইল ডায়নামিক হিরো টাগ্যান্নিত লিটন হাশমি
-- ইনি আভুবাচ্চা চলচ্চিত্রের দ্বিতীয় প্রধান নায়ক । ইনি দেখতে রেল ষ্টেশনে প্যাঁচরা চুলকানি মলম বিক্রেতাদের ন্যায় । সত্য বলিতেছি । ইনি যদি নায়ক হইতে পারেন তবে সকল প্যাঁচরা চুলকানি মলম বিক্রেতারাও পারিবেন । আপনারা অতিসত্তর এফডিসিতে যোগাযোগের করুন ।
ভারসেটাইল এক্ট্রেস টাগ্যান্নিত ঝুমকা
-- উনি হাটার আগে উনার ভুঁড়ি আগে হাঁটে । সে হিসেবে উনি অবশ্যই ভারসেটাইল
এক্সট্রা অরডিনারি ভিলেন টাগ্যান্নিত ডিজে সোহেল
--ইয়ে ইনি এক্সট্রা অরডিনারি কেন ? উনার কি বিচি তিন খানা ?
নিউ জেনারেশন আইটেম গার্ল টাগ্যান্নিত বিপাশা
--এই বিপাশা সেই বিপাশা ( হায়াত ) নয় , এই বিপাশা আপনার যৌনতায় সুড়সুড়ি প্রদায়ক বিপাশা যার কাজ বিভিন্নি উদ্ভট অঙ্গভঙ্গি করিয়া যৌনতায় গুঁতা মারা ।
এবং অলরাউন্ডার অমিত হাসান
আশ্চর্য উনি অলরাউন্ডার অথচ ট্রেইলারের কোথাও উনাকে ক্রিকেট বল ব্যাট হাঁটে দেখি নাই
দাবাং চলচ্চিত্র মূলত কি -
** ট্রেইলারের দেখিয়া নিঃসন্দেহে বলিয়া দেয়া সম্ভব – ঢালিউডের দাবাং একখানা অসুস্থ লুলামি ভিত্তিক চলচ্চিত্র ।
চলচ্চিত্রে যে কয়টি সংগীত সংযোজন করা হইয়াছে তাহাদের প্রত্যেকখানা অতিমাত্রায় নায়িকা নামক একদল ময়দার বস্তার অশ্লীল দেহ প্রদর্শন । আপনি মাঝে মধ্যে বিভ্রান্ত হইয়া যাইবেন চার নায়িকার কে কার চেয়ে বেশি লুলামি করিয়াছে । আমি নিশ্চিত আপনি কোন একজনকে সর্বোচ্চ লুল ময়দার বস্তা হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করিতে পারিবেন না । ডিরেক্টরের নির্দেশে উনারা একে অন্যের চেয়ে ময়দা প্রদর্শনে এগিয়ে । লুলামির এক পর্যায়ে অর্থাৎ ট্রেইলারের ৩ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডে এক বস্তার বুকের দুই অংশে সরাসরি ঘুষানির দৃশ্য দেখানো হয় !!
**ঢালিউডের দাবাং একখানা ইন্টারন্যাশনাল চলচ্চিত্র
চলচ্চিত্র নাম দাবাং যাহা বলিউড চলচ্চিত্র ‘ দাবাং ‘ এর ডিরেক্ট কপি পেস্ট ।
হিন্দি শব্দ দাবাং যার অর্থ ভয়হীন বা এমন একজন মানুষ যিনি সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করিয়া থাকনে । ঢালিউড ‘ দাবাং ‘ চলচ্চিত্রের ডাইরেক্টর বাংলা নাম পছন্দ করেন না । তিনি হিন্দিতে বিশ্বাসী । উনার সত্ত্বায় জয়তু ভারতমাতা । তাই একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের নাম তিনি হিন্দি রাখিতে মোটেও দ্বিধা করেন নাই ।
কেবল চলচ্চিত্রের নামেই ডাইরেক্টর সাহেবের ভারত প্রীতি রথ হয়নি । উনি উনার ‘ দাবাং ‘ ( ঢালিউড ) এ হুবহু বলিউড চলচ্চিত্রের কিছু দর্শক প্রিয় গানের হুবহু কপি পেস্ট করিয়াছেন ।
আগেই বলিয়াছি ট্রেইলারে ডাইরেক্টর সাবকে পরিচয় করিয়া দেয়া হইয়াছে হলিউড স্টাইলের ডাইরেক্টর হিসেবে । অর্থাৎ এই দেশে ঢালিউড স্টাইলের ডাইরেক্টরদের পাত্তা দেয়া হয় না । নামের আগে ঢালিউড স্টাইলের ডাইরেক্টর ট্যাগ মানে আপনি খ্যাঁত চাষা । আপনাকে দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্ভব নয় । অথচ আমরা চলচ্চিত্র নির্মাণ করি ঢালিউডে । তারমানে আমরা যার আলো বাতাস খেয়ে বড় হচ্চি তার নামে পরিচিত হইতে লজ্জা অনুভব করি । সাব্বাস বেটা কুকুরের বাচ্চা !
