প্রিয় পাঠক , গ্রাম্য মেয়ে রেণুর দুঃখের কথা শুনার আপনার কি একটু সময় হবে ? রেণুর প্রথম সন্তান যখন হাঁটি হাঁটি পা পা করে হাঁটতে শুরু করল , তখনি পানিতে পড়ে মরে গেল । সেই শোক কাটিয়ে উঠার জন্য ২য় সন্তান নিয়েছে । সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার সময় হয়ে এসেছে । কয়েকদিন থেকে হালকা ব্যথা । তার স্বামী জেলে । মেঘনায় মাছ ধরতে গেছে । বাড়ি নাই ।
ব্য থা আছে কিন্তু বাচ্চা হচ্ছেনা কেন ? সে ডাক্তার ( ঔষধের দোকানদার ) কে খুলে বলল । ঔষধের দোকানদার তাকে ২ টি ঔষধ দিল । কিছুক্ষণ পর প্রায় মরণাপন্ন অবস্থাতে সে হাসপাতালে ভর্তি হল । প্রচণ্ড ব্যথা ।
নাহ ! জরায়ু ফেটে গিয়ে রেণু মারা যায় নি । তাকে বাঁচানো গেছে । কিন্তু মারা গেছে অন্যজন । পেটের সন্তানটি । প্রচণ্ড ব্যথা সহ্য করতে না পেরে বাচ্চাটি মারা গেছে ।
তার ছোট মৃতদেহটি দেখতে হলে অনেক মানসিক জোর লাগে । ছোট ফুটফুটে বাচ্চাটির কোঁকড়া কোঁকড়া চুল । নিষ্প্রাণ দেহ । পুতুলের মত বাচ্চাটি মারা গেছে বেশিক্ষণ হয়নি ।
আমি শোকে বিহ্বল হয়ে লেবার টেবিলের পাশে রাখা টুলে বসে পড়লাম । চোখের পানি সামলানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগলাম ।
রেণু এখনো লেবার টেবিলের উপর । রেণুর চোখে পানি নাই । সে আমাকে দেখছে আর সে চিঁ চিঁ গলায় শুধু বলছে , আমি এটা কি করলাম , আমি এটা কি করলাম । আমি কেন ঔষধগুলো ব্যবহার করলাম ।
একজন প্রশিক্ষণ বিহীন ফার্মেসি দোকানদারের জ্ঞানের পরিধি কতটা এর একটা নমুনা দেয়ার জন্যই এই ঘটনার অবতারণা । সেই মর্ম বিদারক ছোট মৃত মুখটি আবার স্মরণ করা ।
টেবলেট মিসোপ্রোসটল ৪০০ মাইক্রোগ্রাম সে পূর্ণ গর্ভবতী মায়ের লেবার পেইন বাড়ার জন্য দেয় , ফলশ্রুতিতে মা প্রাণে বেঁচে গেলে ও মারা যায় বাচ্চাটি । আর পরপর দুটি সন্তান হারানোর কারণে রেণুর সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার মত সামাজিক সমস্যার মুখোমুখি দাঁড়ায় । এর পর ও রেণুর কি হয়েছে আমি জানি । প্রাসঙ্গিকতা রক্ষায় এড়িয়ে গেলাম সে কাহিনী ।
এরকম প্রায় ২ লক্ষ ঔষধের দোকান আছে আমাদের । রেজিস্ট্রেশন ছাড়া । ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৬ কোটিই ডাক্তার । ঔষধের দোকানদার তো অনেক বড় ডাক্তার । আপনি আর আমি বাচ্চাটা মরে গেছে দেখতে পেলাম । মাও মারা যায় । অনেকে বেঁচেও যায় ।
কয়েকদিন আগেই ব্রোমাজিপাম নামের ৬০ টি ঔষধ খেয়ে সুললিত কণ্ঠের গায়িকা আত্মহত্যার অথবা তাঁর ভাষ্য মতে একটু নিদ্রা যাবার চেষ্টা করেন , শেষ পর্যন্ত চিরনিদ্রা থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনা গেছে । অথচ বিদেশ হলে এই ঔষধ কিনতে পারতেন না । আমাদের দেশে চাহিবামাত্র ক্রেতাকে যাবতীয় ঔষধই দিয়ে দেন বিক্রেতা ।
আসুন ঘটনার ভয়াবহতা আরও দেখি । যেটা আজকের পোস্টের মূল আলোচনা । বাচ্চা মরে গেছে চোখে দেখলেন , যত্রতত্র ভাবে মানুষ ঔষধ কিনছে তাও দেখলেন , কিন্তু একটা জিনিস চোখে দেখা যায়না । তা হল এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স ।
আমি নিশ্চিত , এই লেখার পাঠকদের মধ্যেও এমন কেউ নেই যে কখনো প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধের দোকান থেকে ঔষধ কিনে খাননি । এন্টিবায়োটিক ও তারা প্রেসক্রাইভ করে । খাও এক ডোজ , বা দুই ডোজ । তার পর কি । তার পর হল এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স । সবচেয়ে দামী এন্টিবায়োটিক , যা রেজিস্টার্ড ডাক্তার রাও কম ব্যবহার করেন , সেটাও ঔষধের দোকানদার দুইএক ভায়াল রোগীর গায়ে দিয়ে দেয় ।
তারা কি কোন অপরাধী ?
