somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্য আল্টিমেট পোস্ট: চরমপন্থা, মডারেট মুসলিম, মুক্তমন, অবমাননা, হত্যা

০২ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আল্লাহর রাসূল দ.'র প্রবল সমালোচনাকারী এমনকি অবমাননাকারীদের সাথে রাসূল দ. ও তাঁর সাহাবী রা. গণের সময়কালে কী কী ঘটেছে সেটা আমরা দেখতে পারি-

১. তাদের বছরের পর বছর ধরে কিছুই করা হয়নি। এভাবেই তাদের স্বাভাবিক জীবদ্দশা শেষে মৃততুবরণ করেছে।
২. তাদের অনেকেই ইসলাম ধর্ম নিজে এসে গ্রহণ করেছেন। হাসসান বিন সাবিত রা., ক্বাব বিন যুহায়ের রা. এমনি দুজন কবি।

হিন্দা রা. রাসূল দ.'র বিরুদ্ধে ২৩ বছর যাবৎ যুদ্ধ করেছেন,
তাঁর দ. চাচা হামজা রা.'র কলিজা আক্ষরিক অর্থেই চিবিয়েছেন যুদ্ধক্ষেত্রে,
বিকৃত কবিতা ও অবমাননা করেছেন জীবনভর,
২৩ বছর পর মক্কা বিজয়ের দিন বিনা প্রশ্নে ক্ষমা পেয়েছেন। ক্ষমার জন্য কোন শর্তও ছিল না। তিনি স্বত:প্রণোদিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করতে এসেছেন,
রাসূল দ. তাঁকে ইসলামে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তবু তাকে কোন দন্ড দেননি,
এর পরও হিন্দা রা., রাসূল দ.'র সবচে বড় একজন অবমাননাকারী, নিজের ঐকান্তিক দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

৩. অবমাননাকারী কিছু মানুষকে যুদ্ধরত অবস্থায়, বন্দী অথবা হত্যা করাই যেখানে অপশন, হত্যা ও আহত না করে বন্দী করা হয়েছে।

৪. কিছু অবমাননাকারী কবিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে কী শর্তে এটা জানলে পাথরেরও চোখ ফেটে যাবে। তাদের শর্ত ছিল, পড়তে লিখতে জানে না, এমন মুসলিমদের পড়াতে লেখাতে হবে। ব্যস। তারা মুক্তি পেয়েছে। মুসলিম না হয়েই ফিরে গেছে।

৫. কিছু অবমাননাকারী যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধরত অবস্থায় মৃততুবরণ করেছে।

৬. কিছু অবমাননাকারীকে হত্যা করা হয়েছে। যে কোন অবস্থায়।

এইযে ছয়টা পয়েন্ট, এর মধ্যে কোনটা গ্রহণ করতে হবে, কীভাবে গ্রহণ করতে হবে, কোন্ পরিস্থিতিতে, কার নির্দেশনায়, এ বিষয়ও ইসলামে স্পষ্ট।

বাংলাদেশ ইসলামের কোন শত্রু দেশ নয়। দারুল হারব নয়। দারুল আমান। এদেশে ধর্ম অবমাননার আইন আছে। এদেশে যারা ধর্ম অবমাননা করে, তাদের ক্ষমা করে দেয়া ইসলাম সম্মত। তাদের আজীবন সুযোগ দিয়ে নিজের মত করে স্বাভাবিকভাবে মৃততুবরণ করতে দেয়াও ইসলাম সম্মত। তাদের ইসলাম গ্রহণ করতে দেয়াও ইসলাম সম্মত। তাদের মুসলিম হিসাবে একবার রিজেক্ট করাও ইসলাম সম্মত। তাদের বন্দি করা ও সশ্রম কারাদন্ড দেয়াও ইসলাম সম্মত। এবং বন্দি করে সশ্রম কারাদন্ড দেয়ার বিধান দারুল আমান বাংলাদেশে আছে। মামলা করো। জেলে ভরো। বেরিয়ে যাক। নিজের মত থাকুক। আলোচনা করুক। সমালোচনা করুক। কুৎসা যেন না রটায়। মিথ্যা অপবাদ যেন না দেয়। গালাগালি যেন না করে। যদি করে, তবে আবার মামলা করো। আবার জেলে ভরো। তাহলে হত্যা কেন? তাহলে হত্যা কারা করে? যারা এদেশকে দারুল হারব মনে করে, যারা এদেশের নিয়ম মানাকে কুফর মনে করে, তারাই করে।

