somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছি ছি ছি , ডাক্তার রা এত্ত খারাপ !!

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু দিন আগে মানবাধিকারের প্রধান সাহেব গেলেন কক্সবাজারের এক হাসপাতালে , গিয়ে দেখেন রোগীদের যা তা অবস্থা । ঔষধ নাই । টয়লেট নোংরা । ডাক্তার কে ডেকে এক বিখ্যাত স্পিচ দিলেন , “ আপনারা কসাই , আর কত টাকার দরকার আপনাদের , আর কত গাড়ি বাড়ি চান , হাসপাতালের এ অবস্থা দেখবেন না ? “

আপনার ও তো মনে হচ্ছে , আরে তাইতো ডাক্তার এর এগুলি দেখার দরকার ছিল । বলেন তো , ডাক্তার রোগীর রোগ নিয়ে ভাববে নাকি এগুলি দেখবে ? আপনি ভাবছেন , সে তো একটা ঔষধ লিখে দিয়ে চলে যায় । নার্স রা লাগায় । বাকি সময় সে মনে মনে হিন্দি গানের সুর ভাজে ।

আসলে ব্যাপারটা তা না । ধরেন আপনি পেট খারাপ নিয়েই আসলেন মনে মনে ভাবলেন সামান্য পেট গরম হয়েছে ।
ডাক্তার সাহেব ও আপনার মত ভাবলে তো চলবে না । তাকে ভাবতে হয় এই দৃশ্যমান আইসবার্গের নীচে কতটা লুক্কায়িত আছে । আর সেটা ধরতে না পারলে টাইটানিকের মত অডুবনীয় জাহাজ ও ডুবে যায় ।

গিনেজ বুক অব রেকর্ড তো কয়দিন ধরে বেশ আলোচিত হল । এতে নাম ওঠানোর জন্য কত আলোচনা , সমালোচনা । কিন্তু একটা বিষয় আছে যাতে করে বাংলাদেশের অনেক মানুষ এমনিতেই এই রেকর্ড বুকে উঠে বসে আছে । এই গ্রুপ হল ডাক্তার । জগতের সবচেয়ে কঠিন সাবজেক্ট হল , “ এম , বি ,বি ,এস “
রোগীদের রোগ নিয়ে ভেবে যাওয়া এত সহজ বিষয় না । আমি মনে করি এই মানুষের অসুখ বিসুখ নিয়ে যারা ভাবে তাদের ব্রেইনের অন্য অংশ গুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় মানুষের অসুখের ভাবনা ভাবতে ভাবতে । তখন যদি আপনি ডাক্তার কে লজিস্টিক সাপোর্ট , ম্যান পাওয়ার সাপোর্ট না দিয়ে একি সাথে টয়লেট ক্লিনিং আর অন্যান্য কাজে দিয়ে রাখেন তাহলে রোগী আর বেঁচে থাকবে সেই আশা করার দরকার নাই । তাহলে আপনাকে একজন সুইপার নিয়োগ দিতে হবে । আর হাসপাতালের যাবতীয় কাজ ঠিক মত চলছে কিনা ম্যানেজার নিয়োগ দিতে হবে । ডাক্তার কে ডাক্তারি টাই করতে দিন ।

ডাক্তার হিসেবে আমি নিজেকে মূল্যায়ন করি এভাবে , আমি রোগীদের জন্য প্রচুর সিম্পেথি নিয়ে কাজ করি । জীবন মৃত্যুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে প্রচুর ঝুঁকি নিয়ে আল্লাহকে স্মরণ করতে করতে কাজ করতে হয় । আমার ফেইসবুকের পাতায় শেয়ার করা আছে মেঘনার গরীব জেলের দেয়া ইলিশ ,আরো রোগীদের দেয়া খাবার দাবার , পিঠা , মাংস , এমন কি গায়ের জামা পর্যন্ত রোগীদের দেয়া । রোগী ফোন দিয়ে বলে , মেডাম আপনাকে আমি একটু দেখতে আসতে চাই । আমার বাচ্চাটার জন্য আপনি এত কষ্ট করেছেন ।
নিঃস্বার্থ ভালবাসা পেয়ে ডাক্তার রা ধন্য হয় । আরও আরও রোগীর জন্য কাজ করে চলে । আর এরকম ডাক্তার এর সংখ্যা এখনো প্রচুর । গরীব দুস্থ রোগীদের যা সুস্থতা আল্লাহ দেন এদের হাত ধরেই দেন ।

