১৯৯৭ সালের এই সিনেমার কাহিনী আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে একটি যৌন অসদাচরণের ওভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগ সামাল দিতে প্রেসিডেন্টের পিআর টিম আলবেনিয়ার সাথে যুদ্ধের পরিকল্পনা করে। তারা শরণাপন্ন হয় একজন হলিউডি প্রযোজকের। তার তত্ত্বাবধানে আলবেনিয়ায় কীভাবে মুসলিম সন্ত্রাসীরা গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে, গ্রামের অসহায় নারী বোমা থেকে বাঁচতে ছুটছে এমন একটা দৃশ্য ধারণ করা হয় স্টুডিওতে। যুদ্ধবিরোধী গান তৈরির কাজও চলতে থাকে। পরে সিআইএর হস্তক্ষেপে যুদ্ধের সম্ভাবনা রহিত হয়।
তখন তারা চলে যায় প্ল্যান বি'তে। কোত্থেকে যেন আলবেনিয়ায় যুদ্ধ করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া এক সৈন্যের ছবি প্রকাশিত হয়। সে তার ইউনিফর্মে মোর্স কোড দিয়ে লিখে রেখেছে Courage, mom. এখন প্রেসিডেন্টের পিআর টিমের কাজ হলো জেলখানা থেকে একজন মানসিকভাবে অসুস্থ কয়েদীকে উদ্ধারকৃত সৈন্য হিসেবে দেখানো, যে তার মায়ের কাছে ফিরতে চেয়েছিল।
এতসব কিছুর পর সবাই প্রেসিডেন্টের সেক্সুয়াল স্ক্যান্ডাল ভুলে গেল এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হলো।
ট্রাম্পের কানের পাশ দিয়ে গুলি যাওয়া, এবং এরপর তার শূন্যে আঙ্গুল দিয়ে বিজয়ের চিহ্ন প্রকাশ করা, এবং মানসিক বিকারগ্রস্থ আততায়ীর মৃত্যু, এসবের সাথে ট্রাম্পের নির্বাচনে জয়ী হবার সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়াতে মনে হচ্ছে লেজ এখন কুকুরকে নাড়াচ্ছে!