উত্তর – রেজিস্টার্ড ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বাংলাদেশে এন্টিবায়োটিক কিনে নেয়া নিষেধ নাই । ঔষধ প্রশাসন বলে একটা বিভাগ আছে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তাদের এমন আইন সম্ভবত নাই ।
যারা বিদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার গুণগান করতে গলা ফাটান তারাও কিন্তু নিজেরা সরকারী ডাক্তারের কাছে ৫ টাকা দিয়ে প্রেসক্রিপশন করান না অথবা বেসরকারি ডাক্তারের কাছে ৩০০ টাকা ভিজিট দিয়ে প্রেসক্রিপশন নেন না ।
ঠিক ই এন্টিবায়োটিক কিনে নেন দোকানদারের পরামর্শ মত । এই যে এন্টিবায়োটিকের এত সহজলভ্যতার সাইড এফেক্ট বা ভয়াবহতা নিজেরা আঁচ করতে পারেন না । তাই হয়ত এ নিয়ে ভোক্তাশ্রেণী থেকে কখনো প্রতিবাদ ওঠেনা । কিন্তু শেষ পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স এর জন্য অসুখ ভাল না হলে দেশি ডাক্তারের দোষ , হাসপাতালের দোষ ।
বিদেশে কিন্তু ওভার দা কাউন্টার ড্রাগ ছাড়া আর কোন ঔষধ প্রেসক্রিপশনের বাহিরে কেনা যায়না ।
“ নকল ঔষধ “
আমাদের গরীব জনগণ কিন্তু রেজিস্টার্ড ডাক্তার কে দেখিয়ে এলেও ছোকরা মত এম , বি, বি , এস ডাক্তার ঠিক ঠাক ঔষধ দিল কিনা দেখিয়ে নেয় দোকানদার কে । আর এই সুযোগে প্রেসক্রিপশন বদল হয়ে যায় ।
“ আরে নেন কোম্পানি ভিন্ন হইলেও ঔষধ একই “ । রোগী একই দাম দিয়ে নকল ঔষধ কিনে খায় । নকল ঔষধে ঔষধের পরিমাণ ঠিক মত থাকেনা , রেজিসটেন্স ডেভেলাপ করে । আবার নামী দামী কোম্পানির ঔষধ ও নকল হয়ে যায় ।
কয়েকদিন আগেই টিভিতে দেখলাম নাভানা নামের ঔষধ কোম্পানিতে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ হয়ে কাজ করত জগন্নাথ ভার্সিটি থেকে ম্যাথ এ মাস্টার্স করা এক যুবক । কিছু দিন পরে নিজেই পুরান ঢাকায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে নিজেই শিশুদের এন্টিবায়োটিক এর নকল বের করে নাভানার মোড়কেই বোতল জাত করছে ।
পুলিশ তাকে আটক করেছে তার সরঞ্জাম সহ । সে মিটফোর্ড থেকে নকল ঔষধ তৈরির জিনিস পত্র কিনত আবার ঔষধগুলো তৈরি করেও মিটফোর্ডে বিক্রি করতো ।
আর এখন অন্যান্য ভাল ভাল কোম্পানির বিখ্যাত ঔষধগুলো যেগুলির উপর ডাক্তার রা চোখ বন্ধ করে আস্থা রাখতেন , তাও নকল হয়ে যাচ্ছে । ওগুলি এতই নিখুঁত, আমাদের দেশের নকল বাজদের প্রতিভা আছে বলতে হবে ; কেউ ধরতে পারেনা বাহির থেকে । আপনি ঔষধ খান আর ডাক্তারকে গালি দেন কি ঔষধ দিল । আবার ডাক্তার রাও অনেক সময় খুব বিপাকে পড়েন রোগী নিয়ে , রোগীকে কি ঔষধ দিবেন , সে তো সব গ্রুপের ঔষধই খেয়ে এসেছে ।
“ নিম্ন মানের ঔষধ আর মুনাফা লোভী ঔষধ কোম্পানি আর কিছু ঘুস খোর অমানুষ “
একজন ডাক্তার কি নিম্ন মানের ঔষধ লিখেন ? যেই ঔষধ ডাক্তার তার নিজে বা নিজের পরিবারকে খাওয়ানোর জন্য সিলেক্ট করবেননা সেই ঔষধ কিন্তু ঘুস , মাসিক মোটা অংকের টাকা , উপহার সামগ্রী দিয়ে লিখিয়ে নেয়া সম্ভব । তবে আমি বিশ্বাস করতে চাই এম, বি,বি,এস ডাক্তাররা এমন কাজ কখনো করবেন না । যদিও এ বিশ্বাস কত টাই বা কাজের। অসত মানুষ আছে সব প্রফেসনে।
কিছু দিন আগে কোন এক পত্রিকায় এসেছিল কোন কোন কোয়াককে কোন কোন ঔষধ কোম্পানি থেকে কত টাকা নিয়েছে । খবর টাকে একটু উলটে পরিবেশন করলে এমন হয় , কোন ঔষধ কোম্পানি তাদের লো কোয়ালিটির ঔষধ চালানোর জন্য কোন কোয়াককে কত ঘুস দিয়েছে । ঘুস দিয়ে একদুই ডোজ সেফট্রাএক্সন রোগীর গায়ে মেরে দিলেও তারা খুশি । সেল তো বাড়ল ।