তবু ও আমার বদনাম আছে । এক ঈদের আগের দিন নাইট ডিউটিতে ঢাকা মেডিকেলের এক্লম্পসিয়া ওয়ার্ডে মরে যাওয়া , অর্ধমৃত রোগী সামলে বেলা একটায় বাসায় ফিরলাম । সারারাতের ধকলের পর টিভি খুলে বসলাম ,বিনোদনের জন্য । আর সেটা দিয়েও দিল টিভির নিউজ প্রেজেন্টার । বলল , ঢাকা মেডিকেলে আমরা নাকি কেউ ছিলাম না । তাহলে আমরা কে ছিলাম , ভূত ?

তো সাংবাদিক সাহেব রা এরকম খবর কেন দেয় ? হেতারা তো আমাদের কাছে আসলোনা । আমরা আছি জানলে তাদের নিউজ কি করে হবে ? ওদের অর্ডার করা থাকে “ ঈদের সময় রোগীদের ভোগান্তি “ এই নিয়ে তাদের নিউজ করতেই হবে ।

আরো বিষয় আছে । বাংলাদেশ চিকিৎসার দিক দিয়ে খুব উন্নত হয়ে যাচ্ছে । বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইন্ডিয়া , থাইল্যান্ড আর সিংগাপুরের বাজার । সেই বাজার ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের চিকিৎসা ভালনা এই কথা ছড়িয়ে দেয়া দরকার । আর মিডিয়া তথ্য সন্ত্রাসীর মাধ্যমে এটা করে যাচ্ছে । এদের রক্তে মিশে আছে রাজাকার আর মীর জাফরের রক্ত ধারা । এদের দ্বারা সবই সম্ভব । বিদেশিদের দালাল

হয়ে কাজ করার লোকের অভাব হয় না বাংলাদেশে । নাইট ডিউটিতে থাকা কালীন নিষ্ঠুর ভাবে খুন হল ডাঃ ইভা । কয়েকজন সাংবাদিক ছুটে আসেন সরওয়ার্দি হাসপা তালে । তারা খুব হতাশ হন । কি নিউজ করবে ? এখানে এক খুঁদে ডাক্তার মারা যাওয়াতে সিনিয়র জুনিয়র সবাই মানব বন্ধন করছে । বিখ্যাত সেই ডায়লগের কথা আজো মনে পড়ে , “ ডাক্তারের হাতে কেউ মারা গেলে সেটা ইম্পরটেন্ট , ডাক্তার মারা গেলে নিউজ এজেন্সীর কিছু যায় আসেনা । “

বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর । আজ ভেঙ্গে পড়েছে বিশ্বাস । আমরা কোন ডাক্তার কেই বিশ্বাস করতে পারছিনা । রোগ আমাদের মাথায় বাসা বেঁধে গেছে । আর এই রোগের স্রস্টা সাংবাদিকরা ।আজ ডাক্তার নাপা লিখলে ভাবি নাপা লিখলো কেন ? বেক্সিমকো কোম্পানির সংগে হাত আছে । এইস লিখলে ভাবি এইস লিখলো কেন , স্কয়ার কোম্পানির সংগে হাত আছে ? পরীক্ষা করাতে দিলে ভাবি , কমিশনের জন্য দিয়েছে । অপারেশন করাতে বললে ভাবি , “ ডাক্তার তো কাটলেই টাকা পাইবো । “

গুটি কয়েক ভাল, জ্ঞানী , দেশপ্রেমিক সাংবাদিক ছিল আগে । এখন কি আর আছে ? সাংবাদিক এমনি এমনি হওয়া যায় । এদের কোন ট্রেনিং লাগেনা । যোগ্যতা লাগেনা । এরা আছে আগুনে ঘি ঢালার জন্য । বা আগুনটাই ধরিয়ে দেয়ার জন্য । অসাধারণ তাদের মানবিকতা । মৃত্যু পথযাত্রীকেও তারা প্রশ্ন করতে পারে , “ আপনার অনুভূতি কি ? “

