ইসলামী দুনিয়ার অন্যতম সাধক কবি “কাজী নজরুল ইসলাম” প্রিয়নবী নিবেদীত প্রাণ । “নজরুল” সর্বদা বিশ্বাস করেছেন যে, মহান আল্লাহ ও তার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামই তাঁকে সব কিছুতে পরিচালিত করেছেন । “নজরুল” যা করেছেন সে সব কিছুই আল্লাহ ও তার হাবীবই তাঁকে দিয়ে করিয়েছেন । তাঁর বিস্ময়কর সৃষ্টিও সেই সাক্ষ্যই দেয় । “তোমারে ভিক্ষা দাও” কবিতায় নজরুল বলেন,
‘বল, হে পরম প্রিয়-ঘন মোর স্বামী !
আমারে কাহারও অধিকার নাই, এক সে তোমার আমি !
ভালো ও মন্দে মধুর দন্দ্বে কি খেলা আমারে ল’য়ে
খেলিতেছ তুমি, কেহ জানিবে না, থাকুক গোপন হ’য়ে !
আমারেও তাহা জানিতে দিও না, শুধু এই জানাইও,
আমার পূর্ণ পরম মধুর, মধুর তুমি হে প্রিয় ।
.............................
এ কবিতা বাংলার শ্রেষ্ঠ সাধক কবির । বিশ্ব সাহিত্যেও এর জুড়ি মেলে কিনা জানি না । তাঁর সঙ্গীতে তিনি একবার বলেছিলেন; “দূর আরবের স্বপন দেখি/ বাংলাদেশের কুঠির হতে ।‘
যারা প্রিয়নবীকে বাহ্যিক দৃষ্টি দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করেন, তাদের সাথে “নজরুল” দ্বিমত পোষণ করেন, তাদেরকে তিনি কাফের এজিদের চেলা বলে অভিহিত করেন: ,,,,,,,
মানবতার কণ্ঠসুর কবি নজরুল নিজেই প্রিয়নবীকে “নূরনবী” হিসেবে সম্বোধন করে ক্ষান্ত হননি, প্রিয়নবীর কদম মোবারক ধূলায় নিজেকে ধন্য করার জন্য নিজ শরীরকে লালবাগিচা বানিয়ে দিয়েছেন-
“আমি যদি আরব হতাম মদিনারই পথ/ এই পথে মোর চলে যেতেন নূরনবী হযরত ।
অন্যত্র উচ্চারণ করেছেন, “ নবী মোর নূরে খোদা, তার তরে সকল পয়দা ।
আশেকের পূর্ণত্ব তো মাশুকের মিলনেই । আশেকে রাসূল কবি আরো সহজ করে বলেছেন,
“তর্ক করে দুঃখ ছাড়া কী পেয়েছিস অবিশ্বাসী
কী পাওয়া যায় দেখনা বারেক হযরতে মোর ভালবাসি ।
এখানে “অবিশ্বাসী” বলতে কাফের, মুশরিক, বিধর্মী নয় । দ্বীনের ছদ্ম নামদারী মোল্লা ও মৌলবীদের বুঝানো হয়েছে ‘ভালবাসি’ শব্দটি দ্বারা ।........
প্রিয়নবীর শুভাগমন তথা “ঈদে আজম” ই মুমিন জীবনের শ্রেষ্ঠ ঈদ তথা খুশি, কবি যেভাবে প্রমাণ দিয়েছেন:-
“ত্রিভূবনে প্রিয় নবী এলরে দুনিয়ায় আয়রে সাগর আকাশ বাতাস দেখবি যদি আয়
ধূলির ধরা বেহেশত আজ, জয় করিল গেলরে লাজ
আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারা ।
মুমিন মুসলমানদের আনন্দ দু’- ঈদের মধ্যেই কবি সীমাবদ্ধ রাখেন নি । প্রিয়নবীর আগমন নিত্য ঈদ হিসেবে কবি বলেন-
“এই দুনিয়ায় দিবা-রাত্রি
ঈদ হবে তোর নিত্য সাথী । .......
প্রিয়নবীর প্রেমেতেই সব জাহান সৃষ্টি । আল্লাহ তায়ালা প্রিয়নবীকে সৃষ্টি জগতের সর্ব শ্রেষ্ঠ রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছেন ।
দরবেশ কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর “বিষের বাঁশী” কাব্যগ্রন্থের ফাতেহা-ই-দোয়াজ দহম’ কবিতায় এ সম্পর্কে আলোকপাত করেছেনঃ- প্রিয়নবীর আবির্ভাবের ফলে সমস্ত অন্যায়, অবিচার, পাপাচার, অজ্ঞতা, অন্ধকার দূরীভূত হয়েছিল এবং সারা জাহান আলোকিত হয়েছিল ন্যায় ও সত্যের আলোয় ।
মরমী সাধক ও আধ্যাত্মিক কবি বলেনঃ-
“আমার প্রিয়নবীর নামে ধেয়ান হৃদয়ে যার রয়
খোদার সাথে হয়েছে তার গোপন পরিচয়” ।
প্রিয়নবীকে কাজী নজরুল ইসলাম কতটুকু ভালবেসেছেন, তার প্রমাণ “নজরুল চেতনায় বিশ্বাসী হলেই জানা যায় । কবি বলেনঃ-
“রাসূলের অপমানে যদি কাঁদেনা তোর মন
মুসলিম নয় মুনাফিক তুই রাসূলেরই দুশমন ।
“বেদনার সিন্ধু মন্থন শেষ” এ কবি আবার যে জেগেছিলেন এবং জনগণকে জাগিয়ে তুলছিলেন, সেটা বৃটিশ ঔপনিবেশিক সরকার এবং তাদের সহযোগীদের কায়েমী স্বার্থের অনুকূল ছিলো না । সব জেনে শুনেও শোষণের বিরুদ্ধে শহীদ হওয়ার ঝুঁকি নিয়েছিলেন নজরুল ।
কবি ঠিকই উপলব্দি করেছিলেন যে, ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় সুষ্টতই কোনো শোষণ ও বৈষম্যের অনুমোদন নেই । আর এটা বিস্মৃত হয়েই মুসলিম জাতি পতনের মুখোমুখি হয়েছে ।ইসলামী দুনিয়ার অন্যতম সাধক কবি “কাজী নজরুল ইসলাম” প্রিয়নবী নিবেদীত প্রাণ । “নজরুল” সর্বদা বিশ্বাস করেছেন যে, মহান আল্লাহ ও তার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামই তাঁকে সব কিছুতে পরিচালিত করেছেন । “নজরুল” যা করেছেন সে সব কিছুই আল্লাহ ও তার হাবীবই তাঁকে দিয়ে করিয়েছেন । তাঁর বিস্ময়কর সৃষ্টিও সেই সাক্ষ্যই দেয় । “তোমারে ভিক্ষা দাও” কবিতায় নজরুল বলেন,
‘বল, হে পরম প্রিয়-ঘন মোর স্বামী !
আমারে কাহারও অধিকার নাই, এক সে তোমার আমি !
ভালো ও মন্দে মধুর দন্দ্বে কি খেলা আমারে ল’য়ে
খেলিতেছ তুমি, কেহ জানিবে না, থাকুক গোপন হ’য়ে !
আমারেও তাহা জানিতে দিও না, শুধু এই জানাইও,
আমার পূর্ণ পরম মধুর, মধুর তুমি হে প্রিয় ।
.............................