ঔষধ কোম্পানি সবচেয়ে বেশি ঘুস বাণিজ্য করে থাকে ক্লিনিকের মালিকের সাথে । মোটা অংকের ঘুস দেয় নিজেদের ঔষধের বাজার ধরার জন্য । আর তখন আপনার ফিজিসিয়ান যেই ঔষধই লিখুক না কেন নার্স দেয়ার সময় ক্লিনিকের সরবরাহ করা ঔষধ টাই দিবে ।
এইসব নকল ঔষধ , ভেজাল ঔষধ দেখার দায়িত্বে কার সেই ঔষধ প্রশাসনের । কোয়ালিটি ঠিক মত আছে কিনা । আমাদের দেশে এগুলি দেখার কেউ নাই কারণ পর্যাপ্ত লোকবল নাই । কিন্তু সময় এসেছে সরকারের নড়েচড়ে বসার । এটা দেখা আমাদের বিবেকবান মানুষের জন্য অনেক পেইনফুল , অনেক কষ্ট করে যে টাকা জোগাড় করে ঔষধ কেনার জন্য সেটা বেনামী কোম্পানির আটা ময়দার গোল্লা ছাড়া আর কিছু থাকেনা ।
সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে তাকালে দেখা যায় কমিউনিটি ক্লিনিকেও সাপ্লাই আছে এন্টিবায়োটিকের । সেখানে কোন রেজিস্টার্ড ডাক্তার এর পোস্ট নাই “ পেটে ব্যথা ? নে ঔষধ টা দুইবেলা খা ।“ কেন ভাই পেটে ব্যথা , অসুখটা কি তার কোন খবর নাই । সার্ভিস প্রোভাইডরা দিয়ে যাচ্ছেন এন্টিবায়োটিক ।
সরকার ৬ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়ার ফলে সাব সেন্টার পর্যন্ত পৌঁছে গেছে রেজিস্টার্ড এম ,বি,বি, এস । নিজ এলাকায় বেশির ভাগের পোস্টিং হওয়াতে কাজ করার জন্য নতুন জেনারেশনের এই ডাক্তারদের আগ্রহের সীমা নেই । টেবিল চেয়ার , ইলেক্ট্রিসিটি , বাসস্থান , নিরাপত্তা , নিজস্ব বেতন কাঠামো বহু কিছুর অভাব একদিন ঠিক করে দেবে এই সরকার , এই আশায় বুক বেঁধে তরুণ ডাক্তার রা কাজ করতে চায় ।
আমার মনে হয় ডাক্তারের অভাবে যে এন্টিবায়োটিক একদিন জীবন বাঁচানোর তাগিদেই সরকার কে ননমেডিকেল পারসন দের হাতে তুলে দিতে হয়েছিল , আবার জীবন বাঁচানোর তাগিদেই তা ফিরিয়ে নিয়ে রেজিস্টার্ড ডাক্তারের হাতে দেয়ার সময় এসে গেছে । প্রিভেন্টিভ মেডিসিন, যা অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ তা অন্যদের হাতে রাখা যায়।
গরীব জনগোষ্ঠীর ডাক্তারদের হাতে সবসময় কালচার সেন্সেটিভিটি নামের মূল্যবান টেস্ট করে ঔষধ দেয়ার সুযোগ কম । তার উপর এই টেস্ট করার ব্যবস্থাও সবজায়গায় নেই । তবুও শুধুমাত্র রেজিস্টার্ড ডাক্তারের হাতে এন্টিবায়োটিক ছেড়ে দিলে এর যথেচ্ছ , আণ্ডার ডোজ , ওভার ডোজ ট্রিটমেন্টের ঝুঁকি কমে ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে । এই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারে জীবাণু ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। এতে অচিরেই খুব সাধারণ সংক্রমণ, সামান্য কাটাছেঁড়া থেকে মৃত্যু হবে মানুওষের। বিশ্বের ১১৪টি দেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।প্রতিবেদনে ‘অ্যান্টিবায়োটিক-পরবর্তী যুগ’ বলে একটি কথা ব্যবহার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, খুব দ্রুত যদি এ ব্যাপারে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে বিপর্যয় এড়ানো অসম্ভব হয়ে উঠবে।