( নিজের পরিচয় দিতে লজ্জা পাওয়ার এমন সস্তা মেন্টালিটি নিয়ে কোন দিন দেশীয় চলচ্চিত্রের উন্নয়ন সম্ভব কিনা আমার জানা নেই )
শুধু তাই নয় । চলচ্চিত্রে অলরাউন্ডার অমিত হাসানের ( যিনি ভিলেন এর ভুমিকায় রুপ দান করিয়াছেন ) নাম হিটলার !
ভাইরে ভাই – নকল করিতে করিতে সরাসরি জার্মানি ! ইউনিক ! কয়জন পারে এমন দুর্বোধ্য চিন্তা করিতে ! ভিলেনের নাম হিটলার ।
[ এই সুযোগে হিটলার বিষয়ক একখানা মজার ভিডিও দেখে ফেলুন]
তাই সিদ্ধান্তে আসা যায় দাবাং একটি সার্থক ইন্টারন্যাশনাল চলচ্চিত্র ।
** ‘ দাবাং ‘ ( ঢালিউড ) একটি সফল চুরি চামারি ভিত্তিক চলচ্চিত্র ।
চোর জাতি এই ছবি থেকে চুরি বিদ্যার ইউনিক কোর্স সম্পন্ন করিতে পারিবে বলিয়া আমি বিশ্বাস করি ।
প্রথমে চলচ্চিত্রের নামখানা তো দিনে দুপুরে চুরি হয়েছেই । এইবার চুরি হয়েছে ‘ দাবাং ‘ ( ঢালিউড ) সংগীত ।
উদাহরণ -
‘ দাবাং ‘ ( ঢালিউড ) একমাত্র আইটেম সং – “ পরী বলে কাছে পেতে চায় আমাকে , জানে না তো পরীরও মন কার আশায় থাকে” গানখানার সূর সংগীত বলিউড চলচ্চিত্র রোউডি রাঠরের ‘ চিকনি কোমর পে তেরি মেরা দিল ফিসাল গেয়া ‘ গানের হুবহু কপি পেস্ট
( বলিউডের এই গান আবার কোথা হতে চুরি করা তাহা আমি জানি না )
‘ দাবাং ‘ ( ঢালিউড ) এর ও প্রিয় তুমি দাও না গো ... গানটি সূর সংগীত কথা বলিউড চলচ্চিত্র ‘ ডার্টি পিকচার ‘ ‘ উঁ লা লা উঁ লা লা ‘ গানের হুবহু নকল ।
ডাইরেক্ট সাহেব কেবলি হিন্দি গান নকল করিয়াছেন তা নয় । নির্লজ্জের ন্যায় তিনি বাংলাদেশের সাকিব খানের "ফুল এন্ড ফাইনাল " চলচ্চিত্রের একটা গানের সুরের হুবুহু মেরে দিয়েছেন ।
বলিউড এবং ঢালিউড অর্থাৎ সকল দিক হতে সংগীত কপি পেস্ট করিবার মাধ্যমে ‘ দাবাং ‘ ( ঢালিউড ) চলচ্চিত্র চুরি জগতে একটি প্রসিদ্ধ স্থান দখল করিতে পারিবে বলিয়া আমি আশা প্রকাশ করিলাম । ব্রাভো ।
দাবাং ডায়ালগ -
৫ মিনিট ২২ সেকেন্ডের ট্রেইলারে কয়েকখানা ঐতিহাসিক ডায়ালগ তুলি ধরিবার লোভ সামলাইতে পারিতেছি না
ইলিয়াস কোবরা আর হিটলার নামধারী অমিত হাসান একে অন্যকে থ্রেট মারে এইভাবে –
তুই মরে গেলে আমি ডন আর আমি মরে গেলে তুই ডন
এই পাঞ্চ মাইরাই ইলিয়াস কোবরা অমিত হাসানের কপালে আস্তে লাথি মারে ।
( হাসিবো নাকি কাঁদিব । প্রথমে মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর ভিত্তিতে এক ভিলেন আরেক ভিলেনকে থ্রেট দেয় যেন তারা প্রাইমারী স্কুলের টিফিন চোর --- আজ আমি দুইটা বনরুটি বেশি চুরি করবো , কাল তুই করিস । ঠিক আছে ? )
আজাদ .।. নো
( আজাদ নায়কের নাম । আবার ডিরেক্টর সাহেবের নাম । উনি চালাকি করে নিজের নাম নায়কের নামে ঢুকাইয়া দিয়াছেন । সম্পূর্ণ ভিডিওতে এই ' আজাদ ' নাম শুনতে শুনতে আপনি বিরক্ত হইয়া হারপিক খাইলে কতৃপক্ষ দায়ী নয় )
তিন বাচ্চার বাপ ব্যাংকের কোন নিরীহ একাউন্টের মতো নায়ক জায়েদ খানের ডায়ালগ --
- আমি ভূমিকম্পের মতো শত্রুর পায়ের নীচের মাটিতে ফাটল ধরিয়ে দিব
( এই ডায়ালগের সাথে মিল রেখে দেখান হয় ১১২ সিসি বাইকের চাক্কা পাক্কায় ঘষা খাইতেছে )
