আরো বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকগুলো দেখুন-
১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস অন্য কিছু নয়
আসছে ভ্যালেন্টাইন … আসছে জয়নাল দিপালী …
রক্তের অক্ষরে লেখা শহীদের নাম ভেসে গেছে ভ্যালেন্টাইনের জোয়ারে
স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস না ভ্যালেন্টাইনস ডে? – দিবস বাণিজ্যে বিবশ তারুণ্য !-কল্লোল মোস্তফা
আসছে ১৪ই ফেব্রুয়ারি...আসছে ভ্যালেন্টাইন...কিন্তু স্মরণে কি আছে...রক্তের অক্ষরে লেখা শহীদের নাম ভেসে গেছে ভ্যালেন্টাইনের জোয়ারে-পাপতাড়ুয়া
মূলধারার ভালোবাসা : মূলধারার তারুণ্য -খোমেনী ইহসান
একাত্তরে মানুষ অকাতরে রক্ত দিল মুক্তির জন্য। কিন্তু বিনিময়ে পেল নতুন এক ফ্যাসিস্ট শাসন। শাসক শ্রেণীর দল-উপদলগুলোর মধ্যে প্রথম দিন হতে শুরু হয় ক্ষমতার জন্য কামড়াকামড়ি। বাকশালী শাসন, সামরিক গণতন্ত্র শেষে শাসক শ্রেনী জনগণকে উপহার দিল সামরিক স্বৈরাচার। দেশে এখন চলছে পার্লামেন্টারি স্বৈরাচারের দিন। আগুনে পুড়িয়ে ও নির্বিচারে গুলি করে শ্রমিক হত্যা, ক্রসফায়ারের নামে আইনি খুন, রূপগঞ্জ-আড়িয়াল বিলে ভুমি দখল, পাহাড়ে গনহত্যা, উপনিবেশিক শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন, ভারতের সাথে তাবেদারীর চুক্তি, কয়লা নীতি, মডেল পিএসসি-র মধ্য দিয়ে বিদেশীদের হাতে দেশের জাতীয় সম্পদ তেল-গ্যাস-কয়লা তুলে দেয়া দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, পাকিস্তান কালেও এ দেশে যা সম্ভব হয়নি সেই মার্কিন সামরিক উপস্থিতি এমন নতুন নতুন আইটেম যুক্ত হয়ে শাসক শ্রেনীর স্বেচ্ছাচারিতা চরমে পৌঁছেছে।
দেশে যখন জাতীয় মুক্তির সংগ্রাম দানা বাঁধতে শুরু করেছিল তখন পাকিস্তানি শাসক শ্রেণী জাতির চেতনাকে নড়বড়ে করে দেয়ার চেষ্টা করেছে। ভাষা-শিক্ষা-সংস্কৃতির উপর আগ্রাসন চালিয়ে। তারা বিজাতীয় ভাষা উর্দু চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। আমরা লক্ষ্য করলাম, তেমনি ভাবে পার্লামেন্টারি স্বৈরাচারের আমলে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস-এর চেতনাকে ধ্বংস করতে উদ্যত হল শাসক শ্রেণী।
সামরিক স্বৈরাচারের কয়েক বছর না যেতেই ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসাবে পালনের জন্য শাসক শ্রেণীর অন্যতম মুখপত্র যায়যায় দিন প্রচার শুরু করে। পাকিস্তানিরা ’৫২তে ব্যর্থ হলেও, ক্যাবল আর স্যাটেলাইট চ্যানেলের কল্যাণে এবার শাসক শ্রেণী সফল হয়েছে। তারা ‘আমি আর তুমি’-র মত চরম স্বার্থপর, সমাজ বিচ্ছিন্ন চেতনা যুব সমাজের মধ্যে চাপিয়ে দিতে পেরেছে। প্রেম-ভালবাসার মত স্বাভাবিক সম্পর্ককে অতিপ্রাকৃত বিষয়ে পরিণত করে আফিম নেশার মত বুঁদ করে ফেলেছে। ভোগবাদ আজ তাদের আদর্শ।
শাসক শ্রেণী এ থেকে লাভ তুলে নিচ্ছে দু’ভাবে; সমাজের সবচেয়ে প্রাণবন্ত লড়াকু অংশ যুব সমাজকে মুক্তির লড়াই থেকে বিচ্ছিন্ন, নির্জীব করে ফেলে এবং দিনটিকে বাণিজ্যের মহোৎসবে পরিণত করে।
এদেশ, জাতি ও জনগণ মুক্তি পায় নাই কিন্তু তার মুক্তির আকাঙ্খা কখনো দমে নাই। তার লড়াই কখনো থামে নাই। তাই মুক্তিকামী জনতা, আসুন,
ভ্যালেন্টাইনস ডে নামক গণবিরোধী, সাম্রাজ্যবাদী সংস্কৃতি প্রত্যাখান করি!
বিপরীতে ১৪ ফেব্রুয়ারি “স্বৈরাচার প্রতিরোধ” দিবস হিসাবে পালন করি!
স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই ও মুক্তির চেতনাকে উঁচুতে তুলে ধরি।
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য নির্মাণ করি নতুন সংস্কৃতি!
ক র্ম সূ চী
আলোচনা সভা
গণসঙ্গীত
কবিতা পাঠ
নাটক
স্থান: বটতলা (কলাভবন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সময়: সকাল ১১.০০ টা
প্রগতির পরিব্রাজক দল
কেন্দ্রীয় কার্যালয়: ডাকসু ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। মোবাইল: ০১৯১৩৩০৫২১৪