পিচ্চিবেলা থেকেই খুব
লুল আমার মনটা,
সুন্দরী মেয়ে দেখলেই নাচে
তাক ধিনা ধিন ধিন তা।
তখন আমি একদম ছোট্ট
ক্লাস ওয়ানে পড়ি,
ইংরেজী লেসন নিতে আসতো
শারমিন নামের পরী।
ক্লাস টু তে উঠে
প্রেমে পড়লাম নতুন করে,
তৃষা নামের মেয়েটা
দুই ধাপ উপরে- ক্লাস ফোরে!
ফার্স্ট গার্ল অফ ক্লাস থ্রী- বর্ষা
গুল্লুগুল্লু একটা ডল,
ওর জন্য ক্লাস ফোর অব্দি
ছিলাম ভীষন ভীষন পাগল।
ফাইভ-সিক্সের সময়কালে আমার
লুলামিতে পড়ে ভাটা,
মুসলিম হাই স্কুলে ছিলনা কোন মেয়ে
ধুশ্শ্শ কপাল আমার ফাঁটা।
সেভেনে স্কুল চেইঞ্জ করে
গেলাম কলেজিয়েট এ,
কয়েকজন ফিমেইল টীচার দেখে
মনটা উঠলো নেচে গেয়ে।
বিজ্ঞান ক্লাস নিতে আসতেন
মিষ্টি শামীম আরা,
উনাকে দেখে আমার আত্মারাম
তো একেবারে খাঁচাছাড়া।
(( ফর দ্যা রেকর্ড: উনি আদর করে একবার আমার গাল টেনে দিসিলেন ))
ক্লাস ৯ এ ভর্তি হলাম
জাহিদ স্যার এর কোচিং এ,
বেশ ক’টা মেয়ে সেখানে
আমার খুশি দেখে কে!
শুভ্র কাপড় পরিহিতা একজন
অ্যাডমিশান নিলো কিছুদিন পর,
তাকে প্রথমবার দেখেই ঠিক করি
আর লুলামি না- একে নিয়েই বাঁধবো সুখের ঘর।
দিন যায়, মাস যায়
চোখে চোখে হয় কথা,
প্রোপোজ করতে হয়নি হিম্মত
বুকে তাই এখনো করে ব্যাথা।
২০০৭ এ জয়েন করি মিগ৩৩ চ্যাট ওয়ার্ল্ডে
এত্ত এত্ত মেয়ে তবুও কপালে খারাপি,
সমবয়েসি কেউ ছিলনা সেথায়
প্রেমিকা নয়- পেয়েছি বড় বড় কয়টা আপি।
কলেজে উঠেই দেখতে থাকি
চারপাশে সুন্দরীদের ভীড়,
স্বপ্ন দেখি এদের কাউকে নিয়েই
বাঁধবো আমি সুখের নীড়।
হঠাৎ করেই চোখে পড়ে মেয়েটি
যেন স্বর্গের কোন অপ্সরা,
সাবিহা- সেকশান ওয়ান এর স্টুডেন্ট
দেখে আমি পুরাই ব্যাড়াছ্যাড়া।
লোকমুখে শুনলাম তার
বয়ফ্রেন্ড এর সংখ্যা চার,
প্রেম যা ছিল মনের কোণে
এক দৌড়ে পগার পার।
ইংলিশ কোচিং সাইকিতে
কিছুদিন পর তার আগমন,
স্নিগ্ধ চেহারাটা দেখলেই
পবিত্র হয়ে যেত মন।
বুকের সাহস সব সঞ্চয় করে
প্রেম নিবেদন করেই ফেললাম,
বললো সে, "উল্টা রাস্তায় মার হাটা
নাহয় অন দ্যা স্পট কুইট্ট্যালবাম।"
সে শোক কাঁটাতে সেদিন আমি
পান করি মাউন্টেইন ডিউ,
আজো মাঝে মাঝে তার কথা ভেবে
মন করে মিঊ মিঊ।
ব্লগে হঠাৎ একদিন চোখে পড়ে
কিউট একটা নিক,
প্রোফাইল এ ক্লিক করে দেখি
মাশাল্লাহ! অ্যাঞ্জেলিক একটা পিক।
ধীরে ধীরে বলতে শুরু করি কথা
হতে থাকে পরিচয়,
এবার কিছু একটা হয়েই যাবে
ভেবে মন উল্লসিত হয়।
কিন্তু বেকুব আমি মনের কথা জানাতে
করে ফেলেছিলাম লেইট,
ক’দিন বাদে দেখি আরেকজনের সাথে
শী ইজ গোয়িং অন অ্যা ডেইট!
সবকিছু মিলে সেদিন আমি
খেয়েছি ভীষণ ধাক্কা,
আশা যতো ছিল বুকের ভেতরে
পেয়েছে অক্কা।
মায়া কাঁটানো যায়না কিছুতেই
খাওয়ার পরেও বাঁশ,
ফেসবুকে তার ছবি দেখে
বেরোয় দীর্ঘঃশ্বাস।
অবশেষে যা বুঝলাম
প্রেম হবেনা আমাকে দিয়ে,
বাপ-মা ঠিক করে দিবে যে মেয়ে
তাকেই করবো বিয়ে॥
উৎসর্গঃ ১. রাজসোহান ভাইয়া।ওনার প্ররোচনায় প্রলুব্ধ আমি গত কয়দিন আগে আরেকটা হাল্কার উপর ঝাপসা ছ্যাঁকা খাইসি।
২. রিপি আপু।উনি আমাকে লুলামি করা বাদ দিয়ে মৌলিক কিছু লিখতে বলসিলেন। আমি মৌলিক কিছু একটা লুলামি নিয়েই লিখলাম।
নববর্ষের শুভেচ্ছা সব্বাইকে, আশা করি সবাই প্রিয়জনদের নিয়ে আনন্দঘন একটি দিন অতিক্রম করেছেন।
আজকের মতোই উৎসবমুখর হৌক বৎসরের বাকি সব দিন।অফুরন্ত শুভকামনা॥