এরাই কি এদেশের ষোল কোটি মুসলিম? এরাই কি প্রকৃত মুসলিম আর আমরা ভেসে এসেছি? আমরা কুরআন হাদীসের কিছুই জানি নাই? হত্যা প্রকৃত ইসলামিক নির্দেশদাতা শাসক ছাড়া আর কারো করার অধিকার নেই। হত্যার জন্য সুনির্দিষ্ট বিচারের প্রয়োজন। সুনির্দিষ্ট পন্থার প্রয়োজন।

কারা করে? যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না। বাঙালি জাতি মানে না। আইন মানে না। নাগরিকত্ব মানে না। যারা স্বাধীনতার বিরোধী ছিল আছে থাকবে তারাই শুধু করে ও করেছে। এদের সংখ্যা বাংলাদেশে কত? এদের চেনা কি খুবই কষ্টকর? এদের মতবাদের গোড়া কি ইসলামে মিশেছে, নাকি অন্য কোথাও? যেখানে মিশেছে, সেটা খুজে বের করা কি খুবই কষ্টকর?

এদের মতবাদের গোড়া সেখানে, যেখানে বলা হয়েছে, ধর্ম যে অবমাননা করবে, সে পরবর্তীতে মুসলিম হলেও তার উপর তলোয়ার। এটা ধর্ম নয়। একটা ধর্মের ভিতরে, একটা ইসলামের ভিতরে প্রতিটা বিষয় খুবই বিস্তারিত রয়েছে। এর বহু অপশন রয়েছে। সকল অপশনের মধ্যে খাটুক বা না খাটুক, সর্বক্ষেত্রে সবচে চরম অপশনটা যারা বেছে নেয়, তাদেরই বলা হয়েছে চরমপন্থী। আর রাসূল দ. কতশতবার বলেছেন, আমি মধ্যপন্থী, আমার উম্মাহ (দলভুক্ত অনুসারী) মধ্যপন্থী।

কী সেই মধ্যপন্থা? কীভাবে বোঝা যাবে মধ্যপন্থা?

ইসলামে ধর্ম বোঝা ও ধর্ম প্রয়োগ করার সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে।
কোন একক উদ্ধৃতির উপর নির্ভর করে কেউ ধর্ম প্রয়োগ করতে পারবে না, ধর্ম বুঝতেই পারবে না।

একক উদ্ধৃতি থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।

উদাহরণ দিই,
আমাদের কাছে কুরআন ও সহীহ্ হাদীসের মর্যাদা প্রায় সমান।

কুরআনে আছে,
যেখানেই কাফির পাও, হত্যা করো। - এই আয়াত যদি আমরা একক আয়াত হিসাবে গ্রহণ করতাম, তাহলে পৃথিবীর কোন মুসলিম প্রধান দেশেই কোন অন্য ধর্মাবলম্বী থাকতো না। আর এই বিষয়টা একবার চিন্তা করেন, কতখানি অ্যাবসার্ড!

প্রকৃতপক্ষে এই আয়াতের একমাত্র অর্থ হল, যখন কাফিররা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত রয়েছে সেই মুহূর্তে যুদ্ধের ক্ষেত্রের মধ্যে যেখানেই কাফির পাও সেখানেই হত্যা করো। আয়াতটি এসেছেও যুদ্ধক্ষেত্রে।

এই আয়াতের পরও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সাথে একত্রে বসবাস করেছেন, এই আয়াতের পরও তিনি মক্কায় সমস্ত ধর্মাবলম্বীদের সাথে একত্রে থেকেছেন, তাদের সবকিছু ক্ষমা করে দিয়েছেন।

তাই একক উদ্ধৃতি আমাদের মিসলিডই করতে পারে শুধু।

দেখুন, কুরআনের আয়াত অনুযায়ী-

১. মানুষকে সিমেন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
২. মানুষকে ওভারি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৩. মানুষকে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৪. মানুষকে পানি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৫. মানুষকে ঝুলন্ত রক্ত-মাংসপিন্ড থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৬. মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৭. মানুষকে সর্বোত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৮. মানুষকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত কোন কিছু দিয়ে দেয়া হয়নি সৃষ্টির পর থেকে।

যে কোন একটি আয়াত থেকে যদি আমরা এ বিষয় বুঝতে যাই, আমরা শুধু কনফিউজডই হব। এরচে বেশি কিছু আমরা হতে পারব না।

অথচ বিষয়টা কত সরল! মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে সিমেন ও ওভারির যৌথ অবস্থা থেকে। আর সিমেন ও ওভারির সবচে বেশি পরিমাণ উপাদান হচ্ছে পানি। আর সিমেন ও ওভারির পানি সহ প্রায় সকল উপাদান ভূমি তথা মাটি থেকে এসেছে। আর এই সিমেন ও ওভারিতে যখনি নিষেক হয় তখন তা ঝুলন্ত রক্ত-মাংসপিন্ডের মত হয়ে যায় দিনে দিনে। পরবর্তীতে তা মানুষের রূপ পরিগ্রহণ করে গর্ভের ভিতরে। যখন মানব সন্তান ভূমিষ্ট হয়, তখন সাধারণত পাওয়া অন্যান্য পশু ও পাখির চেয়ে মানুষের সন্তান দুর্বল থাকে। যেমন, বাছুর, ঘোড়ার শাবক, ছাগশাবক জন্মের পরই ছুটতে পারে। হাঁস বা টার্টল শাবক জন্মের পরই পানির দিকে চলে যায়। মানব শিশুর ভালবারেবিলিটি এসব থেকে অনেক অনেক বেশি। দুর্বল করে সৃষ্টি করলেও দৈহিক প্রায়োগিকতায় মানুষকে সর্ব্বোত্তম অবয়বে সৃষ্টি করা হয়েছে- এর প্রমাণ দেয়ার কিছু নেই, জগতের একমাত্র সভ্য প্রাণী একমাত্র সকল প্রাণীর উপরে প্রাধান্য সৃষ্টিকারী প্রাণী হল মানুষ। আর মানুষকে সাধ্যের অতিরিক্ত কোনকিছু দেয়া হয়নি এর একটা মানে হল, মানুষ এইযে বিষয়গুলো, এগুলো খুব সহজেই অনুধাবন করতে পারবে।

সমস্যাটা আমাদের উপলব্ধিতে।

একক উদ্ধৃতি তাই শুধু মিসলিড করে। শুধু ভুলের সম্ভাবনা তৈরি করে। মানুষের ইসলাম বিষয়ক ভুল তখনি হবে, যখন সে নিজে থেকে কোন কিছু বোঝার চেষ্টা করবে। অন্তত ভুল হবার সম্ভাবনা মাত্রাতিরিক্তভাবে বাড়বে।

এজন্য ইসলাম অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে,
১. কুরআন থেকে বুঝতে হবে প্রথমে কুরআনের অন্য সকল আয়াতের আলোকে।

২. এরপর কুরআনের এ বিষয় সংশ্লিষ্ট প্রতিটা আয়াতের অবতরণের প্রেক্ষিত পর্যালোচনায়।

৩. এরপর হাদীস থেকে- হাদীসের মধ্যে রাসূল দ. এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কী বলেছেন তা থেকে। (এই রাসূল দ. নিজে থেকে কিছুই বলেন না, তিনি যাই বলে থাকেন তাই সরাসরি ওয়াহয়ি হয়ে থাকে)

৪. এরপর রাসূল দ. এ বিষয়ে কী করেছেন তা থেকে।

৫. এরপর রাসূল দ. এ বিষয়ে কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে সম্মতি দিয়েছেন তা থেকে।