প্রতিবেদনে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও রক্তের সংক্রমণের জন্য দায়ী সাতটি আলাদা ধরনের ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণার তথ্য উপস্থাপন করা হয়।বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের রোগীদের ওপর দুটি প্রধান অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে দেখা গেছে, এগুলো আর কাজ করছে না। এদের একটি কার্বাপেনেম। নিউমোনিয়া, রক্তে প্রদাহ ও নবজাতকদের দেহে প্রদাহের মতো রোগ নিরাময়ে এই অ্যান্টিবায়োটিকটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।বলা হচ্ছে, এ ধরনের ওষুধ বেশি ব্যবহার করায় এবং রোগীরা ওষুধ ঠিকমতো না খাওয়ায় জীবাণু ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে।
কেজি ফুকুদা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে সবার সমন্বিত চেষ্টা দরকার। কারণ বিশ্ব এখন অ্যান্টিবায়োটিক পরবর্তী যুগে প্রবেশ করতে চলেছে। খুব সাধারণ সংক্রমণ, সামান্য কাটাছেঁড়া থেকে মানুষ মারা যাবে। অথচ শুধু অ্যান্টিবায়োটিক থাকায় এ রোগগুলো খুব সহজেই সারত বা সেরেছে এতকাল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, একদিকে আরও নতুন নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে সরকার ও সাধারণ মানুষের উচিত হবে অ্যান্টিবায়োটিকের সুচিন্তিত ব্যবহার নিশ্চিত করা।
সবশেষে সরকারের কাছে কিছু সুপারিশ ঃ
১) প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওভার দা কাউন্টার ড্রাগ ব্যতীত অন্যান্য ঔষধ এর বিক্রি বন্ধ করা ।
২) রেজিস্টার্ড ডাক্তার ছাড়া এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন বন্ধ করা ।
৩) ঔষধ কোম্পানির ঔষধের গুনগত মান তদারকি করা ।
৪) ব্যাঙ্গের ছাতার মত ঔষধ কোম্পানি গজিয়ে ওঠা বন্ধ করা ।
৫) ব্যাঙ এর ছাতার মত ঔষধের দোকান গজিয়ে ওঠা বন্ধ করা যাদের প্রশিক্ষণ ও ড্রাগ লাইসেন্স নেই ।
৬) সরকারী প্যাথলজি ল্যাবে কালচার সেনসিটিভটি টেস্ট করার ব্যবস্থা রাখা ।
৭) নকল ঔষধ সনাক্ত করণের জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা
৮) নকল ঔষধ উৎপাদন , বাজার জাত আর সংরক্ষণকারীদের কঠোর শাস্তি প্রদান করা ।
৯) সবশেষে সরকারের হাতিয়ার এম, বি,বি,এস ডাক্তারদের জনগণের দ্বার গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেবার জন্য তাদের কর্ম ক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যা , বাসস্থানের সমস্যা , নিরাপত্তা , যাতায়াতের সমস্যা, আলাদা বেতন কাঠামো , প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করে সেবামূলক কাজে উৎসাহিত করা । আমার নিজের সেন্টারেই টেবিল চেয়ার লাইট ফ্যান, রোগীদেখার বেড কিছুই নাই। কিভাবে রোগী দেখব? নিরাপত্তাহীন তা তো আছেই। সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করি।
** এন্টিবায়োটিক রেজিস্টটেন্স কিভাবে করে ফেলে ব্যক্টেরিয়া, এটা আমাদের জন্য ব্লগার আহমেদ জি এস
ব্যখ্যা করেছেন ৩৮ নং মন্তব্যে অতি প্রাঞ্জল ভাষায়।
**ফা হিম ভাই ৬৩ নং মন্তব্যে সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন কেন সমাজের এক অংশের কারণে জীবানু এন্টিবায়োটিক রেজিস্টটেন্স ডেভেলপ করলেই অন্যরাও ক্ষতিগ্রস্থ। আসলে এজন্যই আমরা চিন্তিত।
**রোগী হিসেবে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টটেন্স প্রতিরোধে করণীয় কি তাও আলোচিত হয়েছে।
কৃতজ্ঞতায় : প্রথম আলো, গুগল, টিভির টকশো, টিভির অনুসন্ধানী পোগ্রাম, গ্রামের অসহায় মানুষ, অনেক নবীন স্বাস্থ্য ক্যাডারের ডাক্তার।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩৯