পৃথিবীর ২৬ টা দেশের সামরিক অফিসার, এদের বেশিরভাগই সেনাবাহিনীর, বেশিরভাগই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বা সমমান, তাঁরা সবাই মিলে টেনেটুনে আমার বাস্তবতার চোখের পর্দা যেটুকু অবশিষ্ট ছিল খুলে দিলেন।
বাংলাদেশের এক সন্তানের বিষয়ে তাঁরা মাত্র ৭ মিনিট জেনেই বিস্ময় ধ্বনি করলেন। শিশুর মত। কেউকেউ বললেন ওয়াও! কেউ কেউ হাততালি থামাতে চান না। কল্পনা করা যায়! ২৬ টা দেশের কর্নেল, ব্রিগেডিয়ার ও মেজর জেনারেলরা বাংলাদেশের একজন বেসরকারি মানুষের সাথে ছবি তোলার জন্য তাড়াহুড়া করছেন। তাঁকে প্রশ্ন করে করে ব্যতিব্যস্ত করে তুলছেন, খাওয়া দাওয়ার সময়টুকুও দিচ্ছেন না, নিজেরাও মনোযোগ দিয়ে করছেন না!
ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল কামাল ইউরী,
আচার্য বজ্রমুনি,
ব্যুত্থানের প্রতিষ্ঠাতা,
আপনাকে কেন ১৯৯৩ সালে আসিয়ামা বান্ডো মার্শাল আর্টের উত্তরাধিকারী গ্র্যান্ডমাস্টার এবং সপ্তম ডিগ্রি ব্ল্যাকবেল্ট করেছিলেন বার্মার গ্রান্ডমাস্টার খিং মং জি,
আপনাকে কেন ভার্মা কালাইয়ের আসান ভাষ্করণ টিচার বজ্রমুনি উপাধী দিয়েছেন,
কেন বার্মার ৩৩ জন গ্র্যান্ডমাস্টার মিলে আপনাকে বলেছেন থান শিন পা- শত বছরে ফোটা একটা ফুল,
কেন ভূটান রাজকীয় সরকার পদবী দিয়েছেন সোনালি নখরওয়ালা শান্তি ড্রাগন,
কেন আপনি পৃথিবীর পাঁচ সুপার হিউম্যানের একজন,
কেন চার চারটা বিশ্বরেকর্ড আছে আপনার,
কেন আপনাকে পরপর পাঁচ বছরে পৃথিবীর শীর্ষ সবগুলো গ্র্যান্ডমাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বিশেষ বিশেষ হল অভ ফেইম ও উপাধী দিয়েছে,
আমি বুঝতে পেরেছি।
কারণ, আপনি কল্পনা ও বাস্তবের মধ্যে কোনও তফাত রাখেননি।
কোনও মানুষ দু:স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারবে না, যে, পৃথিবীর ২৬ টা দেশের সামরিক বাহিনীর রাশভারি জেনারেলরা কাউকে নিয়ে একাধারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পারে। বহু দেশের জেনারেলরা দাঁড়িয়ে আছেন, আপনি বসে আছেন। রীতিমত কষ্টকল্পনা। ওয়াইল্ডেস্ট ড্রিম।
আমি গর্বিত বলতে পারব না, বরং আমি উপলব্ধ। বাস্তবতার মধ্যে গর্ব থাকতে নেই, আপনি বাস্তবতা। আপনার ছাত্র হিসাবে এই বাস্তবতাকে আমি উপলব্ধি করছি।