- চর্বিহীন মাংস খাবেন (মাংসে দৃশ্যমান চর্বি রান্নার আগে ফেলে দিতে হবে)
- গরু বা খাসির মাংস অল্প পরিমাণে সপ্তাহে ১ দিন খাবেন।
- মুরগি রান্না করার আগে এর চামড়া ফেলে দেবেন।
- ডিমের কুসুম খাবেন না। এমনকি ডিম ভাজি করার সময় কুসুম ফেলে দিতে হবে।
- কলিজা, মগজ খাবেন না। এতে প্রচুর কোলেস্টেরল থাকে।
- ননিতোলা দুধ খাবেন।
- নারকেল খাবেন না।
- পনির খাবেন না।
- উদ্ভিজ্জ তেল যেমন সয়াবিন, সূর্যমুখী তেল খাবেন।
- কোমল পানীয় খাবেন না।
- ফাস্টফুড পরিহার করবেন।
- মাংসের পরিবর্তে মাছ গ্রহণ করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- ধূমপান করবেন না।
যেসব খাবার খাবেন
১. চামড়া ছাড়া মুরগির মাংস
২. ননিমুক্ত দুধ
৩. পাঙ্গাস মাছ ছাড়া যে কোনো মাছ
৪. যে কোনো শাকসবজি
৫. সিমের বিচি, ভুট্টার খই
৬. মাখন ছাড়া কেক
৭. ডিমের সাদা অংশ
৮. যে কোনো ফলমুল
৯. মাছের তেল
সুস্খ হার্টের জন্য প্রতিদিনের খাবারের তালিকা
সকালের নাশতা : রুটি ২টা অথবা পাউরুটি ২ পিস, সবজি পরিমাণমতো, ডিম একদিন পরপর ১টা, চা ১ কাপ, ফল পরিমাণমতো।
সকাল ১১টায় : স্বাভাবিক মাপের মাখন/ ক্রিম ছাড়া দুটো বিস্কুট।
দুপুর : ভাত আড়াই কাপ, সবজি পরিমাণমতো, মুরগি বা মাছ-২ টুকরা (৬০ গ্রাম ওজন) মুগডাল হাফ কাপ।
রাতে : রুটি ২টা বা পাউরুটি ৪ পিস, সবজি পরিমাণমতো, সালাদ হাফ কাপ, মাছ/মুরগির মাংস ১ টুকরা।
শোয়ার আগে : ১ কাপ ননিতোলা দুধ
হার্টকে সুস্খ রাখতে খাবার নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। একটা সময় ছিল যখন খাদ্যাভ্যাসকে শুধু অপুষ্টি বলা হতো। কিন্তু জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি খাবারদাবারই এখন অপুষ্টির প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এমন খাবার বেশি খাই যেটা মুখরোচক অথচ শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অপরদিকে ভালো পুষ্টিমানের খাবার গ্রহণে আমাদের অনীহা খুব বেশি পরিলক্ষিত হয়। হার্টকে সুস্খ রাখার প্রথম শর্ত হিসেবে তাই খাদ্য নির্বাচনে সতর্ক হওয়া উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