৬. তারপর এ বিষয়ে রাসূল দ.'র আলোকে চার খলিফা রা. ও আহলে বাইতে রাসূল দ. কী করেছেন তার আলোকে। (আমার পরে তোমরা আমারই মত করে অনুসরণ করো খুলাফায়ে রাশিদুনকে যাঁরা মাহদি; আমি কুরআন ও আহলে বাইত রেখে যাচ্ছি, যারা নূহ আ.'র কিশতিরূপী আহলে বাইতে আরোহণ করবে তারা মুক্তি পাবে যারা আশ্রয়গ্রহণ করবে না তারা ডুবে যাবে।)

৭. এরপর সমগ্র সাহাবাদের জীবনে এর প্রতিফলন কেমন ছিল সেই আলোকে। (আমার এক একজন সাহাবা হলেন অন্ধকার রাতের আকাশের এক একটা নক্ষত্রস্বরূপ, যে কোন এক নক্ষত্র ঠিকভাবে অনুসরণ করলেই লক্ষ্যে পৌছে যাওয়া যাবে)।

৮. এই সমস্ত কিছুর আলোকে বিষয় নির্ধারণ ইতোমধ্যে করে দিয়ে গেছেন তাবিয়ি ও তাবে তাবিয়িদের মধ্যে চার মাজহাবের প্রতিষ্ঠাতা। এই মাজহাবের প্রতিষ্ঠাতাদের যে কোন একজনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী যখনি কোন যথাযথ আলিম আগের সাতটি পয়েন্টের আলোকে কোন জ্ঞান অর্জন করেন, তখনি তিনি তার অনুসিদ্ধান্ত জানানোর অধিকার পান। এই অনুসিদ্ধান্তকে বলে ইফতা/ফাতওয়া আর ইফতা যিনি দেন তিনি হলেন মুফতি।

তাই একজন মুফতিই পারেন ইসলামের কোন্ বিষয়টা সঠিক তা জানাতে। আর সেই মুফতিই সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা রাখেন, যিঁনি প্রকৃত মধ্যপন্থী (মডারেট) ইসলামকে বুঝতে পেরেছেন ও তার সঙ্গ, সঙ্ঘ পেয়েছেন।

ইসলামের জ্ঞান এমনি একটা ছাঁকনির ভিতর দিয়ে আসে, যেন 'যেখানে কাফির পাই সেখানেই হত্যা' আমরা না করি। এ কাজ যদি আমরা করতাম, তবে এতদিনে ১৪০০ বছরে হয় ইসলাম বিলুপ্ত হতো নয়তো ইসলাম ছাড়া অন্য সবকিছু বিলুপ্ত হতো, এটা ইসলামের নীতির মধ্যে পড়ে না বলেই কিছুই বিলুপ্ত হয়নি।

এই মধ্যপন্থা একটা মনোবৃত্তি, যা শুধুমাত্র সঠিক সংঘায়ন, সঠিক সংগ লাভ, সঠিক ব্যাখ্যা লাভের আবর্তে থাকলে অর্জন করা সম্ভব। নিজের মত করে কখনোই নয়। একা একা কখনোই নয়। একা একা অথবা ভুল সঙ্গ/সংঘ লাভের ফলে তিনটার যে কোন একটা ঘটাই ৯৯% ক্ষেত্রে বাস্তব-

১. ইসলামকে আঁকড়ে ধরার সংজ্ঞায়নের দিকে গিয়ে ইসলামের যে কোন ক্ষেত্রের সবচে চরম উদাহরণটাকেই সর্বক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাওয়া। যেমনটা করছে শত শত চরমপন্থী দল।