আমি দাবাং এর মতো জলে উঠে শত্রুকে পুরিয়ে মারবো -
( এই ডায়ালগের সাথে মিল রেখে দেখান একখানা জন বিহীন গরু ছাগল চড়ানো মাঠে ফুড়ুৎ করিয়া ম্যাচের কাঠির মতো আগ্নি জ্বলিয়া উঠে )
আজাদ যা বলে তাই করে । আজাদ আজাদ আজাদ ।
( নায়ক খোদ এই ডায়ালগ প্রদান করে আর নায়কের সখারা ডায়ালগ ডেলেভারি শুনে মিটিমিটি হাসে )
পুলিশের একদল ঊর্ধ্বতন অফিসার মাম পানির বোতল সামনে রেখে জরুরী মিটিং এ ডায়ালগ বাজী করে -
– আইনের হাত অপরাধীর চেয়ে অনেক অনেক বেশি লম্বা
( যিনি ডায়ালগ প্রদান করেন উনি আঙ্গুলের ডগায় কলম বাজাইয়া সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকাইয়া থাকেন । পুলিশের অভিনয় করতাছে তো কি হইছে জিন্দিগিতে একবার মনে হয় চান্স হইছে ক্যামেরায় চেহারা দেখাইবার । সো ফলস লুক হইলেও ডায়ালগ দিতে হবে ক্যামেরার দিকে তাকাইয়া )
আজাদ ...( ইকো )
( তৃতীয় সাইড নায়িকা হাক দেয় । কারণ নাই । চলচ্চিত্রে এমনিতে আজাদ নাম বারংবার ডাকের মাধ্যমে স্মরণ করা হয় )
নায়ক আজাদ ( জায়েদ খান ) কানে দুল পড়ে নকিয়া ফুন হাঁতে ভিলেনকে ধমক দিয়া বলে --
তোর সম্রাজ্য ধ্বংস করে দিব
( এই ডায়ালগের সাথে সাথে দ্বিতীয় সাইড নায়িকার বগল দেখান হয় ! বুঝিলাম না সম্রাজ্য ধ্বংসের সাথে নায়িকার বগলের সম্পর্ক কি ! )
আজাদ !
(এইবার ভিলেন সিল্কের পাকিস্তানী কর্তা পায়জামা পরিহিত অবস্থায় আবার হাক দেয় )
পরিশিষ্ট -
কনিষ্ঠ ভ্রাতা হাসতে হাসতে ঘুমাইয়া পরিয়াছে । তবে ঘুমাইবার আগে সে কিছু কথা বলিয়া গেছে । তার সাথে সূর মিলাইয়া পরিশেষে দু খানা কথাই বলা যায় –
এক - এই চলচ্চিত্র যে প্রেক্ষাগৃহে টিকিট কেটে দেখবে তাহার মুখে পচা ডিম নিক্ষেপের ব্যবস্থা করা হউক ।
দুই – এই চলচ্চিত্র কিভাবে সেন্সর বোর্ড হতে মুক্তি পায় সেটা একটা বিস্ময় । যেহেতু এই মুভি সেন্সর পাড় হয়ে আজ সারা দেশে মুক্তি পেয়েছে সেহেতু নির্দ্বিধায় – আমাদের বর্তমান এফডিসির সেন্সর বোর্ড কর্মকর্তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় ।
যেই মুহূর্তে আমরা সুস্থ ধারার মান সম্মত ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণের পথে ধাবিত হচ্ছি ” অগ্নি ( মুভি ট্রেইলার ) “ কিংবা ’ গ্যাংস্টার রিটার্ন ( মুভি ট্রেইলার ) ‘ এর মতো আশাজাগানিয়া চলচ্চিত্রের ট্রেইলার দেখে বিশ্বাস করতে শুরু করিতেছি মেধাবী নির্মাতাদের উন্নত ঢালিউড বিনির্মাণের সেই মুহূর্তে ‘ দাবাং চলচ্চিত্র দেশের ৭০ টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেশীয় চলচ্চিত্রের জন্য সুস্পষ্ট হুমকি স্বরূপ ।
আমরা অশ্লীল অন্ধকারের চলচ্চিত্রের যুগ পেরিয়ে এসেছি সেখানে পুনরায় প্রবেশ করতে চাই না ।
তাই সময় এখন ‘ দাবাং ‘ এর মতো সস্তা নিম্নমানের নকল অশ্লীল চলচ্চিত্রকে জোর গলায় “ না “ বলার ।
সস্তা নকল অশ্লীল চলচ্চিত্রকে বয়কট করুন ।
বিশেষ সংযুক্তি - ( ১৬ প্লাস )
দাবাং চলচ্চিত্রের ট্রেইলার
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৭