এরা বিদেশি দালাল । তারা খুব খুশি হবে একথা জানলে মানুষ আগে পুলিশ কে ভয় করতো এখন তারচেয়ে বেশি ভয় করে সাংবাদিক দের । টাকা দেন না হলে নিউজ করে দেব এই অভিজ্ঞতা অনেকের আছে । বাঙ্গালী জাত হীনমন্যতায় ভোগা এক জাতিতে পরিণত হয়েছি । আর এ হীনমন্যতাকে উস্কে উস্কে দিয়ে নিউজ এজেন্সি চলছে নিজেদের দেশ ভাল না , গরীব , নিজেদের ধর্ম ভাল না , এক গুয়ে মৌলবাদী , নিজেদের ডাক্তার ভাল না । ডাক্তার তো কথাই বলে না ।

তা কিভাবে কথা বলবে ? যত জন রোগী মাথার পর দাঁড়িয়ে থাকে তাদের কে সুন্দর ভাবে দেখতে গেলে আসলেই অনেক সময় দরকার । আরও ডাক্তার দরকার । আপনার সে ব্যবস্থা নাই । আপনি সরকারি হাসপাতালের প্রেসক্রিপশনের টিকিট দেখেছেন ? একেবারে ছোট্ট । ওটা এটাই মনে হয় , নির্দেশ করে , হেই ডাক্তার আপনি এর থেকে বেশি সময় ব্যয় করতে পারবেন না ।
বিদেশ গেলে আপনার ভাল লাগে কারণ বিদেশে আপনি কিন্তু বেসরকারি সেক্টরে যান । সরকারি তে না । আমাদের বেসরকারি প্রাইভেট চেম্বারে গেলে কিন্তু আপনি ঠোঁট উল্টে বলেন , “ দেখছোনি , এখানে কেমন ভাল ব্যবহার , আর সরকারিতে গেলে কথাই কয় না । “

সরকারি লেভেলের সাথে বেসরকারি লেভেল এর তুলনা করে , কার সাথে কার তুলনা করতে হবে আপনি তাই বুঝেন না । আমি আপনাকে আর কি বুঝাবো ?

আমার দেশের সবচেয়ে বড় লেখকের এবার একটা বই কিনলাম , লীলাবতীর মৃত্যু । ডাক্তারের গুষ্ঠি শুদ্ধ নিপাত করা হয়েছে বইতে । এতো এতো খারাপ ডাক্তার । তা উনিই গিয়েছিলেন ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে বিদেশে । অপারেশনের পর এনাস্টোমোসিস খুলে গিয়ে সেই জটিলতায় উনি মারা জান । আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় কোলরেক্টাল সার্জনের হাতে এই ঘটনা কোন দিনও ঘটেনি । মানে আল্লাহ ঘটান নি । আল্লাহ আরও দয়া করেছেন , যে লেখক দেশে অপারেশন করান নি । তাহলে নির্ঘাত হেনস্তা হতে হত ।
আমাদের সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য জানিনা , আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের অসুখ হলে সামান্য ১০ টাকা দিয়ে আউট ডোর থেকে টিকিট কেটে দেখাতে পারতেন কিন্তু দেখান না । কিন্তু দেশের মানুষের ট্যাক্সের বিশাল টাকা খরচ সিংগাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথে চলে যান হাঁচি কশির চিকিৎসা করাতে । কারণ দেশের চিকিৎসা ভাল না ।
যদি ভালই না হয় সে দায় কার ? নীতিনির্ধারকদের ।

আজ দেশের প্রতিটি ক্লিনিক একটি মেডিকেল কলেজ হয়ে যাচ্ছে । ঘরে ঘরে প্রচুর ডাক্তার । আমাদের স্যার একটা কথা বলেছিলেন , ইন্টার্র্নি ভাল মত কর ।এই শিক্ষা দিয়েই তোমাকে সারা জীবন চলতে হবে ।
মেনে নিয়েছিলাম সে কথা । কিন্তু ঘরে ঘরে মেডিকেল কলেজ খুলে প্রকৃত শিক্ষা দিতে পারা সম্ভব না । আপনি এম, মি , বি, এসে কিছু শিখাবেন না । একটা ডেলিভারি কিভাবে করায় সেটাও শিখাবেন না । আপনি আস্থা কিভাবে রাখবেন । তারা প্রেসার মাপলেও ভয় হয় ঠিক মত মাপলো কিনা ?
আর উচ্চশিক্ষায় বছরের পর বছর কঠিন ট্রেনিং শেষ করার পরে আপনি ডাক্তারদের আটকে রেখে আরো বছরের পর বছর নষ্ট করে দিবেন এসব আপনাদের কি ব্যবস্থাপনা আমার বোধগম্য হয় না । উচ্চশিক্ষার এই ফেলের বোঝা টানার জন্য যখন ডক্টরদের ঢাকায় এসে পড়ে থাকতে হয় , তখন আবার আপনারা হুংকার দেন , কেন ডাক্তার গ্রামে নাই ? অথচ পাশ না করতে পারলে এত সব এত কষ্ট পরিশ্রম ব্যর্থ ।

আর অনেক ডাক্তার আছে তারা তাদের কর্ম স্থলে ইচ্ছা করেই যায় না , সব জায়গায় নষ্টামি যেভাবে ঢুকেছে এথিকস বলে যে একটা কিছু আছে অনেকেই তা ভুলে গেছে। তাই সবার সাফাই গাইতে এ লেখা লিখছিনা । যারা খারাপ তাদের জন্য সিস্টেমেটিক ওয়েতে ব্যবস্থা নেয়া যায় । ডাক্তার দের মধ্যে থাকতে পারে প্রফেশনাল নেগলিজেনসি । এই অভিযোগ ঢালাও ভাবে সবার কাঁধে চাপিয়ে দিলে তো হবে না ।

দেশের মানুষ সচেতন হচ্ছে তাতে ডাক্তারদের ও নিজের প্রফেশনের প্রতি আর দায়িত্বশীল হওয়া দরকার ।দায়িত্বে অবহেলার জন্য অভিযোগ করে তার বিচার করা দরকার । বরং বেশি বেশি অভিযোগ পত্র হলেই ভাল । ধরেন এসে দেখলেন ডাক্তার নাই । অভি্যোগ জমা দিলেন । কিন্তু দেখা গেলো ডাক্তার গেছে ওটিতে অথবা প্রফেশনাল মিটিং এ । তাও অভিযোগ হোক সেটাই ভাল । ভুল বুঝাবুঝির অবসান হবে ।
আমার দেশের মানুষের টাকায় আপনারা ডাক্তার হয়েছেন এই কথার উত্তর এটাই , যদি জানতাম এমন নিরাপত্তা হীন , সম্মান হীন একটা জীবন পাব তাহলে এখানে আসতাম না ।
একই বিসি এস এর অন্য ক্যাডার গ্রামে সুন্দর বাসা পায় , কর্মচারী পায় , গাড়ি পায় , প্রমোশন পায় । ডাক্তার কি পায় ? কিছুই না । বরং তাদের অবস্থা দেখে ডাক্তারেরও মাথা ঝুঁকে ঝুঁকে আসে । ডাক্তার ভুলে যান তিনি তাদের থেকে বেশি কষ্ট করেছেন আর করেই যাচ্ছেন ।

আজ বাংলাদেশ বিদেশ থেকে যতগুলো পুরষ্কার নিয়ে এসেছে , সব কিন্তু স্বাস্থ্যখাতেই এসেছে । ও গুলি কি ভিলেজ ডাক্তার এনে দিয়েছে ? নাকি এলাকার চেয়ারম্যান , সন্ত্রাস আর সাংবাদিক সাহেব এনে দিয়েছে ? তাদের দাপটে এক নারকীয় পরিবেশে আপনি কোন রকম সাপোর্ট ছাড়া পাঠিয়ে দেন । অনেক খাটাখাটির পরো আপনার কাছ থেকে অবমূল্যায়ন আর বকাবকি ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না ।
ডাক্তার হলেও সবাই ভাল না এটা আমিও জানি । এখানে ট্রেনিং , মেধা অনেক কিছু জড়িত । আপনি সেকেন্ড অপিনিয়ন নেন । বা সেই ডাক্তারের সাথেই আবার কথা বলুন । আরেকজন দেখালেও বা সমস্যা কি ? আর যদি মনে হয় ডাক্তারের অবহেলার কারণে রোগী মারা গেছে অভিযোগ দিন । আইনের আশ্রয় নিন ।

আপনি হার্ট এটার্ক ( এম , আই ) নিয়ে আসলে আপনাকে ডাক্তার একটা ইনজেকশন দিবেই ব্যথা কমানোর জন্য । তার পরপরই আপনি মরে গেলেন । আপনার লোকজন এসে ডাক্তারকে আহত নি হত করলো , যন্ত্রপাতি নষ্ট করলো । কিন্তু আপনি জানলেন না ,এই ইনজেকশন এর জন্য আপনি মারা যান নি । বরং ইনজেকশন টি ছিল জীবন রক্ষা কারী । কিন্তু রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ । ইনজেকশন কাজ করার সুযোগ পায়নি । এগুলি বুঝানোর আগেই যে আপনার লোকজন ডাক্তার এর গায়ের দিকে শারীরিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য যান ।