২. ইসলামেই থাকা, কিন্তু এর সকল নিয়ম কানুন ও সকল বিষয় এবং সকল দিককে সম্পূর্ণ পথভ্রষ্ট জানা। নিজের মত শুধু জীবনযাপন করে মারা যাওয়া। অর্থাৎ সর্বদিক দিয়ে ইসলামের কালিমা ও কুরআন ছাড়া আর কিছু না নেয়া ফলত ঈমান, আক্বিদা ও আমলের দিক দিয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়া ফলত ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাওয়া। কেননা, ইসলাম নিজের মত ইন্টারপ্রিটেশনের কোন বিষয় নয়, বরং নিজ জীবনে প্রয়োগের বিষয়। নিজ জীবনে প্রয়োগের ক্ষেত্রে ব্যর্থতাও ক্ষমার্হ্য। কিন্তু বিশ্বাসে বিচচুতি ক্ষমার্হ্য নয় বরং তা পরকালে অবিশ্বাসী অথবা মুনাফিক হিসাবে ওঠার পথ তৈরি করে।

৩. ইসলাম থেকে সচেতনভাবেই বেরিয়ে যাওয়া।

যখন কেউ ইসলামেই থাকে, আর ইসলামেই থেকে ইসলামের সমস্ত নিয়মের মধ্যে শুধু সবচে চরমটা গ্রহণ করে তা প্রায়োগিক হোক বা না হোক, তা এক্ষেত্রে খাটুক বা না খাটুক, তখনি সে মুসলিম থেকে বেরিয়ে যায়, রাসূল দ.'র ধর্ম থেকে বেরিয়ে যায়। তার উম্মাহ থেকে বেরিয়ে যায়।

২৩ বছরের শেষে কে বলেছিলেন, দেড় লক্ষ সাহাবীর সামনে, মক্কায়, হে মানবজাতি! (হে বিশ্বাসী নয়, হে মুসলিম জাতি নয়, পুরো মানবজাতি!) তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না, অতীতে অনেক জাতি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে বিলীন হয়ে গেছে!

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কোনটা? ধর্মেরই ভিতরে থাকা যে কোন বিষয়ের তথ্যাবলীর মধ্যে সবচে চরমটাকে নিয়ে সর্বক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করাই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি।

কেন রাসূল দ. বলেছেন, এক সময় কিছু মানুষ কুরআন পড়তে পড়তে চেহারা উজ্জ্বল করে ফেলবে, (কিন্তু তারা এর অর্থ অনুধাবনে ব্যর্থ হয়ে) তলোয়ার নিয়ে আপন প্রতিবেশীকে 'শিরককারী' বলে মারতে উদ্যত হবে, এবং যে মারতে উদ্যত হবে, সেই মূলত মুশরিক!

ইসলাম মানুষের সহাবস্থানে বিশ্বাস করে না? ইসলাম মানুষকে বর্বর করেছে? তাহলে কোন্ ইসলামের মহানবী দ. ২৩ বছরের সমগ্র প্রচার শেষে দেড় লাখ সাক্ষীর সামনে বলেছেন, হে মানবজাতি! আজ থেকে তোমাদের পরস্পরের সম্পদ, সম্মান, রক্ত ও প্রাণ পরস্পরের জন্য সম্পূর্ণরূপে হারাম!

কে বলেছেন, আমি কি তোমাদের কাছে আমার বাণী স্পষ্ট করে পৌছে দিয়েছি? তোমরা কি সাক্ষ্য দিচ্ছ? তবে আমার এ বাণী সবার কাছে পৌছে দাও!

কোন্ বাণী কে পৌছায়? কে বিকৃত করে? কেন করে? তার উদ্দেশ্য কী? সে যদি জেনে না থাকে, কেন জানেনা? তাকে যারা জানায়, তারা ভুল কেন জানায়? ইসলামের ভিতরে চরমপন্থা তথা ইসলাম বহির্ভূত মতবাদের শুরু কোথায়? আর ইসলামের বাইরে ইসলামকে সম্পূর্ণ আউট অভ কনটেক্সচুয়াল কম্বিনেশনে গিয়ে কে এর ব্যাখ্যা দেয়? কে ইসলামকে হত্যাকারী একটা প্রাচীণ গোঁড়া বিপ্লব হিসাবে প্রদর্শন করে?
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
৩১টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে মৈত্রী হতে পারে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০


২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ সুদে-আসলে সব উসুল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×