এ কবিতা বাংলার শ্রেষ্ঠ সাধক কবির । বিশ্ব সাহিত্যেও এর জুড়ি মেলে কিনা জানি না । তাঁর সঙ্গীতে তিনি একবার বলেছিলেন; “দূর আরবের স্বপন দেখি/ বাংলাদেশের কুঠির হতে ।‘
যারা প্রিয়নবীকে বাহ্যিক দৃষ্টি দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করেন, তাদের সাথে “নজরুল” দ্বিমত পোষণ করেন, তাদেরকে তিনি কাফের এজিদের চেলা বলে অভিহিত করেন: ,,,,,,,
মানবতার কণ্ঠসুর কবি নজরুল নিজেই প্রিয়নবীকে “নূরনবী” হিসেবে সম্বোধন করে ক্ষান্ত হননি, প্রিয়নবীর কদম মোবারক ধূলায় নিজেকে ধন্য করার জন্য নিজ শরীরকে লালবাগিচা বানিয়ে দিয়েছেন-
“আমি যদি আরব হতাম মদিনারই পথ/ এই পথে মোর চলে যেতেন নূরনবী হযরত ।
অন্যত্র উচ্চারণ করেছেন, “ নবী মোর নূরে খোদা, তার তরে সকল পয়দা ।
আশেকের পূর্ণত্ব তো মাশুকের মিলনেই । আশেকে রাসূল কবি আরো সহজ করে বলেছেন,
“তর্ক করে দুঃখ ছাড়া কী পেয়েছিস অবিশ্বাসী
কী পাওয়া যায় দেখনা বারেক হযরতে মোর ভালবাসি ।
এখানে “অবিশ্বাসী” বলতে কাফের, মুশরিক, বিধর্মী নয় । দ্বীনের ছদ্ম নামদারী মোল্লা ও মৌলবীদের বুঝানো হয়েছে ‘ভালবাসি’ শব্দটি দ্বারা ।........
প্রিয়নবীর শুভাগমন তথা “ঈদে আজম” ই মুমিন জীবনের শ্রেষ্ঠ ঈদ তথা খুশি, কবি যেভাবে প্রমাণ দিয়েছেন:-
“ত্রিভূবনে প্রিয় নবী এলরে দুনিয়ায় আয়রে সাগর আকাশ বাতাস দেখবি যদি আয়
ধূলির ধরা বেহেশত আজ, জয় করিল গেলরে লাজ
আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারা ।
মুমিন মুসলমানদের আনন্দ দু’- ঈদের মধ্যেই কবি সীমাবদ্ধ রাখেন নি । প্রিয়নবীর আগমন নিত্য ঈদ হিসেবে কবি বলেন-
“এই দুনিয়ায় দিবা-রাত্রি
ঈদ হবে তোর নিত্য সাথী । .......
প্রিয়নবীর প্রেমেতেই সব জাহান সৃষ্টি । আল্লাহ তায়ালা প্রিয়নবীকে সৃষ্টি জগতের সর্ব শ্রেষ্ঠ রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছেন ।
দরবেশ কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর “বিষের বাঁশী” কাব্যগ্রন্থের ফাতেহা-ই-দোয়াজ দহম’ কবিতায় এ সম্পর্কে আলোকপাত করেছেনঃ- প্রিয়নবীর আবির্ভাবের ফলে সমস্ত অন্যায়, অবিচার, পাপাচার, অজ্ঞতা, অন্ধকার দূরীভূত হয়েছিল এবং সারা জাহান আলোকিত হয়েছিল ন্যায় ও সত্যের আলোয় ।
মরমী সাধক ও আধ্যাত্মিক কবি বলেনঃ-
“আমার প্রিয়নবীর নামে ধেয়ান হৃদয়ে যার রয়
খোদার সাথে হয়েছে তার গোপন পরিচয়” ।
প্রিয়নবীকে কাজী নজরুল ইসলাম কতটুকু ভালবেসেছেন, তার প্রমাণ “নজরুল চেতনায় বিশ্বাসী হলেই জানা যায় । কবি বলেনঃ-
“রাসূলের অপমানে যদি কাঁদেনা তোর মন
মুসলিম নয় মুনাফিক তুই রাসূলেরই দুশমন ।
“বেদনার সিন্ধু মন্থন শেষ” এ কবি আবার যে জেগেছিলেন এবং জনগণকে জাগিয়ে তুলছিলেন, সেটা বৃটিশ ঔপনিবেশিক সরকার এবং তাদের সহযোগীদের কায়েমী স্বার্থের অনুকূল ছিলো না । সব জেনে শুনেও শোষণের বিরুদ্ধে শহীদ হওয়ার ঝুঁকি নিয়েছিলেন নজরুল ।
কবি ঠিকই উপলব্দি করেছিলেন যে, ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় সুষ্টতই কোনো শোষণ ও বৈষম্যের অনুমোদন নেই । আর এটা বিস্মৃত হয়েই মুসলিম জাতি পতনের মুখোমুখি হয়েছে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:১২