বারডেমে আই ,সি, ইউ তে থাকা রোগি মারা যাওয়ার পর , বি,সি ,এস পুলিশ সাহেব লোক জড় করে ফেললেন । সন্ত্রাসী হামলা হল । পরে দেখি সন্ত্রাসী ঢাকা ভার্সিটির ছেলে । খুব খুশি হয়ে সে ফেবুতে স্ট্যাটাস লিখেছে ,বাংলা নববর্ষ টা ডাক্তার পিটিয়ে শুরু করলাম ।

যাই হোক আমাদের অবাক হওয়ার অনুভূতি তাহলে এখনো আছে । ভারী অবাক হলাম । প্রাচ্যের অক্সফোর্ড সেই বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ ঢাবি তে মানুষ পড়তে যেখানে চান্স পেতে এত কষ্ট , সেখান কার মেধাবী ছাত্র তার প্রতিবেশী বারডেমে গিয়ে ডাক্তার কে মেরে আসে । আর তার বড় বোনের মত ডাক্তার আপার মাথা থেঁতলে দিয়ে আসে ? বড়বোন তোমার মত ছোটভাই এর হাত থেকে বাঁচার জন্য ওয়াশরুমে পালিয়ে ছিল । তুমি দরজা ভেঙ্গে ঢুকেছো ।

তুমি বড় বিদ্যা পিঠে পড়েছো বটে কিন্তু প্রকৃত বিদ্যা তোমার নাই । তুমি কি নাস্তিক নাকি ? তুমি কি জানো , যার মরণের সময় হয় তাকে ডাক্তার বেটে খাওয়ালেও সে বাঁচবেনা ।
আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কারো মৃত্যু হতে পারেনা । সুরা ইমরানে আছে । সুরা ইমরান কোনদিন পড়েছো ? নাকি মৌলবাদী বই বলে উড়িয়ে দিয়েছো ?
ডাক্তার সর্বশক্তিমান নয় । আল্লাহ সর্ব শক্তিমান । আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখা দরকার । হাদিসে আছে , আল্লাহ যাদের নিরাময় দিবেন তাদের উপর ঔষধ কাজ করে । ডাক্তার রা যদি সব পারতো তাহলে তাদের প্রিয় প্রিয় জনেরা কোন দিন মরতো না । তারা নিজেরাও মারা যেত না ।

আজ যদি আমি থাকতাম বারডেমের ডাক্তার আপুর জায়গায় তাহলে বলতাম ,
আমাকে আহত , নিহত করার আগে হে মীরজাফর-রাজাকারের এর বংশধর তুমি কি ভাববে একবার ? আমার সারাটা জীবনে কঠিন পড়াশুনা করার পর আমি মেডিকেলে চান্স পেয়েছিলাম , সরকার কোটি টাকা খরচ করে আমাকে পড়িয়েছে । মেডিকেলে পড়তে গিয়ে আমি পেয়েছি জন সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন এক অভিশপ্ত জীবন । জগতের সবচেয়ে কঠিন ডিগ্রি টা । আমার পরিবার কিভাবে আমাকে আদর করে সাপোর্ট দিয়ে গেছে ।কিন্তু অনেক কিছুই হারাতে হয়েছে । আমার হাত ধরে অনেক প্রাণ এসেছে পৃথিবীতে । কত জনকে আল্লাহ নতুন জীবন দেয়ার জন্য আমাকেই বেছে নিয়েছেন । আর ভবিষ্যতেও কত প্রাণ বাঁচতে পারতো ? তুমি প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে যা বেছে নিয়োছো সে জন্য আইনগত সাহায্য চাই ।

সেই পুলিশকে শুধু প্রত্যাহার করা ডাক্তারদের সাথে রসিকতা করা র ই নামান্তর ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী , প্রধানমন্ত্রী র কাছে আকুল আবেদন , শহরে গ্রামে ডাক্তারদের নিরাপত্তা দিন । আপনাদের অতি আদরের মেধাবী সন্তানদের এভাবে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দিবেন না । ডাক্তারদের জীবন সহজ করে দিতে এগিয়ে আসুন । যা কিছু করা দরকার ব্যবস্থা নিন ।



সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯
৩০টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×